পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায়
৬০৯-[২৩] আবূ আইয়ূব (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাত সর্বদাই কল্যাণ লাভ করবে, অথবা তিনি বলেছেন, ফিতরাত-এর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে, যদি তারা তারকারাজি উজ্জ্বল হয়ে উঠা পর্যন্ত মাগরিবের সালাতকে বিলম্বিত না করে।[1]
وَعَنْ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تَزَالُ أُمَّتِي بِخَيْرٍ أَوْ قَالَ: عَلَى الْفِطْرَةِ مَا لَمْ يُؤَخِّرُوا الْمَغْرِبَ إِلَى أَنْ تَشْتَبِكَ النُّجُومُ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার উম্মাত ততক্ষণ পর্যন্ত কল্যাণের উপর থাকবে বা ফিতরাত তথা স্থায়ী সুন্নাত অথবা ইসলাম বা দৃঢ়তার উপর থাকবে (বর্ণনাকারীর সন্দেহ যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনটি বলেছেন, কল্যাণ না ফিতরাত?) যতক্ষণ সূর্য অস্ত যাওয়ার পর তারকার আলো ছড়িয়ে যাওয়া বা অন্ধকার নেমে আসার পূর্বেই মাগরিবের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করার তাগিদ এসেছে। অথাৎ মাগরিবের সালাত সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথেই আদায় করা মুসতাহাব বা পছন্দনীয় এবং তারকা উজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত বিলম্বিত করা মাকরূহ (অপছন্দনীয়)। এ বিষয়ে শী‘আরা (রাফিযী) আমাদের বিপরীত। তারা মাগরিবের সালাতকে তারকা উঠা পর্যন্ত বিলম্বিত করাকেই মুসতাহাব মনে করে।
ইমাম নাবাবী তার শারহে মুসলিম গ্রন্থে লিখেছেন, ‘‘এ ব্যাপারে ইজমা (ঐকমত্য) হয়েছে যে, সূর্য অস্ত যাওয়ার পর তাড়াতাড়িই মাগরিবের সালাত আদায় করতে হবে’’। শী‘আদের দিকে দৃষ্টি দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ এ মত ভিত্তিহীন। শাফাক্ব (সূর্য অস্ত যাওয়ার পর পশ্চিমাকাশে দৃশ্যমান লাল আভা) বিলীন হওয়ার সময় পর্যন্ত মাগরিবের সালাত আদায় দ্বারা মাগরিবের শেষ সময় বর্ণনা করা উদ্দেশ্য। কেননা এটা ছিল প্রশ্নকারীর উত্তরে বলা কথা। সালাতের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পরপরই দ্রুত তা আদায় করাই ছিল রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অভ্যাস। শার‘ঈ ওযর (অযুহাত) ছাড়া এর ব্যতিক্রম ঠিক নয়।