লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - শুভ ও অশুভ লক্ষণ
৪৫৯১-[১৬] ’উরওয়াহ্ ইবনু ’আমির (রহঃ) হতে বর্ণিত। একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখে অশুভ লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ নেক ফাল (কল্যাণ) গ্রহণ করাই উত্তম। কোন মুসলিমকে অশুভ লক্ষণ তার উদ্দেশ্য হতে ফিরিয়ে রাখতে পারে না। তবে হ্যাঁ, যদি তোমাদের কেউ মন্দ কিছু দেখতে পায়, তবে এ দু’আ পাঠ করবে- ’’আল্ল-হুম্মা লা- ইয়া’তী বিল হাসানা-তি ইল্লা- আনতা’’ অর্থাৎ- হে আল্লাহ! ভালো কাজ আপনার দ্বারাই সংঘটিত হয় এবং মন্দ আপনিই দূর করেন। আল্লাহ তা’আলা ছাড়া আমাদের কোন শক্তি-সামর্থ্য নেই। (আবূ দাঊদ মুরসাল হিসেবে)[1]
عَن عُرْوَة بن عَامر قَالَ: ذُكِرَتِ الطِّيَرَةُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَحْسَنُهَا الْفَأْلُ وَلَا تَرُدُّ مُسْلِمًا فَإِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ لَا يَأْتِي بِالْحَسَنَاتِ إِلَّا أَنْتَ وَلَا يَدْفَعُ السَّيِّئَاتِ إِلَّا أَنْتَ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
ব্যাখ্যাঃ (أَحْسَنُهَا الْفَأْلُ) ‘‘নিহায়াহ্’’ গ্রন্থে আছে, الْفَأْلُ এর মধ্যে ভালো ও মন্দ উভয়টি আছে। কিন্তু الطِّيَرَةُ-এর মাঝে কেবলমাত্র খারাপই আছে। তবে কদাচিৎ তা ভালো এর ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয়। বলা হয় যে, আমি অমুক বস্তুর দ্বারা فَأْلُ তথা কল্যাণ লাভ করেছি। আমার কাছে প্রিয় হলো فَأْلُ তথা শুভ লক্ষণ। কেননা মানুষ যখন মহান আল্লাহর উপকারের আশা রাখে এবং দুর্বল অথবা সবলের কারণে তার নিকটই ফিরে আসে, তারা কল্যাণের উপর থাকে। আশা করার ক্ষেত্রে যদি তারা ভুলও করে, তবে নিঃসন্দেহে আশা করাটা তাদের জন্য কল্যাণকর। অপরদিকে যদি আল্লাহ থেকে তাদের আশা আকাঙক্ষা ছিন্ন করে ফেলে, তবে তা তাদের জন্য অকল্যাণকর হবে।
আর الطِّيَرَةُ বলা হয়, যাতে আল্লাহ সম্পর্কে খারাপ ধারণা থাকে এবং রোগ-ব্যাধি থাকে।
আর শুভ লক্ষণ গ্রহণ করার অর্থ হলো যেমন- কোন অসুস্থ ব্যক্তি। অথবা কোন ব্যক্তি হারানো জিনিস খুঁজছে এমন সময় কেউ বলছে, হে প্রাপ্ত ব্যক্তি! তখন তার ধারণা জন্মে যে, নিশ্চয় সে তার অসুখ হতে ভালো হয়ে যাবে এবং সে ব্যক্তি তার হারানো জিনিস ফিরে পাবে।
(لَا تَرُدُّ مُسْلِمًا) ‘‘কোন মুসলিমকে অশু লক্ষণ তার উদ্দেশ্য হতে ফিরিয়ে রাখতে পারে না’’। এর অর্থ হলো الطِّيَرَةُ-এর মধ্যে ভালো হলো, যেটি فَأْلُ ‘‘শুভ লক্ষণ’’ এর সাথে সাদৃশ্য রাখে। এছাড়া মুসলিমকে কোন অশুভ লক্ষণ তার প্রয়োজনীয় যাত্রা থেকে বাধা দিতে পারে না। আর এটি মুসলিমের কাজও না যে, সে অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করবে। বরং তার কাজ হলো, সে সকল বিষয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার কাজে যাত্রা শুরু করবে।
(لَا حَوْلَ) অর্থাৎ মন্দকে প্রতিহত করার। (وَلَا قُوَّةَ) অর্থাৎ কল্যাণ অর্জন করার। (কারো শক্তি নেই কেবল আল্লাহ ছাড়া)। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৯১৪; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)