পরিচ্ছেদঃ ৩০৪ : অশুভ লক্ষণ মানা নিষেধ
৪/১৬৮৬। উরওয়াহ ইবনু আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখে অশুভ বা কুলক্ষণ সম্পর্কে কথা হচ্ছিল। তিনি বললেন: এর মধ্যে ভাল হল ফাল। কিন্তু কোন মুসলিমকে অশুভ লক্ষণ তার কর্ম থেকে বিরত রাখতে পারে না। তোমাদের মধ্যে কেউ অপছন্দীয় কোন বিষয় দেখলে সে যেন বলে, ’’হে আল্লাহ! তুমি ব্যতীত কেউ কল্যাণ দিতে পারে না এবং তুমি ব্যতীত কেউ অকল্যাণ দূর করতে পারে না। অবস্থার পরিবর্তন করা বা মঙ্গল ও অমঙ্গল বিধান করার ক্ষমতা শুধুমাত্র তোমারই’’। [আবূ দাঊদ][1]
(304) بَابُ النَّهْيِ عَنِ التَّطَيُّرِ
وَعنْ عُرْوَةَ بْنِ عامِرِ رَضِيَ اللهُ عَنهُ قَالَ: ذُكِرتِ الطَّيَرَةُ عِنْد رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم فقَالَ: «أحْسَنُهَا الْفَألُ، وَلا تَرُدُّ مُسْلِماً، فَإذا رأى أحَدُكُمْ ما يَكْرَه، فَلْيقُلْ : اَللهم لا يَأتى بالحَسَناتِ إلاَّ أنتَ، وَلا يَدْفَعُ السَّيِّئاتِ إلاَّ أنْتَ، وَلا حوْلَ وَلا قُوَّةَ إلاَّ بِكَ» حديثٌ صَحيحٌ رَوَاهُ أبو داودُ بإسنادٍ صَحيحٍ .
(304) Chapter: Forbiddance of Believing in Ill Omens
'Urwah bin 'Amir (May Allah be pleased with him) said:
When talking of omens was mentioned in the presence of the Messenger of Allah (ﷺ) he said, "The best type of omen is the good omen." He added, "A Muslim should not refrain from anything because of an omen." He (ﷺ) told them, "When any of you sees anything which he dislikes, he should say: 'Allahuma la ya'ti bil-hasanati illa Anta, wa la yadfa'us- sayyi'ati illa Anta, wa la hawla wa la quwwata illa Bika (O Allah ! You Alone bring good things; You Alone avert evil things, and there is no might or power but in You)."'
[Abu Dawud with Sahih Isnad].
Commentary:
1. Tiyarah means taking omen. This applies to good as well as bad omens. Muslims are required to take good omen only. For this reason, when a Muslim resolves to do something good then a bad omen should not impede his way because he believes that it is Allah Alone who brings about every thing. He should also pray to Allah for the removal of mischief.
2. When such things from which people usually take a bad omen create suspicions in one's mind, then it is Mustahabb (desirable) to recite the prayer mentioned in this Hadith. Thus, what we learn from this Hadith is that if a Muslim comes across something repulsive, he should pray to Allah for something auspicious. He should also pray to Allah for granting him the power and ability to abstain from evils.
পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - শুভ ও অশুভ লক্ষণ
৪৫৯১-[১৬] ’উরওয়াহ্ ইবনু ’আমির (রহঃ) হতে বর্ণিত। একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখে অশুভ লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ নেক ফাল (কল্যাণ) গ্রহণ করাই উত্তম। কোন মুসলিমকে অশুভ লক্ষণ তার উদ্দেশ্য হতে ফিরিয়ে রাখতে পারে না। তবে হ্যাঁ, যদি তোমাদের কেউ মন্দ কিছু দেখতে পায়, তবে এ দু’আ পাঠ করবে- ’’আল্ল-হুম্মা লা- ইয়া’তী বিল হাসানা-তি ইল্লা- আনতা’’ অর্থাৎ- হে আল্লাহ! ভালো কাজ আপনার দ্বারাই সংঘটিত হয় এবং মন্দ আপনিই দূর করেন। আল্লাহ তা’আলা ছাড়া আমাদের কোন শক্তি-সামর্থ্য নেই। (আবূ দাঊদ মুরসাল হিসেবে)[1]
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, এর সনদে ‘‘হাবীব ইবনু আবী সাবিত’’ নামের একজন বর্ণনাকারী। যিনি খুব বেশী তাদলীস করেন (মুদাল্লিস রাবী)। দেখুন- য‘ঈফাহ্ ১৬১৯।
عَن عُرْوَة بن عَامر قَالَ: ذُكِرَتِ الطِّيَرَةُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَحْسَنُهَا الْفَأْلُ وَلَا تَرُدُّ مُسْلِمًا فَإِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ لَا يَأْتِي بِالْحَسَنَاتِ إِلَّا أَنْتَ وَلَا يَدْفَعُ السَّيِّئَاتِ إِلَّا أَنْتَ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
ব্যাখ্যাঃ (أَحْسَنُهَا الْفَأْلُ) ‘‘নিহায়াহ্’’ গ্রন্থে আছে, الْفَأْلُ এর মধ্যে ভালো ও মন্দ উভয়টি আছে। কিন্তু الطِّيَرَةُ-এর মাঝে কেবলমাত্র খারাপই আছে। তবে কদাচিৎ তা ভালো এর ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয়। বলা হয় যে, আমি অমুক বস্তুর দ্বারা فَأْلُ তথা কল্যাণ লাভ করেছি। আমার কাছে প্রিয় হলো فَأْلُ তথা শুভ লক্ষণ। কেননা মানুষ যখন মহান আল্লাহর উপকারের আশা রাখে এবং দুর্বল অথবা সবলের কারণে তার নিকটই ফিরে আসে, তারা কল্যাণের উপর থাকে। আশা করার ক্ষেত্রে যদি তারা ভুলও করে, তবে নিঃসন্দেহে আশা করাটা তাদের জন্য কল্যাণকর। অপরদিকে যদি আল্লাহ থেকে তাদের আশা আকাঙক্ষা ছিন্ন করে ফেলে, তবে তা তাদের জন্য অকল্যাণকর হবে।
আর الطِّيَرَةُ বলা হয়, যাতে আল্লাহ সম্পর্কে খারাপ ধারণা থাকে এবং রোগ-ব্যাধি থাকে।
আর শুভ লক্ষণ গ্রহণ করার অর্থ হলো যেমন- কোন অসুস্থ ব্যক্তি। অথবা কোন ব্যক্তি হারানো জিনিস খুঁজছে এমন সময় কেউ বলছে, হে প্রাপ্ত ব্যক্তি! তখন তার ধারণা জন্মে যে, নিশ্চয় সে তার অসুখ হতে ভালো হয়ে যাবে এবং সে ব্যক্তি তার হারানো জিনিস ফিরে পাবে।
(لَا تَرُدُّ مُسْلِمًا) ‘‘কোন মুসলিমকে অশু লক্ষণ তার উদ্দেশ্য হতে ফিরিয়ে রাখতে পারে না’’। এর অর্থ হলো الطِّيَرَةُ-এর মধ্যে ভালো হলো, যেটি فَأْلُ ‘‘শুভ লক্ষণ’’ এর সাথে সাদৃশ্য রাখে। এছাড়া মুসলিমকে কোন অশুভ লক্ষণ তার প্রয়োজনীয় যাত্রা থেকে বাধা দিতে পারে না। আর এটি মুসলিমের কাজও না যে, সে অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করবে। বরং তার কাজ হলো, সে সকল বিষয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার কাজে যাত্রা শুরু করবে।
(لَا حَوْلَ) অর্থাৎ মন্দকে প্রতিহত করার। (وَلَا قُوَّةَ) অর্থাৎ কল্যাণ অর্জন করার। (কারো শক্তি নেই কেবল আল্লাহ ছাড়া)। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৯১৪; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)