পরিচ্ছেদঃ ১. সূর্যগ্রহণের সালাত
১৯৭৪-(১/৯০১) কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ্ (রহঃ) [শব্দাবলী তার] ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে একবার সূর্য গ্রহণ হ’ল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতে লাগলেন। সালাতের মধ্যে তিনি বেশ দীর্ঘ এবং বেশ দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলেন। অতঃপর রুকূ করলেন এবং তা খুব দীর্ঘায়িত করলেন। অতঃপর আবার রুকূ করলেন এবং রুকূ’ বেশ দীর্ঘায়িত করলেন, যা প্রথম রুকূ’ থেকে কিছু কম, অতঃপর সাজদায় গেলেন। সিজদা থেকে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় কিয়াম (দণ্ডায়মান হওয়া) করলেন। যা প্রথমবারের কিয়াম অপেক্ষা কিছুটা কম ছিল। অতঃপর রুকূ’তে গেলেন এবং এতে দীর্ঘ সময় কাটালেন। অবশ্য তা প্রথম রুকূ’ অপেক্ষা কম ছিল। অতঃপর দীর্ঘ রুকূ’ করলেন, অবশ্য তা প্রথম রুকূ’র চেয়ে কম ছিল। অতঃপর সিজদা করলেন। তারপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করলেন। এতক্ষণে সূর্য পরিষ্কার হয়ে গেল।
তিনি লোকদের সামনে খুতবাহ দিলেন। খুতবাহ প্রসঙ্গে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহর দুটি নিদর্শন। আর চন্দ্র গ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ কারো জন্ম ও মৃত্যুর কারণে সংঘটিত হয় না। অতএব তোমরা যখন চন্দ্র গ্রহণ ও সূর্য গ্রহণ দেখতে পাও, তখন তাকবীর পড় আর আল্লাহর কাছে দু’আ কর এবং সালাত আদায় কর ও সাদাকা কর। হে উম্মাতে মুহাম্মাদ! মনে রেখ, এমন কেউ নেই যে মহান আল্লাহ থেকে অধিক আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন, যখন তার দাস বা দাসী ব্যভিচারে লিপ্ত হয় (তখন তিনি শাস্তি না দিয়ে থাকেন না)। হে উম্মাতী মুহাম্মাদী! আল্লাহর কসম, যদি তোমরা জানতে যা আমি জানি, তবে তোমরা অবশ্যই অধিক পরিমাণে কান্না-কাটি করতে এবং খুব কম হাসতে। আমি কি আল্লাহর বাণী পৌছিয়ে দিয়েছি?
মালিকের রিওয়ায়াতে এ বাক্যটি এভাবে উদ্ধৃত হয়েছে- সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর বিশেষ কুদরাতের নিদর্শনাবলী। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৫৯, ইসলামীক সেন্টার, ১৯৬৬)
باب صَلاَةِ الْكُسُوفِ
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، ح. وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فَأَطَالَ الْقِيَامَ جِدًّا ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ جِدًّا ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ جِدًّا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ جِدًّا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ قَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَإِنَّهُمَا لاَ يَنْخَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَكَبِّرُوا وَادْعُوا اللَّهَ وَصَلُّوا وَتَصَدَّقُوا يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ إِنْ مِنْ أَحَدٍ أَغْيَرَ مِنَ اللَّهِ أَنْ يَزْنِيَ عَبْدُهُ أَوْ تَزْنِيَ أَمَتُهُ يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ وَاللَّهِ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا وَلَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ " . وَفِي رِوَايَةِ مَالِكٍ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ " .
'A'isha reported that there was a solar eclipse in the time of the Messenger of Allah (ﷺ). He stood up to pray and prolonged his stand very much. He then bowed and prolonged very much his bowing. He then raised his head and prolonged his stand much, but it was less than the (duration) of the first stand. He then bowed and prolonged bowing much, but it was less than the duration of his first bowing. He then prostrated and then stood up and prolonged the stand, but it was less than the first stand. He then bowed and prolonged his bowing, but it was less than the first bowing. He then lifted his head and then stood up and prolonged his stand, but it was less than the first stand. He then bowed and prolonged bowing and it was less than the first bowing. He then prostrated himself; then he turned about, and the sun had become bright, and he addressed the people. He praised Allah and landed Him and said:
The sun and the moon are two signs of Allah; they are not eclipsed on account of anyones death or on account of anyone's birth. So when you see them, glorify and supplicate Allah, observe prayer, give alms. O Ummah of Muhammad, none is more indignant than Allah When His servant or maid commits fornication. O people of Muhammad, by Allah, if you knew what I know, you would weep much and laugh little.
পরিচ্ছেদঃ ১. সূর্যগ্রহণের সালাত
১৯৭৫-(২/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... হিশাম ইবনু উরওয়াহ্ (রহঃ) থেকে একই সানাদে বর্ণিত। তবে হিশাম এ কথাটুকু বাড়িয়েছেঃ "অতঃপর সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্গত" এবং এ কথাটুকুও বাড়িয়েছেনঃ “অতঃপর তিনি উভয় হাত উঠিয়ে বললেন, হে আল্লাহ! আমি কি তোমার বাণী পৌছিয়ে দিয়েছি?" (ইসলামী ফাউন্ডেশন, ১৯৬০, ইসলামীক সেন্টার ১৯৬৭)
باب صَلاَةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ " . وَزَادَ أَيْضًا ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ فَقَالَ " اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ " .
This hadith has been narrated by Hisham b. 'Urwa with the same chain of transmitters but with this addition:
" Verily the sun and the moon are among the signs of Allah." And similarly this addition was made:" He then lifted his hands and said: O Allah! have I not conveyed it?"
পরিচ্ছেদঃ ১. সূর্যগ্রহণের সালাত
১৯৭৬-(৩/...) হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহইয়া, আবূত তহির ও মুহাম্মাদ ইবনু সালামাহ আল মুরাদী (রহঃ) ..... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় সূর্য গ্রহণ লেগেছিল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে চলে গেলেন এবং দাঁড়িয়ে তাকবীর উচ্চারণ করলেন। আর লোকজন তার পিছনে সারিবদ্ধ ছিল। তারপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ কিরআত পাঠ করলেন। অতঃপর তাকবীর বলে রুকূতে গেলেন এবং লম্বা রুকূ করলেন, অতঃপর মাথা উঠিয়ে "সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ, রব্বানা- ওয়ালাকাল হামদ" বললেন। এরপর দাঁড়িয়ে লম্বা কিরআত পাঠ করলেন যা প্রথম কিরআত অপেক্ষা ছোট ছিল। এরপর তাকবীর বলে রুকূতে গেলেন এবং লম্বা রুকূ’ করলেন যা প্রথম রুকূ’ অপেক্ষা ছোট ছিল। অতঃপর তিনি "সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ, রব্বানা- ওয়ালাকাল হামদ" বলে সাজদায় গেলেন। আবূত তহির এর বর্ণনায় অবশ্য "সিজদা"র কথাটি উল্লেখ নেই। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বিতীয় রাকাআতেও অনুরূপ করলেন। এভাবে তিনি চারটি রুকূ’ ও চারটি সিজদা করলেন। (দু রাকাআত সালাত আদায় করলেন) তিনি সালাত শেষ করার আগেই সূর্য পরিষ্কার হয়ে গেল।
অতঃপর বললেন, চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারো জন্ম মৃত্যুর কারণে চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ হয় না। অতএব, যখন তোমরা এ অবস্থা দেখতে পাও দ্রুত সালাতে ধাবিত হও। এরূপও বলেছেনঃ "এবং সালাত আদায় করতে থাক যে পর্যন্ত তোমাদের থেকে এ অবস্থার দূরীভূত না হয়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি আমার এ স্থানে দাঁড়িয়ে তোমাদের নিকট ওয়াদাকৃত প্রতিটি বস্তু দেখতে পেলাম। এমনকি আমি নিজেকে যেন দেখতে পেলাম জান্নাতের এক ছড়া ফল নিতে যাচ্ছিলাম। এমনকি তোমরা আমাকে সামনে অগ্রসর হতে দেখেছ। রাবী মুরাদী (রহঃ) বলেছেন আমি অবশ্যই জাহান্নামকে (এরূপ ভয়াবহ অবস্থায়) দেখলাম যে, এর একাংশ অপর অংশকে খেয়ে ফেলেছে, এমনকি তোমরা আমাকে দেখলে আমি পিছনে সরে যাচ্ছি। আমি জাহান্নামে (আমর) ইবনু লুহাইকে দেখতে পেলাম। সে সর্বপ্রথম প্রতিমার উদ্দেশে পশু ছেড়েছিল। আবূত তহির এর হাদীস তার এ কথা পর্যন্ত শেষ হয়েছে- “ফাফযা-উ লিসসলা-ত" তিনি পরবর্তী অংশ উল্লেখ করেননি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৬১, ইসলামীক সেন্টার ১৯৬৮)
باب صَلاَةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَسْجِدِ فَقَامَ وَكَبَّرَ وَصَفَّ النَّاسُ وَرَاءَهُ فَاقْتَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِرَاءَةً طَوِيلَةً ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ قَامَ فَاقْتَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً هُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ سَجَدَ - وَلَمْ يَذْكُرْ أَبُو الطَّاهِرِ ثُمَّ سَجَدَ - ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى اسْتَكْمَلَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ ثُمَّ قَامَ فَخَطَبَ النَّاسَ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهَا فَافْزَعُوا لِلصَّلاَةِ " . وَقَالَ أَيْضًا " فَصَلُّوا حَتَّى يُفَرِّجَ اللَّهُ عَنْكُمْ " . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " رَأَيْتُ فِي مَقَامِي هَذَا كُلَّ شَىْءٍ وُعِدْتُمْ حَتَّى لَقَدْ رَأَيْتُنِي أُرِيدُ أَنْ آخُذَ قِطْفًا مِنَ الْجَنَّةِ حِينَ رَأَيْتُمُونِي جَعَلْتُ أُقَدِّمُ - وَقَالَ الْمُرَادِيُّ أَتَقَدَّمُ - وَلَقَدْ رَأَيْتُ جَهَنَّمَ يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَأَخَّرْتُ وَرَأَيْتُ فِيهَا ابْنَ لُحَىٍّ وَهُوَ الَّذِي سَيَّبَ السَّوَائِبَ " . وَانْتَهَى حَدِيثُ أَبِي الطَّاهِرِ عِنْدَ قَوْلِهِ " فَافْزَعُوا لِلصَّلاَةِ " . وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ .
'A'isha, the wife of the Messenger of Allah (ﷺ), reported There was an eclipse of the sun during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ). So, the Messenger of Allah (may peace he upon him) went to the mosque and stood up and glorified Allah, and the people formed themselves in rows behind him. The Messenger of Allah (ﷺ) made a long recital (of the Qur'an) and then pronounced takbir and then observed a long ruku'. He then raised his head and said:
Allah listened to him who praised Him: our Lord, praise is due to Thee. He then again stood up and made a long recital, which was less than the first recital. He pronounced takbir and observed a long ruku', and it was less than the first one. He again said: Allah listened to him who praised Him; our Lord, praise is due to Thee. (Abu Tahir, one of the narrators) made no mention of:" He then prostrated himself." He did like this in the second rak'ah, till he completed four rak'ahs and four prostrations and the sun became bright before he deported. He then stood up and addressed people, after lauding Allah as He deserved, and then said: The sun and the moon are two signs among the signs of Allah These do not eclipse either on the death of anyone or on his birth. So when you see them, hasten to prayer. He also said this: Observe prayer till Allah dispels the anxiety (of this extraordinary phenomenon) from you. The Messenger of Allah (ﷺ) said: I saw in my place everything which you have been promised. I even saw myself desiring to pluck a bunch (of grapes) from Paradise (and it was at the time) when you saw me moving forward. And I saw Hell and some of its parts crushing the others, when you saw me moving back; and I saw in it Ibn Luhayy and he was the person who made the she-camels loiter about. In the hadith transmitted by Abu Tahir the words are:" He hastened to prayer," and he made no mention of what follows.
পরিচ্ছেদঃ ১. সূর্যগ্রহণের সালাত
১৯৭৭-(৪/...) মুহাম্মাদ ইবনু মিহরান আর রায়ী (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় একবার সূর্য গ্রহণ হয়েছিল। তিনি জনৈক ব্যক্তিকে এ ঘোষণা দেয়ার উদ্দেশে পাঠিয়ে দিলেনঃ الصَّلاَةَ جَامِعَةً "জামা’আতে সালাত" অনুষ্ঠিত হচ্ছে। (ঘোষণা শুনে) সবাই একত্রিত হলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনে অগ্রসর হয়ে তাকবীর উচ্চারণ করলেন এবং দু’ রাকাআত সালাত আদায় করলেন। দু’ রাকাআতে চারটি রুকূ’ ও চারটি সিজদা করলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৬২, ইসলামীক সেন্টার ১৯৬৯)
باب صَلاَةِ الْكُسُوفِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ قَالَ الأَوْزَاعِيُّ أَبُو عَمْرٍو وَغَيْرُهُ سَمِعْتُ ابْنَ شِهَابٍ الزُّهْرِيَّ، يُخْبِرُ عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ الشَّمْسَ، خَسَفَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَعَثَ مُنَادِيًا " الصَّلاَةَ جَامِعَةً " . فَاجْتَمَعُوا وَتَقَدَّمَ فَكَبَّرَ . وَصَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ .
'A'isha reported that there was a solar eclipse during the lifetime of the Messenger of Allah (way peace be upon him) and he sent the announcer (to summon them) for congregational prayer. The people gathered together and he pronounced takbir and he observed four rak'ahs, in the form of two rak'ahs (i. e. he observed two qiyams and two ruku's in one rak'ah) and four prostrations.
পরিচ্ছেদঃ ১. সূর্যগ্রহণের সালাত
১৯৭৮-(৫/...) মুহাম্মদ ইবনু মিহরান (রহঃ) ..... ’আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চন্দ্রগ্রহণের সালাতেকিরআত উচ্চস্বরে পড়েছেন এবং তিনি দু’ রাকাআত সালাতে চারটি রুকু এবং চারটি সেজদা দিয়েছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৬৩, ইসলামীক সেন্টার ১৯৭০)
باب صَلاَةِ الْكُسُوفِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ نَمِرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ، يُخْبِرُ عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَهَرَ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ بِقِرَاءَتِهِ فَصَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ
'A'isha reported that the Messenger of Allah (ﷺ) recited loudly in the eclipse prayer, and he observed four rak'ahs in the form of two rak'ahs and four prostrations.
পরিচ্ছেদঃ ১. সূর্যগ্রহণের সালাত
১৯৭৯-(.../৯০২) যুহরী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার রুকূ এবং চার সাজদাতে দু’ রাকাআত সালাত আদায় করেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৬৩, ইসলামীক সেন্টার ১৯৭০)
باب صَلاَةِ الْكُسُوفِ
قَالَ الزُّهْرِيُّ وَأَخْبَرَنِي كَثِيرُ بْنُ عَبَّاسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ
Zuhri said:
Kathir b. 'Abbas narrated on the authority of Ibn 'Abbas that the Messenger of Allah (ﷺ) observed four rak'ahs and four prostrations in two rak'ahs.
পরিচ্ছেদঃ ১. সূর্যগ্রহণের সালাত
১৯৮০-(.../...) হাজিব ইবনু ওয়ালীদ (রহঃ) ..... কাসীর ইবনু আব্বাস (রহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) সূর্যগ্রহণের দিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত সম্পর্কে ঠিক ঐরূপ বর্ণনা করেছেন যেরূপ উরওয়াহ আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৬৪, ইসলামীক সেন্টার, ১৯৭১)
باب صَلاَةِ الْكُسُوفِ
وَحَدَّثَنَا حَاجِبُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ كَانَ كَثِيرُ بْنُ عَبَّاسٍ يُحَدِّثُ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، كَانَ يُحَدِّثُ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ بِمِثْلِ مَا حَدَّثَ عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ .
Zuhri said:
Kathir b. Abbas used to narrate that Ibn 'Abbas used to relate about the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ) in regard to the eclipse of the sun like that what was narrated by 'Urwa on the authority of 'A'isha.
পরিচ্ছেদঃ ২. সূর্যগ্রহণের সালাতে প্রতি রাকাআতে তিনটি রুকু’র বর্ণনা
১৯৮১-(৬/৯০১) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ এর সময় সূর্যগ্রহণ লাগলে তিনি সালাতের উদ্দেশে দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘ কিয়াম করলেন। অতঃপর রুকূ’ করেন। রুকু’র পর আবার দাঁড়ালেন আবার রুকূ’ করলেন। আবার দাঁড়ালেন, আবার রুকূ করলেন। এভাবে দু’ রাকাআতে তিন রুকূ’ ও চার সাজদায় আদায় করলেন। সালাত শেষ হতে হতে সূর্যও পরিষ্কার হয়ে গেল। তিনি রুকূ’তে যাওয়ার সময় "আল্ল-হু আকবার" বলতেন, অতঃপর রুকূ’ করতেন। রুকূ’ থেকে মাথা উঠিয়ে "সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ" বলতেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং বললেনঃ চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ করো জন্ম বা মৃত্যুর কারণে লাগে না বরং এ দুটি আল্লাহর নিদর্শন, যা দ্বারা আল্লাহ তার বান্দাকে সতর্ক করেন। অতএব তোমরা যখন সূর্যগ্রহণ লাগতে দেখ, আল্লাহর যিকরে মশগুল হও যতক্ষণ তা আলোকিত হয়ে না যায়। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৬৫, ইসলামীক সেন্টার ১৯৭২)
باب ثلاث ركوعات فى كل ركعة فى صلاة الكسوف
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً، يَقُولُ سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ، يَقُولُ حَدَّثَنِي مَنْ، أُصَدِّقُ - حَسِبْتُهُ يُرِيدُ عَائِشَةَ - أَنَّ الشَّمْسَ انْكَسَفَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ قِيَامًا شَدِيدًا يَقُومُ قَائِمًا ثُمَّ يَرْكَعُ ثُمَّ يَقُومُ ثُمَّ يَرْكَعُ ثُمَّ يَقُومُ ثُمَّ يَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ فِي ثَلاَثِ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعِ سَجَدَاتٍ فَانْصَرَفَ وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ وَكَانَ إِذَا رَكَعَ قَالَ " اللَّهُ أَكْبَرُ " . ثُمَّ يَرْكَعُ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . فَقَامَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَكْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّهُمَا مِنْ آيَاتِ اللَّهِ يُخَوِّفُ اللَّهُ بِهِمَا عِبَادَهُ فَإِذَا رَأَيْتُمْ كُسُوفًا فَاذْكُرُوا اللَّهَ حَتَّى يَنْجَلِيَا " .
'Ata' reported:
I heard 'Ubaid b. 'Umair say: It has been narrated to me by one whom I regard as truthful, (the narrator says: I can well guess that he meant 'A'isha) that the sun eclipsed during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ) and he stood up (in prayer) for a rigorously long time. He then bowed and then stood up and then bowed and then stood up and then bowed, thus observing three ruku's in two rak'ahs and four prostrations. He then departed and the sun brightened. He pronounced" Allah is the Greatest" while bowing. He would then bow and say:" Allah listened to him who praised Him" while lifting up his head. He then stood up, and praised Allah and lauded Him, and then said: The sun and the moon do not eclipse on the death of anyone or on his birth. But both of them are among the signs of Allah with which Allah terrifies His servants. So when you see them under eclipse, remember Allah till they are brightened.
পরিচ্ছেদঃ ২. সূর্যগ্রহণের সালাতে প্রতি রাকাআতে তিনটি রুকু’র বর্ণনা
১৯৮২-(৭/...) আবূ গাসসান আল মিসমাঈ ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... আয়িশাহ (বাযিঃ) থেকে বণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সূর্য গ্রহণের সময়) ছয় রুকূ’ ও চার সিজদা সহকারে দু’ রাকাআত সালাত আদায় করেছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৬৬, ইসলামীক সেন্টার ১৯৭৩)
باب ثلاث ركوعات فى كل ركعة فى صلاة الكسوف
وحَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى ، قَالَا : حَدَّثَنَا مُعَاذٌ وَهُوَ ابْنُ هِشَامٍ ، حَدَّثَنِي أَبِي ، عَنْ قَتَادَةَ ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ ، عَنْ عَائِشَةَ ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " صَلَّى سِتَّ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ " .
This hadith is narrated thus on the authority of 'A'isha through another chain of transmitters:
" The Messenger of Allah (ﷺ) observed six ruku's and four prostration in (two rak'ahs)."
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূর্যগ্রহণের সালাতে কবরের শাস্তির উল্লেখ
১৯৮৩-(৮/৯০৩) আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামাহ আল কা’নবী (রহঃ) ..... ’আমরাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। এক ইয়াহুদী মহিলা আয়িশাহ (রাযিঃ) কে কিছু জিজ্ঞেস করার উদ্দেশে তার নিকট আসলো। এসে বলল, আল্লাহ আপনাকে কবর আযাব থেকে মুক্তি দিন। আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রসূল! মানুষকে কবরে কি আযাব দেয়া হবে? আমরাহ এর বর্ণনা অনুযায়ী আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, নাউযুবিল্লাহ। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন সকালবেলা সওয়ারীতে আরোহণ করলেন, তখন সূর্যগ্রহণ লাগছিল। আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, আমি কতিপয় মেয়ে লোকদের সাথে নিয়ে হুজরাগুলোর পিছন দিয়ে বের হলাম। আর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ারী থেকে নেমে যেখানে সালাত আদায় করতেন সোজা সেখানে পৌছলে তিনি সালাতে দাঁড়িয়ে গেলেন। লোকেরাও সঙ্গে সঙ্গে তার পিছনে দাড়িয়ে গেল।
আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লম্বা কিয়াম করলেন। অতঃপর রুকূ করলেন এবং রুকূ’ও লম্বা করলেন। তারপর মাথা উঠিয়ে আবার বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকলেন যা পূর্বের কিয়াম অপেক্ষা কিছু কম। অতঃপর রুকূ’তে গেলেন তবে তা প্রথম রুকু অপেক্ষা কম ছিল। তারপর মাথা উত্তোলন করলেন। এতক্ষণে সূর্য একেবারে উজ্জ্বল হয়ে গেল। তিনি বললেন, আমি দেখতে পেলাম তোমরা কবরেও দাজ্জালের ফিতনার ন্যায় ভীষণ পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। আমরাহ (রহঃ) বলেন, আমি আয়িশাহ (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, এরপর থেকে আমি শুনতে পেতাম যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহান্নামের আযাব থেকে ও কবর আযাব থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৬৭, ইসলামীক সেন্টার ১৯৭৪)
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَمْرَةَ، أَنَّ يَهُودِيَّةً، أَتَتْ عَائِشَةَ تَسْأَلُهَا فَقَالَتْ أَعَاذَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ . قَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ يُعَذَّبُ النَّاسُ فِي الْقُبُورِ قَالَتْ عَمْرَةُ فَقَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَائِذًا بِاللَّهِ ثُمَّ رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ غَدَاةٍ مَرْكَبًا فَخَسَفَتِ الشَّمْسُ . قَالَتْ عَائِشَةُ فَخَرَجْتُ فِي نِسْوَةٍ بَيْنَ ظَهْرَىِ الْحُجَرِ فِي الْمَسْجِدِ فَأَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَرْكَبِهِ حَتَّى انْتَهَى إِلَى مُصَلاَّهُ الَّذِي كَانَ يُصَلِّي فِيهِ فَقَامَ وَقَامَ النَّاسُ وَرَاءَهُ - قَالَتْ عَائِشَةُ - فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً ثُمَّ رَكَعَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ ذَلِكَ الرُّكُوعِ ثُمَّ رَفَعَ وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَقَالَ " إِنِّي قَدْ رَأَيْتُكُمْ تُفْتَنُونَ فِي الْقُبُورِ كَفِتْنَةِ الدَّجَّالِ " . قَالَتْ عَمْرَةُ فَسَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ فَكُنْتُ أَسْمَعُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ يَتَعَوَّذُ مِنْ عَذَابِ النَّارِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ .
'Amra reported that a Jewess came to 'A'isha to ask (about something) and said:
May Allah protect you from the torment of the grave! 'A'isha said: Messenger of Allah, would people be tormented in the graves? The Messenger of Allah (ﷺ) said: (May there be) protection of Allah! The Messenger of Allah (ﷺ) mounted one morning on the ride, and the sun eclipsed. 'A'isha said: I came in the company of the women in the mosque from behind the rooms. The Messenger of Allah (way peace he upon him) dismounted from his ride and came to the place of worship where he used to pray. He stood up (to pray) and the people stood behind him. 'A'isha said: He stood for a long time. He then bowed and it was a long ruku'. He then raised his head and he stood for a long time, less than the first standing. He then bowed and his ruku' was long, but it was less than that (the first) ruku'. He then raised (his head) and the sun had become bright. He (the Holy Prophet) then said: I saw you under trial in the grave like the turmoil of Dajjal. 'Amra said: I heard 'A'isha say: I listened after this to the Messenger of Allah (ﷺ) seeking refuge from the torment of Fire and the torment of the grave.
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূর্যগ্রহণের সালাতে কবরের শাস্তির উল্লেখ
১৯৮৪-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না, ইবনু আবু উমার (রহঃ) ..... ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) থেকে সুলায়মান ইবনু বিলাল-এর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৬৮, ইসলামীক সেন্টার ১৯৭৫)
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، جَمِيعًا عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِ مَعْنَى حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلاَلٍ.
This hadith has been narrated by Yahya b. Sa'id with the same chain of transmitters.
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৮৫-(৯/৯০৪) ইয়াকুব ইবনু ইবরাহীম আদ দাওরাকী (রহঃ) ..... জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় ভীষণ গরমের দিনে একবার সূর্যগ্রহণ লাগল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন। সালাতে কিয়াম এত দীর্ঘায়িত করলেন যে, লোকেরা পড়ে যেতে লাগল। অতঃপর রুকূ’ করলেন এবং তাও খুব লম্বা করলেন। তারপর মাথা উঠালেন এবং অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকলেন। আবার রুকূ’তে গেলেন এবং লম্বা রুকূ’ করলেন। তারপর মাথা উঠালেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। অতঃপর দুটি সিজদা করলেন। এরপর দাঁড়িয়ে পূর্বের ন্যায় কিয়াম ও রুকূ করলেন। এতে চারটি রুকূ’ ও চারটি সিজদা ছিল। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা সেসব স্থানে প্রবেশ করবে যে সব স্থান আমাকে দেখানো হয়েছে। আমার সামনে জান্নাত পেশ করা হয়েছিল। আমি সেখান থেকে একটি আঙ্গুর ধরতে চেয়েছিলাম। অথবা তিনি বলেছেন, একটি শাখা ধরতে চাইলে আমার হাত সে পর্যন্ত পৌছতে পারেনি এবং আমার সম্মুখে জাহান্নামও পেশ করা হয়েছিল। সেখানে বনী ইসরাঈলের একটি মহিলাকে দেখতে পেলাম। তাকে একটা বিড়ালের কারণে শাস্তি দেয়া হয়েছে। সে বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছিল, খানাপানি কিছু দেয়নি। আর ছেড়েও দেয়নি যে তা জমিনের পোকামাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করত (এভাবে অনাহারে বিড়ালটি মারা গেল)। এছাড়াও জাহান্নামে আবূ সুমামাহ আমর ইবনু মালিককেও দেখলাম, সে তার নাড়িভুড়ি টানাটানি করছে। আরবরা বলত যে, চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ কোন মহান ব্যক্তির মৃত্যুর কারণেই সংঘটিত হয়ে থাকে। অথচ এ দুটি আল্লাহর দু’টি নিদর্শন যা আল্লাহ তোমাদেরকে দেখান। অতএব যখন চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ লাগে, তোমরা সালাত আদায় কর যে পর্যন্ত তা পরিষ্কার না হয়ে যায়। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৬৯, ইসলামীক সেন্টার ১৯৭৬)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمٍ شَدِيدِ الْحَرِّ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَصْحَابِهِ فَأَطَالَ الْقِيَامَ حَتَّى جَعَلُوا يَخِرُّونَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَصَنَعَ نَحْوًا مِنْ ذَاكَ فَكَانَتْ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ ثُمَّ قَالَ " إِنَّهُ عُرِضَ عَلَىَّ كُلُّ شَىْءٍ تُولَجُونَهُ فَعُرِضَتْ عَلَىَّ الْجَنَّةُ حَتَّى لَوْ تَنَاوَلْتُ مِنْهَا قِطْفًا أَخَذْتُهُ - أَوْ قَالَ تَنَاوَلْتُ مِنْهَا قِطْفًا - فَقَصُرَتْ يَدِي عَنْهُ وَعُرِضَتْ عَلَىَّ النَّارُ فَرَأَيْتُ فِيهَا امْرَأَةً مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ تُعَذَّبُ فِي هِرَّةٍ لَهَا رَبَطَتْهَا فَلَمْ تُطْعِمْهَا وَلَمْ تَدَعْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ وَرَأَيْتُ أَبَا ثُمَامَةَ عَمْرَو بْنَ مَالِكٍ يَجُرُّ قُصْبَهُ فِي النَّارِ . وَإِنَّهُمْ كَانُوا يَقُولُونَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَخْسِفَانِ إِلاَّ لِمَوْتِ عَظِيمٍ وَإِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ يُرِيكُمُوهُمَا فَإِذَا خَسَفَا فَصَلُّوا حَتَّى تَنْجَلِيَ "
Jabir b. 'Abdullah reported:
The sun eclipsed on one extremely hot day during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ). The Messenger of Allah (ﷺ) prayed along with his Companions. He prolonged his qiyam (standing posture in prayer) till they (his Companions) began to fall down. He then observed a long ruku'. He raised his head (and stood up for long) and then observed a long ruku'. He then raised (his head and stood up) for a long time and then made two prostrations. He then stood up and did like this and thus he observed four ruku's and four prostrations (in two rak'ahs) and then said: All these things were brought to me in which you will be made to enter. Paradise was brought to me till (I was so close to it) that if I (had intended) to pluck a bunch (of grapes) out of it. I would have got it, or he (the Holy Prophet) said: I intended to get a bunch (out of that) but my hand could not reach it. Hell was also brought to me and I saw in it a woman belonging to the tribe of Israel who was tormented for a cat whom she had tied, but did not give it food nor set it free to eat the creatures of the earth; and I saw Abu Thumama 'Amr b. Malik who was dragging his intestines in Hell. They (the Arabs) used to say that the sun and the moon do not eclipse but on the death of some great person; but (in reality) both these (the sun and the moon) are among the signs of Allah which are shown to you; so when there is an eclipse, observe prayer till it (the sun or the moon) brightens.
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৮৬-(.../...) আবূ গাসসান আল মিসমাঈ (রহঃ) ..... হিশাম (রহঃ) থেকে একই সানাদে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। কেবল ব্যতিক্রম এই যে, তিনি বলেন, আমি জাহান্নামের মধ্যে হিমইয়ারিয়্যাহ গোত্রের একটি দীর্ঘাকায় কালো মেয়েলোককে দেখতে পেলাম। এতে তিনি বনী ইসরাঈলের কথা উল্লেখ করেননি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭০, ইসলামীক সেন্টার ১৯৭৭)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الصَّبَّاحِ، عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ " وَرَأَيْتُ فِي النَّارِ امْرَأَةً حِمْيَرِيَّةً سَوْدَاءَ طَوِيلَةً " . وَلَمْ يَقُلْ " مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ " .
This hadith has been narrated by Hisham with the same chain of transmitters except this" I saw a dark woman with a tail stature and loud voice," but he made no mention of" from among Bani Israel".
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৮৭-(১০/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ, মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) [তাদের দু’জনের শব্দ প্রায় কাছাকাছি] ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় অর্থাৎ যেদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রিয় পুত্র ইবরাহীম মৃত্যুবরণ করেন, সূর্যগ্রহণ লেগেছিল। এতে লোকেরা বলতে লাগল ইবরাহীমের মৃত্যুর কারণে সূর্যগ্রহণ লেগেছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে গিয়ে উপস্থিত লোকদের নিয়ে ছয় রুকূ’ ও চার সাজদায় সালাত আদায় করলেন। সূচনাতে তাকবীর উচ্চারণ করলেন পরে কিরআত পাঠ করলেন এবং কিরআত বেশ লম্বা করলেন। অতঃপর রুকূ করলেন। রুকূ’তে কিয়ামের সমপরিমাণ সময় অবস্থান করলেন। অতঃপর রুকূ’ থেকে মাথা উঠালেন এবং কিয়ামে প্রথম কিরআত অপেক্ষা কিছু ছোট কিরআত পাঠ করলেন। অতঃপর কিয়ামের সমপরিমাণ সময় রুকূ’তে কাটালেন। তারপর রুকূ’ থেকে মাথা উঠিয়ে কিরআত পাঠ করলেন যা পূর্বের কিরআত অপেক্ষা ছোট ছিল। অতঃপর রুকূ’তে গিয়ে কিয়ামের পরিমাণ সময় অতিবাহিত করলেন। এরপর রুকূ’ থেকে মাথা উঠিয়ে সাজদায় গেলেন এবং দুটি সিজদা করলেন। তারপর দাঁড়িয়ে আরো তিনটি রুকূ করলেন যাতে কোন রাকাআত ছিল না। শেষের তিন রুকূ’ এরূপ ছিল যে, প্রত্যেক রুকূ’ পূর্ববর্তী রুকূ’ অপেক্ষা ছোট এবং পরবর্তী রুকূ’ অপেক্ষা দীর্ঘ ছিল। আর প্রতিটি রুকূর সময় সাজদার সমপরিমাণ ছিল।
অতঃপর তিনি একটু পিছনে সরে আসলেন আর তার পিছনের সারিগুলোও পিছনে সরে গিয়ে আমরা পৌছে গেলাম। আবূ বকর বলেনঃ মহিলাদের কাতার পর্যন্ত পৌছে গেলেন। অতঃপর তিনি সামনে এগিয়ে গেলেন এবং তার সাথে সব লোক সামনে এগিয়ে গেল। অবশেষে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়িয়ে সালাত শেষ করলেন। এদিকে সূর্য তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে এল। সালাত শেষে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উপস্থিত লোকদেরকে সম্বোধন করে বললেন, হে লোক সকল! চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। আর এ দুটি কোন মানুষের মৃত্যুর কারণে গ্রাসপ্রাপ্ত হয় না। আবূ বকর-এর বর্ণনায় (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন), "কোন মানুষের মৃত্যুর কারণে" (এ দুটি গ্রহণ হয় না)। অতএব, তোমরা যখন এরূপ কিছু ঘটতে দেখ তখন সালাত আদায় কর যে পর্যন্ত সূর্য স্পষ্ট হয়ে না যায়। তোমাদের কাছে যে সব বিষয় সম্পর্কে ওয়াদা করা হয়েছে তার প্রতিটি আমি আমার সালাতের মধ্যে দেখতে পেয়েছি। আমার কাছে জাহান্নাম তুলে ধরা হয়েছে। আর এটা তখন যখন তোমরা আমাকে দেখেছ যে, আমি পিছনে সরে এসেছি এর লেলিহান শিখা আমাকে স্পর্শ করার ভয়ে।
অবশেষে আমি জাহান্নামের মধ্যে লৌহশলাকাধারীকে (আমর ইবনু মালিক) দেখলাম, সে জাহান্নামের মধ্যে নিজের নাড়ীভুড়ি টানছে। এ ব্যক্তি নিজ লাঠি দ্বারা হাজ যাত্রীদের মালপত্র চুরি করত। এরপর যদি ধরা পড়ে যেত তখন বলত আহ! আমার শলাকার সাথে লেগে গেছে। আর কেউ অসাবধান থাকলে তা নিয়ে যেত। এছাড়া জাহান্নামের মধ্যে ঐ মহিলাকেও দেখতে পেলাম যে, একটি বিড়ালকে বেঁধে রেখেছিল। এরপর এটাকে আহারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে জমিনের পোকামাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করতে পারত। শেষ পর্যন্ত বিড়ালটি ক্ষুধায় ছটফট করে মারা গেল। অতঃপর আমার সামনে জান্নাত তুলে ধরা হয়েছে। আর এটা তখন দৃষ্ট হয়েছে, যখন তোমরা আমাকে দেখতে পেয়েছ যে, আমি সামনে এগিয়ে গেছি এবং নিজস্থানে দাঁড়িয়েছি। আমি আমার হাত প্রসারিত করলাম এবং এর ফল তুলে নেবার ইচ্ছা করলাম যাতে তোমরা তা দেখতে পাও। অতঃপর এরূপ না করাই স্থিরকৃত হ’ল। যেসব বিষয় তোমাদের জানানো হয়েছিল তার প্রতিটি বিষয় আমি আমার এ সালাতে থাকাকালীন দেখতে পেয়েছি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭১, ইসলামীক সেন্টার ১৯৭৮)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّاسُ إِنَّمَا انْكَسَفَتْ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ . فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِالنَّاسِ سِتَّ رَكَعَاتٍ بِأَرْبَعِ سَجَدَاتٍ بَدَأَ فَكَبَّرَ ثُمَّ قَرَأَ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ فَقَرَأَ قِرَاءَةً دُونَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ فَقَرَأَ قِرَاءَةً دُونَ الْقِرَاءَةِ الثَّانِيَةِ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ ثُمَّ انْحَدَرَ بِالسُّجُودِ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ أَيْضًا ثَلاَثَ رَكَعَاتٍ لَيْسَ فِيهَا رَكْعَةٌ إِلاَّ الَّتِي قَبْلَهَا أَطْوَلُ مِنَ الَّتِي بَعْدَهَا وَرُكُوعُهُ نَحْوًا مِنْ سُجُودِهِ ثُمَّ تَأَخَّرَ وَتَأَخَّرَتِ الصُّفُوفُ خَلْفَهُ حَتَّى انْتَهَيْنَا - وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ حَتَّى انْتَهَى إِلَى النِّسَاءِ - ثُمَّ تَقَدَّمَ وَتَقَدَّمَ النَّاسُ مَعَهُ حَتَّى قَامَ فِي مَقَامِهِ فَانْصَرَفَ حِينَ انْصَرَفَ وَقَدْ آضَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَإِنَّهُمَا لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ - وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِمَوْتِ بَشَرٍ - فَإِذَا رَأَيْتُمْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَصَلُّوا حَتَّى تَنْجَلِيَ مَا مِنْ شَىْءٍ تُوعَدُونَهُ إِلاَّ قَدْ رَأَيْتُهُ فِي صَلاَتِي هَذِهِ لَقَدْ جِيءَ بِالنَّارِ وَذَلِكُمْ حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَأَخَّرْتُ مَخَافَةَ أَنْ يُصِيبَنِي مِنْ لَفْحِهَا وَحَتَّى رَأَيْتُ فِيهَا صَاحِبَ الْمِحْجَنِ يَجُرُّ قُصْبَهُ فِي النَّارِ كَانَ يَسْرِقُ الْحَاجَّ بِمِحْجَنِهِ فَإِنْ فُطِنَ لَهُ قَالَ إِنَّمَا تَعَلَّقَ بِمِحْجَنِي . وَإِنْ غُفِلَ عَنْهُ ذَهَبَ بِهِ وَحَتَّى رَأَيْتُ فِيهَا صَاحِبَةَ الْهِرَّةِ الَّتِي رَبَطَتْهَا فَلَمْ تُطْعِمْهَا وَلَمْ تَدَعْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ حَتَّى مَاتَتْ جُوعًا ثُمَّ جِيءَ بِالْجَنَّةِ وَذَلِكُمْ حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَقَدَّمْتُ حَتَّى قُمْتُ فِي مَقَامِي وَلَقَدْ مَدَدْتُ يَدِي وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أَتَنَاوَلَ مِنْ ثَمَرِهَا لِتَنْظُرُوا إِلَيْهِ ثُمَّ بَدَا لِي أَنْ لاَ أَفْعَلَ فَمَا مِنْ شَىْءٍ تُوعَدُونَهُ إِلاَّ قَدْ رَأَيْتُهُ فِي صَلاَتِي هَذِهِ " .
Jabir reported that the sun eclipsed during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ) on that very day when Ibrahim (the Prophet's son) died. The Apostle of Allah (ﷺ) stood up and led people in (two rak'ahs of) prayer with six ruku's and four prostrations. He commenced (the prayer) with takbir (Allah-o-Akbar) and then recited and prolonged his recital. He then bowed nearly the (length of time) that he stood up. He then raised his head from the ruku' and recited but less than the first recital. He then bowed (to the length of time) that he stood up. He then raised his head from the ruku' and again recited but less than the second recital. He then bowed (to the length of time) that he stood up. He then lifted his head from the ruku'. He then fell in prostration and observed two prostrations. He stood up and then bowed, observing six ruku's like it, without (completing) the rak'ah in them, except (this difference) that the first (qiyam of ruku') was longer than the later one, and the ruku' was nearly (of the same length) as prostration. He then moved backward and the rows behind him also moved backward till we reached the extreme (Abu Bakr said:
till he reached near the women) He then moved forward and the people also moved forward along with him till he stood at his (original) place (of worship). He then completed the prayer as it was required to complete and the sun brightened and he said: O people! verily the sun and the moon are among the signs of Allah and they do not eclipse at the death of anyone among people (Abu Bakr said: On the death of any human being). So when you see anything like it (of the nature of eclipse), pray till it is bright. There is nothing which you have been promised (in the next world) but I have seen it in this prayer of mine. Hell was brought to me as you saw me moving back on account of fear lest its heat might affect me; and I saw the owner of the curved staff who dragged his intestines in the fire, and he used to steal (the belongings) of the pilgrims with his curved staff. If he (the owner of the staff) became aware, he would say: It got (accidentally) entangled in my curved staff, but if he was unaware of that, he would take that away. I also saw in it (in Hell) the owner of a cat whom she had tied and did not feed her nor set her free so that she could eat the creatures of the earth, till the cat died of starvation. Paradise was brought to me, and it was on that occasion that you saw me moving forward till I stood at my place (of worship). I stretched my hand as I wanted to catch hold of its fruits so that you may see them. Then I thought of not doing it. Nothing which you have been promised was there that I did not see in this prayer of mine.
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৮৮-(১১/৯০৫) মুহাম্মাদ ইবনু আ’লা আল হামদানী (রহঃ) ..... আসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় একবার সূর্যগ্রহণ লাগে। তখন আমি আয়িশাহ্ (রাযিঃ) এর নিকট গিয়ে দেখি তিনি সালাত আদায় করছে। আমি বললাম কি ব্যাপার। লোকেরা সালাত আদায় করছে? আয়িশাহ (রাযিঃ) মাথা নেড়ে আসমানের দিকে ইশারা করলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, একি বিশেষ কোন ঘটনা? তিনি বললেন, হ্যাঁ। এদিকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এত লম্বা কিয়াম করলেন যে, আমার মাথার চক্কর এসে গেল। তখন আমি আমার পাশে রাখা পানির মশক নিয়ে আমার মাথায় অথবা চেহারায় পানি ঢালতে আরম্ভ করলাম। আসমা বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত শেষ করার সাথে সাথে সূর্য উজ্জ্বল হয়ে গেল। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের উদ্দেশে খুতবাহ দিলেন। আল্লাহর হামদ ও নাত আদায় করার পর তিনি বললেন, আম্মাবাদ, যে সব বস্তু আমি ইতিপূর্বে দেখিনি তা আমি আমার এ স্থানে দাঁড়িয়ে দেখতে পেলাম। এমনকি জান্নাত ও জাহান্নাম দেখলাম।
আর এ মুহুর্তে আমার নিকট অবতীর্ণ করা হয়েছে যে, অচিরেই তোমরা কবরে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। অথবা বলেছেন, মাসীহ দাজ্জালের ফিৎনার ন্যায় ফিৎনায় পতিত হবে। (রাবী বলেন,) আমার জানা নেই আসমা এর কোনটা বলেছে। এরপর তোমাদের প্রত্যেককে হাজির করে জিজ্ঞেস করা হবে "এ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমার কি জানা আছে?" এ সময় ঈমানদার ব্যক্তি অথবা বলেছে "মু’মিন দৃঢ় বিশ্বাসী ব্যক্তি (আমার জানা নেই আসমা এর কোনটা বলেছেন) বলবে, ইনি মুহাম্মাদ , ইনি রসূলুল্লাহ। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুস্পষ্ট প্রমাণাদি ও হিদায়াতের বিষয়বস্তু নিয়ে এসেছেন। তাই আমরা তার আহবানে সাড়া দিয়েছি এবং তার অনুসরণ করেছি। তিনবার সে এ কথা উচ্চারণ করবে। তখন তাকে বলা হবে। ঘুমাও, আমরা জানতাম তুমি তার প্রতি ঈমান বজায় রেখেছো। ভালরূপে ঘুমাও। কিন্তু মুনাফিক অথবা মুরতাদ (সংশয়বাদী আমার জানা নেই আসমা এর কোনটা বলেছেন) বলবে, আমি তো কিছু জানি না। লোকদের কিছু বলাবলি করতে শুনেছি আমিও তা-ই বলেছি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭২, ইসলামীক সেন্টার ১৯৭৯)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ فَاطِمَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ، قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ وَهِيَ تُصَلِّي فَقُلْتُ مَا شَأْنُ النَّاسِ يُصَلُّونَ فَأَشَارَتْ بِرَأْسِهَا إِلَى السَّمَاءِ فَقُلْتُ آيَةٌ قَالَتْ نَعَمْ . فَأَطَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْقِيَامَ جِدًّا حَتَّى تَجَلاَّنِي الْغَشْىُ فَأَخَذْتُ قِرْبَةً مِنْ مَاءٍ إِلَى جَنْبِي فَجَعَلْتُ أَصُبُّ عَلَى رَأْسِي أَوْ عَلَى وَجْهِي مِنَ الْمَاءِ - قَالَتْ - فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَخَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّاسَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ مَا مِنْ شَىْءٍ لَمْ أَكُنْ رَأَيْتُهُ إِلاَّ قَدْ رَأَيْتُهُ فِي مَقَامِي هَذَا حَتَّى الْجَنَّةَ وَالنَّارَ وَإِنَّهُ قَدْ أُوحِيَ إِلَىَّ أَنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي الْقُبُورِ قَرِيبًا أَوْ مِثْلَ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ - لاَ أَدْرِي أَىَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ - فَيُؤْتَى أَحَدُكُمْ فَيُقَالُ مَا عِلْمُكَ بِهَذَا الرَّجُلِ فَأَمَّا الْمُؤْمِنُ أَوِ الْمُوقِنُ - لاَ أَدْرِي أَىَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ - فَيَقُولُ هُوَ مُحَمَّدٌ هُوَ رَسُولُ اللَّهِ جَاءَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى فَأَجَبْنَا وَأَطَعْنَا . ثَلاَثَ مِرَارٍ فَيُقَالُ لَهُ نَمْ قَدْ كُنَّا نَعْلَمُ إِنَّكَ لَتُؤْمِنُ بِهِ فَنَمْ صَالِحًا وَأَمَّا الْمُنَافِقُ أَوِ الْمُرْتَابُ - لاَ أَدْرِي أَىَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ - فَيَقُولُ لاَ أَدْرِي سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ شَيْئًا فَقُلْتُ " .
Asma' reported:
The sun eclipsed during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ). As I went to 'A'isha who was busy in prayer. I said: What is the matter with the people that they are praying (a special prayer)? She ('A'isha) pointed towards the sky with her head. I said: Is it (an unusual) sign? She said: Yes. The Messenger of Allah (ﷺ) stood up for prayer for such a long time that I was about to faint. I caught hold of a waterskin lying by my side, and began to pour water over my head, or (began to sprinkle water) on my face. The Messenger of Allah (ﷺ) then finished and the sun had brightened. The Messenger of Allah (ﷺ) then addressed the people, (after) praising Allah and lauding Him, and then said: There was no such thing as I did not see earlier, but I saw it at this very place of mine. I ever saw Paradise and Hell. It was also revealed to me that you would be tried in the graves, as you would he tried something like the turmoil of the Dajjal. Asma' said: I do not know which word he actually used (qariban or mithl), and each one of you would be brought and it would be said: What is your knowledge about this man? If the person is a believer, (Asma' said: I do not know whether it was the word al-Mu'min or al-Mu'qin) he would say: He is Muhammad and he is the Messenger of Allah. He brought to us the clear signs and right guidance. So we responded and obeyed him. (He would repeat this three times), and it would be said to him: You should go to sleep. We already knew that you are a believer in him. So the pious man would go to sleep. So far as the hypocrite or sceptic is concerned (Asma' said: I do not know which word was that: al-Munafiq (hypocrite) or al-Murtad (doubtful) he would say: I do not know. I only uttered whatever I heard people say.
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৮৯-(১২/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... আসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাযিঃ) এর নিকট এসে দেখলাম, লোকেরা সালাতে দাঁড়ানো এবং আয়িশাহ (রাযিঃ)-ও সালাত আদায় করছেন না। আমি বললাম, লোকদের কি অবস্থা? হাদীসটি হিশাম-এর সূত্রে বর্ণিত। ইবনু নুমায়র-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭৩, ইসলামীক সেন্টার ১৯৮০)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ فَاطِمَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ، قَالَتْ أَتَيْتُ عَائِشَةَ فَإِذَا النَّاسُ قِيَامٌ وَإِذَا هِيَ تُصَلِّي فَقُلْتُ مَا شَأْنُ النَّاسِ وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ عَنْ هِشَامٍ
Asma' said:
I came to 'A'isha when the people were standing (in prayer) and she was also praying. I said: What is this excitement of the people for? And the rest of the hadith was narrated like one, (narrated above).
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৯০(১৩/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... উরওয়াহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনكَسَفَتِ الشَّمْسُ বলবে না, বরং خَسَفَتِ الشَّمْسُ বলো। অর্থ একই সূর্যগ্রহণ লেগেছে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭৪, ইসলামীক সেন্টার ১৯৮১)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ لاَ تَقُلْ كَسَفَتِ الشَّمْسُ وَلَكِنْ قُلْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ
'Urwa said: Do not say Kasafat-ush-Shamsu, but say Khasafat-ush-Shamsu.
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৯১-(১৪/৯০৬) ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব আল হারিসী (রহঃ) ..... আসমা বিনতু আবূ বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন অর্থাৎ- যেদিন সূর্যগ্রহণ লেগেছিল, এরূপ আতঙ্কগ্রস্ত হলেন যে, চাদর নিতে গিয়ে ভুলে (মহিলাদের) বড় চাদর উঠিয়ে নিলেন। পরে তার চাদরই তাকে পৌছে দেয়া হ’ল। অতঃপর তিনি লোকদের নিয়ে সালাত শুরু করে দিলেন এবং বেশ লম্বা কিয়াম করলেন। যদি কোন লোক তার কাছে আসত বুঝত পারত না যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ’ করেছেন (রুকূর পর) দীর্ঘ কিয়ামের কারণে। যে পর্যন্ত কেউ প্রকাশ না করে দিত যে, তিনি রুকূ’ করেছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭৫, ইসলামীক সেন্টার ১৯৮২)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي مَنْصُورُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّهِ، صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهَا قَالَتْ فَزِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا - قَالَتْ تَعْنِي يَوْمَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ - فَأَخَذَ دِرْعًا حَتَّى أُدْرِكَ بِرِدَائِهِ فَقَامَ لِلنَّاسِ قِيَامًا طَوِيلاً لَوْ أَنَّ إِنْسَانًا أَتَى لَمْ يَشْعُرْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَكَعَ مَا حَدَّثَ أَنَّهُ رَكَعَ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ .
Asma' bint Abu Bakr said:
The Apostle of Allah (ﷺ) was one day (i. e. on the day when the sun eclipsed) so perturbed that he (in haste) took hold of the outer garment (of a female member of his family) and it was later on that his (own) cloak was sent to him. He stood in prayer along with people for such a long time that if a man came he did not realise that the Messenger of Allah (ﷺ) had observed ruku', as it has been narrated about ruku' in connection with long qiyam.
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৯২-(১৫/...) সাঈদ ইবনু ইয়াহইয়া আল উমাবী (রহঃ) ..... ইবনু জুরায়জ (রহঃ) একই সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এতে আসমা (রাযিঃ) বলেছেন, দীর্ঘ সময় কিয়াম করে পরে রুকূ’ করেছেন। বর্ণনাকারী এ কথাটুকু বাড়িয়েছেন- “আমি মহিলাদের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, আমার চেয়ে বয়স্কা মহিলাও আছে আর আমার চেয়ে অধিক রুগ্না মহিলাও রয়েছে।" (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭৬, ইসলামীক সেন্টার ১৯৮৩)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
وَحَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَقَالَ قِيَامًا طَوِيلاً يَقُومُ ثُمَّ يَرْكَعُ وَزَادَ فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَى الْمَرْأَةِ أَسَنَّ مِنِّي وَإِلَى الأُخْرَى هِيَ أَسْقَمُ مِنِّي .
Abu Juraij narrated this hadith with the same chain of transmitters (but with the addition of these words):
" It was for a long duration that he (the Holy Prophet) observed qiyam and he would then observe ruku'. (The narrator also added) I (Asma') looked at a woman who was older than I, and at another who was weaker than I.
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৯৩-(১৬/...) আহমাদ ইবনু সাঈদ আদ দারিমী (রহঃ) ..... আসমা বিনতু আবূ বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় একবার সূর্যগ্রহণ লাগলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘাবড়ে গেলেন। যে কারণে তিনি ভুল করে নিজের চাদর নিতে গিয়ে (মহিলাদের) বড় চাদর নিয়ে গেলেন। অবশ্য পরে তার চাদর পৌছিয়ে দেয়া হ’ল। আসমা (রাযিঃ) বলেন, আমি আমার প্রয়োজন সেরে আসলাম এবং এসে মসজিদে প্রবেশ করলাম। ঢুকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখলাম দাঁড়িয়ে আছেন। আমিও তার সাথে দাঁড়ালাম, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দীর্ঘ কিয়াম করলেন। এমনকি আমি মনে মনে ভাবছিলাম বসে পড়ব কিনা, অতঃপর তাকিয়ে দেখলাম একটি দুর্বল মহিলা। তখন মনে মনে বললাম, এ মেয়েলোকটি তো আমার চেয়েও দুর্বল। অতএব দাঁড়িয়ে থাকলাম। দীর্ঘ সময় পর তিনি রুকূ’তে গেলেন এবং রুকূ’ও দীর্ঘ করলেন, অতঃপর তিনি মাথা উঠালেন। রুকূ’ থেকে উঠেও দীর্ঘ কিয়াম করলেন। এমনকি কোন ব্যক্তি এসে দেখলে মনে করত তিনি রুকূ’ই করেননি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭৭, ইসলামীক সেন্টার ১৯৮৪)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَفَزِعَ فَأَخْطَأَ بِدِرْعٍ حَتَّى أُدْرِكَ بِرِدَائِهِ بَعْدَ ذَلِكَ قَالَتْ فَقَضَيْتُ حَاجَتِي ثُمَّ جِئْتُ وَدَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمًا فَقُمْتُ مَعَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ حَتَّى رَأَيْتُنِي أُرِيدُ أَنْ أَجْلِسَ ثُمَّ أَلْتَفِتُ إِلَى الْمَرْأَةِ الضَّعِيفَةِ فَأَقُولُ هَذِهِ أَضْعَفُ مِنِّي . فَأَقُومُ فَرَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ حَتَّى لَوْ أَنَّ رَجُلاً جَاءَ خُيِّلَ إِلَيْهِ أَنَّهُ لَمْ يَرْكَعْ .
Asma' daughter of Abu Bakr reported:
The sun eclipsed during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ) ; so he felt perturbed and he, by mistake, took hold of the outer garment of a woman till he was given his own cloak. After this I satisfied my need and then came and entered the mosque. I saw the Messenger of Allah (ﷺ) standing in prayer. I stood along with him. He prolonged his qiyam till I wished to sit down. Then I cast a glance towards an old woman. So I said: She is older than I. I, therefore, kept standing. He (the Holy Prophet) then observed ruku', and prolonged his ruku'. He then raised his head. He then prolonged his qiyam to such an extent that if a person happened to come he would have thought that he had not observed the ruku'.