৫২৩

পরিচ্ছেদঃ ৫৬: উপবাস, রুক্ষ ও নীরস জীবন যাপন করা, পানাহার ও পোশাক ইত্যাদি মনোরঞ্জনমূলক বস্তুতে অল্পে তুষ্ট হওয়া এবং প্রবৃত্তির দাসত্ব বর্জন করার মাহাত্ম্য

২৮/৫২৩। আবূ আব্দুল্লাহ জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে (এক অভিযানে) পাঠালেন এবং আবূ উবাইদাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-কে আমাদের নেতা বানালেন। (আমাদেরকে পাঠানোর উদ্দেশ্য ছিল,) আমরা যেন কুরাইশের এক কাফেলার পশ্চাদ্ধাবন করি। তিনি আমাদেরকে পাথেয় সরূপ এক থলি খেজুর দিলেন। আমাদেরকে দেওয়ার মত এ ছাড়া অন্য কিছু পেলেন না। সুতরাং আবূ উবাইদাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু আমাদেরকে একটি একটি করে খেজুর দিতেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ’আপনারা সেটা দিয়ে কী করতেন?’ তিনি বললেন, ’আমরা তা বাচ্চার চুষার মত চুষতাম, তারপর পানি পান করতাম। সুতরাং এটা আমাদের জন্য সারাদিন রাত পর্যন্ত যথেষ্ট হত। আর আমরা লাঠি দ্বারা গাছের পাতা ঝরাতাম, তারপর তা পানিতে ভিজিয়ে খেতাম।

আমরা (একবার) সমুদ্র উপকূলে পথ চলছিলাম, অতঃপর সমুদ্রতীরে বালির বড় ঢিবির মত একটি জিনিস দেখতে পেলাম। এরপর তার কাছাকাছি এসে দেখলাম যে, একটা বড় জন্তু, যাকে আম্বার (মাছ) বলা হয়।’ আবূ উবাইদাহ বললেন, ’এটা তো মৃত (ফলে তা আমাদের জন্য অবৈধ)।’ পুনরায় তিনি বললেন, ’না (অবৈধ নয়) বরং আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দূত এবং আল্লাহর পথে (বের হয়েছি) আর তোমরা (এখন) নিরুপায়, সেহেতু খাও।’

সুতরাং আমরা তিনশ’জন লোক একমাস তারই দ্বারা জীবনধারণ করলাম, এমনকি শেষ পর্যন্ত আমরা মোটা হয়ে গেলাম। আমরা ঐ জন্তুর চোখের গর্ত থেকে ঘড়া ঘড়া তেল বের করতাম এবং বলদের মত মাংসের ফালি কাটতাম। একদা আবূ উবাইদাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু আমাদের মধ্য হতে তেরো জনকে নিয়ে ঐ মাছের একটি চোখের কোটরে বসিয়ে দিলেন। আর তার পাঁজরের একখানি হাড় নিয়ে দাঁড় করালেন।

অতঃপর তিনি আমাদের সব চেয়ে বড় উটটার উপর হাওদা চাপিয়ে তার নীচে দিয়ে পার করে দিলেন। আমরা তার মাংস ফালি পাথেয় স্বরূপ সাথে নিলাম। অতঃপর যখন আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম এবং তাঁর কাছে ঐ মাছের কথা আলোচনা করলাম, তখন তিনি বললেন, ’’তা জীবিকা ছিল, যা আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য বের করেছিলেন। আমাদেরকে খাওয়ানোর মত তোমাদের কাছে তার কিছু মাংস আছে কি?’’ (এ কথা শুনে) আমরা তাঁর নিকট কিছু মাংস পাঠালাম, সুতরাং তিনি তা ভক্ষণ করলেন। (মুসলিম) [1]

بَابُ فَضْلِ الْجُوْعِ وَخُشُوْنَةِ الْعَيْشِ وَالْاِقْتِصَارِ عَلَى الْقَلِيْلِ مِنَ الْمَأْكُوْلِ وَالْمَشْرُوْبِ وَالْمَلْبُوْسِ وَغَيْرِهَا مِنْ حُظُوْظِ النَّفْسِ وَتَرْكِ الشَّهَوَاتِ - (56)

وَعَن أَبي عَبدِ اللهِ جَابِرِ بنِ عَبدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: بَعَثَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، وَأمَّرَ عَلَيْنَا أَبَا عُبَيْدَةَ رضي الله عنه، نَتَلَقَّى عِيراً لِقُرَيْشٍ، وَزَوَّدَنَا جِرَاباً مِنْ تَمْرٍ لَمْ يَجِدْ لَنَا غَيْرَهُ، فَكَانَ أَبو عُبيدَةَ يُعْطِينَا تَمْرَةً تَمْرَةً، فَقِيلَ: كَيْفَ كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ بِهَا ؟ قَالَ: نَمَصُّهَا كَمَا يَمَصُّ الصَّبي، ثُمَّ نَشْرَبُ عَلَيْهَا مِنَ الْمَاءِ، فَتَكْفِينَا يَوْمَنَا إِلَى اللَّيْلِ، وَكُنَّا نَضْرِبُ بِعِصيِّنَا الخَبَطَ، ثُمَّ نَبُلُّهُ بِالماءِ فَنَأكُلُهُ . قَالَ: وَانْطَلَقْنَا عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ، فَرُفِعَ لَنَا عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ كَهَيْئَةِ الكَثِيبِ الضَّخْمِ، فَأَتَيْنَاهُ فَإذَا هِيَ دَابَّةٌ تُدْعَى الْعَنْبَرَ، فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ: مَيْتَةٌ، ثُمَّ قَالَ: لاَ، بَلْ نَحْنُ رُسُلُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَفِي سَبِيلِ اللهِ وَقَدِ اضْطُرِرْتُمْ فَكُلُوا، فَأقَمْنَا عَلَيْهِ شَهْراً، وَنَحْنُ ثَلاَثُمِئَةٍ حَتَّى سَمِنَّا، وَلَقَدْ رَأيْتُنَا نَغْتَرِفُ مِن وَقْبِ عَيْنِهِ بِالقِلاَلِ الدُّهْنَ وَنَقْطَعُ مِنْهُ الفِدَرَ كالثَّوْرِ أَوْ كَقَدْرِ الثَّوْرِ، وَلَقَدْ أَخَذَ مِنَّا أَبُو عُبَيْدَةَ ثَلاثَةَ عَشَرَ رَجُلاً فَأقْعَدَهُمْ في وَقْبِ عَيْنِهِ وَأخَذَ ضِلْعاً مِنْ أضْلاَعِهِ فَأقَامَهَا ثُمَّ رَحَلَ أعْظَمَ بَعِيرٍ مَعَنَا فَمَرَّ مِنْ تَحْتهَا وَتَزَوَّدْنَا مِنْ لَحْمِهِ وَشَائِقَ، فَلَمَّا قَدِمْنَا المَدِينَةَ أَتَيْنَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ:« هُوَ رِزْقٌ أخْرَجَهُ اللهُ لَكُمْ، فَهَلْ مَعَكُمْ مِنْ لَحْمِهِ شَيْءٌ فَتُطْعِمُونَا ؟ » فَأرْسَلْنَا إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُ فَأكَلَهُ . رواه مسلم

وعن ابي عبد الله جابر بن عبد الله رضي الله عنهما، قال: بعثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، وامر علينا ابا عبيدة رضي الله عنه، نتلقى عيرا لقريش، وزودنا جرابا من تمر لم يجد لنا غيره، فكان ابو عبيدة يعطينا تمرة تمرة، فقيل: كيف كنتم تصنعون بها ؟ قال: نمصها كما يمص الصبي، ثم نشرب عليها من الماء، فتكفينا يومنا الى الليل، وكنا نضرب بعصينا الخبط، ثم نبله بالماء فناكله . قال: وانطلقنا على ساحل البحر، فرفع لنا على ساحل البحر كهيىة الكثيب الضخم، فاتيناه فاذا هي دابة تدعى العنبر، فقال ابو عبيدة: ميتة، ثم قال: لا، بل نحن رسل رسول الله صلى الله عليه وسلم، وفي سبيل الله وقد اضطررتم فكلوا، فاقمنا عليه شهرا، ونحن ثلاثمىة حتى سمنا، ولقد رايتنا نغترف من وقب عينه بالقلال الدهن ونقطع منه الفدر كالثور او كقدر الثور، ولقد اخذ منا ابو عبيدة ثلاثة عشر رجلا فاقعدهم في وقب عينه واخذ ضلعا من اضلاعه فاقامها ثم رحل اعظم بعير معنا فمر من تحتها وتزودنا من لحمه وشاىق، فلما قدمنا المدينة اتينا رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فذكرنا ذلك له، فقال:« هو رزق اخرجه الله لكم، فهل معكم من لحمه شيء فتطعمونا ؟ » فارسلنا الى رسول الله صلى الله عليه وسلم منه فاكله . رواه مسلم

(56) Chapter: Excellence of Simple Living and being Content with Little


Jabir bin 'Abdullah (May Allah be pleased with them) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) sent us in an expedition under the command of Abu 'Ubaidah (May Allah be pleased with him) to intercept a caravan of the Quraish. He provided us with a bag of dates, apart from which he found nothing for us. Abu 'Ubaidah (May Allah be pleased with him) gave each of us one date (every day). He (the narrator) was asked: "What did you do with that?" He said: We sucked that just like a baby and then drank water over that, and it was sufficient for us for the day until night. We beat off leaves with the help of our sticks, then drenched them with water and ate them. We then went to the seaside, when there appeared before us something like a big mound. We came near it and we found that it was a beast called Al-Anbar. Abu 'Ubaidah (May Allah be pleased with him) said: "It is dead (so it useless for us)." He then said: "No (but it does not matter), we have been sent by Messenger of Allah (ﷺ) in the way of Allah and you are hard-pressed (on account of the scarcity of food), so you can eat that." We, three hundred in number, stayed there for a month until we fattened up (having plenty to eat of that fish). He (Jabir) said: I saw how we extracted pitcher after pitcher full of fat from the cavity of its eye, and sliced from it compact piece of meat equal to a bull or almost like a bull. Abu 'Ubaidah (May Allah be pleased with him) called thirteen men from us and he made them sit in the cavity of its eye, and he held one of its ribs and raised it erect and then saddled the biggest of the camels we had with us and it passed through it (the arched rib), and we carried large pieces of meat for use in our journey. When we came back to Al-Madinah we went to Messenger of Allah (ﷺ) and told him about that, whereupon he said, "That was a sustenance Allah had brought forth for you. Do you have any piece of meat left with you, for us to eat." Jabir (May Allah be pleased with him) said: We sent to Messenger of Allah (ﷺ) some of that (meat) and he ate it.

[Muslim].

Commentary: This Hadith also points to the economic pinch from which the Companions suffered in the early
phase of Islam. They braved it patiently. Secondly, The blessing came to them in the sense that each one of them was patient enough to live on a single date-fruit and water in twenty-four hours. Thirdly, it emphasizes that according to the circumstances, there is always room for Ijtihad (independent juristic reasoning). First Abu 'Ubaidah (May Allah be pleased with him) hesitated, but later he established a different opinion on the basis of his Ijtihad and decided to use the body of the giant fish as food. Fourthly, it provides us a proof of the sacrifice of the Companions that Allah miraculously granted them such a huge sea-fish that a group of three hundred people kept eating for one month. Fifthly, it tells us that a sea-carrion is a lawful food as indicated in another Hadith: "The water of the sea and its carrion are both Halal.'' Sixthly, this particular fish, like the whale, is a gigantic phenomenon which is normally about 50 feet long.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)