পরিচ্ছেদঃ ২৫. যে চুলে অন্যের চুল যোজনা করে
৫১০৩. হুমায়দ ইবন মাসআদা (রহঃ) ... হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা’নত করেছেন সুদখোর, সুদদাতা, সুদের সাক্ষী, সুদের লেখক এবং যে শরীরে দাগ দেয়, যাকে দাগ দেওয়া হয়। এক ব্যক্তি বলল, রোগের জন্য ব্যতীত? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আর যে অন্যের জন্য তার স্ত্রীকে হালাল করার উদ্দেশ্যে বিবাহ করে, যার জন্য হালাল করা হয় এবং যে সাদকা দিতে অস্বীকার করে, তার উপর লা’নত করেছেন। আর তিনি মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করতে নিষেধ করেছেন, তিনি বলেননি যে, লা’নত করেছেন।
الْمُوتَشِمَاتُ وَذِكْرُ الِاخْتِلَافِ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ وَالشَّعْبِيِّ فِي هَذَا
أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ الْحَارِثِ قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آكِلَ الرِّبَا وَمُوكِلَهُ وَشَاهِدَهُ وَكَاتِبَهُ وَالْوَاشِمَةَ وَالْمُوتَشِمَةَ قَالَ إِلَّا مِنْ دَاءٍ فَقَالَ نَعَمْ وَالْحَالُّ وَالْمُحَلَّلُ لَهُ وَمَانِعُ الصَّدَقَةِ وَكَانَ يَنْهَى عَنْ النَّوْحِ وَلَمْ يَقُلْ لَعَنَ
It was narrated from Ibn 'Awn, from Ash-Sha'bi, from Al-Harith, who said:
"The Messenger of Allah [SAW] cursed the one who consumes Riba, the one who pays it, the one who writes it down and the one who witnesses it; the woman who does tattoos and the woman who has that done"- he said: "Unless it is done as a remedy;" he said: "Yes"- "the man who married a woman in order to divorce her so that she may go back to her first husband and the man (the first husband) for whom that is done; and the one who withholds Sadaqah (Zakah). And he used to forbid wailing (in mourning), but he did not say 'cursed'
পরিচ্ছেদঃ ৯৪. হায়েযের পরে যদি ঘোলা (মেটে) বর্ণ দেখা দেয়
৮৯৪. হারিছ হতে বর্ণিত, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু্ আনহু বলেন: যদি কোনো মহিলা গোসলের পরে দু’-একদিন যতসামান্য স্রাব দেখে, তবুও তা পবিত্রতাবস্থা বলে গণ্য হবে। আর সে সালাত আদায় করবে।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক, নং ১১৬১ অতি লম্বা আকারে, হাসান সনদে; ইবনু আবী শাইবা ১/৯৩ যয়ীফ সনদে।
কিন্তু পরবর্তী হাদীস দেখুন, যা এটাকে শক্তিশালী করে।
بَابُ الْكُدْرَةِ إِذَا كَانَتْ بَعْدَ الْحَيْضِ
حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ وَعَفَّانُ قَالَا حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ الْحَجَّاجِ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ إِذَا رَأَتْ الْمَرْأَةُ التَّرِيَّةَ بَعْدَ الْغُسْلِ بِيَوْمٍ أَوْ يَوْمَيْنِ فَإِنَّهَا تَطَهَّرُ وَتُصَلِّي
إسناده ضعيف حجاج هو: ابن أرطاة وهو ضعيف
পরিচ্ছেদঃ ৯৪. হায়েযের পরে যদি ঘোলা (মেটে) বর্ণ দেখা দেয়
৮৯৮. হারিছ হতে বর্ণিত, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: যখন কোনো মহিলা হায়েয থেকে পবিত্র হয়, তারপর পবিত্রতার পরে (রক্তস্রাব) দেখে, যা তাকে সন্দেহে নিপতিত করে, এটা জরায়ুতে শয়তানের চলাচলের (বা পদাঘাতের) ফলে সৃষ্ট। ফলে যখন সে এরূপ প্রবাহমান রক্ত, রক্তের ফোঁটা কিংবা মাংস ধোয়া পানির মতো রং দেখে, তখন সে সালাতের ওযুর ন্যায় ওযু করবে, এরপর সালাত আদায় করবে। আর তা যদি তাজা রক্ত হয় যা গোপন থাকে না, তবে সে যেন সালাত পরিত্যাগ করে।[1]
আবু মুহাম্মদ বলেন: আমি ইয়াযীদ ইবনু হারুন রাহি. কে বলতে শুনেছি, যদি কোনো মহিলার (হায়েযের) সাতদিন অতিক্রান্ত হয়, আর সে পবিত্র অবস্থার সাদা রং দেখে, ফলে সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, অতঃপর সে দশদিনের মধ্যেই আবার রক্ত দেখে, তবে তার বিবাহ বৈধ ও সঠিক হবে। আর যদি সে সাত দিনের কমে নিজেকে পবিত্র অবস্থায় দেখে, ফলে সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরপর রক্তস্রাব দেখে, তবে তা (তার বিবাহ) বৈধ হবে না, কারণ এটা হায়েয। আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞেস করা হলো: আপনিও কি একথা বলেন? তিনি বললেন: হাঁ।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/৯৩ যয়ীফ সনদে।
بَابُ الْكُدْرَةِ إِذَا كَانَتْ بَعْدَ الْحَيْضِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ إِذَا تَطَهَّرَتْ الْمَرْأَةُ مِنْ الْمَحِيضِ ثُمَّ رَأَتْ بَعْدَ الطُّهْرِ مَا يَرِيبُهَا فَإِنَّمَا هِيَ رَكْضَةٌ مِنْ الشَّيْطَانِ فِي الرَّحِمِ فَإِذَا رَأَتْ مِثْلَ الرُّعَافِ أَوْ قَطْرَةِ الدَّمِ أَوْ غُسَالَةِ اللَّحْمِ تَوَضَّأَتْ وُضُوءَهَا لِلصَّلَاةِ ثُمَّ تُصَلِّي فَإِنْ كَانَ دَمًا عَبِيطًا الَّذِي لَا خَفَاءَ بِهِ فَلْتَدَعْ الصَّلَاةَ
قَالَ أَبُو مُحَمَّد سَمِعْتُ يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ يَقُولُ إِذَا كَانَ أَيَّامُ الْمَرْأَةِ سَبْعَةً فَرَأَتْ الطُّهْرَ بَيَاضًا فَتَزَوَّجَتْ ثُمَّ رَأَتْ الدَّمَ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ الْعَشْرِ فَالنِّكَاحُ جَائِزٌ صَحِيحٌ فَإِنْ رَأَتْ الطُّهْرَ دُونَ السَّبْعِ فَتَزَوَّجَتْ ثُمَّ رَأَتْ الدَّمَ فَلَا يَجُوزُ وَهُوَ حَيْضٌ وَسُئِلَ عَبْد اللَّهِ تَقُولُ بِهِ قَالَ نَعَمْ
إسناده حسن من أجل الحارث الأعور
পরিচ্ছেদঃ ৯৪. হায়েযের পরে যদি ঘোলা (মেটে) বর্ণ দেখা দেয়
৮৯৯. হারিছ হতে বর্ণিত, যে মহিলার ছয় দিন কিংবা সাত দিন হায়েয হয়, অতঃপর সে ঘোলা বর্ণ কিংবা হলুদ বর্ণের স্রাব অথবা দু’-এক ফোঁটা রক্ত দেখতে পায়, আলী রা: এ ধরনের মহিলা সম্পর্কে বলেন: এমতাবস্থায় সেটি অকার্যকর; তা তার (পবিত্রাবস্থার) কোনো ক্ষতি করবে না।[1]
তাখরীজ: দেখুন, বিগত ৮৯৮ (অনুবাদে ৮৯৪) নং হাদীসটি।
بَابُ الْكُدْرَةِ إِذَا كَانَتْ بَعْدَ الْحَيْضِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ شَرِيكٍ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ فِي الْمَرْأَةِ يَكُونُ حَيْضُهَا سِتَّةَ أَيَّامٍ أَوْ سَبْعَةَ أَيَّامٍ ثُمَّ تَرَى كُدْرَةً أَوْ صُفْرَةً أَوْ تَرَى الْقَطْرَةَ أَوْ الْقَطْرَتَيْنِ مِنْ الدَّمِ أَنَّ ذَلِكَ بَاطِلٌ وَلَا يَضُرُّهَا شَيْءٌ
إسناده ضعيف شريك متأخر السماع من أبي إسحاق
পরিচ্ছেদঃ ৫. অংশিদারিত্ব সম্পর্কে
২৯২১. হারিছ হতে বর্ণিত, তিনি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি তাদেরকে (সকল ওয়ারিসকে) মীরাসে অংশীদার করতেন না।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/২৫৮ নং ১১১৫৪, ১১১৫২ ও ১১১৫৫ সহীহ সনদে; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৫৭; সাঈদ ইবনু মানসূর, আস সুনান নং ২১।
باب فِي الْمُشَرِّكَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ كَانَ لَا يُشَرِّكُ
পরিচ্ছেদঃ ৬. এমন দুই চাচাতো ভাইয়ের অংশ সম্পর্কে-যাদের একজন (মৃতের) স্বামী ও অপরজন বৈপিত্রেয় ভাই
২৯২৬. হারিছ আল আ’ওয়ার হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট (মৃতের) দু’ চাচাতো ভাইয়ের অংশ সম্পর্কে প্রশ্ন এলো- যাদের একজন ছিল তার বৈপিত্রেয় ভাই। তখন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তার বৈপিত্রেয় ভাইকে সকল সম্পদে দিয়ে দিব। অর্থাৎ তিনি তাকে সহোদর ভাইয়ের স্থলাভিষিক্ত করলেন। এরপর আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এলে আমি তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম এবং তাকে আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর মতামতও জানালাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তাকে রহম করুন। তিনি নিশ্চয় একজন ফকীহ (বিশেষজ্ঞ) ছিলেন। তবে আমি হলে আল্লাহ যে অংশ তার জন্য নির্ধারণ করেছেন তার অধিক দিতাম না। আর তা হলো, এক ষষ্ঠাংশ। এরপর তিনি (বাকী সম্পদ) তাদের মধ্যে এক ব্যক্তির মতো করে ভাগ করে দিলেন।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ ১৯১৩৩; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৪০; ইবনু আবী শাইবা ১১/২৫০ নং ১১১৩৪; সাঈদ ইবনু মানসূর, আস সুনান নং ১২৮; দারুকুতনী ৪/৮৭।
باب فِي ابْنَيْ عَمٍّ أَحَدُهُمَا زَوْجٌ وَالْآخَرُ أَخٌ لِأُمٍّ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْحَارِثِ الْأَعْوَرِ قَالَ أُتِيَ عَبْدُ اللَّهِ فِي فَرِيضَةِ بَنِي عَمٍّ أَحَدُهُمْ أَخٌ لِأُمٍّ فَقَالَ الْمَالُ أَجْمَعُ لِأَخِيهِ لِأُمِّهِ فَأَنْزَلَهُ بِحِسَابِ أَوْ بِمَنْزِلَةِ الْأَخِ مِنْ الْأَبِ وَالْأُمِّ فَلَمَّا قَدِمَ عَلِيٌّ سَأَلْتُهُ عَنْهَا وَأَخْبَرْتُهُ بِقَوْلِ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ يَرْحَمُهُ اللَّهُ إِنْ كَانَ لَفَقِيهًا أَمَّا أَنَا فَلَمْ أَكُنْ لِأَزِيدَهُ عَلَى مَا فَرَضَ اللَّهُ لَهُ سَهْمٌ السُّدُسُ ثُمَّ يُقَاسِمُهُمْ كَرَجُلٍ مِنْهُمْ
পরিচ্ছেদঃ ৬. এমন দুই চাচাতো ভাইয়ের অংশ সম্পর্কে-যাদের একজন (মৃতের) স্বামী ও অপরজন বৈপিত্রেয় ভাই
২৯২৭. হারিছ আল আ’ওয়ার হতে বর্ণিত, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন যে, তার এর নিকট (মৃতের) দু’ চাচাতো ভাইয়ের অংশ সম্পর্কে প্রশ্ন এলো- যাদের একজন ছিল তার বৈপিত্রেয় ভাই। তখন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বলা হলো যে, (আব্দুল্লাহ) ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার বৈপিত্রেয় ভাইকে সকল সম্পদে দিয়ে দিতেন। (অর্থাৎ তিনি তাকে সহোদর ভাইয়ের স্থলাভিষিক্ত করতেন।) এরপর আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তিনি নিশ্চয় একজন ফকীহ (বিশেষজ্ঞ) ছিলেন। তবে আমি হলে তাকে এক ষষ্ঠাংশ দিতাম। এরপর বাকী সম্পদ তাদের মধ্যে ভাগ করে দিতাম।[1]
তাখরীজ: এটি পুর্বের হাদীসের পূনরাবৃত্তি।
باب فِي ابْنَيْ عَمٍّ أَحَدُهُمَا زَوْجٌ وَالْآخَرُ أَخٌ لِأُمٍّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ أُتِيَ فِي ابْنَيْ عَمٍّ أَحَدُهُمَا أَخٌ لِأُمٍّ فَقِيلَ لِعَلِيٍّ إِنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ كَانَ يُعْطِيهِ الْمَالَ كُلَّهُ فَقَالَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِنْ كَانَ لَفَقِيهًا وَلَوْ كُنْتُ أَنَا أَعْطَيْتُهُ السُّدُسَ وَمَا بَقِيَ كَانَ بَيْنَهُمْ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৭০. হারিছ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা মসজিদে প্রবেশ করে দেখলাম কতক লোক সেখানে কথাবার্তায় নিমগ্ন। তখন আমি আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট গিয়ে বললাম, আপনি কি দেখছেন না যে, মসজিদে লোকেরা বাকবিতণ্ডায় নিমগ্ন হয়ে আছে? তখন তিনি বললেন, তারা কি তাই করছে? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, শোন, নিশ্চয়ই আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “অচিরেই ফিতনাসমূহ আবির্ভাব হবে।” আমি বললাম, তা হতে বের হওয়ার উপায় কি? তিনি বললেন, “আল্লাহর কিতাব। আল্লাহর কিতাবে তোমাদের পূর্ববর্তীগণের সকল সংবাদ রয়েছে এবং তোমাদের পরবর্তীদের সংবাদও রয়েছে, এবং তোমাদের মধ্যকার প্রয়োজনীয় হুকুম-আহকাম রয়েছে। আর তা হলো চুড়ান্ত সত্য, এটি কোনো ঠাট্টা-তামাশার বস্তু নয়। দাপট-অহংকারবশত: যে ব্যক্তি একে বর্জন করবে, আল্লাহ তাকে ধ্বংস করবেন। আর যে ব্যক্তি এ ব্যতীত অন্য কোথাও হেদায়েত-পথনির্দেশনা অন্বেষণ করবে, আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করবেন।
আর এ হলো আল্লাহর মজবুত রশি; আর এ হলো প্রজ্ঞাপুর্ণ যিকির; আর এ হলো সিরাতুল মুস্তাক্বীম-সরল-সোজা পথ। এ হলো সেই বস্তু যার মাধ্যমে প্রবৃত্তি-মনমর্জি বক্র হয় না, আর এর দ্বারা জবান অস্পষ্ট হয় না। আর এ থেকে উলামাগণ কখনো পরিতৃপ্ত হয় না; বার বার পাঠেও তা কখনো জীর্ণ ও পুরাতন হয় না; এর বিস্ময়সমূহ কখনো শেষ হয় না; এ হলো সেই কুরআন যা শুনে জ্বিনেরা এ কথা না বলে পারেনি যে, إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآناً عَجَباً (অর্থ: “আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি।” সুরা জ্বিন: ১) আর এ হলো সেই কুরআন, যার দ্বারা কেউ কথা বললে সত্য বলে; যার দ্বারা কেউ বিচার-ফায়সালা করলে, সে ন্যায়বিচার করে; এর দ্বারা যে আমল করে, সে প্রতিদান লাভ করলো; আর এর দিকে যে আহ্বান করলো, সে ’সিরাতুল মুস্তাক্বিম’ বা সরল পথের দিশা পেল।” (আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে বললেন,) হে আওয়ার, তুমি এ কুরআনকে অবলম্বন-অনুসরণ করো।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৮২ নং ১০০৫৬; তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন ২৯০৮; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ১৯৩৫, ১৯৩৬; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১১৮১। (তিরমিযী বলেন: হাদীসটি গারীব। হামযা আয যিয়াত হতে ব্যতীত এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। এর সনদ মাজহুল বা অজ্ঞাত। হারিছের বর্ণনা সম্পর্কে সমালোচনা রয়েছে।”
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرِّفَاعِيُّ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ الْجُعْفِيُّ عَنْ حَمْزَةَ الزَّيَّاتِ عَنْ أَبِي الْمُخْتَارِ الطَّائِيِّ عَنْ ابْنِ أَخِي الْحَارِثِ عَنْ الْحَارِثِ قَالَ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَإِذَا أُنَاسٌ يَخُوضُونَ فِي أَحَادِيثَ فَدَخَلْتُ عَلَى عَلِيٍّ فَقُلْتُ أَلَا تَرَى أَنَّ أُنَاسًا يَخُوضُونَ فِي الْأَحَادِيثِ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ قَدْ فَعَلُوهَا قُلْتُ نَعَمْ قَالَ أَمَا إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ سَتَكُونُ فِتَنٌ قُلْتُ وَمَا الْمَخْرَجُ مِنْهَا قَالَ كِتَابُ اللَّهِ كِتَابُ اللَّهِ فِيهِ نَبَأُ مَا قَبْلَكُمْ وَخَبَرُ مَا بَعْدَكُمْ وَحُكْمُ مَا بَيْنَكُمْ هُوَ الْفَصْلُ لَيْسَ بِالْهَزْلِ هُوَ الَّذِي مَنْ تَرَكَهُ مِنْ جَبَّارٍ قَصَمَهُ اللَّهُ وَمَنْ ابْتَغَى الْهُدَى فِي غَيْرِهِ أَضَلَّهُ اللَّهُ فَهُوَ حَبْلُ اللَّهِ الْمَتِينُ وَهُوَ الذِّكْرُ الْحَكِيمُ وَهُوَ الصِّرَاطُ الْمُسْتَقِيمُ وَهُوَ الَّذِي لَا تَزِيغُ بِهِ الْأَهْوَاءُ وَلَا تَلْتَبِسُ بِهِ الْأَلْسِنَةُ وَلَا يَشْبَعُ مِنْهُ الْعُلَمَاءُ وَلَا يَخْلَقُ عَنْ كَثْرَةِ الرَّدِّ وَلَا تَنْقَضِي عَجَائِبُهُ وَهُوَ الَّذِي لَمْ يَنْتَهِ الْجِنُّ إِذْ سَمِعَتْهُ أَنْ قَالُوا إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا هُوَ الَّذِي مَنْ قَالَ بِهِ صَدَقَ وَمَنْ حَكَمَ بِهِ عَدَلَ وَمَنْ عَمِلَ بِهِ أُجِرَ وَمَنْ دَعَا إِلَيْهِ هُدِيَ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ خُذْهَا إِلَيْكَ يَا أَعْوَرُ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৭১. হারিছ হতে বর্ণিত, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার পরে অচিরেই আপনার উম্মাত ফিতনায় পতিত হবে। অত:পর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, অথবা, তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, তা হতে পরিত্রাণের হওয়ার উপায় কি? তিনি বললেন, “মহা পরাক্রান্ত আল্লাহর কিতাব – কোনো মিথ্যা এতে অনুপ্রবেশ করবে না- অগ্র হতেও নয়, পশ্চাত হতেও নয়। এটা প্রজ্ঞাবান, প্রশংসনীয় আল্লাহর নিকট হতে অবতীর্ণ। (সুরা ফুসসিলাত: ৪২) আর যে ব্যক্তি এ ব্যতীত অন্য কোথাও হেদায়েত-পথনির্দেশনা অন্বেষণ করবে, আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করবেন। আর যে ব্যক্তি শাসন ক্ষমতা লাভ করবে, অত:পর সে এ ব্যতীত অন্যকিছু দ্বারা বিচার-ফায়সালা করবে, আল্লাহ তাকে ধ্বংস করবেন। আর এ হলো প্রজ্ঞাপুর্ণ যিকির ও সুস্পষ্ট আলোকবর্তিকা; আর সিরাতুল মুস্তাক্বীম-সরল-সোজা পথ।
এতে তোমাদের পূর্ববর্তীগণের সকল খবরা-খবর এবং তোমাদের পরবর্তীদের সংবাদ রয়েছে, এবং তোমাদের মধ্যকার প্রয়োজনীয় হুকুম-আহকাম রয়েছে। আর তা হলো চুড়ান্ত সত্য, এটি কোনো ঠাট্টা-তামাশার বস্তু নয়। এ হলো সেই কুরআন যা শুনে জ্বিনেরা এ কথা না বলে পারেনি যে, إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآناً عَجَباً (অর্থ: “আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি। এটি সুপথে পরিচালিত করে।” সুরা জ্বিন: ১) বার বার পাঠেও তা কখনো জীর্ণ ও পুরাতন হয় না; এর উপদেশ-শিক্ষা বিস্ময়সমূহ কখনো নষ্ট হবে না এবং এর বিস্ময়সমূহ কখনো শেষ হবে না।” এরপর আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হারিছকে বললেন, ’হে আওয়ার, তুমি একে (কুরআনকে) আঁকড়ে ধরো।’[1]
তাখরীজ: খতীব, ফাকীহ ওয়াল মুত্তাফাকীহ ১/৫৫, ৫৬; আবুল ফাযল আর রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৩৫।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَبِي سِنَانٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ عَنْ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمَّتَكَ سَتُفْتَتَنُ مِنْ بَعْدِكَ قَالَ فَسَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ سُئِلَ مَا الْمَخْرَجُ مِنْهَا قَالَ الْكِتَابُ الْعَزِيزُ الَّذِي لَا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِ تَنْزِيلٌ مِنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍ مَنْ ابْتَغَى الْهُدَى فِي غَيْرِهِ أَضَلَّهُ اللَّهُ وَمَنْ وَلِيَ هَذَا الْأَمْرَ مِنْ جَبَّارٍ فَحَكَمَ بِغَيْرِهِ قَصَمَهُ اللَّهُ هُوَ الذِّكْرُ الْحَكِيمُ وَالنُّورُ الْمُبِينُ وَالصِّرَاطُ الْمُسْتَقِيمُ فِيهِ خَبَرُ مَنْ قَبْلَكُمْ وَنَبَأُ مَا بَعْدَكُمْ وَحُكْمُ مَا بَيْنَكُمْ وَهُوَ الْفَصْلُ لَيْسَ بِالْهَزْلِ وَهُوَ الَّذِي سَمِعَتْهُ الْجِنُّ فَلَمْ تَتَنَاهَى أَنْ قَالُوا إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا يَهْدِي إِلَى الرُّشْدِ وَلَا يَخْلَقُ عَنْ كَثْرَةِ الرَّدِّ وَلَا تَنْقَضِي عِبَرُهُ وَلَا تَفْنَى عَجَائِبُهُ ثُمَّ قَالَ عَلِيٌّ لِلْحَارِثِ خُذْهَا إِلَيْكَ يَا أَعْوَرُ