৫৪৯৮

পরিচ্ছেদঃ ৭২/১৫. যবহের বস্তুর উপর বিসমিল্লাহ বলা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে যে বিসমিল্লাহ তরক করে।

قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ مَنْ نَسِيَ فَلاَ بَأْسَ.
وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: (وَلاَ تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ) وَالنَّاسِي لاَ يُسَمَّى فَاسِقًا، وَقَوْلُهُ: (وَإِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَى أَوْلِيَائِهِمْ لِيُجَادِلُوكُمْ وَإِنْ أَطَعْتُمُوهُمْ إِنَّكُمْ لَمُشْرِكُونَ).

ইবনু ’আব্বাস বলেছেনঃ কেউ বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে তাতে কোন দোষ নেই। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ ’’যাতে (যবহ করার সময়) আল্লাহর নাম নেয়া হয়নি তা তোমরা মোটেই খাবে না, তা হচ্ছে পাপাচার’’- সূরাহ আল-আন’আম ৬/১২১)। আর যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যায়, তাকে ফাসিক্ব (গুনাহগার) বলা যায় না। আল্লাহ আরো ইরশাদ করেনঃ শায়ত্বনেরা তাদেরবন্ধুদেরকে তোমাদের সঙ্গে তর্ক-ঝগড়া করার জন্য প্ররোচিত করে..... (সূরাহ আল-আন’আম ৬/১২১) শেষ পর্যন্ত)।


৫৪৯৮. রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে ’যুল হুলাইফা’য় ছিলাম। লোকজন ক্ষুধার্ত হয়ে যায়। তখন আমরা কিছু সংখ্যক উট ও বকরী গনীমত হিসেবে) লাভ করি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সকলের পেছনে। সবাই তাড়াতাড়ি করল এবং হাঁড়ি চড়িয়ে দিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে এসে পৌঁছলেন। তখন তিনি হাঁড়িগুলো ঢেকে দিতে নির্দেশ দিলেন। হাঁড়িগুলো ঢেকে দেয়া হল। তারপর তিনি (প্রাপ্ত গানীমাত) বণ্টন করলেন। দশটি বকরী একটি উটের সমান গণ্য করলেন। এ সময়ে একটি উট পালিয়ে গেল। দলে অশ্বারোহীর সংখ্যা ছিল খুব কম। তারা উটটির পেছনে ছুটল কিন্তু তারা সেটি কাবু করতে অসমর্থ হল। অবশেষে একজন উটটির প্রতি তীর ছুঁড়লে আল্লাহ উটটিকে থামিয়ে দিলেন।

তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ সকল চতুষ্পদ প্রাণীর মধ্যে বন্য জন্তুর মত পালিয়ে যাবার স্বভাব আছে। কাজেই যখন কোন প্রাণী তোমাদের থেকে পালিয়ে যায়, তখন তার সঙ্গে তোমরা তেমনই ব্যবহার করবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমার দাদা বলেছেন, আমরা আশা করছিলাম কিংবা তিনি বলেছেন, আমরা আশঙ্কা করছিলাম যে, আগামীকাল আমরা শত্রুদের সম্মুখীন হতে পারি। অথচ আমাদের নিকট কোন ছুরি নেই। তাহলে আমরা কি বাঁশের (বাখারী) দিয়ে যবহ করব? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে জিনিস রক্ত প্রবাহিত করে দেয় এবং তাতে বিসমিল্লাহ বলা হয় তা খাও। তবে দাঁত ও নখ দিয়ে নয়। এ সম্পর্কে আমি তোমাদের জ্ঞাত করছি যে, দাঁত হল হাড় বিশেষ, আর নখ হল হাবশী সম্প্রদায়ের ছুরি। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৮৯)

بَاب التَّسْمِيَةِ عَلٰى الذَّبِيحَةِ وَمَنْ تَرَكَ مُتَعَمِّدًا.

مُوسٰى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ عَنْ جَدِّه„ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذِي الْحُلَيْفَةِ فَأَصَابَ النَّاسَ جُوعٌ فَأَصَبْنَا إِبِلاً وَغَنَمًا وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي أُخْرَيَاتِ النَّاسِ فَعَجِلُوا فَنَصَبُوا الْقُدُورَ فَدُفِعَ إِلَيْهِمْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَ بِالْقُدُورِ فَأُكْفِئَتْ ثُمَّ قَسَمَ فَعَدَلَ عَشَرَةً مِنَ الْغَنَمِ بِبَعِيرٍ فَنَدَّ مِنْهَا بَعِيرٌ وَكَانَ فِي الْقَوْمِ خَيْلٌ يَسِيرَةٌ فَطَلَبُوه“ فَأَعْيَاهُمْ فَأَهْو‘ى إِلَيْهِ رَجُلٌ بِسَهْمٍ فَحَبَسَهُ اللهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ لِهٰذِهِ الْبَهَائِمِ أَوَابِدَ كَأَوَابِدِ الْوَحْشِ فَمَا نَدَّ عَلَيْكُمْ مِنْهَا فَاصْنَعُوا بِه„ هٰكَذَا قَالَ وَقَالَ جَدِّي إِنَّا لَنَرْجُو أَوْ نَخَافُ أَنْ نَلْقَى الْعَدُوَّ غَدًا وَلَيْسَ مَعَنَا مُدًى أَفَنَذْبَحُ بِالْقَصَبِ فَقَالَ مَا أَنْهَرَ الدَّمَ وَذُكِرَ اسْمُ اللهِ عَلَيْهِ فَكُلْ لَيْسَ السِّنَّ وَالظُّفُرَ وَسَأُخْبِرُكُمْ عَنْه“ أَمَّا السِّنُّ فَعَظْمٌ وَأَمَّا الظُّفُرُ فَمُدَى الْحَبَشَةِ.

موسى بن اسماعيل حدثنا ابو عوانة عن سعيد بن مسروق عن عباية بن رفاعة بن رافع عن جده„ رافع بن خديج قال كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم بذي الحليفة فاصاب الناس جوع فاصبنا ابلا وغنما وكان النبي صلى الله عليه وسلم في اخريات الناس فعجلوا فنصبوا القدور فدفع اليهم النبي صلى الله عليه وسلم فامر بالقدور فاكفىت ثم قسم فعدل عشرة من الغنم ببعير فند منها بعير وكان في القوم خيل يسيرة فطلبوه“ فاعياهم فاهو‘ى اليه رجل بسهم فحبسه الله فقال النبي صلى الله عليه وسلم ان لهذه البهاىم اوابد كاوابد الوحش فما ند عليكم منها فاصنعوا به„ هكذا قال وقال جدي انا لنرجو او نخاف ان نلقى العدو غدا وليس معنا مدى افنذبح بالقصب فقال ما انهر الدم وذكر اسم الله عليه فكل ليس السن والظفر وساخبركم عنه“ اما السن فعظم واما الظفر فمدى الحبشة.


Narrated Rafi` bin Khadij:

We were with the Prophet (ﷺ) in Dhul-Hulaifa and there the people were struck with severe hunger. Then we got camels and sheep as war booty (and slaughtered them). The Prophet (ﷺ) was behind all the people. The people hurried and fixed the cooking pots (for cooking) but the Prophet (ﷺ) came there and ordered that the cooking pots be turned upside down. Then he distributed the animals, regarding ten sheep as equal to one camel. One of the camels ran away and there were a few horses with the people. They chased the camel but they got tired, whereupon a man shot it with an arrow whereby Allah stopped it. The Prophet (ﷺ) said, "Among these animals some are as wild as wild beasts, so if one of them runs away from you, treat it in this way." I said. "We hope, or we are afraid that tomorrow we will meet the enemy and we have no knives, shall we slaughter (our animals) with canes?" The Prophet (ﷺ) said, "If the killing tool causes blood to gush out and if Allah's Name is mentioned, eat (of the slaughterer animal). But do not slaughter with a tooth or a nail. I am telling you why: A tooth is a bone, and the nail is the knife of Ethiopians."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৭২/ যবহ ও শিকার (كتاب الذبائح والصيد )