৫৪৯৩

পরিচ্ছেদঃ ৭২/১২. মহান আল্লাহর ইরশাদঃ তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার হালাল করা হয়েছে.......। সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৯৬)

وَقَالَ عُمَرُ صَيْدُهُ مَا اصْطِيدَ، وَطَعَامُهُ مَا رَمَى بِهِ، وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الطَّافِي حَلاَلٌ.
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ طَعَامُهُ مَيْتَتُهُ إِلاَّ مَا قَذِرْتَ مِنْهَا، وَالْجِرِّيُّ لاَ تَأْكُلُهُ الْيَهُودُ وَنَحْنُ نَأْكُلُهُ.
وَقَالَ شُرَيْحٌ صَاحِبُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلُّ شَيْءٍ فِي الْبَحْرِ مَذْبُوحٌ.
وَقَالَ عَطَاءٌ أَمَّا الطَّيْرُ فَأَرَى أَنْ يَذْبَحَهُ.
وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ قُلْتُ لِعَطَاءٍ صَيْدُ الأَنْهَارِ وَقِلاَتِ السَّيْلِ أَصَيْدُ بَحْرٍ هُوَ قَالَ نَعَمْ، ثُمَّ تَلاَ: (هَذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ سَائِغٌ شَرَابُهُ وَهَذَا مِلْحٌ أُجَاجٌ وَمِنْ كُلٍّ تَأْكُلُونَ لَحْمًا طَرِيًّا). وَرَكِبَ الْحَسَنُ- عَلَيْهِ السَّلاَمُ- عَلَى سَرْجٍ مِنْ جُلُودِ كِلاَبِ الْمَاءِ.
وَقَالَ الشَّعْبِيُّ لَوْ أَنَّ أَهْلِي أَكَلُوا الضَّفَادِعَ لأَطْعَمْتُهُمْ. وَلَمْ يَرَ الْحَسَنُ بِالسُّلَحْفَاةِ بَأْسًا.
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ كُلْ مِنْ صَيْدِ الْبَحْرِ مَا صَادَهُ نَصْرَانِيٌّ أَوْ يَهُودِيٌّ أَوْ مَجُوسِيٌّ.
وَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ فِي الْمُرِي ذَبَحَ الْخَمْرَ النِّينَانُ وَالشَّمْسُ.

’উমার (রাঃ) বলেছেন, صَيْدُه যা শিকার করা হয়, আর طَعَامُه সমুদ্র যাকে নিক্ষেপ করে। আবূ বকর (রাঃ) বলেছেনঃ মরে যা ভেসে উঠে তা হালাল।

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ طَعَامُه সমুদ্রে প্রাপ্ত মৃত জানোয়ার খাদ্য, তবে তন্মধ্যে যেটি ঘৃণিত সেটি ব্যতীত। বাইন জাতীয় মাছ ইয়াহূদীরা খায় না, আমরা খাই।

আবূ শুরায়হ (রাঃ) যিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী তিনি বলেছেনঃ সমুদ্রের সব জিনিসই যবাহকৃত বলে গণ্য। ’আত্বা (রহ.) বলেছেনঃ সমুদ্রের) পাখি সম্পর্কে আমার মত সেটিকে যবহ করতে হবে। ইবনু জুরায়জ (রহ.) বলেন, আমি ’আত্বা (রহ.)-কে খাল, বিল, নদী-নালা ও জলাশয়ের শিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলামঃ এগুলো কি সমুদ্রের শিকারের অন্তর্ভুক্ত? তিনি উত্তর দিলেনঃ হাঁ। তারপর তিনি এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ ’’একটি সুমিষ্ট, সুস্বাদু, সুপেয়; অন্যটি লবণাক্ত, বিস্বাদ। তথাপি তোমরা সকল প্রকার পানি) থেকে তাজা মাংস আহার কর।’’ (সূরাহ ফাত্বির ৩৫/১২) হাসান ভোঁদড়ের চাড়মায় নির্মিত ঘোড়ার গদির উপর আরোহণ করেছেন। শা’বী (রহ.) বলেছেনঃ আমার পরিবারের লোকেরা যদি ব্যাঙ খেত, তাহলে আমি তাদের তা খাওয়াতাম। হাসান (রহ.) কচ্ছপ খাওয়াকে দোষের মনে করতেন না। ইবনু ’আব্বাস বলেনঃ সমুদ্রের সব ধরনের শিকার খেতে পার, যদিও তা কোন ইয়াহূদী কিংবা খৃস্টান কিংবা অগ্নিপূজক শিকার করে থাকে। আবুদ্ দারদা বলেনঃ মাছ ও সূর্যের তাপ শরাবকে পাক করে।


৫৪৯৩. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ’জায়শুল খাবত’ অভিযানে ছিলাম। আমাদের সেনাপতিকরা হয়েছিল আবূ ’উবাইদাহ (রাঃ)-কে। এক সময় আমরা অত্যধিক ক্ষুধার্ত হয়ে পড়লে, সমুদ্র এমন একটি মৃত মাছ তীরে নিক্ষেপ করল যে, এত বড় মাছ কখনো দেখা যায়নি। এটিকে ’আম্বর’ বলা হয়। আমরা অর্ধমাস এটি খেলাম। আবূ ’উবাইদাহ এর একটি হাড় তুলে ধরলেন এবং এর নীচে দিয়ে একজন অশ্বারোহী (অনায়াসে) অতিক্রম করে গেল। [২৪৮৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৮৪)

مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيٰى عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو أَنَّه“ سَمِعَ جَابِرًا يَقُوْلُ غَزَوْنَا جَيْشَ الْخَبَطِ وَأُمِّرَ أَبُو عُبَيْدَةَ فَجُعْنَا جُوعًا شَدِيدًا فَأَلْقَى الْبَحْرُ حُوتًا مَيِّتًا لَمْ يُرَ مِثْلُه“ يُقَالُ لَهُ الْعَنْبَرُ فَأَكَلْنَا مِنْه“ نِصْفَ شَهْرٍ فَأَخَذَ أَبُو عُبَيْدَةَ عَظْمًا مِنْ عِظَامِه„ فَمَرَّ الرَّاكِبُ تَحْتَهُ.

مسدد حدثنا يحيى عن ابن جريج قال اخبرني عمرو انه“ سمع جابرا يقول غزونا جيش الخبط وامر ابو عبيدة فجعنا جوعا شديدا فالقى البحر حوتا ميتا لم ير مثله“ يقال له العنبر فاكلنا منه“ نصف شهر فاخذ ابو عبيدة عظما من عظامه„ فمر الراكب تحته.


Narrated Jabir:

We went out in a campaign and the army was called The Army of the Khabt, and Abu 'Ubaida was our commander. We were struck with severe hunger. Then the sea threw a huge dead fish called Al- `Anbar, the like of which had never been seen. We ate of it for half a month, and then Abu 'Ubaida took one of its bones (and made an arch of it) so that a rider could easily pass under it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৭২/ যবহ ও শিকার (كتاب الذبائح والصيد )