পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৭৬-[৭৯] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শীঘ্রই মানুষের ওপর এমন এক যুগ আসবে, যখন শুধু নাম ব্যতীত ইসলামের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না, সেদিন কুরআনের অক্ষরই শুধু অবশিষ্ট থাকবে। তাদের মাসজিদগুলো তো বাহ্যিকভাবে আবাদ হতে থাকবে, কিন্তু হিদায়াতশূন্য থাকবে। তাদের ’আলিমগণ হবে আকাশের নীচে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট লোক, তাদের নিকট হতেই (দীনের) ফিতনাহ্-ফাসাদ সৃষ্টি হবে। অতঃপর এ ফিতনাহ্ (ফিতনা) তাদের দিকেই ফিরে আসবে। (বায়হাক্বী- শু’আবুল ঈমান)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لَا يَبْقَى مِنَ الْإِسْلَامِ إِلَّا اسْمُهُ وَلَا يَبْقَى مِنَ الْقُرْآنِ إِلَّا رَسْمُهُ مَسَاجِدُهُمْ عَامِرَةٌ وَهِيَ خَرَابٌ مِنَ الْهُدَى عُلَمَاؤُهُمْ شَرُّ مَنْ تَحْتَ أَدِيمِ السَّمَاءِ مِنْ عِنْدِهِمْ تَخْرُجُ الْفِتْنَةُ وَفِيهِمْ تَعُودُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَان
ব্যাখ্যা: হাদীসটি অনুরূপভাবে ইমাম হাকিম-এর তারীখে ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকেও বর্ণিত হয়েছে। দায়লামী মু‘আয এবং আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকেও বর্ণনা করেছেন। হাদীস থেকে বুঝা যায়, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি হবে যে, ইসলামের নাম যেমন সালাত, সিয়াম, হাজ্জ, যাকাত ছাড়া ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন ও প্রকৃত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ), সিয়াম, হাজ্জ (হজ/হজ্জ), যাকাত কিছুই থাকবে না এবং কুরআনের লেখা ছাড়া তার ওপর মানুষের ‘আমল থাকবে না, মাসজিদসমূহ উঁচু দালান ও কারুকার্য খচিত প্রাচীর দ্বারা বাহ্যিক দৃষ্টিতে আবাদ হবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা হবে হিদায়াতশূন্য। ‘আলিমদের দ্বারা ফিতনাহ্ শুরু হয়ে তার মন্দ পরিণতি তাদের দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে।