পরিচ্ছেদঃ ৮. ক্রীতদাসের সাথে সদ্ব্যবহার করা এবং দাসকে চপোটাঘাতের কাফফারা
৪১৫৬। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক বৃদ্ধ তার দাসীকে তড়িঘড়ি করে চপোটাঘাত করল। সুওয়ায়েদ ইবনু মুকাররিন (রহঃ) তাকে বললেন, আপনি (প্রহারের জন্য) তার চেহারা ব্যতীত আর কোন স্থান পেলেন না। তুমি আমাকে বনী মুকাররিন গোত্রের সাত সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের সপ্তম লোক হিসেবে দেখছ। আমাদের একজন ব্যতীত অন্য কোন দাসী ছিল না। একদা আমাদের মধ্যকার কনিষ্ঠ ব্যক্তি তাকে চপোটাঘাত করল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকেতাকে আযাদ করে দেয়ার নির্দেশ দিলেন।
باب صُحْبَةِ الْمَمَالِيكِ وَكَفَّارَةِ مَنْ لَطَمَ عَبْدَهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يَسَافٍ، قَالَ عَجِلَ شَيْخٌ فَلَطَمَ خَادِمًا لَهُ فَقَالَ لَهُ سُوَيْدُ بْنُ مُقَرِّنٍ عَجَزَ عَلَيْكَ إِلاَّ حُرُّ وَجْهِهَا لَقَدْ رَأَيْتُنِي سَابِعَ سَبْعَةٍ مِنْ بَنِي مُقَرِّنٍ مَا لَنَا خَادِمٌ إِلاَّ وَاحِدَةٌ لَطَمَهَا أَصْغَرُنَا فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نُعْتِقَهَا .
Hilal b. Yasaf reported that a person got angry and slapped his slave-girl. Thereupon Suwaid b. Muqarrin said to him:
You could find no other part (to slap) but the prominent part of her face. See I was one of the seven sons of Muqarrin, and we had but only one slave-girl. The youngest of us slapped her, and Allah's Messenger (ﷺ) commanded us to set her free.
পরিচ্ছেদঃ ৮. ক্রীতদাসের সাথে সদ্ব্যবহার করা এবং দাসকে চপোটাঘাতের কাফফারা
৪১৫৭। মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ... হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নোমান ইবনু মুকাররিন (রহঃ) এর ভাই সুওয়াইদ ইবনু মুকাররিন এর বাড়িতে কাপড় বিক্রি করছিলাম। এমন সময় একজন দাসী বেরিয়ে এসে আমাদের একজন লোকের সাথে তর্ক করল। তখন সে তাকে একটি চপোটাঘাত করল। এতে সুওয়াইদ (রাঃ) রাগান্বিত হলেন। তখন তিনি ইবনু ইদরীস বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
باب صُحْبَةِ الْمَمَالِيكِ وَكَفَّارَةِ مَنْ لَطَمَ عَبْدَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يَسَافٍ، قَالَ كُنَّا نَبِيعُ الْبَزَّ فِي دَارِ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ أَخِي النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ فَخَرَجَتْ جَارِيَةٌ فَقَالَتْ لِرَجُلٍ مِنَّا كَلِمَةً فَلَطَمَهَا فَغَضِبَ سُوَيْدٌ . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ إِدْرِيسَ .
Hilal b. Yasaf reported:
We used to sell cloth in the house of Suwaid b. Muqarrin, the brother of Nu'man b. Muqarrin. There came out a slave-girl, and she said something to a person amongst us, and he slapped her. Suwaid was enraged-the rest of the hadlth is the same.
পরিচ্ছেদঃ ১৮৩. লাঠির উপর ভর করে নামাযে দাঁড়ানো।
৯৪৮. আব্দুস সালাম ইবনে আব্দুর রহমান (রহঃ) ...... হেলাল ইবনে ইয়াসাফ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যখন শাম (সিরিয়া) দেশের রাক্কা নামক শহরে যাই, তখন আমার কোন একজন সাথী আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন সাহাবীর সাথে সাক্ষাতের আগ্রহ আছে কি? আমি বলি, এটা-তো আমার জন্য গনীমত স্বরূপ। তখন তিনি আমাকে ওয়াবিসা (রাঃ) এর খেদমতে নিয়ে যান। আমি আমার সঙ্গীকে বলি, আমরা প্রথমে বেশভূষার প্রতি নজর করব। আমরা তাঁকে মস্তকের সাথে মিলিত একটি টুপি পরিহিত অবস্থায় দেখতে পাই, যার দুই দিক কানের মত উঁচু ছিল এবং রেশম ও পশম দ্বারা তৈরি ছিল। তিনি (বয়োবৃদ্ধির কারণে) লাঠিতে ভর দিয়ে নামায আদায় করছিলেন। (নামায শেষে) সালাম ফিরানোর পর আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করি, (আপনি লাঠিতে ভর দিয়ে কিরূপে নামায আদায় করলেন এটা কি জায়েয)? তিনি বলেন, উম্মে কায়েস বিনতে মিহসান (রাঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বয়োবৃদ্ধির ফলে যখন তাঁর শরীরের মাংস ঢিলা হয়ে যায়, তখন (দুর্বলতার কারণে) তিনি নামায আদায়ের জন্য তাঁর জায়নামাযের নিকট লাঠি রাখেন এবং তাতে ভর দিয়ে নামায আদায় করতেন।
باب الرَّجُلِ يَعْتَمِدُ فِي الصَّلاَةِ عَلَى عَصًا
حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْوَابِصِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، قَالَ قَدِمْتُ الرَّقَّةَ فَقَالَ لِي بَعْضُ أَصْحَابِي هَلْ لَكَ فِي رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ قُلْتُ غَنِيمَةٌ فَدَفَعْنَا إِلَى وَابِصَةَ قُلْتُ لِصَاحِبِي نَبْدَأُ فَنَنْظُرُ إِلَى دَلِّهِ فَإِذَا عَلَيْهِ قَلَنْسُوَةٌ لاَطِئَةٌ ذَاتُ أُذُنَيْنِ وَبُرْنُسُ خَزٍّ أَغْبَرُ وَإِذَا هُوَ مُعْتَمِدٌ عَلَى عَصًا فِي صَلاَتِهِ فَقُلْنَا بَعْدَ أَنْ سَلَّمْنَا . فَقَالَ حَدَّثَتْنِي أُمُّ قَيْسٍ بِنْتُ مِحْصَنٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا أَسَنَّ وَحَمَلَ اللَّحْمَ اتَّخَذَ عَمُودًا فِي مُصَلاَّهُ يَعْتَمِدُ عَلَيْهِ .
Narrated Umm Qays bint Mihsan:
Hilal ibn Yasaf said: I came to ar-Raqqah (a place in Syria). One of my companions said to me: Do you want to see any of the Companions of the Prophet (ﷺ)? I said: A good opportunity. So we went to Wabisah.
I said to my friend: Let us first see his mode of living. He had a cap with two ears stuck (to his head), and wearing a brown silken robe. He was resting on a staff during prayer. We asked him (about resting on the staff) after salutation; He said: Umm Qays daughter of Mihsan said to me that when the Messenger of Allah (ﷺ) became aged and the flesh grew increasingly on him, he took a prop at his place of prayer and rested on it.
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. কিরূপে হাঁচির জবাব দেবে, সে সম্পর্কে।
৪৯৪৭. উছমান ইবন আবূ শায়বা (রহঃ) ..... হিলাল ইবন ইয়াসাফ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা সালিম ইবন উবায়দ (রাঃ)-এর কাছে ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে বলেঃ আস-সালামু আলায়কুম। তখন সালিম (রাঃ) বলেনঃ সালাম তোমার প্রতি এবং তোমার মায়ের প্রতি। কিছুক্ষণ পর তিনি বলেনঃ সম্ভবতঃ আমার কথা তোমার কাছে অপ্রিয় মনে হয়েছে। তখন সে ব্যক্তি বলেঃ আমার এটাই পসন্দ যে, আপনি যদি আমার মা সম্পর্কে কিছু না বলতেন (তবে ভাল হতো।) তখন সালিম (রাঃ) বলেনঃ আমি তোমাকে সে কথাই বলেছি, যে কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন।
একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ছিলাম। সে সময় এক ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে বলেঃ আস-সালামু আলায়কুম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সালাম তোমার প্রতি এবং তোমার মায়ের প্রতি। এরপর তিনি বলেনঃ যখন তোমাদের কেউ হাঁচি দেয়, তখন সে যেন বলেঃ আল্-হামদু লিল্লাহ! এভাবে তিনি প্রশংসার অন্যান্য পদ্ধতিও বলে দেন। আর হাঁচির সময় পাশে যে থাকে, সে যেন বলেঃ ইয়ারহামুকাল্লাহু। এর জবাবে হাঁচি দাতা যেন বলেঃ ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়া লাকুম; অর্থাৎ আল্লাহ্ আমাদের ও তোমাদের ক্ষমা করুন!
باب كَيْفَ تَشْمِيتُ الْعَاطِسِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ سَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ فَعَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ . فَقَالَ سَالِمٌ وَعَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ . ثُمَّ قَالَ بَعْدُ لَعَلَّكَ وَجَدْتَ مِمَّا قُلْتُ لَكَ قَالَ لَوَدِدْتُ أَنَّكَ لَمْ تَذْكُرْ أُمِّي بِخَيْرٍ وَلاَ بِشَرٍّ قَالَ إِنَّمَا قُلْتُ لَكَ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّا بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَعَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ " . ثُمَّ قَالَ " إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ " . قَالَ فَذَكَرَ بَعْضَ الْمَحَامِدِ " وَلْيَقُلْ لَهُ مَنْ عِنْدَهُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ وَلْيَرُدَّ - يَعْنِي عَلَيْهِمْ - يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ " .
Narrated Salim ibn Ubayd:
Hilal ibn Yasar said: We were with Salim ibn Ubayd when a man from among the people sneezed and said: Peace be upon you.
Salim said: And upon you and your mother. Later he said: Perhaps you found something (annoying) in what I said to you.
He said: I wished you would not mention my mother with good or evil. He said: I have just said to you what the Messenger of Allah (ﷺ) said. We were in the presence of the Messenger of Allah (ﷺ) when a man from among the people sneezed, saying: Peace be upon you!
The Messenger of Allah (ﷺ) said: And upon you and your mother. He then said: When one of you sneezes, he should praise Allah. He further mentioned some attributes (of Allah), saying: The one who is with him should say to him: Allah have mercy on you, and he should reply to them: Allah forgive us and you.
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. দাস-দাসীর হক সম্পর্কে।
৫০৭৬. মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... হিলাল ইবন ইয়াসাফ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার আমরা সুওয়েদ ইবন মুকাররিন (রাঃ) এর ঘরে অবস্থান করছিলাম। এ সময় আমাদের সাথে একজন বদ-মেজাযী বৃদ্ধ ছিল এবং তার সাথে একটা দাসীও ছিল। লোকটি দাসীর গালে চড় মারলে, সুওয়েদ (রাঃ) ভীষণ রাগান্বিত হন। আর এর আগে আমি কোন দিন তাকে এতো রাগানবিত হতে দেখিনি। তিনি বৃদ্ধ লোকটিকে বলেনঃ তুমি তাকে আযাদ করা ব্যতীত, আর কিছুতেই এর ক্ষতি পূরণ করতে পারবে না। আমি দেখেছি, আমরা মাকরানের সাত সন্তান ছিলাম এবং আমাদের মাত্র একটা গোলাম ছিল। আমাদের মধ্যে যে সব চাইতে ছোট ছিল, সে গোলামটির গালে চড় দেয়। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সে গোলামকে আযাদ করার নির্দেশ দেন।
باب فِي حَقِّ الْمَمْلُوكِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، قَالَ كُنَّا نُزُولاً فِي دَارِ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ وَفِينَا شَيْخٌ فِيهِ حِدَّةٌ وَمَعَهُ جَارِيَةٌ فَلَطَمَ وَجْهَهَا فَمَا رَأَيْتُ سُوَيْدًا أَشَدَّ غَضَبًا مِنْهُ ذَاكَ الْيَوْمَ قَالَ عَجَزَ عَلَيْكَ إِلاَّ حُرُّ وَجْهِهَا لَقَدْ رَأَيْتُنَا سَابِعَ سَبْعَةٍ مِنْ وَلَدِ مُقَرِّنٍ وَمَا لَنَا إِلاَّ خَادِمٌ فَلَطَمَ أَصْغَرُنَا وَجْهَهَا فَأَمَرَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِعِتْقِهَا .
Hilal b. Yasaf said :
We were staying in the house of Suwaid b. Muqarrin. There was among us an old man who was hot-tempered. He had a slave-girl with him. He gave a slap on her face. I never saw Suwaid more angry than on that day. He said: there is no alternative for you except to free her. I was the seventh child in order of Muqarrin and we had only a female servant. The youngest of us gave a slap on her face. The prophet (May peace be upon him) commanded us to set her free.
পরিচ্ছেদঃ ৫/৫৪. কাতারের পেছনে একাকী দাঁড়িয়ে সালাত পড়া।
২/১০০৪। হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যিয়াদ ইবনু আবূল জাদ (রহঃ) আমার হাত ধরে আর-রাক্কা নামক স্থানে ওয়াবিসা ইবনু মাবাদ (রাঃ) নামক প্রবীণ ব্যাক্তির নিকট নিয়ে যান। তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি কাতারের পিছনে একাকী সালাত পড়লে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তা পুনর্বার পড়ার নির্দেশ দেন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৫৪১, মিশকাত ১১০৫।
بَاب صَلَاةِ الرَّجُلِ خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يَسَافٍ، قَالَ أَخَذَ بِيَدِي زِيَادُ بْنُ أَبِي الْجَعْدِ فَأَوْقَفَنِي عَلَى شَيْخٍ بِالرَّقَّةِ يُقَالُ لَهُ وَابِصَةُ بْنُ مَعْبَدٍ فَقَالَ صَلَّى رَجُلٌ خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ يُعِيدَ .
It was narrated that Hilal bin Yasaf said:
“Ziyad bin Abu-Ja’d took me by the hand and made me stand near an old man at Raqqah, whose name was Wabisah bin Ma’bad. He said: ‘A man performed prayer behind the row on his own, and the Prophet (ﷺ) commanded him to repeat the prayer.’”
পরিচ্ছেদঃ কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা।
২৩০. হান্নাদ (রহঃ) ..... হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন আমরা একবার রাককা নগরীতে ছিলাম। মুহাদ্দিছ যিয়াদ ইবনু ইবল জা’দ আমার হাত ধরে বনূ আসা’দ গোত্রের ওয়াবিসা ইবনু মাবাদ নামক জনৈক বৃদ্ধ শায়খের নিকট নিয়ে গেলেন এবং তাঁকে শুনিয়ে আমাকে বললেন এই শায়খ আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, জনৈক ব্যাক্তি একবার কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করেছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন তাঁকে সালাত পূনরায় আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। - ইবনু মাজাহ ১০০৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আলী ইবনু শায়বান এবং ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ ওয়াবিসা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত এই হাদিসটি হাসান। আলিমগণের একদল কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা অপছন্দীয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা বলেন কাতারের পিছনে এক দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা অপছন্দীয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা বলেন কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলে তা পুনরায় আদায় করতে হবে।
ইমাম আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) এর অভিমত এ-ই। আলিমগনের অপর একদল বলেন কাতারের পিছনে এক দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলে তা হয়ে যাবে। এ হল ইমাম সুফইয়ান ছাওরী (ইমাম আবূ হানীফা), ইবনু মুবারাক ও শাফিঈ (রহঃ) এর অভিমত। হাম্মাদ ইবনু আবী সুলায়মান, ইবনু আবী লায়লা এবং ওয়াকী এর মত কূফাবাসী একদল আলিমও ওয়াবিসা ইবনু মাবাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদিসটি মার্মনুসারে মত পোষণ করে থাকেন। তাঁরা বলেন, কাতারের পিছনে একা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলে তা পুনরায় আদায় করতে হবে। আবূল আহওয়াস যিয়াদ ইবনু আবিল জা’দ ওয়াবিসা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মত আরও একাধিক সূত্রে হুসায়ন হিলাল ইবনু ইয়াসাফ এর উক্ত রিওয়ায়াতটি বর্ণিত আছে। হুসায়ন বর্ণিত রিওয়ায়াতটি দ্বারা বুঝা যায় হিলাল (রহঃ) ওয়াবিসা (রাঃ) এর সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন।
এই হাদিসটির সনদের বিষয়ে হাদিসবেত্তাগণের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। তাঁদের কেউ কেউ বলেন, আমর ইবনু মুররা হিলাল ইবনু ইয়াসাফ আমর ইবনু রাশিদ ওয়াবিসা (রাঃ) সনদটি অধিকতর সহীহ। অপর একদল বলেন, হুসায়ন হিলাল ইবনু ইয়সাফ যিয়াদ ইবনু আবিল জাদ ওয়াবিসা (রাঃ) সনদটি অধিকতর সহীহ। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আমর ইবনু মুররা বর্ণিত রিওয়ায়াতটির তুলনায় আমার মতে এই সনদটই অধিকতর সহীহ। কেননা আমর ইবনু মুররা হিলাল ইবনু ইয়াসাফ এর বরাত ছাড়াও যিয়াদ ইবনু ইবল জাদ (আমর ইবনু রাশিদের স্থলে) ওয়াবিসা ইবনু মাবাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রের উল্লেখ করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الصَّلاَةِ خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، قَالَ أَخَذَ زِيَادُ بْنُ أَبِي الْجَعْدِ بِيَدِي وَنَحْنُ بِالرَّقَّةِ فَقَامَ بِي عَلَى شَيْخٍ يُقَالُ لَهُ وَابِصَةُ بْنُ مَعْبَدٍ مِنْ بَنِي أَسَدٍ فَقَالَ زِيَادٌ حَدَّثَنِي هَذَا الشَّيْخُ أَنَّ رَجُلاً صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ وَالشَّيْخُ يَسْمَعُ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُعِيدَ الصَّلاَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ شَيْبَانَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ وَابِصَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ كَرِهَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُصَلِّيَ الرَّجُلُ خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ وَقَالُوا يُعِيدُ إِذَا صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ . وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَدْ قَالَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يُجْزِئُهُ إِذَا صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ . وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ إِلَى حَدِيثِ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَيْضًا قَالُوا مَنْ صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ يُعِيدُ . مِنْهُمْ حَمَّادُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ وَابْنُ أَبِي لَيْلَى وَوَكِيعٌ . وَرَوَى حَدِيثَ حُصَيْنٍ عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ غَيْرُ وَاحِدٍ مِثْلَ رِوَايَةِ أَبِي الأَحْوَصِ عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ . وَفِي حَدِيثِ حُصَيْنٍ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ هِلاَلاً قَدْ أَدْرَكَ وَابِصَةَ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْحَدِيثِ فِي هَذَا فَقَالَ بَعْضُهُمْ حَدِيثُ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ رَاشِدٍ عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَصَحُّ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ حَدِيثُ حُصَيْنٍ عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَصَحُّ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا عِنْدِي أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ لأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ حَدِيثِ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ وَابِصَةَ .
Hilal bin Yasar said:
"Ziyad bin Abi Al-Ja'd took me by the hand while we were in Ar Raqqah, he made me stand before a Shaikh who was called Wabisah bin Ma'bad, from Bani Asad. Ziyad said: 'This Shaikh narrated to me that a prayed alone behind the row' - and the Shaikh was listening - 'so Allah's Messenger ordered him to repeat the Salat.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫৮. কাতারের পেছনে একাকী দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা
২৩০। হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যিয়াদ ইবনু আবুল যাদ আমার হাত ধরলেন। এ সময়ে আমরা রাক্কা নামক জায়গায় ছিলাম। তিনি আমাকে এক মুরুব্বির নিকট নিয়ে গেলেন। তিনি ছিলেন আসাদ গোত্রের ওয়াবিসা ইবনু মা’বাদ (রাঃ)। যিয়াদ বললেন, আমাকে এই মুরুব্বি বলেছেন, এক ব্যক্তি কাতারের পেছনে একাকি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিল। মুরুবিব লোকটি শুনছিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আবার নামায আদায়ের নির্দেশ দিলেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১০০৪)।
এ অনুচ্ছেদে আলী ইবনু শাইবান ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ ওয়াবিসার হাদীসটি হাসান। কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম কাতারের পেছনে একাকি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা মাকরূহ বলেছেন। তারা আরো বলেছেন, কেউ এভাবে নামায আদায় করলে তাকে আবার নামায আদায় করতে হবে। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক এ মত গ্রহণ করেছেন।
অপর দল বলেছেন, নামায হয়ে যাবে। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক ও শাফিঈ এমত গ্রহণ করেছেন। কৃফাবাসীদের একদল ওয়াবিসার হাদীসের ভিত্তিতে বলেছেন, সারির পেছনে একাকি দাড়িয়ে নামায আদায় করলে তা আবার আদায় করতে হবে। এদের মধ্যে রয়েছেন হাম্মাদ, ইবনু আবু লাইলা ও ওয়াকী"।
হিলাল ইবনু ইয়াসাফের নিকট হতে প্রাপ্ত হুসাইনের হাদীসটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। যেমন আবুল আহওয়াস যিয়াদ ইবনু আবুল যাদ হতে, তিনি ওয়াবিসা হতে বর্ণনা করেছেন। হুসাইনের হাদীস হতে জানা যায়, হিলাল ওয়াবিসার সাক্ষাত পেয়েছেন। এ ব্যাপারে হাদীস বিশারদদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। কিছু লোক বলেছেন, হিলালের নিকট হতে আমর ইবনু মুররা হতে বর্ণিত হাদীসটি বেশি সহীহ। আবার কিছু লোক বলেছেন, হিলালের নিকট হতে হুসাইনের বর্ণিত হাদীসটি অধিক সহীহ। আবু ঈসা বলেনঃ শেষের বর্ণনাটিই বেশি সহীহ। কেননা এই বর্ণনাটি হিলাল ছাড়াও অন্য সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।
باب مَا جَاءَ فِي الصَّلاَةِ خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، قَالَ أَخَذَ زِيَادُ بْنُ أَبِي الْجَعْدِ بِيَدِي وَنَحْنُ بِالرَّقَّةِ فَقَامَ بِي عَلَى شَيْخٍ يُقَالُ لَهُ وَابِصَةُ بْنُ مَعْبَدٍ مِنْ بَنِي أَسَدٍ فَقَالَ زِيَادٌ حَدَّثَنِي هَذَا الشَّيْخُ أَنَّ رَجُلاً صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ وَالشَّيْخُ يَسْمَعُ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُعِيدَ الصَّلاَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ شَيْبَانَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ وَابِصَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ كَرِهَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُصَلِّيَ الرَّجُلُ خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ وَقَالُوا يُعِيدُ إِذَا صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ . وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَدْ قَالَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يُجْزِئُهُ إِذَا صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ . وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ إِلَى حَدِيثِ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَيْضًا قَالُوا مَنْ صَلَّى خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ يُعِيدُ . مِنْهُمْ حَمَّادُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ وَابْنُ أَبِي لَيْلَى وَوَكِيعٌ . وَرَوَى حَدِيثَ حُصَيْنٍ عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ غَيْرُ وَاحِدٍ مِثْلَ رِوَايَةِ أَبِي الأَحْوَصِ عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ . وَفِي حَدِيثِ حُصَيْنٍ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ هِلاَلاً قَدْ أَدْرَكَ وَابِصَةَ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْحَدِيثِ فِي هَذَا فَقَالَ بَعْضُهُمْ حَدِيثُ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ رَاشِدٍ عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَصَحُّ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ حَدِيثُ حُصَيْنٍ عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ وَابِصَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَصَحُّ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا عِنْدِي أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ لأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ حَدِيثِ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ وَابِصَةَ .
Hilal bin Yasar said:
"Ziyad bin Abi Al-Ja'd took me by the hand while we were in Ar Raqqah, he made me stand before a Shaikh who was called Wabisah bin Ma'bad, from Bani Asad. Ziyad said: 'This Shaikh narrated to me that a prayed alone behind the row' - and the Shaikh was listening - 'so Allah's Messenger ordered him to repeat the Salat.'"
পরিচ্ছেদঃ ৬১. কাতারের পেছনে যে ব্যক্তি একাকী সালাত আদায় করে
১৩১৯. হিলাল ইবনু্ ইসাফ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যিয়াদ ইবনু আবীল জা’দ আমার হাত ধরলেন এবং তারপর বণী আসাদ গোত্রের এক শাইখের (বৃদ্ধ) সামনে দাঁড় করিয়ে দিলেন, যাকে ওয়াবিসাহ ইবনু মা’বাদ বলে ডাকা হতো। এরপর তিনি বলেন, আমার নিকট এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন - আর লোকে শুনেছে- যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেছেন এবং (তিনি বর্ণনা করেন) এক লোক তাঁর পিছে সালাত আদায় করেছে, যে কাতারের সাথে মিলিত হয়ে দাঁড়ায়নি। তখন সেই ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুনরায় সালাত আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছেন।[1] আবু মুহাম্মদ বলেন, আহমাদ ইবনু হাম্বল আমর ইবনু মুররাহ’র হাদীসকে[2] সাব্যস্ত করেছেন। আর আমি ইয়াযীদ ইবনু যিয়াদ ইবনু আবীল জা’দ এর হাদীসের দিকে গিয়েছি (অবলম্বন করেছি)।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৫৮৮; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২১৯৮-২২০১ এ। পরবর্তী হাদীসটিও দেখুন।
[2] আমর ইবনু মুররাহ’র হাদীসটি আমরা তাখরীজ করেছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২১৯৮, ২১৯৯ এ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৪০৩, ৪০৪ এ। এর আগের ও পরের হাদীস দু’টি দেখুন।
بَاب فِي صَلَاةِ الرَّجُلِ خَلْفَ الصَّفِّ وَحْدَهُ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا أَبُو زُبَيْدٍ هُوَ عَبْثَرُ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ حُصَيْنٍ عَنْ هِلَالِ بْنِ يَسَافٍ قَالَ أَخَذَ بِيَدِي زِيَادُ بْنُ أَبِي الْجَعْدِ فَأَقَامَنِي عَلَى شَيْخٍ مِنْ بَنِي أَسَدٍ يُقَالُ لَهُ وَابِصَةُ بْنُ مَعْبَدٍ فَقَالَ حَدَّثَنِي هَذَا وَالرَّجُلُ يَسْمَعُ أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ صَلَّى خَلْفَهُ رَجُلٌ وَلَمْ يَتَّصِلْ بِالصُّفُوفِ فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُعِيدَ الصَّلَاةَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد كَانَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ يُثْبِتُ حَدِيثَ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ وَأَنَا أَذْهَبُ إِلَى حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ
পরিচ্ছেদঃ ৮. ক্রীতদাসদের সাথে আচার-আচরণ এবং দাসকে চপেটাঘাতের কাফফারা
৪১৯৪-(৩২/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ ও মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক বৃদ্ধ তার চাকরকে তড়িঘড়ি করতে গিয়ে চপেটাঘাত করল। সুওয়াইদ ইবনু মুকাররিন (রহঃ) তাকে বললেন, আপনি তার মূল্যবান চেহারা ছাড়া আর কোন স্থান পেলেন না। আপনি আমাকে বানী মুকাররিন গোত্রের সাত সদস্য বিশিষ্ট পরিবারে সপ্তম লোক হিসেবে দেখতে পাচ্ছেন। আমাদের একজন গোলাম ব্যতীত অন্য কোন গোলাম ছিল না। একদা আমাদের মধ্যকার সর্ব কনিষ্ঠ ব্যক্তি তাকে চপেটাঘাত করল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নির্দেশ দিলেন তাকে আযাদ করে দিতে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪১৫৬, ইসলামিক সেন্টার ৪১৫৫)
باب صُحْبَةِ الْمَمَالِيكِ وَكَفَّارَةِ مَنْ لَطَمَ عَبْدَهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، - وَاللَّفْظُ لأَبِي بَكْرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يَسَافٍ، قَالَ عَجِلَ شَيْخٌ فَلَطَمَ خَادِمًا لَهُ فَقَالَ لَهُ سُوَيْدُ بْنُ مُقَرِّنٍ عَجَزَ عَلَيْكَ إِلاَّ حُرُّ وَجْهِهَا لَقَدْ رَأَيْتُنِي سَابِعَ سَبْعَةٍ مِنْ بَنِي مُقَرِّنٍ مَا لَنَا خَادِمٌ إِلاَّ وَاحِدَةٌ لَطَمَهَا أَصْغَرُنَا فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نُعْتِقَهَا .
Hilal b. Yasaf reported that a person got angry and slapped his slave-girl. Thereupon Suwaid b. Muqarrin said to him:
You could find no other part (to slap) but the prominent part of her face. See I was one of the seven sons of Muqarrin, and we had but only one slave-girl. The youngest of us slapped her, and Allah's Messenger (ﷺ) commanded us to set her free.
পরিচ্ছেদঃ ৮. ক্রীতদাসদের সাথে আচার-আচরণ এবং দাসকে চপেটাঘাতের কাফফারা
৪১৯৫-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ..... হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নু’মান ইবনু মুকাররিন (রহঃ) এর ভাই সুওয়াইদ ইবনু মুকাররিন (রহঃ) এর বাড়িতে কাপড় বিক্রি করছিলাম। এমন সময় একজন দাসী বেরিয়ে এসে আমাদের একজন লোকের সাথে তর্ক করল। তখন সে তাকে একটি চপেটাঘাত মারল। এতে সুওয়াইদ (রাযিঃ) রাগাম্বিত হলেন। তখন তিনি ইবনু ইদ্রিস বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪১৫৭, ইসলামিক সেন্টার ৪১৫৬)
باب صُحْبَةِ الْمَمَالِيكِ وَكَفَّارَةِ مَنْ لَطَمَ عَبْدَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يَسَافٍ، قَالَ كُنَّا نَبِيعُ الْبَزَّ فِي دَارِ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ أَخِي النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ فَخَرَجَتْ جَارِيَةٌ فَقَالَتْ لِرَجُلٍ مِنَّا كَلِمَةً فَلَطَمَهَا فَغَضِبَ سُوَيْدٌ . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ إِدْرِيسَ .
Hilal b. Yasaf reported:
We used to sell cloth in the house of Suwaid b. Muqarrin, the brother of Nu'man b. Muqarrin. There came out a slave-girl, and she said something to a person amongst us, and he slapped her. Suwaid was enraged-the rest of the hadlth is the same.
পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাঁচি দেয়া এবং হাই তোলা
৪৭৪১-[১০] হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা সালিম ইবনু ’উবায়দ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। জনতার মধ্য হতে জনৈক ব্যক্তি হাঁচি দিলো এবং (’আলহামদুলিল্লা-হ’র পরিবর্তে) ’’আসসালা-মু ’আলাইকুম’’ বলল (এ ধারণায় যে, হয়তো বা এটাও জায়িয আছে)। তখন সালিম(রাঃ) তার জবাবে বললেনঃ ’’তোমার ওপর এবং তোমার মায়ের ওপর সালাম।’’ লোকটি এতে মনে ব্যথা পেল। তখন সালিম(রাঃ) বললেনঃ আমি তো এটা আমার পক্ষ হতে বলিনি; বরং এটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বলেছিলেন, যখন এক ব্যক্তি তাঁর সম্মুখে হাঁচি দিলো এবং বলল : ’’আসসালা-মু ’আলাইকুম’’, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’’তোমার ওপর এবং তোমার মায়ের উপর সালাম।’’ যখন তোমাদের কারো হাঁচি আসে, সে যেন ’’আলহামদু লিল্লা-হি রব্বিল ’আ-লামীন’’ বলে এবং যে তার জবাব দেয়, সে যেন ’’ইয়ারহামুকাল্ল-হ’’ বলে এবং হাঁচিদাতা যেন তার জবাবে ’’ইয়াগফিরুল্ল-হু লী ওয়া লাকুম’’ (অর্থাৎ- আল্লাহ তা’আলা তোমাকে ও আমাকে ক্ষমা করুন) বলে। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]
এ হাদীসটি য‘ঈফ হওয়া সম্পর্কে আলবানী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এর সনদে ইনক্বিত্বা‘ বা বিচ্ছিন্নতা আছে। আর তা হলো, হাকিম (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ হিলাল ইবনু ইয়াসাফ এবং সালিম-কে পাননি। এ কারণেই হাদীসটি য‘ঈফ অথবা হিলাল ইবনু ইয়াসাফ এবং সালিম-এর মাঝে দু’জন বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ নেই। তাদের দু’ জনের অপরিচিতির কারণে হাদীসটি য‘ঈফ। বিস্তারিত দেখুন- ইরওয়াউল গালীল ৩/২৪৬-২৪৭ পৃঃ। সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৯৯, শু‘আবুল ঈমান ৯৩৪২, সুনানুন্ নাসায়ী আল কুবরা ১০০৫৩, আল মুসতাদরাক ৭৬৯৮।
وَعَن
هلالِ بن يسَاف قَالَ: كُنَّا مَعَ سَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ فَعَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ. فَقَالَ لَهُ سَالِمٌ: وَعَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ. فَكَأَنَّ الرَّجُلَ وَجَدَ فِي نَفْسِهِ فَقَالَ: أَمَا إِنِّي لَمْ أَقُلْ إِلَّا مَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ: الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ وَلْيَقُلْ لَهُ مَنْ يَرُدُّ عَلَيْهِ: يرحمكَ اللَّهُ وَليقل: يغْفر لي وَلكم رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ (وَعَلَيْكَ وَعَلٰى أُمِّكَ) এর মর্মার্থ : কোন এক ব্যক্তি হাঁচির সময় ‘‘আসসালা-মু ‘আলাইকুম’’ বললে সালিম ইবনু ‘উবায়দ তার জবাবে বললেন, ‘‘ওয়া ‘আলায়কা ওয়া ‘আলা- উম্মিকা’’ অর্থাৎ তোমার ওপর ও তোমার মায়ের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। এ কথাটি আপাতদৃষ্টিতে তিরস্কারমূলক হলেও তা প্রকৃতপক্ষ সালিম এর উক্তি ছিল না। ইবনু মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ সম্ভাবনা রয়েছে সালিম ‘আলহামদুলিল্লা-হ’-এর পরিবর্তে ‘‘আসসালা-মু ‘আলাইকুম’’ বলেছেন। আরো সম্ভাবনা রয়েছে যে, সে ভুল করে ‘আলহামদুলিল্লা-হ’-এর পরিবর্তে ‘‘আসসালা-মু ‘আলাইকুম’’ বলেছেন।
ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ হাঁচিদাতা যখন ‘আলহামদুলিল্লা-হ’ ছাড়া অন্য কোন শব্দ দিয়ে বলবে তখন সে তার জবাব পাওয়ার উপযুক্ত নয়। কোন ব্যক্তি যদি হাঁচির সময় ‘আলহামদুলিল্লা-হ’ বা ‘‘আলহামদুলিল্লা-হি রব্বিল ‘আ-লামীন’’ বলে। তখন তার উত্তরে ‘‘ইয়ারহামুকাল্ল-হ’’ বলবে।
অতঃপর হাঁচিদাতা তার উত্তরে পুনরায় ‘‘ইয়াহদীকুমুল্ল-হু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম’’ বা ‘‘ইয়াগফিরুল্ল-হু লী ওয়া লাকুম’’ বলবে। এছাড়া ‘‘আসসালা-মু ‘আলাইকুম’’ অথবা অন্য কোন বাক্য ব্যবহার করা উচিত নয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১৭৭. লাঠিতে ভর দিয়ে সালাত আদায়কারী সম্পর্কে
৯৪৮। হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যখন (শাম দেশের) রাক্কাহ নামক শহরে যাই তখন আমার বন্ধুদের একজন আমাকে বললেন, আপনি কি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন সাহাবীর সাক্ষাত পেতে আগ্রহী? আমি বললাম, এটা তো আমার জন্য গনীমাতস্বরূপ। অতঃপর আমাদেরকে ওয়াবিসাহ (রাঃ) এর নিকট নিয়ে যাওয়া হলো। আমি আমার সাথীকে বললাম, প্রথমে আমরা তাঁর বেশভুষা দেখবো। আমরা দেখলাম, তিনি মাথার সাথে লেপটে থাকা দুই কানবিশিষ্ট একটি টুপি এবং রেশম ও পশমের তৈরি ধূসর রংয়ের কাপড় পরিধান করেছেন। তিনি লাঠিতে ভর দিয়ে সালাত আদায় করছিলেন। আমরা সালাম দেওয়ার পর তাকে (লাঠিতে ভর দিয়ে সালাত আদায় সম্পর্কে) জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, উম্মু ক্বাইস বিনতে মিহসান (রাঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বয়স বেশী হলো এবং তাঁর শরীরের মাংস ঢিলা হয়ে গেল তখন তিনি তাঁর সালাতের স্থানে একটি লাঠি রাখতেন এবং তার উপর ভর করে সালাত আদায় করতেন।[1]
সহীহ।
باب الرَّجُلِ يَعْتَمِدُ فِي الصَّلَاةِ عَلَى عَصًا
حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْوَابِصِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ هِلَالِ بْنِ يِسَافٍ، قَالَ قَدِمْتُ الرَّقَّةَ فَقَالَ لِي بَعْضُ أَصْحَابِي هَلْ لَكَ فِي رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم قَالَ قُلْتُ غَنِيمَةٌ فَدَفَعْنَا إِلَى وَابِصَةَ قُلْتُ لِصَاحِبِي نَبْدَأُ فَنَنْظُرُ إِلَى دَلِّهِ فَإِذَا عَلَيْهِ قَلَنْسُوَةٌ لَاطِئَةٌ ذَاتُ أُذُنَيْنِ وَبُرْنُسُ خَزٍّ أَغْبَرُ وَإِذَا هُوَ مُعْتَمِدٌ عَلَى عَصًا فِي صَلَاتِهِ فَقُلْنَا بَعْدَ أَنْ سَلَّمْنَا . فَقَالَ حَدَّثَتْنِي أُمُّ قَيْسٍ بِنْتُ مِحْصَنٍ أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا أَسَنَّ وَحَمَلَ اللَّحْمَ اتَّخَذَ عَمُودًا فِي مُصَلَاهُ يَعْتَمِدُ عَلَيْهِ .
- صحيح
Narrated Umm Qays bint Mihsan:
Hilal ibn Yasaf said: I came to ar-Raqqah (a place in Syria). One of my companions said to me: Do you want to see any of the Companions of the Prophet (ﷺ)? I said: A good opportunity. So we went to Wabisah.
I said to my friend: Let us first see his mode of living. He had a cap with two ears stuck (to his head), and wearing a brown silken robe. He was resting on a staff during prayer. We asked him (about resting on the staff) after salutation; He said: Umm Qays daughter of Mihsan said to me that when the Messenger of Allah (ﷺ) became aged and the flesh grew increasingly on him, he took a prop at his place of prayer and rested on it.
পরিচ্ছেদঃ ৯৯. হাঁচির জবাব দেয়া
৫০৩১। হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি সালিম ইবনু উবাইদ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। তখন কওমের এক লোক হাঁচি দিয়ে বললো, আসসালামু আলাইকুম। সালিম (রাঃ) বললেন, তোমার এবং তোমার মাতার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। সালিম (রাঃ) বললেন, মনে হয় তুমি আমার উত্তরে বিব্রতবোধ করেছো। লোকটি বললো, ভালো-মন্দ কোনো প্রসঙ্গে আপনি আমার মায়ের উল্লেখ করবেন তা আমি আশা করি না। সালিম (রাঃ) বললেন, আমি তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মতই বলেছি। একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। লোকদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে বললো, আসসালামু ’আলাইকুম।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’ওয়া আলাইকা ওয়া আলা উম্মিকা।’ তারপর বললেনঃ তোমাদের কেউ হাঁচি দিলে তার উচিৎ ’’আলহামদুলিল্লাহ লিল্লাহ’’ বলা। অতঃপর তিনি কিছু হামদ উল্লেখ কররেন, এবং তার নিকট যারা থাকবে তাদের উচিৎ ’’ইয়ারহামুকাল্লাহ’’ (আল্লাহ তোমাকে দয়া করুন) বলা; এবং হাঁচি দানকারীর উচিৎ উপস্থিত লোকদের উদ্দেশ্যে ’ইয়াগফিরুল্লাহ লানা ওয়ালাকুম’ (আল্লাহ আপনাদেরকে ও আমাদেরকে ক্ষমা করুন) বলা।[1]
দুর্বল।
بَابُ مَا جَاءَ فِي تَشْمِيتِ الْعَاطِسِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلَالِ بْنِ يَسَافٍ، قَالَ: كُنَّا مَعَ سَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ فَعَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ، فَقَالَ سَالِمٌ: وَعَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ، ثُمَّ قَالَ بَعْدُ: لَعَلَّكَ وَجَدْتَ مِمَّا قُلْتُ لَكَ، قَالَ: لَوَدِدْتُ أَنَّكَ لَمْ تَذْكُرْ أُمِّي بِخَيْرٍ وَلَا بِشَرٍّ، قَالَ: إِنَّمَا قُلْتُ لَكَ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِنَّا بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ» ثُمَّ قَالَ «إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ قَالَ: فَذَكَرَ بَعْضَ الْمَحَامِدِ، وَلْيَقُلْ لَهُ مَنْ عِنْدَهُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ وَلْيَرُدَّ - يَعْنِي عَلَيْهِمْ - يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ
ضعيف
Narrated Salim ibn Ubayd:
Hilal ibn Yasar said: We were with Salim ibn Ubayd when a man from among the people sneezed and said: Peace be upon you.
Salim said: And upon you and your mother. Later he said: Perhaps you found something (annoying) in what I said to you.
He said: I wished you would not mention my mother with good or evil. He said: I have just said to you what the Messenger of Allah (ﷺ) said. We were in the presence of the Messenger of Allah (ﷺ) when a man from among the people sneezed, saying: Peace be upon you!
The Messenger of Allah (ﷺ) said: And upon you and your mother. He then said: When one of you sneezes, he should praise Allah. He further mentioned some attributes (of Allah), saying: The one who is with him should say to him: Allah have mercy on you, and he should reply to them: Allah forgive us and you.
পরিচ্ছেদঃ ১৩৪. দাস-দাসীর হক
৫১৬৬। হিলাল ইবনু ইয়াসাফ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা সুয়াইদ ইবনু মুকাররিন (রাঃ)-এর বাড়িতে থাকতাম। আমাদের সঙ্গে একজন কড়া মেজাজী বৃদ্ধ ছিলেন এবং তার সঙ্গে একটি দাসী ছিলো। তিনি তার চেহারায় চড় মারলেন। এ কারণে সুয়াইদ (রাঃ) এতটা উত্তেজিত হয়েছিলেন যে, আমরা তাকে এমন উত্তেজিত হতে আর দেখিনি। তিনি বলেন, একে আযাদ করা ব্যতীত তোমার জন্য অন্য কোনো পথ নেই। তুমি দেখছো যে, আমাদেরকে মুকাররিনের সাতটি সন্তান। আমাদের মাত্র একজন খাদেম ছিলো। আমাদের কনিষ্ঠ জন তার মুখে চড় মেরেছিল বিধায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে তাকে আযাদ করার নির্দেশ দিলেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي حَقِّ الْمَمْلُوكِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ هِلَالِ بْنِ يَسَافٍ، قَالَ: كُنَّا نُزُولًا فِي دَارِ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ وَفِينَا شَيْخٌ فِيهِ حِدَّةٌ وَمَعَهُ جَارِيَةٌ لَهُ، فَلَطَمَ وَجْهَهَا؟ فَمَا رَأَيْتُ سُوَيْدًا أَشَدَّ غَضَبًا مِنْهُ ذَاكَ الْيَوْمَ، قَالَ: عَجَزَ عَلَيْكَ إِلَّا حُرُّ وَجْهِهَا؟ لَقَدْ رَأَيْتُنَا سَابِعَ سَبْعَةٍ مِنْ وَلَدِ مُقَرِّنٍ، وَمَا لَنَا إِلَّا خَادِمٌ، فَلَطَمَ أَصْغَرُنَا وَجْهَهَا، فَأَمَرَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعِتْقِهَا
صحيح
Hilal b. Yasaf said :
We were staying in the house of Suwaid b. Muqarrin. There was among us an old man who was hot-tempered. He had a slave-girl with him. He gave a slap on her face. I never saw Suwaid more angry than on that day. He said: there is no alternative for you except to free her. I was the seventh child in order of Muqarrin and we had only a female servant. The youngest of us gave a slap on her face. The prophet (May peace be upon him) commanded us to set her free.
পরিচ্ছেদঃ আমরা যেভাবে বিবরণ দিলাম, যে ব্যক্তি সেভাবে হাঁচিদানকারীর জবাব দেয়, হাঁচিদানকারী ব্যক্তি তখন যা বলে জবাব দিবেন
৫৯৮. হিলাল বিন ইয়াসাফ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমরা একটি যুদ্ধে সালিম বিন উবাইদ এর সাথে ছিলাম। তখন কওমের এক ব্যক্তি হাঁচি দেয়, অতঃপর সে বলে: “আস সালামু আলাইকুম।” তখন সালিম জবাবে বলেন: আস সালামু আলাইকা ওয়া আলা উম্মিকা (তোমার উপর এবং তোমার মার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)! এতে লোকটি মনে কষ্ট পায়। তখন সালিম বলেন: “যেন তুমি মনে কষ্ট নিয়েছো?” তখন তিনি বলেন যে, “আমি চাই না যে, আপনি আমার মায়ের ভালো বা মন্দ কিছু উল্লেখ করেন।” তখন সালিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমরা এক সফরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে ছিলাম। এসময় এক ব্যক্তি হাঁচি দেয় তারপর সে বলে: “আস সালামু আলাইকুম।” তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আলাইকা ওয়া আলা উম্মিকা (তোমার উপর এবং তোমার মার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক)! যখন তোমাদের কেউ হাঁচি দিবে, সে যেন বলে ‘আলহামদু লিল্লাহ ‘আলা কুল্লি হাল (সর্বাবস্থায় আল্লাহর জন্য প্রশংসা) অথবা বলবে: “আল হামদু লিল্লাহি রব্বিল ‘আলামীন’ আর শ্রবণকারী ব্যক্তিরা যেন তার উদ্দেশ্যে বলে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ (আল্লাহ তোমার উপর রহম করুন) অতঃপর হাঁচিদানকারী যেন বলে ‘ইয়াগফিরুল্লাহু লাকুম’ (আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন)।[1]
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির ব্যাপারে স্পষ্ট কোন মন্তব্য করেননি। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে য‘ঈফ বলেছেন। (ইরওয়াউল গালীল: ৩/২৪৬।)
ذِكْرُ مَا يُجِيبُ بِهِ الْعَاطِسُ مَنْ يشمِّته بما وصفناه
598 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ هِلَالِ بْنِ يَسَافٍ قَالَ: كُنَّا مَعَ سَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ فِي غَزَاةٍ فَعَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ فقَالَ سَالِمٌ: السَّلَامُ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ فَوَجَدَ الرَّجُلُ فِي نَفْسِهِ فقَالَ لَهُ سَالِمٌ: كَأَنَّكَ وَجَدْتَ فِي نَفْسِكَ؟ فقَالَ: مَا كُنْتُ أُحِبُّ أَنْ تَذْكُرَ أُمِّي بِخَيْرٍ وَلَا بِشَرٍّ فقَالَ سَالِمٌ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ فَعَطَسَ رَجُلٌ فقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ فقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (عَلَيْكَ وَعَلَى أُمِّكَ إِذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلِ: الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ أَوْ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ وَلْيَقُلْ لَهُ: يَرْحَمُكَ اللَّهُ وَلْيَقُلْ هُوَ: يَغْفِرُ اللَّهُ لَكُمْ.)
الراوي : هِلَال بْن يَسَافٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 598 | خلاصة حكم المحدث: ضعيف.