১৩২৫

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

৩৩/১৩২৫। উক্ত রাবী (আনাস) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, আমার চাচা আনাস ইবনে ন্যাজর বদরের যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিলেন। (যার জন্য তিনি খুবই দুঃখিত হয়েছিলেন।) অতঃপর তিনি একবার বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! প্রথম যে যুদ্ধ আপনি মুশরিকদের বিরুদ্ধে করলেন, তাতে আমি অনুপস্থিত থাকলাম। যদি (এরপর) আল্লাহ আমাকে মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হাজির হওয়ার সৌভাগ্য দান করেন, তাহলে আমি কি করব--আল্লাহ তা অবশ্যই দেখাবেন (অথবা দেখবেন)। অতঃপর যখন উহুদের দিন এলো, তখন মুসলিমরা (শুরুতে) ঘাঁটি ছেড়ে দেওয়ার কারণে পরাজিত হলেন। তিনি বললেন, ’হে আল্লাহ! এরা অর্থাৎ সঙ্গীরা যা করল, তার জন্য আমি তোমার নিকট ওজর পেশ করছি। আর ওরা অর্থাৎ মুশরিকরা যা করল, তা থেকে আমি তোমার কাছে সম্পর্কহীনতা প্রকাশ করছি।’

অতঃপর তিনি আগে বাড়লেন এবং সামনে সা’আদ ইবনে মু’আযকে পেলেন। তিনি বললেন, ’হে সা’আদ ইবনে মু’আয! জান্নাত! কা’বার প্রভুর কসম! আমি উহুদ অপেক্ষা নিকটতর জায়গা হতে তার সুগন্ধ পাচ্ছি।’ (এই বলে তিনি শত্রুদের মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়লেন এবং যুদ্ধ করতে করতে শাহাদত বরণ করলেন।) সায়াদ বলেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! সে যা করল আমি তা পারলাম না।’ আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ’আমরা তাঁর দেহে আশীর চেয়ে বেশি তরবারি, বর্শা বা তীরের আঘাত চিহ্ন পেলাম। আর আমরা তাকে এই অবস্থায় পেলাম যে, তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং মুশরিকরা তাঁর নাক-কান কেটে নিয়েছে।

ফলে কেউ তাঁকে চিনতে পারেনি। কেবল তাঁর বোন তাঁকে তাঁর আঙ্গুলের পাব দেখে চিনেছিল।’ আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন যে, ’আমরা ধারণা করতাম যে, (সূরা আহযাবের ২৩নং এই আয়াত তাঁর ও তাঁর মত লোকদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে। “মুমিনদের মধ্যে কিছু আল্লাহর সঙ্গে তাদের কৃত অঙ্গীকার পূরণ করেছে, ওদের কেউ কেউ নিজ কর্তব্য পূর্ণরূপে সমাধা করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে। ওরা তাদের লক্ষ্য পরিবর্তন করেনি।” (বুখারী ও মুসলিম, মুজাহাদা পরিচ্ছেদ ১৫/১১১ নং হাদিস দ্রঃ) [1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَنهُ، قَالَ: غَابَ عَمِّي أَنَسُ بنُ النَّضْرِ رضي الله عنه عَن قِتَالِ بَدْرٍ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، غِبْتُ عَنْ أَوَّلِ قِتَالٍ قَاتَلْتَ المُشْرِكِينَ، لَئِنِ اللهُ أَشْهَدَنِي قِتَالَ المُشْرِكِينَ لَيَرَيَنَّ اللهُ مَا أَصْنَعُ . فَلَمَّا كَانَ يَومُ أُحُدٍ انْكَشَفَ المُسْلِمُونَ فَقَالَ: اَللهم إنِّي أَعْتَذِرُ إِلَيْكَ مِمَّا صَنَعَ هَؤُلاءُ - يَعنِي: أَصْحَابَهُ - وَأَبْرَأُ إلَيْكَ مِمَّا صَنَعَ هؤُلاءِ - يَعنِي: المُشْرِكِينَ - ثُمَّ تَقَدَّمَ فَاسْتَقْبَلَهُ سَعْدُ بنُ مُعَاذٍ رضي الله عنه فَقَالَ: يَا سَعَدَ بنَ مُعَاذٍ رضي الله عنه، الجَنَّةَ وَرَبِّ النَّضْرِ، إنِّي أَجِدُ رِيحَهَا مِنْ دُونِ أُحُدٍ ! فَقَالَ سَعْدٌ: فَمَا اسْتَطَعْتُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا صَنَعَ ! قَالَ أَنَسٌ: فَوَجدْنَا بِهِ بِضعاً وَثَمَانِينَ ضَربَةً بِالسَّيْفِ، أَوْ طَعْنَةً برُمح أَوْ رَمْيةً بِسَهْمٍ، وَوَجَدْنَاهُ قَدْ قُتِلَ وَمَثَّلَ بِهِ المُشْرِكُونَ، فَمَا عَرَفَهُ أَحَدٌ إِلاَّ أُخْتُهُ بِبَنَانِهِ . قَالَ أَنَسٌ: كُنَّا نَرَى - أَوْ نَظُنُّ - أَنَّ هَذِهِ الآية نَزَلتْ فِيهِ وَفي أَشْبَاهِهِ: ﴿ من المؤمنين رجال صدقوا ما عاهدوا الله عليه فمنهم من قضى نحبه﴾ [الاحزاب: ٢٣] إِلَى آخرها . متفقٌ عَلَيْهِ، وَقَدْ سبق في باب المجاهدة

وعنه، قال: غاب عمي انس بن النضر رضي الله عنه عن قتال بدر، فقال: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، غبت عن اول قتال قاتلت المشركين، لىن الله اشهدني قتال المشركين ليرين الله ما اصنع . فلما كان يوم احد انكشف المسلمون فقال: اللهم اني اعتذر اليك مما صنع هولاء - يعني: اصحابه - وابرا اليك مما صنع هولاء - يعني: المشركين - ثم تقدم فاستقبله سعد بن معاذ رضي الله عنه فقال: يا سعد بن معاذ رضي الله عنه، الجنة ورب النضر، اني اجد ريحها من دون احد ! فقال سعد: فما استطعت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم ما صنع ! قال انس: فوجدنا به بضعا وثمانين ضربة بالسيف، او طعنة برمح او رمية بسهم، ووجدناه قد قتل ومثل به المشركون، فما عرفه احد الا اخته ببنانه . قال انس: كنا نرى - او نظن - ان هذه الاية نزلت فيه وفي اشباهه: ﴿ من المومنين رجال صدقوا ما عاهدوا الله عليه فمنهم من قضى نحبه﴾ [الاحزاب: ٢٣] الى اخرها . متفق عليه، وقد سبق في باب المجاهدة

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Anas (May Allah be pleased with him) reported:
My uncle Anas bin An- Nadr (May Allah be pleased with him) was absent from the battle of Badr. He said: "O Messenger of Allah! I was absent from the first battle you fought against the pagans. (By Allah!) if Allah gives me a chance to fight against the pagans, no doubt, Allah will see how (bravely) I will fight." On the Day of Uhud, when the Muslims turned their backs and fled, he said, "O Allah! I apologize to You for what these (i.e., his companions) have done, and I denounce what these (i.e., the pagans) have done." Then he advanced and Sa'd bin Mu'adh met him. He said: "O Sa'd bin Mu'adh! By the Rubb of An-Nadr, Jannah! I am smelling its aroma coming from before (the mountain of) Uhud," Later on, Sa'd said: "O Messenger of Allah! I cannot achieve or do what he (i.e., Anas bin An-Nadr) did. We found more than eighty wounds by swords, spears and arrows on his body. We found him dead and his body was mutilated so badly that none except his sister could recognise him by his finger." We used to think that the following Ayah was revealed concerning him and other men of his sort: "Among the believers are men who have been true to their covenant with Allah (i.e., they have gone out for Jihad, and showed not their backs to the disbelievers), of them some have fulfilled their obligations (i.e., have been martyred)." (33:23).


Commentary: This Hadith has been mentioned earlier. It was clarified there by Imam An-Nawawi that the word "Layarayann-Allahu'' has been mentioned in two forms. The translation given above accords with its first form. In its second form, it means "Allah will manifest to the people what I will do''. Through these words Anas bin Nadr expressed, in very cautious words, his determination to fight chivalrously but refrained from making any claim or pretension. Here, we have a lesson that if one intends to do a good deed, he should not make any tall claims about it but do it with his utmost effort when it is time to do it. Almighty Allah will certainly make it manifest to the people. On the contrary, if one does it for name and fame, the deed will go waste because then it will be suffused with hypocrisy rather than sincerity. For further notes please see the Commentary on Hadith No. 109.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد)