পরিচ্ছেদঃ ৫৭: অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ
৩/৫২৯। হাকীম ইবনে হিযাম রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কিছু চাইলে তিনি আমাকে দিলেন। আবার চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন। আবার চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন। অতঃপর বললেন, ’’হে হাকীম! এ সম্পদ শ্যামল-সুমিষ্ট। যে ব্যক্তি (লোভহীন) প্রশস্ত হৃদয়ে তা গ্রহণ করবে, তার জন্য তাতে বরকত দেওয়া হবে। আর যে ব্যক্তি অন্তরের লোভসহ গ্রহণ করবে, তার জন্য তাতে বরকত দেওয়া হবে না। আর সে হবে এমন ব্যক্তির মত, যে খায় কিন্তু তার ক্ষুধা মেটে না। উপর হাত নিচু হাত হতে উত্তম।’’ (দাতা গ্রহীতা হতে উত্তম।) হাকীম বলেন, আমি বললাম, ’যিনি আপনাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন, তাঁর কসম! ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনার পর মৃত্যু পর্যন্ত আমি কারো কাছ থেকে কিছু গ্রহণ করব না।’
তারপর আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হাকীমকে অনুদান গ্রহণের জন্য ডাকতেন, কিন্তু তাঁর নিকট থেকে কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকার করতেন। অতঃপর উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু তাঁকে কিছু দেওয়ার জন্য ডাকলেন, কিন্তু তিনি তাঁর নিকট থেকেও কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন। উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বললেন, ’’হে মুসলিমগণ! হাকীমের ব্যাপারে আমি তোমাদেরকে সাক্ষী বানাচ্ছি যে, আমি তাঁর কাছে ’ফাই’ থেকে তাঁর প্রাপ্য পেশ করছি, কিন্তু সে তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করছে।’’ (সত্য সত্যই) হাকীম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কোন মানুষের নিকট থেকে কিছু গ্রহণ করেননি। (বুখারী ও মুসলিম) [1]
(’ফাই’ সেই মালকে বলা হয়, যা বিনা যুদ্ধে শত্রুপক্ষ ত্যাগ করে পালিয়ে যায় অথবা যা সন্ধির মাধ্যমে লাভ হয়। পক্ষান্তরে যে মাল দস্তুরমত যুদ্ধ করে জয়যুক্ত হয়ে অর্জিত হয় তাকে ’মালে গনীমত’ বলা হয়।)
بَابُ الْقَنَاعَةِ وَالْعَفَافِ وَالْاِقْتِصَادِفِي الْمَعِيْشَةِ إِنْفَاقِ وَذَمِّ السُّؤَالِ مِنْ غَيْرِ ضَرُوْرَةٍ - (57)
وَعَن حَكِيمِ بنِ حِزَامٍ رضي الله عنه، قَالَ: سألتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَأعْطَانِي، ثُمَّ سَألْتُهُ فَأَعْطَانِي، ثُمَّ سَألْتُهُ فَأعْطَانِي، ثُمَّ قَالَ: «يَا حَكِيم، إنَّ هَذَا المَالَ خَضِرٌ حُلْوٌ، فَمَنْ أخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفسٍ بُورِكَ لَهُ فِيهِ، وَمَنْ أخَذَهُ بإشرَافِ نَفسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ، وَكَانَ كَالَّذِي يَأكُلُ وَلاَ يَشْبَعُ، وَاليَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ اليَدِ السُّفْلَى» قَالَ حَكِيم: فَقُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالحَقِّ لاَ أرْزَأُ أحَداً بَعْدَكَ شَيْئاً حَتَّى أُفَارِقَ الدُّنْيَا، فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ رضي الله عنه يَدْعُو حَكيماً لِيُعْطِيَه العَطَاء، فَيَأبَى أنْ يَقْبَلَ مِنْهُ شَيْئاً، ثُمَّ إنَّ عُمَرَ رضي الله عنه دَعَاهُ لِيُعْطِيَه فَأَبَى أنْ يَقْبَلَهُ. فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ المُسْلِمِينَ، أُشْهِدُكُمْ عَلَى حَكيمٍ أنّي أعْرِضُ عَلَيْهِ حَقَّهُ الَّذِي قَسَمَهُ اللهُ لَهُ في هَذَا الفَيءِ فَيَأبَى أَنْ يَأخُذَهُ . فَلَمْ يَرْزَأْ حَكِيمٌ أحَداً مِنَ النَّاسِ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى تُوُفِّي . متفقٌ عَلَيْهِ
(57) Chapter: Contentment and Self-esteem and avoidance of unnecessary begging of People
Hakim bin Hizam (May Allah be pleased with him) reported:
I begged Messenger of Allah (ﷺ) and he gave me; I begged him again and he gave me. I begged him again and he gave me and said, "O Hakim, wealth is pleasant and sweet. He who acquires it with self-contentment, it becomes a source of blessing for him; but it is not blessed for him who seeks it out of greed. He is like one who goes on eating but his hunger is not satisfied. The upper hand is better than the lower one." I said to him, "O Messenger of Allah, by Him Who sent you with the Truth I will not, after you, ask anyone for anything till I leave this world." So Abu Bakr (May Allah be pleased with him) would summon Hakim (May Allah be pleased with him) to give his rations, but he would refuse. Then 'Umar (May Allah be pleased with him) would call him but he would decline to accept anything. So 'Umar (May Allah be pleased with him) said addressing Muslims: "O Muslims, I ask you to bear testimony that I offer Hakim his share of the booty that Allah has assigned for him but he refuses my offer." Thus Hakim did not accept anything from anyone after the death of Messenger of Allah (ﷺ), till he died.
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: Man constantly remains engaged in hoarding wealth and there comes no point of termination to this process. Rather, the more he gets it, the more he is overpowered by lust for it till he is carried to the grave. If man gets wealth in a dignified way without being crazy for it, ethics certainly allows him to do so.