পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৬৯৫-[৭] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রতি শনিবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়ে হেঁটে অথবা সওয়ারীতে আরোহণ করে ’মসজিদে কুবায়’ গমন করতেন। আর সেখানে দুই রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْمَسَاجِدِ وَمَوَاضِعِ الصَّلَاةِ
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْتِي مَسْجِدَ قبَاء كل سبت مَا شيا وراكبا فَيصَلي فِيهِ رَكْعَتَيْنِ
ব্যাখ্যা: (مَسْجِدَ قُبَاءٍ) কুবা একটি জায়গার নাম। যা মসজিদে নাবাবী হতে তিন মাইল দূরে অবস্থিত মক্কার দিক যেতে বাম পাশে। তার নামকরণ করা হয়েছে সেখানকার একটি কূপের নামে। আর উল্লেখিত মাসজিদটি বানী ‘আমর ইবনু ‘আওফ-এর সেই প্রথম মাসজিদ। যার ভিত্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্থাপন করেছেন।
মসজিদে কুবার অন্য ফাযীলাত সংক্রান্ত হাদীস এসেছে নাসায়ীতে, যে ব্যক্তি মসজিদে কুবার উদ্দেশে বের হয়ে এসে সেখানে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করবে তা ‘উমরাহ্ করার সমতুল্য।
অত্র হাদীস আর অধ্যায়ের হাদীস প্রমাণ করে মসজিদে কুবার ফাযীলাত এবং সেখানে সালাত আদায়ের ফাযীলাত। তবে এখানে প্রমাণিত হয়নি দ্বিগুণ ফাযীলাত, যেমনটি তিন মসজিদে রয়েছে।
আর এ হাদীস প্রমাণ করে তিন মাসজিদ ব্যতিরেকে অন্য কোন মসজিদে সফর করা হারাম নয়। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুবায় হেঁটে ও সওয়ারীতে আসতেন। তবে এ কথার পিছনে মন্তব্য করা হয়েছে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুবায় যাওয়াটি সফরের অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং হাদীসটি না-সূচক, হাদীসের বিরোধী নয়।