৬২০৮

পরিচ্ছেদঃ ১৫. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) এর ফযীলত

৬২০৮-(৯৯/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে রিওয়ায়াত করেন। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সকল স্ত্রীগণ একত্রিত হলেন। তাদের মাঝে একজনও বাকী রইলেন না। তখন ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) হেঁটে আসলেন। তার হাঁটার ধরণ যেন একেবারে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চলার ন্যায়। তিনি বললেন, হে কন্যা! তোমাকে স্বাগতম। অতঃপর তিনি তাকে তার ডান পাশে অথবা বাম পাশে বসালেন এবং চুপিসারে কিছু কথা বললেন। এতে ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। এরপর তিনি তাকে চুপিসারে আবার কিছু বললেন, এতে তিনি হাসলেন। আমি তাকে বললাম, কিসে তোমাকে কাঁদাল? তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গোপন কথা প্রকাশ করতে পারি না। আমি বললাম, আমি আজকের ন্যায় কোন আনন্দকে বেদনার এতো কাছাকাছি দেখিনি। আমি বললাম, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বাদ দিয়ে তোমাকে তার কথা বলার জন্য বিশেষত্ব দান করলেন। আর তুমি কাঁদছ? পুনরায় তাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কী বলেছেন, তা প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গোপন কথা ফাস করতে পারি না।

পরিশেষে যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাত হলেন তখন আমি তাকে প্রশ্ন করলাম। তখন তিনি বললেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে বলেছিলেন, “জিবরীল (আঃ) প্রতি বছর একবার তার সাথে কুরআন তিলাওয়াত করতেন। আর এ বছর তিনি তাঁর সাথে দু’বার পুনরাবৃত্তি করেছেন। এতে আমার ধারণা হয় নিশ্চয় মৃত্যু আমার সন্নিকটে। আর তুমিই আমার পরিবার পরিজনদের মধ্যে সর্বপ্রথম আমার সাথে মিলিত হবে। তোমার জন্য আমি কতই না উত্তম অগ্রগামী। তখন আমি কেঁদেছি। তারপর তিনি আমাকে চুপিসারে বললেন, তুমি মুমিনা নারীদের প্রধান কিংবা এ উম্মাতের নারীদের নেত্রী হবে তা কি পছন্দ করো না? এ কথা শুনে আমি হেসেছি।” (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬০৯২, ইসলামিক সেন্টার ৬১৩৩)

باب فَضَائِلِ فَاطِمَةَ بِنْتِ النَّبِيِّ عَلَيْهَا الصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ زَكَرِيَّاءَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ اجْتَمَعَ نِسَاءُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُغَادِرْ مِنْهُنَّ امْرَأَةً فَجَاءَتْ فَاطِمَةُ تَمْشِي كَأَنَّ مِشْيَتَهَا مِشْيَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ مَرْحَبًا بِابْنَتِي ‏"‏ ‏.‏ فَأَجْلَسَهَا عَنْ يَمِينِهِ أَوْ عَنْ شِمَالِهِ ثُمَّ إِنَّهُ أَسَرَّ إِلَيْهَا حَدِيثًا فَبَكَتْ فَاطِمَةُ ثُمَّ إِنَّهُ سَارَّهَا فَضَحِكَتْ أَيْضًا فَقُلْتُ لَهَا مَا يُبْكِيكِ فَقَالَتْ مَا كُنْتُ لأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقُلْتُ مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ فَرَحًا أَقْرَبَ مِنْ حُزْنٍ ‏.‏ فَقُلْتُ لَهَا حِينَ بَكَتْ أَخَصَّكِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِحَدِيثِهِ دُونَنَا ثُمَّ تَبْكِينَ وَسَأَلْتُهَا عَمَّا قَالَ فَقَالَتْ مَا كُنْتُ لأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ حَتَّى إِذَا قُبِضَ سَأَلْتُهَا فَقَالَتْ إِنَّهُ كَانَ حَدَّثَنِي ‏"‏ أَنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يُعَارِضُهُ بِالْقُرْآنِ كُلَّ عَامٍ مَرَّةً وَإِنَّهُ عَارَضَهُ بِهِ فِي الْعَامِ مَرَّتَيْنِ وَلاَ أُرَانِي إِلاَّ قَدْ حَضَرَ أَجَلِي وَإِنَّكِ أَوَّلُ أَهْلِي لُحُوقًا بِي وَنِعْمَ السَّلَفُ أَنَا لَكِ ‏"‏ ‏.‏ فَبَكَيْتُ لِذَلِكِ ثُمَّ إِنَّهُ سَارَّنِي فَقَالَ ‏"‏ أَلاَ تَرْضَيْنَ أَنْ تَكُونِي سَيِّدَةَ نِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ أَوْ سَيِّدَةَ نِسَاءِ هَذِهِ الأُمَّةِ ‏"‏ ‏ فَضَحِكْتُ لِذَلِكِ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، وحدثنا عبد الله بن نمير، عن زكرياء، ح وحدثنا ابن نمير، حدثنا ابي، حدثنا زكرياء، عن فراس، عن عامر، عن مسروق، عن عاىشة، قالت اجتمع نساء النبي صلى الله عليه وسلم فلم يغادر منهن امراة فجاءت فاطمة تمشي كان مشيتها مشية رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ‏"‏ مرحبا بابنتي ‏"‏ ‏.‏ فاجلسها عن يمينه او عن شماله ثم انه اسر اليها حديثا فبكت فاطمة ثم انه سارها فضحكت ايضا فقلت لها ما يبكيك فقالت ما كنت لافشي سر رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فقلت ما رايت كاليوم فرحا اقرب من حزن ‏.‏ فقلت لها حين بكت اخصك رسول الله صلى الله عليه وسلم بحديثه دوننا ثم تبكين وسالتها عما قال فقالت ما كنت لافشي سر رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ حتى اذا قبض سالتها فقالت انه كان حدثني ‏"‏ ان جبريل كان يعارضه بالقران كل عام مرة وانه عارضه به في العام مرتين ولا اراني الا قد حضر اجلي وانك اول اهلي لحوقا بي ونعم السلف انا لك ‏"‏ ‏.‏ فبكيت لذلك ثم انه سارني فقال ‏"‏ الا ترضين ان تكوني سيدة نساء المومنين او سيدة نساء هذه الامة ‏"‏ ‏ فضحكت لذلك ‏.‏


`A'isha reported that all the wives of Allah's Apostle (ﷺ) had gathered (in her apartment) during the days of his (Prophet's) last illness and no woman was left behind that Fatima, who walked after the style of Allah's Messenger (ﷺ), came there. He welcomed her by saying:
You are welcome, my daughter, and made her sit on his right side or on his left side, and then talked something secretly to her and Fatima wept. Then he talked something secretly to her and she laughed. I said to her: What makes you weep? She said: I am not going to divulge the secret of Allah's Messenger (ﷺ). I (`A'isha) said: I have not seen (anything happening) like today, the happiness being more close to grief (as I see today) when she wept. I said to her: Has Allah's Messenger (ﷺ) singled you out for saying something leaving us aside? She then wept and I asked her what he said, and she said: I am not going to divulge the secrets of Allah's Messenger (ﷺ). And when he died I again asked her and she said that he (the Holy Prophet) told her: Gabriel used to recite the Qur'an to me once a year and for this year it was twice and so I perceived that my death had drawn near, and that I (Fatima) would be the first amongst the members of his family who would meet him (in the Hereafter). He shall be my good forerunner and it made me weep. He again talked to me secretly (saying): Aren't you pleased that you should be the sovereign amongst the believing women or the head of women of this Ummah? And this made me laugh.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪৫। সাহাবা (রাযিঃ) গণের ফজিলত [মর্যাদা] (كتاب فضائل الصحابة رضى الله تعالى عنهم)