৪০৪

পরিচ্ছেদঃ ১৮৪. নামাযের মধ্যে হাঁচি দেয়া প্রসঙ্গে

৪০৪। রিফা’আ ইবনু রাফি’ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে নামায আদায় করছিলাম। হঠাৎ আমার হাঁচি বের হল। আমি বললাম, মুবারাকান আলাইহি কামা ইউহিববু রবরুনা ওয়া ইয়ারদা।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামায শেষ করে ফিরে বসলেন তখন প্রশ্ন করলেনঃ নামাযের মধ্যে কে কথা বলেছে? কেউ কোন সাড়া শব্দ করল না। তিনি দ্বিতীয় বার প্রশ্ন করলেনঃ নামাযের মধ্যে কে কথা বলেছে? এবারও কেউ কোন কথা বলল না। তিনি তৃতীয় বার প্রশ্ন করলেনঃ নামাযের মধ্যে কে কথা বলেছে? (রাবী) রিফা’আহ ইবনু রাফি ইবনু আফরাআ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কথা বলেছি। তিনি প্রশ্ন করলেনঃ তুমি কিভাবে বললে? রাবী বলেন, আমি বলেছি, "আল্লাহর জন্য অশেষ প্রশংসা, পবিত্রময় প্রশংসা, বারকাতময় প্রশংসা (এবং প্রশংসাকারীর জন্য) বারকাতময় প্রশংসা যা আমাদের প্রতিপালক ভালবাসেন ও পছন্দ করেন।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি দেখছি তিরিশের বেশি ফিরিশতা তাড়াহুড়া করছে কে কার আগে এটা নিয়ে উপরে উঠবে। —হাসান। সহীহ আবু দাউদ- ৭৪৭, মিশকাত— (৯৯২)।

এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাসউদ ও মুয়াবিয়া ইবনু হাকাম হতেও হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আবু ঈসা বলেনঃ যাইদ ইবনু আরকামের হাদীসটি হাসান সহীহ।

অধিকাংশ বিদ্বানের আমল-এর উপরই। তারা বলেন, কেউ যদি নামাযে স্বেচ্ছায় বা ভুলে কথা বলে তাহলে পুনরায় নামায পড়তে হবে। সুফইয়ান সাওরী, ইবনু মুবারক ও কুফাবাসীদের অভিমত এটাই। কারো মতে যদি স্বেচ্ছায় কথা বলে তাহলে পুনরায় নামায পড়তে হবে। আর যদি ভুলে বা অজ্ঞতাবশতঃ কথা বলে তাহলে পুনরায় পড়ার প্রয়োজন নেই। ইমাম শাফিঈ এ মতের সমর্থক।

باب مَا جَاءَ فِي الرَّجُلِ يَعْطُسُ فِي الصَّلاَةِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا رِفَاعَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيُّ، عَنْ عَمِّ، أَبِيهِ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَطَسْتُ فَقُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى ‏.‏ فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ فَقَالَ ‏"‏ مَنِ الْمُتَكَلِّمُ فِي الصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمْ يَتَكَلَّمْ أَحَدٌ ثُمَّ قَالَهَا الثَّانِيَةَ ‏"‏ مَنِ الْمُتَكَلِّمُ فِي الصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمْ يَتَكَلَّمْ أَحَدٌ ثُمَّ قَالَهَا الثَّالِثَةَ ‏"‏ مَنِ الْمُتَكَلِّمُ فِي الصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ رِفَاعَةُ بْنُ رَافِعِ ابْنِ عَفْرَاءَ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ كَيْفَ قُلْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدِ ابْتَدَرَهَا بِضْعَةٌ وَثَلاَثُونَ مَلَكًا أَيُّهُمْ يَصْعَدُ بِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَوَائِلِ بْنِ حُجْرٍ وَعَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ رِفَاعَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَكَأَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ فِي التَّطَوُّعِ لأَنَّ غَيْرَ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ قَالُوا إِذَا عَطَسَ الرَّجُلُ فِي الصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ إِنَّمَا يَحْمَدُ اللَّهَ فِي نَفْسِهِ وَلَمْ يُوَسِّعُوا فِي أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا رفاعة بن يحيى بن عبد الله بن رفاعة بن رافع الزرقي، عن عم، ابيه معاذ بن رفاعة عن ابيه، قال صليت خلف رسول الله صلى الله عليه وسلم فعطست فقلت الحمد لله حمدا كثيرا طيبا مباركا فيه مباركا عليه كما يحب ربنا ويرضى ‏.‏ فلما صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم انصرف فقال ‏"‏ من المتكلم في الصلاة ‏"‏ ‏.‏ فلم يتكلم احد ثم قالها الثانية ‏"‏ من المتكلم في الصلاة ‏"‏ ‏.‏ فلم يتكلم احد ثم قالها الثالثة ‏"‏ من المتكلم في الصلاة ‏"‏ ‏.‏ فقال رفاعة بن رافع ابن عفراء انا يا رسول الله ‏.‏ قال ‏"‏ كيف قلت ‏"‏ ‏.‏ قال قلت الحمد لله حمدا كثيرا طيبا مباركا فيه مباركا عليه كما يحب ربنا ويرضى فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ والذي نفسي بيده لقد ابتدرها بضعة وثلاثون ملكا ايهم يصعد بها ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن انس وواىل بن حجر وعامر بن ربيعة ‏.‏ قال ابو عيسى حديث رفاعة حديث حسن ‏.‏ وكان هذا الحديث عند بعض اهل العلم انه في التطوع لان غير واحد من التابعين قالوا اذا عطس الرجل في الصلاة المكتوبة انما يحمد الله في نفسه ولم يوسعوا في اكثر من ذلك ‏.‏


Muadh bin Rifa'ah narrated that his father said:
"I prayed behind Allah's Messenger (S). I sneezed and said: Al-Hamdulillah, hamdan kathiran tayyiban mubarakan fih, mubarakan alaihi kama yuhibbu Rabbana Wa Yarda (All praise is due to Alah, many good blessed praises, blessings for Him as our Lord loves and is pleased with.) When Allah's Messenger (S) prayed and turned (after finishing) he said: 'Who was the speaker during the Salat?' No one spoke. Then he said it a second time: 'Who was the speaker during the Salat?' But no one spoke. Then he said it a third time: 'Who was the speaker during the Salat?'" So Rifa'ah bin Rafi bin Afra said: "It was I, O Messenger of Allah (S)." He said: "What did you say?" He said: "I said: 'Al-Hamdulillah, hamdan kathiran tayyiban mubarakan fih, mubarakan alaihi kama yuhibbu Rabbana Wa Yarda. The Prophet (S) said: "By the One in Whose Hand is my soul! I saw thirty-some angels competing over which of then would ascend with it."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ)