৬২০৭

পরিচ্ছেদঃ ১৫. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) এর ফযীলত

৬২০৭-(৯৮/...) আবূ কামিল জাহদারী ফুযায়ল ইবনু হুসায়ন (রহঃ) ..... ’আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে রিওয়ায়াত করেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীরা সবাই তার নিকট ছিলেন, তাদের মধ্যে কেউ বাদ ছিলেন না। এমন সময় ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) আসলেন। তার চলার ভঙ্গি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চলার ধরণ থেকে একটুও আলাদা ছিল না। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাকে দেখলেন তখন তিনি এ বলে খোশ-আমদেদ জানালেন, মারহাবা, হে আমার আদরের মেয়ে! তারপর তাকে তার ডানদিকে অথবা বামদিকে বসালেন এবং তার সঙ্গে চুপিসারে কিছু বললেন। এতে তিনি খুব কান্নাকাটি করলেন। যখন তিনি তার অস্থিরতা দেখলেন, তিনি আবার তার সাথে চুপেচুপে কিছু বললেন, তখন তিনি হেসে দিলেন। আমি তাকে বললাম, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সহধর্মিণীগণের উপস্থিতিতেই তোমার সাথে বিশেষভাবে কোন গোপন কথা বলেছেন। আবার তুমি কাঁদছ? তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে গেলেন। আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার নিকট কি বলেছেন? তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গোপন কথা প্রচার করবো না।

আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তিকাল হয়ে গেল তখন আমি তার উপর আমার অধিকারের কসম দিয়ে বললাম, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে কী বলেছেন, আমাকে অবশ্যই বলতে হবে। তিনি বললেন, আচ্ছা, এখন তবে হ্যাঁ। প্রথমবার তিনি আমাকে গোপনে বললেন, জিবরীল (আঃ) প্রতি বছর একবার কি দু’বার আমাকে কুরআন তিলাওয়াত করান। এ বছর তিনি দু’বার পুনরাবৃত্তি করালেন, আমার ধারণা হয় আমার সময় সন্নিকটে এসে গেছে। তুমি আল্লাহকে ভয় করো এবং ধৈর্যধারণ করো। কারণ, আমি তোমার জন্য কত উত্তম পূর্বসুরী। তখন আমি কাঁদলাম, যা আপনি দেখেছেন। তারপর আমার অস্থিরতা দেখে তিনি দ্বিতীয়বার চুপিসারে বললেন, হে ফাতিমাহ! মু’মিন রমণীদের প্রধান ও এ উম্মাতের সকল মহিলাদের নেত্রী হওয়া কি তুমি অপছন্দ করো? ফাতিমাহ (রাযিঃ) বললেন, তখন আমি হাসলাম, আমার যে হাসি আপনি তা প্রত্যক্ষ করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬০৯১, ইসলামিক সেন্টার ৬১৩২)

باب فَضَائِلِ فَاطِمَةَ بِنْتِ النَّبِيِّ عَلَيْهَا الصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنَّ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عِنْدَهُ لَمْ يُغَادِرْ مِنْهُنَّ وَاحِدَةً فَأَقْبَلَتْ فَاطِمَةُ تَمْشِي مَا تُخْطِئُ مِشْيَتُهَا مِنْ مِشْيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا فَلَمَّا رَآهَا رَحَّبَ بِهَا فَقَالَ ‏"‏ مَرْحَبًا بِابْنَتِي ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ أَجْلَسَهَا عَنْ يَمِينِهِ أَوْ عَنْ شِمَالِهِ ثُمَّ سَارَّهَا فَبَكَتْ بُكَاءً شَدِيدًا فَلَمَّا رَأَى جَزَعَهَا سَارَّهَا الثَّانِيَةَ فَضَحِكَتْ ‏.‏ فَقُلْتُ لَهَا خَصَّكِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَيْنِ نِسَائِهِ بِالسِّرَارِ ثُمَّ أَنْتِ تَبْكِينَ فَلَمَّا قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلْتُهَا مَا قَالَ لَكِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ مَا كُنْتُ أُفْشِي عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سِرَّهُ ‏.‏ قَالَتْ فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ عَزَمْتُ عَلَيْكِ بِمَا لِي عَلَيْكِ مِنَ الْحَقِّ لَمَا حَدَّثْتِنِي مَا قَالَ لَكِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ أَمَّا الآنَ فَنَعَمْ أَمَّا حِينَ سَارَّنِي فِي الْمَرَّةِ الأُولَى فَأَخْبَرَنِي ‏"‏ أَنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يُعَارِضُهُ الْقُرْآنَ فِي كُلِّ سَنَةٍ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ وَإِنَّهُ عَارَضَهُ الآنَ مَرَّتَيْنِ وَإِنِّي لاَ أُرَى الأَجَلَ إِلاَّ قَدِ اقْتَرَبَ فَاتَّقِي اللَّهَ وَاصْبِرِي فَإِنَّهُ نِعْمَ السَّلَفُ أَنَا لَكِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فَبَكَيْتُ بُكَائِي الَّذِي رَأَيْتِ فَلَمَّا رَأَى جَزَعِي سَارَّنِي الثَّانِيَةَ فَقَالَ ‏"‏ يَا فَاطِمَةُ أَمَا تَرْضَىْ أَنْ تَكُونِي سَيِّدَةَ نِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ أَوْ سَيِّدَةَ نِسَاءِ هَذِهِ الأُمَّةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فَضَحِكْتُ ضَحِكِي الَّذِي رَأَيْتِ ‏.‏

حدثنا ابو كامل الجحدري، فضيل بن حسين حدثنا ابو عوانة، عن فراس، عن عامر، عن مسروق، عن عاىشة، قالت كن ازواج النبي صلى الله عليه وسلم عنده لم يغادر منهن واحدة فاقبلت فاطمة تمشي ما تخطى مشيتها من مشية رسول الله صلى الله عليه وسلم شيىا فلما راها رحب بها فقال ‏"‏ مرحبا بابنتي ‏"‏ ‏.‏ ثم اجلسها عن يمينه او عن شماله ثم سارها فبكت بكاء شديدا فلما راى جزعها سارها الثانية فضحكت ‏.‏ فقلت لها خصك رسول الله صلى الله عليه وسلم من بين نساىه بالسرار ثم انت تبكين فلما قام رسول الله صلى الله عليه وسلم سالتها ما قال لك رسول الله صلى الله عليه وسلم قالت ما كنت افشي على رسول الله صلى الله عليه وسلم سره ‏.‏ قالت فلما توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم قلت عزمت عليك بما لي عليك من الحق لما حدثتني ما قال لك رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت اما الان فنعم اما حين سارني في المرة الاولى فاخبرني ‏"‏ ان جبريل كان يعارضه القران في كل سنة مرة او مرتين وانه عارضه الان مرتين واني لا ارى الاجل الا قد اقترب فاتقي الله واصبري فانه نعم السلف انا لك ‏"‏ ‏.‏ قالت فبكيت بكاىي الذي رايت فلما راى جزعي سارني الثانية فقال ‏"‏ يا فاطمة اما ترضى ان تكوني سيدة نساء المومنين او سيدة نساء هذه الامة ‏"‏ ‏.‏ قالت فضحكت ضحكي الذي رايت ‏.‏


'A'isha reported:
We, the wives of Allah's Apostle (ﷺ), were with him (during his last illness) and none was absent therefrom that Fatima, who walked after the style of Allah's Messenger (ﷺ), came there, and when he saw her he welcomed her saying: You are welcome, my daughter. He their made her sit on his right side or on his left side. Then he said something secretly to her and she wept bitterly and when he found her (plunged) in grief he said to her something secretly for the second time and she laughed. I ('A'isha) said to her: Allah's Messenger has singled you amongst the women (of the family) for talking (to you something secretly) and you wept. When Allah's Messenger (ﷺ) recovered from illness, I said to her. What did Allah's Messenger (ﷺ) say to you? Thereupon she said: I am not going to disclose the secret of Allah's Messenger (ﷺ). When Allah's Messenger (ﷺ) died, I said to her: I adjure you by the right that I have upon you that you should narrate to me what Allah's Messenger (ﷺ) said to you. She said: Yes, now I can do that (so listen to it). When he talked to me secretly for the first time he informed me that Gabirel was in the habit of reciting the Qur'an along with him once or twice every year, but this year it had been twice and so he perceived his death quite near, so fear Allah and be patient (and he told me) that he would be a befitting forerunner for me and so I wept as you saw me. And when he saw me in grief he talked to me secretly for the second time and said: Fatima, are you not pleased that you should be at the head of the believing women or the head of this Umma? I laughed and it was that laughter which you saw.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৪৫। সাহাবা (রাযিঃ) গণের ফজিলত [মর্যাদা] (كتاب فضائل الصحابة رضى الله تعالى عنهم)