৪৩৮৫

পরিচ্ছেদঃ ২৩. জুহায়না গোত্রের মহিলা সম্পর্কে, যাকে নবী (ﷺ) পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন ।

৪৩৮৫. মুসলিম ইবন ইবরাহীম (রহঃ) .... ইমরান ইবন হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা জুহায়না গোত্রের জনৈক মহিলা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলে যে, সে যিনা করেছে এবং সে গর্ভবতী। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অভিভাবকদের ডেকে বলেনঃ তোমরা একে ভালভাবে দেখাশুনা করবে, আর যখন সে বাচ্চা প্রসব করবে, তখন তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবে। এরপর সে মহিলা সন্তান প্রসব করলে, তার অতিভাবকরা তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির করে। তখন তিনি তার শরীরে ভালভাবে কাপড় পেঁচিয়ে, তাকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দেন।

তাকে পাথর মেরে হত্যা করার পর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণকে তার জানাযার নামাযে শরীকে হতে নির্দেশ দিলে-জানাযার নামায পড়া হয়। তখন উমার (রাঃ) বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি তার জানাযার নামায পড়ব, অথচ সে যিনা করেছে? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহর শপথ! যার নিয়ন্ত্রণে আমার জীবন; সে মহিলা এমন তাওবা করেছে, যদি তা মদীনার সওর জন পাপী ব্যক্তির জন্য ভাগ করে দেওয়া হয়, তবে তা যথেষ্ট হবে। এর চাইতে উত্তম আর কি হতে পারে যে, সে তো তার জীবনটাই উৎসর্গ করে দিয়েছে! রাবী আবানের বর্ণনায় এর উল্লেখ নেই যে, তার শরীরে কাপড় পেঁচিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

باب الْمَرْأَةِ الَّتِي أَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِرَجْمِهَا مِنْ جُهَيْنَةَ

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّ هِشَامًا الدَّسْتَوَائِيَّ، وَأَبَانَ بْنَ يَزِيدَ، حَدَّثَاهُمُ - الْمَعْنَى، - عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ امْرَأَةً، - قَالَ فِي حَدِيثِ أَبَانَ مِنْ جُهَيْنَةَ - أَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنَّهَا زَنَتْ وَهِيَ حُبْلَى ‏.‏ فَدَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَلِيًّا لَهَا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَحْسِنْ إِلَيْهَا فَإِذَا وَضَعَتْ فَجِئْ بِهَا ‏"‏ ‏.‏ فَلَمَّا أَنْ وَضَعَتْ جَاءَ بِهَا فَأَمَرَ بِهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَشُكَّتْ عَلَيْهَا ثِيَابُهَا ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَرُجِمَتْ ثُمَّ أَمَرَهُمْ فَصَلَّوْا عَلَيْهَا فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ تُصَلِّي عَلَيْهَا وَقَدْ زَنَتْ قَالَ ‏"‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ تَابَتْ تَوْبَةً لَوْ قُسِّمَتْ بَيْنَ سَبْعِينَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَوَسِعَتْهُمْ وَهَلْ وَجَدْتَ أَفْضَلَ مِنْ أَنْ جَادَتْ بِنَفْسِهَا ‏"‏ ‏.‏ لَمْ يَقُلْ عَنْ أَبَانَ فَشُكَّتْ عَلَيْهَا ثِيَابُهَا ‏.‏

حدثنا مسلم بن ابراهيم، ان هشاما الدستواىي، وابان بن يزيد، حدثاهم - المعنى، - عن يحيى، عن ابي قلابة، عن ابي المهلب، عن عمران بن حصين، ان امراة، - قال في حديث ابان من جهينة - اتت النبي صلى الله عليه وسلم فقالت انها زنت وهي حبلى ‏.‏ فدعا النبي صلى الله عليه وسلم وليا لها فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ احسن اليها فاذا وضعت فجى بها ‏"‏ ‏.‏ فلما ان وضعت جاء بها فامر بها النبي صلى الله عليه وسلم فشكت عليها ثيابها ثم امر بها فرجمت ثم امرهم فصلوا عليها فقال عمر يا رسول الله تصلي عليها وقد زنت قال ‏"‏ والذي نفسي بيده لقد تابت توبة لو قسمت بين سبعين من اهل المدينة لوسعتهم وهل وجدت افضل من ان جادت بنفسها ‏"‏ ‏.‏ لم يقل عن ابان فشكت عليها ثيابها ‏.‏


Narrated Imran ibn Husayn:

A woman belonging to the tribe of Juhaynah (according to the version of Aban) came to the Prophet (ﷺ) and said that she had committed fornication and that she was pregnant. The Messenger of Allah (ﷺ) called her guardian.

Then the Messenger of Allah (ﷺ) said to him: Be good to her, and when she bears a child, bring her (to me). When she gave birth to the child, he brought her (to him). The Prophet (ﷺ) gave orders regarding her, and her clothes were tied to her. He then commanded regarding her and she was stoned to death. He commanded the people (to pray) and they prayed over her.

Thereupon Umar said: Are you praying over her, Messenger of Allah, when she has committed fornication?

He said: By Him in Whose hand my soul is, she has repented to such an extent that if it were divided among the seventy people of Medina, it would have been enough for them all. And what do you find better than the fact that she gave her life.

Aban did not say in his version: Then her clothes were tied to her.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ শাস্তির বিধান (كتاب الحدود)