২০০২

পরিচ্ছেদঃ ৬. সূর্যগ্রহণের সালাতের জন্য আহ্বান করা এবং “আস্‌সলা-তু জা-মিজহ্‌” (সালাতের জামা'আত) বলা প্রসঙ্গে

২০০২-(২৪/৯১২) আবূ ’আমির আল আশ’আরী আবদুল্লাহ ইবনু বাররাদ ও মুহাম্মাদ ইবনুল আলী (রহঃ) ...... আবূ মূসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় একবার সূর্যগ্রহণ লাগল। তিনি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে দাঁড়ালেন। (রাবীর ধারণা) তিনি কিয়ামত হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন। অবশেষে তিনি মসজিদে এসে সালাতে দাঁড়ালেন এবং সবচেয়ে লম্বা কিয়াম, লম্বা রুকু, লম্বা সিজদা সহকারে সালাত আদায় করতে লাগলেন। আমি কখনও কোন সালাত তাকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে) এত লম্বা করতে দেখিনি। সালাত শেষ করে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এসব নিদর্শনাবলী যা যা আল্লাহ জগতে পাঠান। কোন ব্যক্তির মৃত্যু বা জীবনের কারণেই অবশ্যই তা হয় না। বরং আল্লাহ এগুলো পাঠিয়ে বান্দাদের সতর্ক করেন। অতএব তোমরা যখন এমন কিছু দেখতে পাও, তখন তোমরা ভীত হয়ে আল্লাহর যিকর, দু’আ ও ইস্তিগফারে মশগুল হও। ইবনু আলা এর বর্ণনায় রয়েছেঃ সূর্যগ্রহণের সময় এবং তিনি বলেন, বান্দাদের সতর্ক করার জন্য। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৮৬, ইসলামীক সেন্টার ১৯৯৩)

باب ذِكْرِ النِّدَاءِ بِصَلاَةِ الْكُسُوفِ ‏"‏ الصَّلاَةَ جَامِعَةً ‏"‏ ‏

حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الأَشْعَرِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي زَمَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ فَزِعًا يَخْشَى أَنْ تَكُونَ السَّاعَةُ حَتَّى أَتَى الْمَسْجِدَ فَقَامَ يُصَلِّي بِأَطْوَلِ قِيَامٍ وَرُكُوعٍ وَسُجُودٍ مَا رَأَيْتُهُ يَفْعَلُهُ فِي صَلاَةٍ قَطُّ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ هَذِهِ الآيَاتِ الَّتِي يُرْسِلُ اللَّهُ لاَ تَكُونُ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّ اللَّهَ يُرْسِلُهَا يُخَوِّفُ بِهَا عِبَادَهُ فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْهَا شَيْئًا فَافْزَعُوا إِلَى ذِكْرِهِ وَدُعَائِهِ وَاسْتِغْفَارِهِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ الْعَلاَءِ كَسَفَتِ الشَّمْسُ وَقَالَ ‏"‏ يُخَوِّفُ عِبَادَهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو عامر الاشعري عبد الله بن براد، ومحمد بن العلاء، قالا حدثنا ابو اسامة عن بريد، عن ابي بردة، عن ابي موسى، قال خسفت الشمس في زمن النبي صلى الله عليه وسلم فقام فزعا يخشى ان تكون الساعة حتى اتى المسجد فقام يصلي باطول قيام وركوع وسجود ما رايته يفعله في صلاة قط ثم قال ‏"‏ ان هذه الايات التي يرسل الله لا تكون لموت احد ولا لحياته ولكن الله يرسلها يخوف بها عباده فاذا رايتم منها شيىا فافزعوا الى ذكره ودعاىه واستغفاره ‏"‏ ‏.‏ وفي رواية ابن العلاء كسفت الشمس وقال ‏"‏ يخوف عباده ‏"‏ ‏.‏


Abu Musa reported:
The sun eclipsed during the time of the Messenger of Allah (ﷺ). He stood in great anxiety fearing that it might be the Doomsday, till he came to the mosque. He stood up to pray with prolonged qiyam, ruku', and prostration which I never saw him doing in prayer; and then he said: These are the signs which Allah sends, not on account of the death of anyone or life of any one, but Allah sends them to frighten thereby His servants. So when you see any such thing, hasten to remember Him, supplicate Him and beg pardon from Him, and in the narration transmitted by Ibn 'Ala the words are:" The sun eclipsed"."" He frightens His servants."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১১। সূর্যগ্রহণের বর্ণনা (كتاب الكسوف)