পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৬৯৪-[৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার ঘর ও আমার মিম্বারের মধ্যখানে আছে জান্নাতের বাগানসমূহের মধ্যকার একটি বাগান। আর আমার মিম্বার হচ্ছে আমার হাওযে কাওসারের উপর। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْمَسَاجِدِ وَمَوَاضِعِ الصَّلَاةِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا بَيْنَ بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ ومنبري على حَوْضِي
ব্যাখ্যা: ‘জান্নাতের টুকরো’ এর ব্যাখ্যা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে, কারো মতে রূপক অর্থে ব্যবহার হয়েছে, এ স্থানে ‘ইবাদাত করলে জান্নাতে পৌঁছে যাবে যেমন- রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাত তলোয়ারের ছায়ার নীচে, অর্থাৎ- জিহাদ জান্নাতে পৌঁছে দেয়।
কারো মতে, এ স্থানে আল্লাহর রহমাত বর্ষণ ও সফলতা যা অর্জিত হয় যিকিরের (জিকিরের) মাজলিসের মাধ্যমে। বিশেষ করে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সময় এর ব্যাপকতা আরো বেশি ছিল। এ দৃষ্টিভঙ্গিতে বলা হয়েছে জান্নাতের বাগিচা। আর সঠিক বিশ্লেষকদের মতে এ স্থানটি ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিনে ফিরদাওস জান্নাতে স্থানান্তর করা হবে। সুতরাং এ স্থানটি ধূলিস্যাৎ হবে না অন্য স্থানের মতো।
আবার কারো মতে সম্ভাবনা এও রয়েছে যে, এ স্থানটি বাস্তবে জান্নাতেরই স্থান, এ মসজিদে অবতরণ করা হয়েছে। যেমনটি হাজারে আসওয়াদ ও মাকামে ইব্রা-হীম। ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) সংঘটিত হওয়ার পর তার মূল স্থানে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
(وَمِنْبَرِي عَلى حَوْضِيْ) আমার মিম্বার আমার হাওযের উপর। অধিকাংশ ‘আলিমদের মতে সত্যিকার মিম্বারটি হাওযের উপর। আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং মিম্বারটি স্থানান্তর করে হাওযের উপর রাখবেন (ক্বিয়ামাতে) আর এটা শ্রেয় মত।
আবার কারো মতে উদ্দেশ্য হলো, যে ব্যক্তি সর্বান্তকরণে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয় সৎ ‘আমলের সাথে জড়িত হওয়ার মানসে সে হাওযে পৌঁছবে এবং তা হতে পান করে উপকৃত হবে।