পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের ফযীলত
৬৩৮-[১৫] ইমাম মালিক-এর নিকট বিশ্বস্ত সূত্রে পৌঁছেছে যে, ’আলী ও ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলতেনঃ ’সালাতুল উস্ত্বা’ দ্বারা উদ্দেশ্য ফজরের (ফজরের) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ)। (মু’আত্তা)[1]
وَعَن مَالك بَلَغَهُ أَنَّ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ كَانَا يَقُولَانِ: الصَّلَاةُ الْوُسْطَى صَلَاة الصُّبْح. رَوَاهُ فِي الْمُوَطَّأ
ব্যাখ্যা: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ার পরপরই খুব গরমের মধ্যে এ সালাতটি আদায় করতেন। সাহাবীগণের কষ্ট হতো বিধায় তারা তাদের কাপড়ের উপর সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) দিতেন। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বাণী উল্লেখ করে বলেন, ‘‘তোমরা সালাতসমূহ ওয়াক্ত মতো এবং এগুলোর শর্ত যথাযথভাবে পূরণ করে নিয়মিত আদায় করার মাধ্যমে সালাতসমূহকে সংরক্ষণ করবে। বিশেষ করে মধ্যবর্তী সালাতকে অর্থাৎ- সকল সালাতকে সংরক্ষণের আদেশ একত্রে দেয়ার পরে পৃথকভাবে মধ্যবর্তী সালাতকে সংরক্ষণ করার আদেশ দেয়া হয়েছে এজন্য যে, তোমাদের কেউ যেন যুহরের সালাতকে ভারী ভেবে পরিত্যাগ না করে।
যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) বলেন, এ মধ্যবর্তী সালাতের পূর্বে দু’টি সালাত (সালাত/নামায/নামাজ), যার একটি দিনের (ফাজর) অপরটি রাতের (‘ইশা) এবং এরপরে দু’টি সালাত, যারও একটি দিনের (‘আসর) অপরটি রাতের (মাগরিব)। যুহরের সালাতকে মধ্যবর্তী সালাত এজন্য বলা হতে পারে যে, এটি দিনের মধ্যভাগে আদায়কৃত সালাত।