পরিচ্ছেদঃ ৪৬ : আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কারো সাথে ভালবাসা রাখার মাহাত্ম্য এবং তার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও যে ব্যক্তি অন্য কাউকে ভালবাসে তাকে সে ব্যাপারে অবহিত করা ও কী বলে অবহিত করবে তার বিবরণ
২/৩৮১। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ তা’আলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না; (তারা হল,) ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (রাষ্ট্রনেতা), সেই যুবক যার যৌবন আল্লাহ আয্যা অজাল্লার ইবাদতে অতিবাহিত হয়, সেই ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদসমূহের সাথে লটকে থাকে (মসজিদের প্রতি তার মন সদা আকৃষ্ট থাকে।)
সেই দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে বন্ধুত্ব ও ভালবাসা স্থাপন করে; যারা এই ভালবাসার উপর মিলিত হয় এবং এই ভালবাসার উপরেই চিরবিচ্ছিন্ন (তাদের মৃত্যু) হয়। সেই ব্যক্তি যাকে কোন কুলকামিনী সুন্দরী (অবৈধ যৌন-মিলনের উদ্দেশ্যে) আহ্বান করে, কিন্তু সে বলে, ’আমি আল্লাহকে ভয় করি।’ সেই ব্যক্তি যে দান করে গোপন করে; এমনকি তার ডান হাত যা প্রদান করে, তা তার বাম হাত পর্যন্তও জানতে পারে না। আর সেই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে; ফলে তার উভয় চোখে অশ্রু বয়ে যায়।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]
بَابُ فَضْلِ الْحُبِّ فِي اللهِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ وَإِعْلاَمِ الرَّجُلِ مَنْ يُحِبُّهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ، وَمَاذَا يَقُوْلُ لَهُ إِذَا أَعْلَمَهُ - (46)
وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عن النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللهُ في ظِلِّهِ يَوْمَ لاَ ظِلَّ إلاَّ ظِلُّهُ : إمَامٌ عَادِلٌ، وَشَابٌّ نَشَأ في عِبَادَةِ الله - عز وجل -، وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ بِالمَسَاجِدِ، وَرَجُلاَنِ تَحَابّا في اللهِ اجْتَمَعَا عَلَيهِ وتَفَرَّقَا عَلَيهِ، وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأةٌ ذَاتُ مَنصَبٍ وَجَمَالٍ، فَقَالَ : إنِّي أخَافُ الله، وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ، فَأخْفَاهَا حَتَّى لاَ تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ، وَرَجُلٌ ذَكَرَ الله خَالِياً فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ. مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
(46) Chapter: Excellence and Etiquette of Sincere love for the sake of Allah
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Seven are (the persons) whom Allah will give Shade of His Thrown on the Day when there would be no shade other than His Throne's Shade: A just ruler; a youth who grew up worshipping Allah; a man whose heart is attached to mosques; two persons who love and meet each other and depart from each other for the sake of Allah; a man whom an extremely beautiful woman seduces (for illicit relation), but he (rejects this offer by saying): 'I fear Allah'; a man who gives in charity and conceals it (to such an extent) that the left hand does not know what the right has given; and a person who remembers Allah in solitude and his eyes well up".
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith mentions seven types of people whom Almighty Allah provides special protection or His Throne's Shade. In some Ahadith this blessing has also been promised for some noble actions over and above those which have been mentioned here. Some `Ulama' including As-Sakhkhawi and Al-Hafiz Ibn Hajar have given a list of seventy such actions. Imam As-Suyuti said: "The (present) Hadith mentions only seven qualities to bring into prominence their importance and also the importance of acting upon them'.
পরিচ্ছেদঃ ৪৬ : আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কারো সাথে ভালবাসা রাখার মাহাত্ম্য এবং তার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও যে ব্যক্তি অন্য কাউকে ভালবাসে তাকে সে ব্যাপারে অবহিত করা ও কী বলে অবহিত করবে তার বিবরণ
৩/৩৮২। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন বলবেন, ’আমার মহিমা ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পরস্পরকে যারা ভালবেসেছিল তারা কোথায়? আজকের দিন আমি তাদেরকে আমার ছায়ায় আশ্রয় দেব, যেদিন আমার (আরশের) ছায়া ছাড়া অন্য কোনো ছায়া নেই।’’ (মুসলিম) [1]
بَابُ فَضْلِ الْحُبِّ فِي اللهِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ وَإِعْلاَمِ الرَّجُلِ مَنْ يُحِبُّهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ، وَمَاذَا يَقُوْلُ لَهُ إِذَا أَعْلَمَهُ - (46)
وَعَنهُ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «إنّ الله تَعَالَى يَقُولُ يَوْمَ القِيَامَةِ : أيْنَ المُتَحَابُّونَ بِجَلاَلِي ؟ اليَوْمَ أُظِلُّهُمْ فِي ظِلِّي يَوْمَ لاَ ظِلَّ إلاَّ ظِلِّي». رواه مسلم
(46) Chapter: Excellence and Etiquette of Sincere love for the sake of Allah
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "On the Day of Resurrection, Allah, the Exalted, will say: 'Where are those who have mutual love for the sake of My Glory? Today I shall shelter them in My Shade when there will be no shade except Mine".
[Muslim].
Commentary: It should be borne in mind that the shade referred to in the Hadith is the shade of Allah's Throne. Referring to this shade in the Arabic text as the Shade of Allah, is similar to the `she camel of Allah,' the `land of Allah' `the house of Allah' that are mentioned in the Qur'an. (Editor's Note)
পরিচ্ছেদঃ ৪৬ : আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কারো সাথে ভালবাসা রাখার মাহাত্ম্য এবং তার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও যে ব্যক্তি অন্য কাউকে ভালবাসে তাকে সে ব্যাপারে অবহিত করা ও কী বলে অবহিত করবে তার বিবরণ
৪/৩৮৩। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’সেই সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে! তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে না; যতক্ষণ না তোমরা মু’মিন হবে। এবং তোমরা মু’মিন হতে পারবে না; যে পর্যন্ত না তোমরা পরস্পরে ভালবাসা রাখবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন কাজ বলে দেব না, যখন তোমরা তা করবে, তখন তোমরা একে অপরকে ভালবাসতে লাগবে? তোমরা পরস্পরের মধ্যে সালাম প্রচার কর।’’ (মুসলিম) [1]
بَابُ فَضْلِ الْحُبِّ فِي اللهِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ وَإِعْلاَمِ الرَّجُلِ مَنْ يُحِبُّهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ، وَمَاذَا يَقُوْلُ لَهُ إِذَا أَعْلَمَهُ - (46)
وَعَنهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «والَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لاَ تَدْخُلُوا الجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا، وَلاَ تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا، أوَلاَ أدُلُّكُمْ عَلَى شَيْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ ؟ أفْشُوْا السَّلَامَ بَيْنَكُمْ». رواه مسلم
(46) Chapter: Excellence and Etiquette of Sincere love for the sake of Allah
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "By Him in Whose Hand my soul is! You will not enter Jannah until you believe, and you shall not believe until you love one another. May I inform you of something, if you do, you love each other. Promote greeting amongst you (by saying As-salamu 'alaikum to one another)".
[Muslim].
Commentary: In this Hadith, Islam has been regarded as the medium of mutual love. This is the reason Muslims have been enjoined to greet each other regardless of acquaintance. It does not, however, mean that a Muslim will be a true believer or entitled to Jannah, by mere greeting. What it really means is that his Faith will become meaningful only when it is supported by actions. Greeting is an Islamic custom and a practical form and demonstration of it. The combination of Faith and its practice will take a Muslim to Jannah.
পরিচ্ছেদঃ ৪৬ : আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কারো সাথে ভালবাসা রাখার মাহাত্ম্য এবং তার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও যে ব্যক্তি অন্য কাউকে ভালবাসে তাকে সে ব্যাপারে অবহিত করা ও কী বলে অবহিত করবে তার বিবরণ
৫/৩৮৪। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’এক ব্যক্তি অন্য কোন গ্রামে তার ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য বের হল। আল্লাহ তা’আলা তার রাস্তায় এক ফিরিশ্তাকে বসিয়ে দিলেন, তিনি তার অপেক্ষা করতে থাকলেন।’’ অতঃপর বাকী হাদীস উল্লেখ করে বললেন, ’’আল্লাহ তা’আলা তোমাকে ভালবাসেন যেমন তুমি তাকে আল্লাহর জন্য ভালবাস।’’ (মুসলিম) (৩৬৫ নং হাদীস দ্রষ্টব্য) [1]
بَابُ فَضْلِ الْحُبِّ فِي اللهِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ وَإِعْلاَمِ الرَّجُلِ مَنْ يُحِبُّهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ، وَمَاذَا يَقُوْلُ لَهُ إِذَا أَعْلَمَهُ - (46)
وَعَنه، عَنِ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم: «أنَّ رَجُلاً زَارَ أَخَاً لَهُ في قَريَة أُخْرَى، فَأرْصَدَ الله تَعَالَى عَلَى مَدْرَجَتِهِ مَلَكاً»، وَذَكَرَ الحدِيثَ إلى قَولِهِ: « إِنَّ اللهَ قَدْ أَحَبَّكَ كَمَا أحْبَبْتَهُ فِيهِ». رواه مسلم
(46) Chapter: Excellence and Etiquette of Sincere love for the sake of Allah
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "A man set out to visit a brother (in Faith) in another town and Allah sent an angel on his way. When the man met the angel, the latter asked him, "Where do you intend to go?" He said, "I intend to visit my brother in this town". The angel said, "Have you done any favour to him?" He said, "No, I have no desire except to visit him because I love him for the sake of Allah, the Exalted, and Glorious." Thereupon the angel said, "I am a messenger to you from Allah (to inform you) that Allah loves you as you love him (for His sake)".
[Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ৪৬ : আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কারো সাথে ভালবাসা রাখার মাহাত্ম্য এবং তার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও যে ব্যক্তি অন্য কাউকে ভালবাসে তাকে সে ব্যাপারে অবহিত করা ও কী বলে অবহিত করবে তার বিবরণ
৬/৩৮৫। বারা’ ইবনু আযিব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসার সম্পর্কে বলেছেন, ’’তাদেরকে কেবলমাত্র মু’মিনই ভালোবাসে এবং তাদের প্রতি কেবলমাত্র মুনাফিকই বিদ্বেষ রাখে। যে ব্যক্তি তাদেরকে ভালবাসবে, আল্লাহও তাকে ভালবাসবেন। আর যে ব্যক্তি তাদের প্রতি বিদ্বেষ রাখবে, আল্লাহও তার প্রতি বিদ্বেষ রাখবেন।’’(বুখারী-মুসলিম) [1]
بَابُ فَضْلِ الْحُبِّ فِي اللهِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ وَإِعْلاَمِ الرَّجُلِ مَنْ يُحِبُّهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ، وَمَاذَا يَقُوْلُ لَهُ إِذَا أَعْلَمَهُ - (46)
وَعَنِ البَرَاءِ بنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، عَنِ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم أنَّهُ قَالَ في الأنصَارِ: «لاَ يُحِبُّهُمْ إلاَّ مُؤمِنٌ، وَلاَ يُبْغِضُهُمْ إلاَّ مُنَافِقٌ، مَنْ أحَبَّهُمْ أَحَبَّهُ الله، وَمَنْ أبْغَضَهُمْ أبْغَضَهُ الله». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
(46) Chapter: Excellence and Etiquette of Sincere love for the sake of Allah
Al-Bara' bin 'Azib (May Allah be pleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) said about the Ansar: "Only a believer loves them, and only a hypocrite hates them. Allah loves him who loves them and Allah hates him who hates them".
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: The way the Ansar or Helpers, faithfully served Islam, Muslims and the Prophet (PBUH), constitutes not only one of the brightest chapters of Islamic history but also makes them a model of excellent conduct and
character. Almighty Allah rewarded them for their devotion to Islam with immense love for Faith - the love which became a symbol of their Faith and love for Allah. Not only that, because of this devotion of the Ansar, everyone who entertained jealousy and hatred against them was declared a hypocrite by Allah. There were two famous tribes, namely Al-Aus and Al-Khazraj in Al-Madinah. In the pre-Islamic days they were enemies to each other. When they embraced Islam, they became close brothers. They welcomed the Muhajirun (the Emigrants) with open arms and rendered every possible assistance to them. For this reason they were named Ansar. May Allah be pleased with them and they be pleased with Him.
পরিচ্ছেদঃ ৪৬ : আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কারো সাথে ভালবাসা রাখার মাহাত্ম্য এবং তার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও যে ব্যক্তি অন্য কাউকে ভালবাসে তাকে সে ব্যাপারে অবহিত করা ও কী বলে অবহিত করবে তার বিবরণ
৭/৩৮৬। মু’আয রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’’আমার মর্যাদার ওয়াস্তে যারা আপোসে ভালবাসা স্থাপন করবে, তাদের (বসার) জন্য হবে নূরের মিম্বর; যা দেখে নবী ও শহীদগণ ঈর্ষা করবেন।’’(তিরমিযী, হাসান সূত্রে) [1]
بَابُ فَضْلِ الْحُبِّ فِي اللهِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ وَإِعْلاَمِ الرَّجُلِ مَنْ يُحِبُّهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ، وَمَاذَا يَقُوْلُ لَهُ إِذَا أَعْلَمَهُ - (46)
وَعَن مُعَاذٍ رضي الله عنه، قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: قَالَ اللهُ - عَزَّ وَجَلَّ - : المُتَحَابُّونَ في جَلالِي، لَهُمْ مَنَابِرُ مِنْ نُورٍ يَغْبِطُهُمُ النَّبِيُّونَ وَالشُّهَدَاءُ. رواه الترمذي، وَقالَ: حديث حسن صحيح
(46) Chapter: Excellence and Etiquette of Sincere love for the sake of Allah
Mu'adh (bin Jabal) (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah, the Exalted, has said: 'For those who love one another for the sake of My Glory, there will be seats of light (on the Day of Resurrection), and they will be envied by the Prophets and martyrs".
[At- Tirmidhi].
Commentary: This Hadith tells us that Allah will grant an exalted position to such people who love one another for His sake. "They will be envied by the Prophets and martyrs'' does not mean that they will be granted a place higher than even the Prophets because the highest position will be granted to the Prophets, as these are the best of Allah's creation. These words simply draw our attention to the superiority and the exalted position those who love one another for Allah's sake will have on the Day of Resurrection.
পরিচ্ছেদঃ ৪৬ : আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কারো সাথে ভালবাসা রাখার মাহাত্ম্য এবং তার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও যে ব্যক্তি অন্য কাউকে ভালবাসে তাকে সে ব্যাপারে অবহিত করা ও কী বলে অবহিত করবে তার বিবরণ
৮/৩৮৭। আবূ ইদ্রীস খাওলানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি দিমাশকের মসজিদে প্রবেশ করে এক যুবককে দেখতে পেলাম, তাঁর সামনের দাঁতগুলি খুবই চকচকে এবং তাঁর সঙ্গে কিছু লোকও (বসে) রয়েছে। যখন তারা কোনো বিষয়ে মতভেদ করছে, তখন (সিদ্ধান্তের জন্য) তাঁর দিকে রুজু করছে এবং তাঁর মত গ্রহণ করছে। সুতরাং আমি তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম (যে, ইনি কে)? (আমাকে) বলা হল যে, ’ইনি মু’আয ইবনু জাবাল।’ অতঃপর আগামী কাল আমি আগেভাগেই মসজিদে গেলাম। কিন্তু দেখলাম সেই (যুবকটি) আমার আগেই পৌঁছে গেছেন এবং তাঁকে নামাযরত অবস্থায় পেলাম। সুতরাং তাঁর নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করলাম।
অতঃপর আমি তাঁর সামনে এসে তাঁকে সালাম দিলাম। তারপর বললাম, ’আল্লাহর কসম! আমি আপনাকে আল্লাহর ওয়াস্তে ভালবাসি।’ তিনি বললেন, ’আল্লাহর কসম?’ আমি বললাম, ’আল্লাহর কসম।’ পুনরায় তিনি বললেন, ’আল্লাহর কসম?’ আমি বললাম, ’আল্লাহর কসম।’ অতঃপর তিনি আমার চাদরের আঁচল ধরে আমাকে তাঁর দিকে টানলেন, তারপর বললেন, ’সুসংবাদ নাও।’
কারণ, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ’আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, ’’আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য যারা পরস্পরের মধ্যে মহব্বত রাখে, একে অপরের সঙ্গে বসে, একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ এবং একে অপরের জন্য খরচ করে, তাদের জন্য আমার মহব্বত ও ভালবাসা ওয়াজেব হয়ে যায়।’’(মুওয়াত্তা বিশুদ্ধ সূত্রে) [1]
بَابُ فَضْلِ الْحُبِّ فِي اللهِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ وَإِعْلاَمِ الرَّجُلِ مَنْ يُحِبُّهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ، وَمَاذَا يَقُوْلُ لَهُ إِذَا أَعْلَمَهُ - (46)
وَعَن أَبي إِدرِيسَ الخَولاَني رَحِمَهُ الله، قَالَ :دخَلْتُ مَسْجِدَ دِمَشْقَ، فَإذَا فَتَىً بَرَّاقُ الثَّنَايَا وَإِذَا النَّاسُ مَعَهُ، فَإِذَا اخْتَلَفُوا في شَيْءٍ، أَسْنَدُوهُ إِلَيْه، وَصَدَرُوا عَنْ رَأيِهِ، فَسَأَلْتُ عَنْهُ، فَقِيلَ : هَذَا مُعَاذُ بْنُ جَبَل رضي الله عنه. فَلَمَّا كَانَ مِنَ الغَدِ، هَجَّرْتُ، فَوَجَدْتُهُ قَدْ سَبَقَنِي بالتَّهْجِيرِ، ووَجَدْتُهُ يُصَلِّي، فانْتَظَرتُهُ حَتَّى قَضَى صَلاتَهُ، ثُمَّ جِئْتُهُ مِنْ قِبَلِ وَجْهِهِ، فَسَلَّمْتُ عَلَيهِ، ثُمَّ قُلْتُ : وَاللهِ إنّي لأَحِبُّكَ لِلّهِ، فَقَالَ : آلله ؟ فَقُلْتُ : اللهِ، فَقَالَ : آللهِ ؟ فَقُلْتُ : اللهِ، فَأخَذَنِي بِحَبْوَةِ رِدَائِي، فجبذني إِلَيْهِ، فَقَالَ : أبْشِرْ ! فإنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: قَالَ الله تَعَالَى: وَجَبَتْ مَحَبَّتي لِلْمُتَحَابِّينَ فِيَّ، وَالمُتَجَالِسينَ فِيَّ، وَالمُتَزَاوِرِينَ فِيَّ، وَالمُتَبَاذِلِينَ فِيَّ .حديث صحيح رواه مالك في الموطأ بإسناده الصحيح
(46) Chapter: Excellence and Etiquette of Sincere love for the sake of Allah
Abu Idris Al-Khaulani (May Allah had mercy upon him) reported:
I once entered the mosque in Damascus. I happened to catch sight of a young man who had bright teeth (i.e., he was always seen smiling). A number of people had gathered around him. When they differed over anything they would refer it to him and act upon his advice. I asked who he was and I was told that he was Mu'adh bin Jabal (May Allah be pleased with him) The next day I hastened to the mosque, but found that he had arrived before me and was busy in performing Salat. I waited until he finished, and then went to him from the front, greeted him with Salam and said to him, "By Allah I love you." He asked, "For the sake of Allah?" I replied, "Yes, for the sake of Allah". He again asked me, "Is it for Allah's sake?" I replied, "Yes, it is for Allah's sake." Then he took hold of my cloak, drew me to himself and said, "Rejoice,! I heard Messenger of Allah (ﷺ) saying, 'Allah, the Exalted, says: My love is due to those who love one another for My sake, meet one another for My sake, visit one another for My sake and spend in charity for My sake".
[Malik].
Commentary: Besides the merit of mutual affection, contact and co-operation for the pleasure of Allah, this Hadith tells us that one should disclose one's affection to him whom one loves. It also tells us that when a person is engaged in worship or daily round of recitation, his visitor should not sit before him so that his concentration is not affected. He should sit behind him and wait till he has finished his prayer. The Hadith also teaches us to approach someone from the front so as not to scare him.
পরিচ্ছেদঃ ৪৬ : আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কারো সাথে ভালবাসা রাখার মাহাত্ম্য এবং তার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও যে ব্যক্তি অন্য কাউকে ভালবাসে তাকে সে ব্যাপারে অবহিত করা ও কী বলে অবহিত করবে তার বিবরণ
৯/৩৮৮। আবূ কারীমা মিকদাদ ইবনু মা’দীকারিব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যখন কোন মানুষ তার ভাইকে ভালবাসে, তখন সে যেন তাকে জানিয়ে দেয় যে, সে তাকে ভালবাসে।’’ (তিরমিযী, হাসান সূত্রে) [1]
بَابُ فَضْلِ الْحُبِّ فِي اللهِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ وَإِعْلاَمِ الرَّجُلِ مَنْ يُحِبُّهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ، وَمَاذَا يَقُوْلُ لَهُ إِذَا أَعْلَمَهُ - (46)
وَعَن أَبي كَرِيمَةَ المِقدَادِ بنِ مَعدِ يكَرِب رضي الله عنه، عَنِ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: إِذَا أَحَبَّ الرَّجُلُ أخَاهُ، فَليُخْبِرْهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ - رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرمِذِي، وَقالَ: حديث صحيح
(46) Chapter: Excellence and Etiquette of Sincere love for the sake of Allah
Abu Karimah Al-Miqdad bin Ma'dikarib (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "When a man loves his brother (for Allah sake) let him tell him that he loves him".
[At- Tirmidhi and Abu Dawud].
Commentary: The wisdom behind informing someone that one loves him for the sake of Allah, is to make him aware of the regard shown to him so that this will turn into mutual affection and will, therefore, promote cooperation with each other.
পরিচ্ছেদঃ ৪৬ : আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কারো সাথে ভালবাসা রাখার মাহাত্ম্য এবং তার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও যে ব্যক্তি অন্য কাউকে ভালবাসে তাকে সে ব্যাপারে অবহিত করা ও কী বলে অবহিত করবে তার বিবরণ
১০/৩৮৯। মু’আয রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাত ধরে বললেন, ’’হে মু’আয! আল্লাহর শপথ! নিঃসন্দেহে আমি তোমাকে ভালবাসি। অতঃপর আমি তোমাকে অসিয়ত করছি, হে মু’আয! তুমি প্রত্যেক নামাযের পশ্চাতে এ শব্দগুলো বলা ছাড়বে না, ’আল্লা-হুম্মা আ’ইন্নী আলা যিকরিকা ওয়াশুকরিকা অহুসনি ইবা-দাতিক।’’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ! তোমার যিকর করার, তোমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার এবং উত্তমরূপে তোমার ইবাদত করার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য কর।) (আবূ দাউদ, নাসায়ী বিশুদ্ধ সূত্রে) [1]
بَابُ فَضْلِ الْحُبِّ فِي اللهِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ وَإِعْلاَمِ الرَّجُلِ مَنْ يُحِبُّهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ، وَمَاذَا يَقُوْلُ لَهُ إِذَا أَعْلَمَهُ - (46)
وَعَن مُعَاذٍ رضي الله عنه : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَخَذَ بِيَدِهِ، وَقَالَ: «يَا مُعَاذُ، وَاللهِ، إنِّي لأُحِبُّكَ، ثُمَّ أُوصِيكَ يَا مُعَاذُ لاَ تَدَعَنَّ في دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ تَقُولُ : اَللهم أعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ».حديث صحيح، رواه أَبُو داود والنسائي بإسناد صحيح
(46) Chapter: Excellence and Etiquette of Sincere love for the sake of Allah
Mu'adh (bin Jabal) (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) held my hand and said, "O Mu'adh, By Allah, I love you and advise you not to miss supplicating after every Salat (prayer) saying: 'Allahumma a'inni 'ala dhikrika wa shukrika, wa husni 'ibadatika,' (O Allah, help me remember You, expressing gratitude to You and worship You in the best manner)".
[Abu Dawud and An- Nasa'i].
Commentary: We learn from this Hadith the following:
1. It is commendable to inform those whom one loves for Allah's sake, of this love.
2. The superiority of Mu`adh.
3. It is commendable to say this Du`a after each obligatory Salat.
4. It is commendable to seek Allah's Help in order to discharge one's duties towards Allah in the best possible manner.
পরিচ্ছেদঃ ৪৬ : আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কারো সাথে ভালবাসা রাখার মাহাত্ম্য এবং তার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও যে ব্যক্তি অন্য কাউকে ভালবাসে তাকে সে ব্যাপারে অবহিত করা ও কী বলে অবহিত করবে তার বিবরণ
১১/৩৯০। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট (বসে) ছিল। অতঃপর এক ব্যক্তি তাঁর পাশ দিয়ে অতিক্রম করল। (যে বসেছিল) সে বলল, ’হে আল্লাহর রাসূল! নিঃসন্দেহে আমি একে ভালবাসি।’ (এ কথা শুনে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ’’তুমি কি (এ কথা) তাকে জানিয়েছ?’’ সে বলল, ’না।’ তিনি বললেন, ’’তাকে জানিয়ে দাও।’’ সুতরাং সে (দ্রুত) তার পিছনে গিয়ে (তাকে) বলল, ’আমি আল্লাহর ওয়াস্তে তোমাকে ভালবাসি।’ সে বলল, ’যাঁর ওয়াস্তে তুমি আমাকে ভালবাস, তিনি তোমাকে ভালবাসুন।’ (আবূ দাউদ, বিশুদ্ধ সূত্রে) [1]
بَابُ فَضْلِ الْحُبِّ فِي اللهِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ وَإِعْلاَمِ الرَّجُلِ مَنْ يُحِبُّهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ، وَمَاذَا يَقُوْلُ لَهُ إِذَا أَعْلَمَهُ - (46)
وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه : أنَّ رَجُلاً كَانَ عِنْدَ النَّبيِّ، صلى الله عليه وسلم، فَمَرَّ رَجُلٌ بِهِ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ الله، أنِّي لأُحِبُّ هَذَا، فَقَالَ لَهُ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم: أأعْلَمْتَهُ ؟ قَالَ : لاَ . قَالَ: «أعْلِمْهُ» فَلَحِقَهُ، فَقَالَ : إنِّي أُحِبُّكَ في الله، فَقَالَ : أَحَبَّكَ الَّذِي أحْبَبْتَنِي لَهُ . رواه أَبُو داود بإسناد صحيح
(46) Chapter: Excellence and Etiquette of Sincere love for the sake of Allah
Anas bin Malik (May Allah be pleased with him) reported:
A man was with the Prophet (ﷺ) when another man passed by and the former said: "O Messenger of Allah! I love this man (for Allah's sake)". Messenger of Allah (ﷺ) asked, "Have you informed him?" He said, "No". Messenger of Allah (ﷺ) then said, "Tell him (that you love him)". So he went up to the man and said to him, "I love you for the sake of Allah;" and the other replied, "May Allah, for Whose sake you love me, love you."
[Abu Dawud].
পরিচ্ছেদঃ ৪৭: বান্দাকে আল্লাহর ভালবাসার নিদর্শনাবলী, এমন নিদর্শন অবলম্বন করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা এবং তা অর্জন করার জন্য প্রয়াসী হওয়ার বিবরণ
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿ قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٣١ ﴾ [ال عمران: ٣١]
অর্থাৎ “বল, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর। ফলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করবেন। বস্তুত আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (সূরা আলে ইমরান ৩১ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مَن يَرۡتَدَّ مِنكُمۡ عَن دِينِهِۦ فَسَوۡفَ يَأۡتِي ٱللَّهُ بِقَوۡمٖ يُحِبُّهُمۡ وَيُحِبُّونَهُۥٓ أَذِلَّةٍ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى ٱلۡكَٰفِرِينَ يُجَٰهِدُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوۡمَةَ لَآئِمٖۚ ذَٰلِكَ فَضۡلُ ٱللَّهِ يُؤۡتِيهِ مَن يَشَآءُۚ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ ٥٤ ﴾ [المائدة: ٥٤]
অর্থাৎ “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্যে কেউ তার দ্বীন থেকে ফিরে গেলে আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায় আনয়ন করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন ও যারা তাঁকে ভালবাসবে, তারা হবে মুমিনদের প্রতি কোমল ও কাফেরদের প্রতি কঠোর। তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দায় ভয় করবে না, এ আল্লাহর অনুগ্রহ যাকে ইচ্ছা তিনি দান করেন। বস্তুত আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়।” (সূরা মায়েদাহ ৫৪ আয়াত)
১/৩৯১। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’’যে ব্যক্তি আমার কোনো বন্ধুর সাথে শত্রুতা করবে, তার বিরুদ্ধে আমার যুদ্ধের ঘোষণা রইল। আমার বান্দা যে সমস্ত জিনিস দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করে, তার মধ্যে আমার নিকট প্রিয়তম জিনিস হল তা, যা আমি তার উপর ফরয করেছি। (অর্থাৎ ফরযের দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করা আমার নিকটে বেশী পছন্দনীয়।) আর আমার বান্দা নফল ইবাদতের মাধ্যমে আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে, পরিশেষে আমি তাকে ভালবাসতে শুরু করি।
অতঃপর যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমি তার ঐ কান হয়ে যাই, যার দ্বারা সে শোনে, তার ঐ চোখ হয়ে যাই, যার দ্বারা সে দেখে, তার ঐ হাত হয়ে যাই, যার দ্বারা সে ধরে এবং তার ঐ পা হয়ে যাই, যার দ্বারা সে চলে। আর সে যদি আমার কাছে কিছু চায়, তাহলে আমি তাকে দেই এবং সে যদি আমার আশ্রয় চায়, তাহলে আমি অবশ্যই তাকে আশ্রয় দেই।’’(বুখারী) [1]
(’কান হয়ে যাই, যার দ্বারা সে শোনে, তার ঐ চোখ হয়ে যাই, যার দ্বারা সে দেখে, তার ঐ হাত হয়ে যাই, যার দ্বারা সে ধরে এবং তার ঐ পা হয়ে যাই, যার দ্বারা সে চলে।’ অর্থাৎ আমার সন্তুষ্টি মোতাবেক সে শোনে, দেখে, ধরে ও চলে।)
بَابُ عَلَامَاتِ حُبِّ اللهِ تَعَالٰى لِلْعَبْدِ وَالْحَثِّ عَلَى التَخَلُّقِ بِهَا وَالسَّعْيِ فِيْ تَحْصِيْلِهَا - (47)
عَن أبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «إنَّ الله تَعَالَى قَالَ: مَنْ عَادَى لِي وَلِيّاً فَقَدْ آذَنْتُهُ بالحَرْبِ، وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بشَيءٍ أَحَبَّ إلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيهِ، وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقرَّبُ إلَيَّ بالنَّوافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ، فَإذَا أَحبَبتُهُ كُنْتُ سَمعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ، وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ، ويَدَهُ الَّتي يَبْطِشُ بِهَا، وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشي بِهَا، وَإنْ سَأَلَني أعْطَيْتُهُ، وَلَئِنِ اسْتَعَاذَنِي لأُعِيذَنَّهُ ». رواه البخاري
(47) Chapter: Signs of Allah's love for His slaves and the efforts for its Achievement
Allah, the Exalted, says:
"Say (O Muhammad (PBUH) to mankind): `If you (really) love Allah then follow me (i.e., accept Islamic Monotheism, follow the Qur'an and the Sunnah), Allah will love you and forgive you of your sins. And Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.''' (3:31)
"O you who believe! Whoever from among you turns back from his religion (Islam), Allah will bring a people whom He will love and they will love Him; humble towards the believers, stern towards the disbelievers, fighting in the way of Allah, and never afraid of the blame of the blamers. That is the Grace of Allah which He bestows on whom He wills. And Allah is All-Sufficient for His creatures' needs, All-Knower.'' (5:54)
----
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah, the Exalted, has said: 'I will declare war against him who treats with hostility a pious worshipper of Mine. And the most beloved thing with which My slave comes nearer to Me, is what I have enjoined upon him; and My slave keeps on coming closer to Me through performing Nawafil (voluntary prayers or doing extra deeds besides what is obligatory) until I love him, (so much so that) I become his hearing with which he hears, and his sight with which he sees, and his hand with which he strikes, and his leg with which he walks; and if he asks Me something, I will surely give him, and if he seeks My Protection (refuge), I will surely protect him".
[Al-Bukhari]
Commentary: This Hadith tell us the status and distinctive signs of the favoured men of Allah ('Auliya' Allah) The Noble Qur'an has defined them as:
"Those who believed (in the Oneness of Allah) and used to fear Allah much (by abstaining from evil deeds and sins
and by doing righteous deeds)". (10:63).
According to this definition, every believer who really fears Allah is a favoured of Allah. It means that except for Faith and piety, favoured of Allah are neither people of the special kind nor have they any special distinctive signs, as is generally thought by some people. In this respect, the ignorance of the general public is shocking because they regard even such persons as favoured of Allah who not only neglect the religious obligations and the practice of the Prophet (PBUH), but also woefully lack cleanliness. Sometimes they call even mad or half-mad persons as favourites of Allah, whereas a Wali in the true sense is one who is meticulous about observing the obligations and is fearful of Allah.
This Hadith brings about the following four points:
Firstly, the love of those whom Allah loves entail the love of Allah, and hating them entails the hatred of Allah..
Secondly, when a true Muslim acquires nearness and love of Allah by means of performing religious obligations, supererogatory and voluntary prayers, Allah then becomes his special helper and protects his limbs and organs and does not let them work for His disobedience. Then he does not use any part of his body for things which are disliked by Him. It is wrong to infer from this Hadith, as men of heretical and polytheistic trend try to do, that Auliya'
become the eyes, ears, hands, feet, etc. of Allah. That is to say that Almighty Allah descends in them. Thus, on the basis of this contemptible reasoning, they conclude that it makes no difference whether one begs from Allah or Auliya because the two are one being. For such people supplicating "O Allah! Help us'', "O Prophet of Allah! Help us'' and "O Ali! Help us'' etc., are all right. One who says so has certainly gone astray, rather commits Shirk (polytheism). May Allah save us from these sins. According to the Hadith, a true pious man likes and adopts what is liked by Allah, and avoids all such things which are not liked by Him.
Thirdly, the performance of the obligatory acts of worshipping has the first and foremost importance for attaining the pleasure of Allah because their fulfillment is liked the most by Allah and also because they furnish the foundation, on which the edifice of Islam is built. As we cannot think of a building without foundation, similarly, we cannot think of voluntary worship without fulfilling the basic obligations. The fact is that one who neglects themceases to be a Muslim. This is the reason for the severe warnings of Allah to those who default on this account.
Those who neglect voluntary prayers have not been given any
warning. It is, however, true that their performance in
addition to the obligatory ones increases lustre of obligations. Nawafil (voluntary acts of worship) help one to attain the exalted place of being loved by Allah by virtue of which one is endowed with the special Help of Allah.
Fourthly, Almighty Allah certainly grants the prayers of those whom He loves. But acceptance of their prayers, however, does not mean that their results appear at once. Sometime the results of these prayers appear after a long time. The prayer of virtuous persons is certainly granted but whether it takes a long or short time depends solely on the Will of Allah.
পরিচ্ছেদঃ ৪৭: বান্দাকে আল্লাহর ভালবাসার নিদর্শনাবলী, এমন নিদর্শন অবলম্বন করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা এবং তা অর্জন করার জন্য প্রয়াসী হওয়ার বিবরণ
২/৩৯২। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ভালবাসেন, তখন তিনি জিবরীলকে ডেকে বলেন, ’নিশ্চয়ই আল্লাহ অমুককে ভালবাসেন, অতএব তুমিও তাকে ভালবাস।’ সুতরাং জিবরীলও তাকে ভালবাসতে শুরু করেন। অতঃপর তিনি আকাশবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করে দেন যে, ’আল্লাহ অমুক বান্দাকে ভালবাসেন। কাজেই তোমরাও তাকে ভালবাসো।’ তখন আকাশবাসীরা তাকে ভালবাসতে শুরু করে। অতঃপর পৃথিবীতেও তাকে গ্রহণযোগ্য করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, ’’আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ভালবাসেন, তখন তিনি জিবরীলকে ডেকে বলেন, ’নিশ্চয়ই আমি অমুককে ভালবাসি, অতএব তুমিও তাকে ভালবাস।’ তখন জিবরীলও তাকে ভালবাসতে শুরু করেন। অতঃপর তিনি আকাশবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করে দেন যে, ’আল্লাহ অমুক বান্দাকে ভালবাসেন। কাজেই তোমরাও তাকে ভালবাসো।’ তখন আকাশবাসীরা তাকে ভালবাসতে শুরু করে। অতঃপর পৃথিবীতেও তাকে গ্রহণযোগ্য করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
আর আল্লাহ তা’আলা যখন কোন বান্দাকে ঘৃণা করেন, তখন তিনি জিবরীলকে ডেকে বলেন, ’আমি অমুককে ঘৃণা করি, অতএব তুমিও তাকে ঘৃণা কর।’ তখন জিবরীল তাকে ঘৃণা করতে শুরু করেন। অতঃপর তিনি আকাশবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করে দেন যে, ’আল্লাহ অমুক বান্দাকে ঘৃণা করেন। কাজেই তোমরাও তাকে ঘৃণা কর।’ তখন আকাশবাসীরাও তাকে ঘৃণা করতে শুরু করে। অতঃপর পৃথিবীতেও তাকে ঘৃণ্য করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।’
بَابُ عَلَامَاتِ حُبِّ اللهِ تَعَالٰى لِلْعَبْدِ وَالْحَثِّ عَلَى التَخَلُّقِ بِهَا وَالسَّعْيِ فِيْ تَحْصِيْلِهَا - (47)
وَعَنهُ، عَنِ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: إِذَا أَحَبَّ اللهُ تَعَالَى العَبْدَ، نَادَى جِبْريلَ: إنَّ الله تَعَالَى يُحِبُّ فُلاناً، فَأَحْبِبْهُ، فَيُحِبُّهُ جِبريلُ، فَيُنَادِي في أَهْلِ السَّمَاءِ: إنَّ اللهَ يُحِبُّ فُلاناً، فَأحِبُّوهُ، فَيُحِبُّهُ أهْلُ السَّمَاءِ، ثُمَّ يُوضَعُ لَهُ القَبُولُ في الأرْضِ . متفق عليه .
وَفي رِوَايَةٍ لمسلم: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: إنَّ الله تَعَالى إِذَا أَحَبَّ عَبداً دَعَا جِبرِيلَ، فَقَالَ: إنّي أُحِبُّ فُلاَناً فأحْبِبهُ، فَيُحِبُّهُ جِبرِيلُ، ثمَّ يُنَادِي في السَّمَاءِ، فَيَقُولُ: إنَّ اللهَ يُحِبُّ فُلاَناً فَأَحِبُّوهُ، فَيُحِبُّهُ أَهلُ السَّمَاءِ، ثمَّ يُوضَعُ لهُ القَبُولُ في الأَرضِ، وَإِذَا أبْغَضَ عَبْداً دَعَا جِبْريلَ، فَيَقُولُ: إنّي أُبْغِضُ فُلاناً فَأبْغِضْهُ . فَيُبغِضُهُ جِبريلُ ثُمَّ يُنَادِي في أَهْلِ السَّماءِ: إنَّ اللهَ يُبْغِضُ فُلاناً فَأبْغِضُوهُ، فَيُبْغِضُهُ أَهْلُ السَّمَاءِ ثُمَّ تُوضَعُ لَهُ البَغْضَاءُ في الأَرْضِ
(47) Chapter: Signs of Allah's love for His slaves and the efforts for its Achievement
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "When Allah loves a slave, calls out Jibril and says: 'I love so-and-so; so love him'. Then Jibril loves him. After that he (Jibril) announces to the inhabitants of heavens that Allah loves so- and-so; so love him; and the inhabitants of the heavens (the angels) also love him and then make people on earth love him".
[Al- Bukhari and Muslim].
Another narration of Muslim is: Messenger of Allah, (ﷺ) said: "When Allah loves a slave, He calls Jibril (Gabriel) and says: 'I love so-and-so; so love him.' And then Jibril loves him. Then he (Jibril) announces in the heavens saying: Allah loves so-and-so; so love him; then the inhabitants of the heavens (the angels) also love him; and then people on earth love him. And when Allah hates a slave, He calls Jibril and says: 'I hate so- and-so, so hate him.' Then Jibril also hates him. He (Jibril) then announces amongst the inhabitants of heavens: 'Verily, Allah hates so- and-so, so you also hate him.' Thus they also start to hate him. Then he becomes the object of hatred on the earth also".
[Al- Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith mentions the reward of love for the sake of Allah. A person who loves for the sake of Allah is not only loved by Allah but also by the inhabitants of the earth as well as the heavens. On the other hand,
those who are hated by Allah are also hated by the inhabitants of the earth and the heavens. It must be borne in mind that they alone remain popular in this world who are righteous by nature - who strictly maintain the distinction
between the lawful and the unlawful (Ma`ruf and Munkar). But those whose nature is defected by constant sins, cease to distinguish between right and wrong and lose their credibility. They generally hate the pious persons for the
reason that every category of people loves and likes people of its own kind.
পরিচ্ছেদঃ ৪৭: বান্দাকে আল্লাহর ভালবাসার নিদর্শনাবলী, এমন নিদর্শন অবলম্বন করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা এবং তা অর্জন করার জন্য প্রয়াসী হওয়ার বিবরণ
৩/৩৯৩। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ’আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সাহাবীকে একটি মুজাহিদ দলের আমীর করে জিহাদে পাঠালেন। তিনি যখন নামাযে ইমামতি করতেন, তখনই (প্রত্যেক রাকআতে সূরা পড়ার পর) ’ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ (সূরা ইখলাস) দিয়ে (ক্বিরাআত) শেষ করতেন। মুজাহিদগণ সেই অভিযান থেকে প্রত্যাবর্তন করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে বিষয়টি আলোচনা করলেন। তিনি বললেন, ’’তাঁকে জিজ্ঞাসা কর, কেন সে এ কাজটি করেছে?’’ সুতরাং তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে বললেন, ’এই সূরাটিতে পরম করুণাময় (আল্লাহ)র গুণাবলী রয়েছে। এই জন্য সূরাটি তেলাওয়াত করতে আমি ভালবাসি।’ তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তাকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ তা’আলাও তাকে ভালবাসেন।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
بَابُ عَلَامَاتِ حُبِّ اللهِ تَعَالٰى لِلْعَبْدِ وَالْحَثِّ عَلَى التَخَلُّقِ بِهَا وَالسَّعْيِ فِيْ تَحْصِيْلِهَا - (47)
وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بَعَثَ رَجُلاً عَلٰى سَريَّةٍ فَكَانَ يَقْرَأُ لأَصْحَابِهِ في صَلاَتِهِمْ فَيَخْتِمُ بـ ( قُل هُوَ الله أَحَدٌ )، فَلَمَّا رَجَعُوا ذَكَرُوا ذلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: سَلُوهُ لأَيِّ شَيْءٍ يَصْنَعُ ذٰلِكَ» ؟ فَسَألُوهُ فَقَالَ: لأَنَّهَا صِفَةُ الرَّحْمٰنِ فَأَنَا أُحِبُّ أنْ أقْرَأ بِهَا . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: أخْبِرُوهُ أنَّ اللهَ تَعَالَى يُحِبُّهُ ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
(47) Chapter: Signs of Allah's love for His slaves and the efforts for its Achievement
'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
Messenger of Allah, (ﷺ) appointed a man in charge of an army unit who led them in Salat (prayer); he always concluded his recitation with Surat Al-Ikhlas: "Say (O Muhammad (ﷺ)): 'He is Allah, (the) One. Allah-us-Samad (Allah - the Self-Sufficient). He begets not, nor was He begotten. And there is none equal or comparable to Him."' (112:1-4) Upon their return to Al-Madinah, they mentioned this to Messenger of Allah (ﷺ), who said, "Ask him why he does so?" He was asked and he said, "This Surah contains the Attributes of Allah, the Gracious, and I love to recite it. Messenger of Allah (ﷺ) then told them, "Tell him that Allah loves him".
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: We learn from the Hadith the following:
1. The Companions always rushed to the Prophet (PBUH) to ask his opinion about anything they noticed strange to them.
2. The superiority of Surat Al-Ikhlas as it clarifies points of Tauhid.
3. The permissibility to recite two Surah during Salat, apart from Surat Al-Fatihah, in one single Rak`ah.
4. The permissibility of reciting the same Surah over and over again, as this Sahabi (Companion) who led the Salat used to recite Surat Al-Ikhlas after each recitation.
পরিচ্ছেদঃ ৪৮: নেক লোক, দুর্বল ও গরীব মানুষদেরকে কষ্ট দেওয়া থেকে ভীতিপ্রদর্শন
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿ وَٱلَّذِينَ يُؤۡذُونَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ بِغَيۡرِ مَا ٱكۡتَسَبُواْ فَقَدِ ٱحۡتَمَلُواْ بُهۡتَٰنٗا وَإِثۡمٗا مُّبِينٗا ٥٨ ﴾ [الاحزاب: ٥٨]
অর্থাৎ “যারা বিনা অপরাধে বিশবাসী পুরুষ ও নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ এবং স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে।” সূরা আহযাব ৫৮ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ فَأَمَّا ٱلۡيَتِيمَ فَلَا تَقۡهَرۡ ٩ وَأَمَّا ٱلسَّآئِلَ فَلَا تَنۡهَرۡ ١٠ ﴾ [الضحا: ٩، ١٠]
অর্থাৎ “অতএব তুমি পিতৃহীনের প্রতি কঠোর হয়ো না। এবং ভিক্ষুককে ধমক দিও না।” (সূরা যুহা ৯-১০ আয়াত)
এই পরিচ্ছেদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বহু হাদীস রয়েছে। তার মধ্যে ৯৬ নং হাদীস, যাতে বলা হয়েছে, ’’নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোন বন্ধুর সাথে শত্রুতা করবে, তার সঙ্গে আমার যুদ্ধের ঘোষণা রইল।’’
যেমন ২৬৬ নং হাদীসটিও এই পরিচ্ছেদের সাথে সম্পর্ক রাখে; যাতে বলা হয়েছে, ’’সম্ভবতঃ তুমি তাদেরকে (অর্থাৎ সালমান, সুহাইব ও বিলালকে) অসন্তুষ্ট করেছ। তুমি যদি তাদেরকে অসন্তুষ্ট করে থাক, তাহলে তুমি তোমার প্রতিপালককে অসন্তুষ্ট করেছ।’’
১/৩৯৪। জুন্দুব ইবনু আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি ফজরের নামায (জামাআতে) পড়ল, সে আল্লাহর জামানতে চলে এল। সুতরাং আল্লাহ যেন অবশ্যই তোমাদের কাছে তার জামানতের কিছু দাবী না করেন। কারণ, যার কাছেই তিনি তাঁর জামানতের কিছু দাবী করবেন, তাকে পাকড়াও করবেন। অতঃপর তিনি তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’’ (মুসলিম)[1] (বলা বাহুল্য, যে নামায পড়ে সে আল্লাহর জামানতে। সুতরাং সে সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র।)
بَابُ التَّحْذِيْرِ مِنْ إِيْذَاءِ الصَّالِحِيْنَ وَالضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ - (48)
وَعَن جُندُبِ بنِ عَبدِ اللهِ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم: « مَنْ صَلَّى صَلاةَ الصُّبْحِ فَهُوَ في ذِمَّةِ الله فَلاَ يَطْلُبَنَّكُمُ الله مِنْ ذِمَّته بشَيءٍ، فَإنَّهُ مَنْ يَطْلُبْهُ منْ ذمَّته بشَيءٍ يُدْركْهُ، ثُمَّ يَكُبُّهُ عَلَى وَجْهِهِ في نَارِ جَهَنَّمَ ». رواه مسلم
(48) Chapter: Warning against persecution of the Pious, the Weak and the Indigent
Allah, the Exalted, says:
"And those who annoy believing men and women undeservedly, they bear (on themselves) the crime of slander and plain sin.'' (33:58)
"Therefore, treat not the orphan with oppression. And repulse not the beggar.'' (93:9,10)
----
Jundub bin Abdullah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who performs the Fajr (dawn) prayer comes under the Protection of Allah, so beware lest Allah questions you about what you owe Him. For if He questions anyone of you and he falls short of fulfilling the duty which he owes Him, He will requite and then throw upon his face into the Hell- fire".
[Muslim].
Commentary: A Muslim who performs Fajr prayer receives the protection of Allah. But he who does not fall short of fulfilling the duty which he to owes Allah. It also serves a warning in case of not observing such duty, Allah will demand failing to it. If He does, Hell will be the requital. This highlights the merit of performing the Fajr prayer with congregation, while the second warns a Muslim that since he has started that day by a pledge with Allah, he must keep it for the full day and abstain from doing anything which goes against it.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯: লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরীণ অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿ فَإِن تَابُواْ وَأَقَامُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُاْ ٱلزَّكَوٰةَ فَخَلُّواْ سَبِيلَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٥ ﴾ [التوبة: ٥]
অর্থাৎ “কিন্তু যদি তারা তওবা করে, যথাযথ নামায পড়ে ও যাকাত প্রদান করে, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও।” (সূরা তওবাহ ৫ আয়াত)
১/৩৯৫। ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’আমাকে লোকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে; যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। আর তারা নামায প্রতিষ্ঠা করবে ও যাকাত প্রদান করবে। যখন তারা এ কাজগুলো সম্পাদন করবে, তখন তারা আমার নিকট থেকে তাদের রক্ত (জান) এবং মাল বাঁচিয়ে নেবে; কিন্তু ইসলামের হক ব্যতীত (অর্থাৎ সে যদি কাউকে হত্যা করে, তবে তার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তাকে হত্যা করা হবে।) আর তাদের হিসাব আল্লাহর উপর ন্যস্ত হবে।’’[1] (বুখারী ও মুসলিম)
بَابُ إِجْرَاءِ أَحْكَامِ النَّاسِ عَلَى الظَّاهِرِ وَسَرَائِرِهِمْ إِلَى اللهِ تَعَالٰى - (49)
وَعنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: »أُمِرْتُ أنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أنْ لاَ إِلٰهَ إلاَّ الله، وَأنَّ مُحَمَّداً رَسُولُ الله، وَيُقيمُوا الصَّلاةَ، وَيُؤتُوا الزَّكَاةَ، فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءهُمْ وَأمْوَالَهُمْ إلاَّ بحَقِّ الإسْلاَمِ، وَحِسَابُهُمْ عَلَى الله تَعَالَى». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
(49) Chapter: Making Judgment of people keeping in view their evident actions and leaving their hidden Actions to Allah (swt)
Allah, the Exalted, says:
"But if they repent and perform As-Salat (Iqamat-As-Salat), and give Zakat, then leave their way free. Verily, Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.'' (9:5)
----
'Abdullah bin 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "I have been commanded (by Allah) to fight people until they testify that there is no true god except Allah, and that Muhammad is the Messenger of Allah, and perform Salat and pay Zakat. If they do so, they will have protection of their blood and property from me except when justified by Islam, and then account is left to Allah".
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith brings out the following three points:
1. The objective of Jihad. This objective warrants that one must struggle against Kufr (disbelief) and Shirk (polytheism) and the worship of falsehood in all its forms. Jihad has to continue until this objective is achieved. This contention is supported by a Hadith, to the effect that Jihad will continue till the Day of Resurrection. In this Hadith the word (An-Nas) translated above as "people" stands for the polytheists and idolaters. The reason being that other Nasus (pl. of Nass, meaning `text') confirm the exemption of Ahl-ul-Kitab (people of the Scriptures) from it subject to the condition that they agree to pay Jizyah (dues imposed by Islam on the people of the Book living under the
protection of an Islamic state) and submit to the Muslim rule. The Arab pagans have only the choice to either embrace Islam or face war. In the latter case, it is incumbent on the Mulsims to wage Jihad against them to wipe out Kufr and Shirk and raise the banner of Tauhid everywhere.
This Hadith strongly refutes the people who distort the Islamic concept of Jihad and hold that Islam preaches defensive war only. It is an apologetic approach because defensive war has to be fought in any case by every nation and country. Thus, it is a compulsion and needs no justification. The real distinction of Islam lies in its enjoining Muslims to wage war for upholding the truth beside fighting for their own defense. The domination of Kufr, Shirk and falsehood is darkness, heresy and tyranny, and the objective of Islam is to purge the world of all these evils. It aims at liberating man from the worship of man, set them on the path of worship of Allah, and to provide a just and equitable society to mankind. Wherever in the world there is tyranny, ignorance and heresy, Muslims are bound to
fight such evils and finish them by means of Jihad. There is also a third form of Jihad which is waged against countries where Muslims are victims of aggression, suppression and cruelties of the non-Muslims. It is incumbent upon Muslims to liberate their brethren in Faith from the clutches of the non-Muslims by means of Jihad. So long Muslims performed this obligation with a sense of duty, Islam and its followers were dominant in the world and ever since they have ignored this obligation, both are in subjugation and disgrace. In other words, the secret of power and stability of Muslims lies in Jihad. Muslims need to understand this secret like their ancestors.
2. Life and property of every person is secured after his joining the fold of Islam. He will, however, be subject to the law of Islam, one of which is payment of Zakat. If he murders any Muslim, he will also be killed in return, unless the heirs of the victim pardon the murderer or accept blood-money (Diyah) for it.
3. When a person embraces Islam, the laws of Shari`ah apply to him according to his apparent condition only. His heart will not be probed for this purpose. In case, he is not sincere or he has some design in joining the fold of Islam, no action will be taken against him until guilt is fully proved. What he has in his heart will be left to Allah Who will pass judgement on his intention on the Day of Resurrection. This Hadith is related to this chapter for its third point. In their debate on this point, some `Ulama' have contended that such people who believe in Tauhid and obey the injunctions of Shari`ah are not to be declared as infidels.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯: লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরীণ অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে।
২/৩৯৬। আবূ আব্দুল্লাহ ত্বারেক ইবনু আশয়্যাম রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’যে ব্যক্তি ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্যকে অস্বীকার করল, তার মাল ও রক্ত হারাম হয়ে গেল ও তার (অন্তরের) হিসাব আল্লাহর দায়িত্বে।’’(মুসলিম) [1]
بَابُ إِجْرَاءِ أَحْكَامِ النَّاسِ عَلَى الظَّاهِرِ وَسَرَائِرِهِمْ إِلَى اللهِ تَعَالٰى - (49)
وَعَن أَبي عَبدِ اللهِ طَارِقِ بنِ أَشْيَمَ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «مَنْ قَالَ لاَ إِلٰهَ إلاَّ الله، وَكَفَرَ بما يُعْبَدُ مِنْ دُونِ اللهِ، حَرُمَ مَالُهُ وَدَمُهُ، وَحِسَابُهُ عَلَى الله تَعَالَى ». رواه مسلم
(49) Chapter: Making Judgment of people keeping in view their evident actions and leaving their hidden Actions to Allah (swt)
Abu Abdullah bin Tariq bin Ashyam (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who professes La ilaha illallah (There is no true god except Allah), and denies of everything which the people worship besides Allah, his property and blood become inviolable, and it is for Allah to call him to account".
[Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ৪৯: লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরীণ অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে।
৩/৩৯৭। আবূ মা’বাদ মিকদাদ ইবনু আসওয়াদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললাম, ’’আপনি বলুন, যদি আমি কোন কাফেরের সম্মুখীন হই এবং পরস্পরের মধ্যে লড়ি, অতঃপর সে তরবারি দিয়ে আমার হাত কেটে দেয়, তারপর আমার (পাল্টা) আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সে একটি গাছের আশ্রয় নিয়ে বলে, ’আমি আল্লাহর ওয়াস্তে ইসলাম গ্রহণ করলাম।’ তার এ কথা বলার পর হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি তাকে হত্যা করব?’’
তিনি বললেন, ’’তাকে হত্যা করো না।’’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! সে আমার একটি হাত কেটে ফেলবে। কাটার পর সে ঐ কথা বলবে তাও?’ তিনি বললেন, ’’তুমি তাকে হত্যা করো না। যদি তুমি তাকে হত্যা কর, তাহলে (মনে রাখ) সে তোমার সেই মর্যাদা পেয়ে যাবে, যাতে তুমি তাকে হত্যা করার পূর্বে ছিলে। আর তুমি তার ঐ কথা বলার পূর্বের অবস্থায় উপনীত হবে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
بَابُ إِجْرَاءِ أَحْكَامِ النَّاسِ عَلَى الظَّاهِرِ وَسَرَائِرِهِمْ إِلَى اللهِ تَعَالٰى - (49)
وَعَن أَبي مَعبَدٍ المِقدَادِ بنِ الأسْوَدِ رضي الله عنه، قَالَ: قُلْتُ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم: أرَأيْتَ إنْ لَقِيتُ رَجُلاً مِنَ الكُفَّارِ، فَاقْتتَلْنَا، فَضَرَبَ إحْدَى يَدَيَّ بِالسَّيْفِ، فَقَطَعَها، ثُمَّ لاَذَ مِنِّي بِشَجَرَةٍ، فَقَالَ: أسْلَمْتُ لِلّهِ، أَأَقْتُلُهُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ أنْ قَالَهَا ؟ فَقَالَ: «لاَ تَقْتُلهُ » فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَطَعَ إحْدَى يَدَيَّ، ثُمَّ قَالَ ذَلِكَ بَعْدَ مَا قَطَعَهَا ؟! فَقَالَ: لا تَقتُلْهُ، فإنْ قَتَلْتَهُ فَإنَّهُ بِمَنْزِلَتِكَ قَبْلَ أنْ تَقْتُلَهُ، وَإنَّكَ بِمَنْزِلَتِهِ قَبْلَ أنْ يَقُولَ كَلِمَتَهُ الَّتِي قَالَ - مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
(49) Chapter: Making Judgment of people keeping in view their evident actions and leaving their hidden Actions to Allah (swt)
Al-Miqdad bin Al-Aswad (May Allah be pleased with him) reported:
I said, "Tell me, O Messenger of Allah, if I meet an infidel, and we fight together, and he cuts off my hands with his sword, then hides from me behind a tree and (then) says he has submitted himself to Allah. Shall I kill him after he has said it?" He (ﷺ) replied, "Do not kill him." I submitted, "But O Messenger of Allah, he cut off one of my hands and only then he said it." Messenger of Allah (ﷺ) then replied, "Do not kill him, for if you do so, he will be in the position in which you were before you killed him (i.e., he will be considered a Muslim and thus his life will be inviolable), and you will be in the position in which he was before he made his testimony (i.e., your life will not be inviolable, for his heirs can ask for Qisas)".
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith tells us that injunctions of Islam will be enforced on a person according to his apparent condition not his insight. The reason being that nobody is capable of knowing the insight of others. When a person professes Islam, we have to accept him a Muslim; and it will be our duty to protect his life and property. If, in spite of knowing that his life and property are sacred, a Muslim murders him, then it will be quite fair for the heirs of the victim to have Qisas for the murder. If the murderer poses ignorance or takes shelter of some reason, then he will be liable for Diyah only. The Prophet (PBUH) arranged payment of Diyah to the heirs of the victim in the case mentioned in this Hadith because some of the Companions of the Prophet (PBUH) had advanced the argument that the murderer had slain the victim on the presumption that he had professed Islam just to save his life.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯: লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরীণ অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে।
৪/৩৯৮। উসামা ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে জুহাইনা গোত্রের এক শাখা হুরাকার দিকে পাঠালেন। অতঃপর আমরা সকাল সকাল পানির ঝর্নার নিকট তাদের উপর আক্রমণ করলাম। (যুদ্ধ চলাকালীন) আমি ও একজন আনসারী তাদের এক ব্যক্তির পিছনে ধাওয়া করলাম। যখন আমরা তাকে ঘিরে ফেললাম, তখন সে ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল। আনসারী থেমে গেলেন, কিন্তু আমি তাকে আমার বল্লম দিয়ে গেঁথে দিলাম। এমনকি শেষ পর্যন্ত তাকে হত্যা করে ফেললাম। অতঃপর যখন আমরা মদ্বীনা পৌঁছলাম, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ খবর পৌঁছল।
তিনি বললেন, ’’হে উসামা! তার ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার পরেও কি তুমি তাকে হত্যা করেছ?’’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! সে প্রাণ বাঁচানোর জন্য এরূপ করেছে।’ পুনরায় তিনি বললেন, ’’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার পরও তুমি তাকে খুন করেছ?’’ তিনি আমার সামনে এ কথা বারবার বলতে থাকলেন। এমনকি আমি আকাঙ্ক্ষা করলাম যে, যদি আজকের পূর্বে আমি ইসলাম গ্রহণ না করতাম (অর্থাৎ এখন আমি মুসলিম হতাম)। (বুখারী ও মুসলিম) [1]
অন্য এক বর্ণনায় আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’সে কি ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলেছে এবং তুমি তাকে হত্যা করেছ?’’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! সে কেবলমাত্র অস্ত্রের ভয়ে এই (কলেমা) বলেছে।’ তিনি বললেন, ’’তুমি কি তার অন্তর চিরে দেখেছিলে যে, সে এ (কলেমা) অন্তর থেকে বলেছিল কি না?’’ অতঃপর একথা পুনঃ পুনঃ বলতে থাকলেন। এমনকি আমি আকাঙ্ক্ষা করলাম যে, যদি আমি আজ মুসলিম হতাম।
بَابُ إِجْرَاءِ أَحْكَامِ النَّاسِ عَلَى الظَّاهِرِ وَسَرَائِرِهِمْ إِلَى اللهِ تَعَالٰى - (49)
وَعَن أُسَامَةَ بنِ زَيدٍ رَضِيَ الله عَنهُمَا، قَالَ: بَعَثَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِلَى الْحُرَقَةِ مِنْ جُهَيْنَةَ فَصَبَّحْنَا القَوْمَ عَلَى مِيَاهِهِمْ، وَلَحِقْتُ أنَا وَرَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ رَجُلاً مِنْهُمْ، فَلَمَّا غَشَيْنَاهُ، قَالَ: لاَ إِلٰهَ إلاَّ الله، فَكفَّ عَنْهُ الأَنْصَارِي، وطَعَنْتُهُ برُمْحِي حَتَّى قَتَلْتُهُ، فَلَمَّا قَدِمْنَا المَدِينَةَ، بَلَغَ ذلِكَ النَّبيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي: «يَا أُسَامَة، أقَتَلْتَهُ بَعْدَ مَا قَالَ لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ ؟! » قُلْتُ: يَا رَسُولَ الله، إِنَّمَا كَانَ مُتَعَوِّذاً، فَقَالَ: «أقَتَلْتَهُ بَعْدَ مَا قَالَ لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ ؟! » فَمَا زَالَ يُكَرِّرُهَا عَلَيَّ حَتَّى تَمنْيَّتُ أنِّي لَمْ أكُنْ أسْلَمْتُ قَبْلَ ذلِكَ اليَوْمِ . مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
وفي رواية: فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: أقالَ: لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَقَتَلْتَهُ ؟! قُلْتُ: يَا رَسُولَ الله، إِنَّمَا قَالَهَا خَوْفاً مِن السِّلاحِ، قَالَ: « أَفَلاَ شَقَقْتَ عَنْ قَلْبِهِ حَتَّى تَعْلَمَ أَقَالَهَا أمْ لاَ ؟! فمَا زَالَ يُكَرِّرُهَا حَتَّى تَمَنَّيْتُ أنِّي أسْلَمْتُ يَوْمَئذٍ.
(49) Chapter: Making Judgment of people keeping in view their evident actions and leaving their hidden Actions to Allah (swt)
Usamah bin Zaid (May Allah be pleased with them) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) sent us to Huraqat, a tribe of Juhainah. We attacked that tribe early in the morning and defeated them, (then) a man from the Ansar and I caught hold of a man (of the defeated tribe). When we overcame him, he said: 'La ilaha illallah (There is no true god except Allah).' At that moment, the Ansari spared him, but I attacked him with my spear and killed him. By the time we went back to Al-Madinah, news had already reached Messenger of Allah (ﷺ). He said to me, "O Usamah, did you kill him after he professed La ilaha illallah (There is no true god except Allah)?" I said, "O Messenger of Allah! He professed it only to save his life." Messenger of Allah (ﷺ) repeated, "Did you kill him after he had professed La ilaha illallah?" He went on repeating this to me until I wished I had not embraced Islam before that day (so that I would have not committed this sin).
[Al-Bukhari and Muslim].
Another narration is: Messenger of Allah (ﷺ) said, "Did you kill him in spite of his professing La ilaha illallah?" I said, "O Messenger of Allah! He said out of fear of our arms." He (ﷺ) said, "Why did you not cut his heart open to find out whether he had done so sincerely or not?" He continued repeating it until I wished that I had embraced Islam only that day.
Commentary: The relevance of this Hadith with the present chapter is evident from the fact that it stresses that injunctions of Islam will be enforced on every Muslim according to his apparent condition. It is a very wise course indeed for the reason that it has closed the door of retaliation; otherwise, everyone could kill his enemy on the
pretext that the victim was not sincere in his profession of Islam. In order to rule out the possibility of any such mischief, probing into the true condition of the heart is ruled out. A Muslim has to be treated according to his apparent condition only.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯: লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরীণ অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে।
৫/৩৯৯। জুনদুব ইবনু আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিম মুজাহিদ্বীনের একটি দল এক মুশরিক সম্প্রদায়ের দিকে পাঠালেন। তাদের পরস্পরের মধ্যে মুকাবেলা হল। মুশরিকদের মধ্যে একটি লোক ছিল সে যখন কোনো মুসলিমকে হত্যা করার ইচ্ছা করত, তখন সুযোগ পেয়ে তাঁকে হত্যা করে দিত। (এ অবস্থা দেখে) একজন মুসলিম (তাকে খুন করার জন্য) তার অমনোযোগিতার সুযোগ গ্রহণ করলেন। আমরা পরস্পরের মধ্যে বলাবলি করছিলাম যে, উনি হলেন উসামা ইবনু যায়দ। (অতঃপর যখন সুযোগ পেয়ে) উসামা তরবারি উত্তোলন করলেন, তখন সে বলল, ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। কিন্তু তিনি তাকে হত্যা করে দিলেন। অতঃপর (মুসলিমদের যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সংবাদ নিয়ে) সুসংবাদবাহী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এল। তিনি তাকে (যুদ্ধের ব্যাপারে) জিজ্ঞাসা করলেন। সে তাঁকে (সমস্ত) সংবাদ দিল।
এমনকি শেষ পর্যন্ত সে ঐ ব্যক্তিরও খবর অবহিত করল। তিনি উসামাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করে বললেন, ’’তুমি কেন তাকে হত্যা করেছ?’’ উসামা বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! সে মুসলিমদেরকে খুবই কষ্ট দিয়েছে এবং অমুক অমুককে হত্যাও করেছে।’ উসামা কিছু লোকের নামও নিলেন। ’(এ দেখে) আমি তার উপর হামলা করলাম। অতঃপর সে যখন তরবারি দেখল, তখন বলল, ’’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তুমি তাকে হত্যা করে দিয়েছ?’’ তিনি বললেন, ’জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ’’কিয়ামতের দিন যখন ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আসবে, তখন তুমি কী করবে?’’ উসামা বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমার জন্য (আল্লাহর কাছে) ক্ষমা প্রার্থনা করুন।’ তিনি বললেন, ’’কিয়ামতের দিন যখন ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আসবে, তখন তুমি কী করবে?’’ (তিনি বারংবার একথা বলতে থাকলেন এবং) এর চেয়ে বেশী কিছু বললেন না, ’’কিয়ামতের দিন যখন ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আসবে, তখন তুমি কী করবে?’’(মুসলিম)[1]
بَابُ إِجْرَاءِ أَحْكَامِ النَّاسِ عَلَى الظَّاهِرِ وَسَرَائِرِهِمْ إِلَى اللهِ تَعَالٰى - (49)
وَعَن جُندُبِ بنِ عَبدِ اللهِ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بَعَثَ بَعْثاً مِنَ المُسْلِمينَ إِلَى قَومٍ مِنَ المُشرِكينَ، وَأنَّهُمْ التَقَوْا، فَكَانَ رَجُلٌ مِنَ المُشْركينَ إِذَا شَاءَ أنْ يَقْصِدَ إِلَى رَجُل مِنَ المُسْلِمينَ قَصَدَ لَهُ فَقَتَلَهُ، وَأنَّ رَجُلاً مِنَ المُسْلِمِينَ قَصَدَ غَفْلَتَهُ . وَكُنَّا نَتَحَدَّثُ أنَّهُ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، فَلَمَّا رَفَعَ عَلَيهِ السَّيفَ، قَالَ: لا إِلٰهَ إلاَّ اللهُ، فَقَتَلهُ، فَجَاءَ البَشيرُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَسَألَهُ وَأخبَرَهُ، حَتَّى أخْبَرَهُ خَبَرَ الرَّجُلِ كَيْفَ صَنَعَ، فَدَعَاهُ فَسَألَهُ، فَقَالَ: «لِمَ قَتَلْتَهُ ؟ » فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أوْجَعَ في المُسلِمِينَ، وَقَتَلَ فُلاَناً وَفُلاَناً، وَسَمَّى لَهُ نَفَراً، وَإنِّي حَمَلْتُ عَلَيهِ، فَلَمَّا رَأى السَّيفَ، قَالَ: لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ . قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: أقَتَلْتَهُ ؟ قَالَ: نَعَمْ . قَالَ: «فَكَيفَ تَصْنَعُ بلاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ، إِذَا جَاءتْ يَوْمَ القِيَامَةِ ؟ » قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، اسْتَغْفِرْ لِي . قَالَ: وكَيفَ تَصْنَعُ بِلاَ إِلٰهَ إلاَّ الله إِذَا جَاءَتْ يَوْمَ القِيَامَةِ ؟ فَجَعَلَ لاَ يَزِيدُ عَلَى أنْ يَقُولَ: «كَيفَ تَصْنَعُ بِلاَ إِلٰهَ إلاَّ الله إِذَا جَاءتْ يَوْمَ القِيَامَةِ . رواه مسلم
(49) Chapter: Making Judgment of people keeping in view their evident actions and leaving their hidden Actions to Allah (swt)
Jundub bin 'Abdullah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) dispatched a contingent of the Muslims to a tribe of the polytheists. The two sides met (in combat) at one place. A man among the polytheists was so dashing that, whenever he intended to kill a man from Muslims, he killed him. Amongst the Muslims, too, was a man looking forward to (an opportunity of) his (polytheist's) unmindfulness. He (the narrator) said: We talked that he was Usamah bin Zaid (May Allah be pleased with him). When he raised his sword, he (the soldier of the polytheists) uttered: "La ilaha illallah (There is no true god except Allah)." But he (Usamah bin Zaid) killed him. When the good news of victory reached Messenger of Allah (ﷺ) he asked him (about the events of the battle), and he informed him about the man (Usamah) and what he had done. He (Messenger of Allah (ﷺ)) sent for him and asked him why he had killed him. He (Usamah) said, "O Messenger of Allah, he struck the Muslims and killed such and such of them." And he named some of them. (He continued): "I attacked him and when he saw the sword he said: 'La ilaha illallah."' Messenger of Allah (ﷺ) said, "Did you kill him?" He (Usamah) replied in the affirmative. The Messenger of Allah then remarked, "What would you do with regard to (the utterance): La ilaha illallah, when it comes (before you) on the Day of Resurrection?" He (Usamah) said, "O Messenger of Allah! Beg forgiveness for me". He (the Prophet (ﷺ)) said, "What would you do with regard to (the utterance): La ilaha illallah, when it comes (before you) on the Day of Resurrection?" He (Messenger of Allah (ﷺ)) added nothing to it but kept repeating, "What would you do with regard to (the utterance): La ilaha illallah, when it comes (before you) on the Day of Resurrection?".
[Muslim].
Commentary: This Hadith mentions the incident which has been quoted in the preceding one. There is only a slight variation in the wording of the two. This Hadith is reported by Muslim under the chapter "The prohibition of killing a Kafir (disbeliever) after having testified that none has the right to be worshipped but Allah".
পরিচ্ছেদঃ ৪৯: লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরীণ অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে।
৬/৪০০। আব্দুল্লাহ ইবনু উত্বাহ্ ইবনু মাসঊদ বলেন, আমি উমার ইবনু খাত্তাবকে বলতে শুনেছি, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে কিছু লোককে অহী দ্বারা পাকড়াও করা হত। কিন্তু অহী এখন বন্ধ হয়ে গেছে। (সুতরাং) এখন আমরা তোমাদের বাহ্যিক কার্যকলাপ দেখে তোমাদেরকে পাকড়াও করব। অতঃপর যে ব্যক্তি আমাদের জন্য ভাল কাজ প্রকাশ করবে, তাকে আমরা নিরাপত্তা দেব এবং তাকে আমরা নিকটে করব। আর তাদের অন্তরের অবস্থার সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আল্লাহই তার অন্তরের হিসাব নেবেন। আর যে ব্যক্তি আমাদের জন্য মন্দ কাজ প্রকাশ করবে, তাকে আমরা নিরাপত্তা দেব না এবং তাকে সত্যবাদীও মনে করব না; যদিও সে বলে আমার ভিতর (নিয়ত) ভাল।’ (বুখারী) [1]
بَابُ إِجْرَاءِ أَحْكَامِ النَّاسِ عَلَى الظَّاهِرِ وَسَرَائِرِهِمْ إِلَى اللهِ تَعَالٰى - (49)
وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عُتبَةَ بنِ مَسعُودٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ بنَ الخَطَّابِ رضي الله عنه، يَقُولُ: إنَّ نَاساً كَانُوا يُؤْخَذُونَ بِالوَحْيِ في عَهْدِ رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم، وَإنَّ الوَحْيَ قَدِ انْقَطَعَ، وإِنَّمَا نَأخُذُكُمُ الآنَ بما ظَهَرَ لَنَا مِنْ أعمَالِكُمْ، فَمَنْ أظْهَرَ لَنَا خَيْراً أمَّنَّاهُ وَقَرَّبْنَاهُ، وَلَيْسَ لَنَا مِنْ سَرِيرَتِهِ شَيْء، اللهُ يُحَاسِبُهُ فِي سَرِيرَتِهِ، وَمَنْ أظْهَرَ لَنَا سُوءاً لَمْ نَأمَنْهُ وَلَمْ نُصَدِّقْهُ وَإنْ قَالَ: إنَّ سَرِيرَتَهُ حَسَنَةٌ . رواه البخاري
(49) Chapter: Making Judgment of people keeping in view their evident actions and leaving their hidden Actions to Allah (swt)
'Abdullah bin 'Utbah bin Mas'ud reported:
I heard 'Umar bin Al- Khattab (May Allah be pleased with him) reported saying: "In the lifetime of Messenger of Allah (ﷺ) some people were called to account through Revelation. Now Revelation has discontinued and we shall judge you by your apparent acts. Whoever displays to us good, we shall grant him peace and security, and treat him as a near one. We have nothing to do with his insight. Allah will call him to account for that. But whosoever shows evil to us, we shall not grant him security nor shall we believe him, even if he professed that his intention is good."
[Al-Bukhari].
Commentary: This Hadith also proves that the injunctions go with the apparent acts of a person and not with will and intention. It also indicates that a good intention does not waive the Qisas and establishing the justice.