শু‘আয়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে টি

পরিচ্ছেদঃ ৫৯৬. খাওফের সালাত (শত্রুভীতি অবস্থায় সালাত)।

وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: (وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلاَةِ إِنْ خِفْتُمْ أَنْ يَفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا إِنَّ الْكَافِرِينَ كَانُوا لَكُمْ عَدُوًّا مُبِينًا وَإِذَا كُنْتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلاَةَ فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُوا فَلْيَكُونُوا مِنْ وَرَائِكُمْ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ وَدَّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ تَغْفُلُونَ عَنْ أَسْلِحَتِكُمْ وَأَمْتِعَتِكُمْ فَيَمِيلُونَ عَلَيْكُمْ مَيْلَةً وَاحِدَةً وَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِنْ كَانَ بِكُمْ أَذًى مِنْ مَطَرٍ أَوْ كُنْتُمْ مَرْضَى أَنْ تَضَعُوا أَسْلِحَتَكُمْ وَخُذُوا حِذْرَكُمْ إِنَّ اللَّهَ أَعَدَّ لِلْكَافِرِينَ عَذَابًا مُهِينًا

মহিমান্বিত আল্লাহ্‌ বলেনঃ আর যখন তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর তখন সালাত ’কসর’ করলে তোমাদের কোন গুনাহ হবে না, যদি তমাদের আশংকা হয় যে, কাফিরগণ তমাদের জন্য ফিতনা সৃষ্টি করবে । নিশ্চয়ই কাফিররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। আর তুমি যখন তাদের মধ্যে অবস্থান করবে ও তাদের সঙ্গে সালাত কায়েম করবে তখন তাদের একদল তোমার সঙ্গে যেন দাঁড়ায় এবং তারা যেন সশস্ত্র থাকে। তারপর তারা সিজদা করলে তখন তারা যেন তোমাদের পিছনে অবস্থান করে । অপর একদল যারা সালাতে শরীক হয় নাই, তারা তোমার সঙ্গে যেন সালাতে শরীক হয় এবং তারা যেন সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে। কাফিররা কামনা করে যেন তোমরা তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও আসবাবপত্র সম্মন্ধে অসতর্ক হও, যাতে তারা তোমাদের উপর একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। যদি তোমরা বৃষ্টির জন্য কষ্ট পাও বা পীড়িত থাক তবে তোমরা অস্ত্র রেখে দিলে তোমাদের কোন দোষ নাই; কিন্তু তোমরা সতর্কতা অবলম্বন করবে। আল্লাহ্‌ কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন । (সূরা নিসাঃ ১০১–১০২)।


৮৯৫। আবূ ইয়ামান (রহঃ) ... শু’আইব (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যুহরী (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন অর্থাৎ খাওফের সালাত? তিনি বললেন, আমাকে সালিম (রহঃ) জানিয়েছেন যে, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে নাজদ এলাকায় যুদ্ধ করেছিলাম। সেখানে আমরা শত্রুর মুখোমুখী কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ালাম। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। একদল তাঁর সঙ্গে সালাতে দাঁড়ালেন এবং অন্য একটি দল শত্রুর প্রতি মুখোমুখী অবস্থান করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সঙ্গে যারা ছিলেন তাঁদের নিয়ে রুকু ও দু’টি সিজদা করলেন। এরপর এ দলটি যারা সালাত আদায় করেনি, তাঁদের স্থানে চলে গেলেন এবং তাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে এগিয়ে এলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের সঙ্গে এক রুকু ও দু’টি সিজদা করলেন এবং পরে সালাম ফিরালেন। এরপর তাঁদের প্রত্যেকে উঠে দাঁড়ালেন এবং নিজে নিজে একটি রুকু ও দু’টি সিজদা (সহ সালাত) শেষ করলেন।

باب صَلاَةِ الْخَوْفِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ سَأَلْتُهُ هَلْ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعْنِي صَلاَةَ الْخَوْفِ قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمٌ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِبَلَ نَجْدٍ، فَوَازَيْنَا الْعَدُوَّ فَصَافَفْنَا لَهُمْ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي لَنَا فَقَامَتْ طَائِفَةٌ مَعَهُ تُصَلِّي، وَأَقْبَلَتْ طَائِفَةٌ عَلَى الْعَدُوِّ وَرَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَنْ مَعَهُ، وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ، ثُمَّ انْصَرَفُوا مَكَانَ الطَّائِفَةِ الَّتِي لَمْ تُصَلِّ، فَجَاءُوا، فَرَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِهِمْ رَكْعَةً، وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ، فَقَامَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ فَرَكَعَ لِنَفْسِهِ رَكْعَةً وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ‏.‏


Narrated Shu'aib: I asked Az-Zuhri, "Did the Prophet (ﷺ) ever offer the Fear Prayer?" Az-Zuhri said, "I was told by Salim that `Abdullah bin `Umar I had said, 'I took part in a holy battle with Allah's Messenger (ﷺ) I in Najd. We faced the enemy and arranged ourselves in rows. Then Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) stood up to lead the prayer and one party stood to pray with him while the other faced the enemy. Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) and the former party bowed and performed two prostrations. Then that party left and took the place of those who had not prayed. Allah's Messenger (ﷺ) prayed one rak`a (with the latter) and performed two prostrations and finished his prayer with Taslim. Then everyone of them bowed once and performed two prostrations individually.' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ শু‘আয়ব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮৬২. বালক (অপ্রাপ্ত বয়স্ক) ইসলাম প্রহণ করে মারা গেলে তার জন্য জানাযা সালাত আদায় করা হবে কি? বালকের নিকট ইসলামের দাওয়াত পেশ করা যাবে কি?

১২৭৫। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... শু’আইব (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেছেন, নবজাত শিশু মারা গেলে তাদের প্রত্যেকের জানাযার সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা হবে। যদিও সে কোন ভ্রষ্টা মায়ের সন্তানও হয়। এ কারণে যে, সে সন্তানটি ইসলামী ফিতরাত (তাওরাত) এর উপর জন্মলাভ করেছে। তার পিতামাতা ইসলামের দাবীদার হোক বা বিশেষভাবে তার পিতা। যদিও তার মা ইসলাম ব্যতিত অন্য কোন ধর্মের অনুসারী হয়। নবজাত শিশু স্বরবে কেঁদে থাকলে তার জানাযার সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা হবে। আর যে শিশু না কাঁধবে, তার জানাযার সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা হবে না। কেননা, সে অপূর্ণাংগ সন্তান।

কারণ, আবূ হুরায়রা (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করতেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, প্রতিটি নবজাতকই জন্মলাভ করে ফিতরাতের উপর। এরপর তা মা-বাপ তাকে ইয়াহুদী বা খ্রিস্টান বা অগ্নিপূজারী রূপে গড়ে তোলে। যেমন, চতুষ্পদ পশু নিখুঁত বাচ্চা জন্ম দেয়। তোমরা কি তাদের মধ্যে কোন কানকাটা দেখতে পাও? (বরং মানুষেরাই তার নাক কান কেটে দিয়ে বা ছিদ্র করে তাকে বিকৃত করে থাকে। অনুরূপ ইসলামের ফিতরাতে ভূমিষ্ট সন্তানকে মা-বাপ তাদের শিক্ষা-দীক্ষা ও জীবন ধারায় প্রবাহিত করে ভ্রান্ত ধর্মী বানিয়ে ফেলে) পরে আবূ হুরায়রা (রাঃ) তিলাওয়াত করলেন ‏فِطْرَةَ اللَّهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا‏ আল্লাহর দেওয়া ফিতরাতের অনুসরণ কর যে ফিতরাতের উপর তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। (সূরা রূম: ৩০)

باب إِذَا أَسْلَمَ الصَّبِيُّ فَمَاتَ هَلْ يُصَلَّى عَلَيْهِ وَهَلْ يُعْرَضُ عَلَى الصَّبِيِّ الإِسْلاَمُ

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ يُصَلَّى عَلَى كُلِّ مَوْلُودٍ مُتَوَفًّى وَإِنْ كَانَ لِغَيَّةٍ، مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ وُلِدَ عَلَى فِطْرَةِ الإِسْلاَمِ، يَدَّعِي أَبَوَاهُ الإِسْلاَمَ أَوْ أَبُوهُ خَاصَّةً، وَإِنْ كَانَتْ أُمُّهُ عَلَى غَيْرِ الإِسْلاَمِ، إِذَا اسْتَهَلَّ صَارِخًا صُلِّيَ عَلَيْهِ، وَلاَ يُصَلَّى عَلَى مَنْ لاَ يَسْتَهِلُّ مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ سِقْطٌ، فَإِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ كَانَ يُحَدِّثُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلاَّ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ، فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ أَوْ يُنَصِّرَانِهِ أَوْ يُمَجِّسَانِهِ، كَمَا تُنْتَجُ الْبَهِيمَةُ بَهِيمَةً جَمْعَاءَ هَلْ تُحِسُّونَ فِيهَا مِنْ جَدْعَاءَ ‏"‏‏.‏ ثُمَّ يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه – ‏(‏فِطْرَةَ اللَّهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا‏)‏ الآيَةَ‏.‏


Narrated Ibn Shihab: The funeral prayer should be offered for every child even if he were the son of a prostitute as he was born with a true faith of Islam (i.e. to worship none but Allah Alone). If his parents are Muslims, particularly the father, even if his mother were a non-Muslim, and if he after the delivery cries (even once) before his death (i.e. born alive) then the funeral prayer must be offered. And if the child does not cry after his delivery (i.e. born dead) then his funeral prayer should not be offered, and he will be considered as a miscarriage. Abu Huraira, narrated that the Prophet (ﷺ) said, "Every child is born with a true faith (i.e. to worship none but Allah Alone) but his parents convert him to Judaism or to Christianity or to Magainism, as an animal delivers a perfect baby animal. Do you find it mutilated?" Then Abu Huraira recited the holy verses: 'The pure Allah's Islamic nature (true faith i.e. to worship none but Allah Alone), with which He has created human beings.' " (30.30).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ শু‘আয়ব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪০৫. একটি শপথ ও একজন সাক্ষীর উপর বিচার করা।

৩৫৭৩. আহমদ ইবন আবদা (রহঃ) .... শুআয়ব ইবন উবায়দিল্লাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আমার দাদা যাবীব আনবারী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ আনবরের প্রতি একটি সেনাদল প্রেরণ করেন। যারা তাদেরকে তায়েফের নিকটবর্তী স্থান রুকবাম্বতে বন্দী করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পেশ করেন। আমি অশ্বারোহী সৈন্য ছিলাম। তাই আমি তাদের আগে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলিঃ হে আল্লাহ্‌র নবী! আপনার প্রতি সালাম ও বরকত বর্ষিত হোক। (তিনি বলেনঃ) আপনার সেনাবাহিনী আমাদের কাছে উপস্থিত হয়ে আমাদের বন্দী করেছে, অথচ আমরা তো ইসলাম কবূল করেছি এবং আমাদের পশুর কান চিরে দিয়েছি।

এর পর আনবর গোত্রের লোকেরা যখন উপস্থিত হলো, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমরা যে ইসলাম গ্রহণ করছো, এর কোন সাক্ষী-প্রমাণ আছে কি, যখন তোমরা বন্দী হয়েছো? তখন আমি বলি, হ্যাঁ আছে। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করে কে সেই সাক্ষী? আমি বলিঃ সামুরা, যিনি আনবর গোত্রের জনৈক ব্যক্তি এবং আরো একজন- যার নাম সে বলে। তখন দ্বিতীয় ব্যক্তি সাক্ষ্য দিলেও সামুরা সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করে। এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সে তো তোমাদের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করেছে, এখন তুমি তোমার দ্বিতীয় সাক্ষীর সাথে শপথ করতে পার কি? আমি বলিঃ হ্যাঁ।

তখন তিনি আমাকে শপথ করতে বলেন এবং আমি আল্লাহ্‌র নামে শপথ করে বলিঃ আমরা অমুক অমুক দিন ইসলাম কবুল করেছি এবং আমাদের পশুর কান চিরে দিয়েছি। একথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সৈন্যদলকে এরূপ নির্দেশ দেনঃ যাও, তোমরা তাদের অর্ধেক মাল ভাগ-বণ্টন করে নাও এবং তাদের সন্তান-সন্ততিদের স্পর্শ করবে না। এরপর তিনি বলেনঃ যদি মহান আল্লাহ্‌ মুজাহিদদের চেষ্টা অহেতুক হওয়াকে অপছন্দ না করতেন, তবে আমরা তোমাদের মাল হতে একটি রশিও গ্রহন করতাম না।

যাবীব বলেনঃ এ সময় আমার মা আমাকে ডেকে বলেন যে, এ লোকটি আমার তোশক ছিনিয়ে নিয়েছে। তখন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বিষয়টি তাকে অবহিত করি। তখন তিনি আমাকে বলেনঃ তাকে গ্রেফতার কর। তখন আমি তার গলায় কাপড় দিয়ে তাকে পাকড়াও করি এবং আমাদের অবস্থানে ফিরে যাই। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলেনঃ তুমি তোমার বন্দীর কাছে কি চাচ্ছ? এসময় আমি তাকে ছেড়ে দিই। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে তাকে এরূপ নির্দেশ দেনঃ তুমি তার মায়ের তোশক ফিরিয়ে দাও, যা তুমি ছিনিয়ে নিয়েছ। তখন সে বলেঃ ছে আল্লাহ্‌র নবী! তা তো আমার কাছে নেই।

রাবী বলেনঃ তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে ব্যক্তির তরবারি তার থেকে নিয়ে আমাকে প্রদান করেন এবং তাকে এরূপ নির্দেশ দেন যে, তাকে আরো কিছু খাদ্য- শস্য প্রধান করো।

যাবীব বলেনঃ তখন সে ব্যক্তি আমাকে যবের কিছু অংশও প্রদান করে।

باب الْقَضَاءِ بِالْيَمِينِ وَالشَّاهِدِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْبِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ جَدِّيَ الزُّبَيْبَ، يَقُولُ بَعَثَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَيْشًا إِلَى بَنِي الْعَنْبَرِ فَأَخَذُوهُمْ بِرُكْبَةٍ مِنْ نَاحِيَةِ الطَّائِفِ فَاسْتَاقُوهُمْ إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَكِبْتُ فَسَبَقْتُهُمْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ أَتَانَا جُنْدُكَ فَأَخَذُونَا وَقَدْ كُنَّا أَسْلَمْنَا وَخَضْرَمْنَا آذَانَ النَّعَمِ فَلَمَّا قَدِمَ بَلْعَنْبَرُ قَالَ لِي نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَلْ لَكُمْ بَيِّنَةٌ عَلَى أَنَّكُمْ أَسْلَمْتُمْ قَبْلَ أَنْ تُؤْخَذُوا فِي هَذِهِ الأَيَّامِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَنْ بَيِّنَتُكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ سَمُرَةُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي الْعَنْبَرِ وَرَجُلٌ آخَرُ سَمَّاهُ لَهُ فَشَهِدَ الرَّجُلُ وَأَبَى سَمُرَةُ أَنْ يَشْهَدَ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ قَدْ أَبَى أَنْ يَشْهَدَ لَكَ فَتَحْلِفُ مَعَ شَاهِدِكَ الآخَرِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ فَاسْتَحْلَفَنِي فَحَلَفْتُ بِاللَّهِ لَقَدْ أَسْلَمْنَا يَوْمَ كَذَا وَكَذَا وَخَضْرَمْنَا آذَانَ النَّعَمِ ‏.‏ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اذْهَبُوا فَقَاسِمُوهُمْ أَنْصَافَ الأَمْوَالِ وَلاَ تَمَسُّوا ذَرَارِيَهُمْ لَوْلاَ أَنَّ اللَّهَ لاَ يُحِبُّ ضَلاَلَةَ الْعَمَلِ مَا رَزَيْنَاكُمْ عِقَالاً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ الزُّبَيْبُ فَدَعَتْنِي أُمِّي فَقَالَتْ هَذَا الرَّجُلُ أَخَذَ زِرْبِيَّتِي فَانْصَرَفْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم - يَعْنِي فَأَخْبَرْتُهُ - فَقَالَ لِي ‏"‏ احْبِسْهُ ‏"‏ ‏.‏ فَأَخَذْتُ بِتَلْبِيبِهِ وَقُمْتُ مَعَهُ مَكَانَنَا ثُمَّ نَظَرَ إِلَيْنَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمَيْنِ فَقَالَ ‏"‏ مَا تُرِيدُ بِأَسِيرِكَ ‏"‏ ‏.‏ فَأَرْسَلْتُهُ مِنْ يَدِي فَقَامَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِلرَّجُلِ ‏"‏ رُدَّ عَلَى هَذَا زِرْبِيَّةَ أُمِّهِ الَّتِي أَخَذْتَ مِنْهَا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّهَا خَرَجَتْ مِنْ يَدِي ‏.‏ قَالَ فَاخْتَلَعَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَيْفَ الرَّجُلِ فَأَعْطَانِيهِ ‏.‏ وَقَالَ لِلرَّجُلِ ‏"‏ اذْهَبْ فَزِدْهُ آصُعًا مِنْ طَعَامٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَزَادَنِي آصُعًا مِنْ شَعِيرٍ ‏.‏


Narrated Zubayb ibn Tha'labah al-Anbari: The Messenger of Allah (ﷺ) sent an army to Banu al-Anbar. They captured them at Rukbah in the suburbs of at-Ta'if and drove them to the Holy Prophet (ﷺ). I rode hurriedly to the Holy Prophet (ﷺ) and said: Peace be on you, Messenger of Allah, and the mercy of Allah and His blessings. Your contingent came to us and arrested us, but we had already embraced Islam and cut the sides of the ears of our cattle. When Banu al-Anbar arrived, the Holy Prophet (ﷺ) said to me: Have you any evidence that you had embraced Islam before you were captured today? I said: Yes. He said: Who is your witness? I said: Samurah, a man from Banu al-Anbar, and another man whom he named. The man testified but Samurah refused to testify. The Holy Prophet (ﷺ) said: He (Samurah) has refused to testify for you, so take an oath with your other witness. I said: Yes. He then dictated an oath to me and I swore to the effect that we had embraced Islam on a certain day, and that we had cut the sides of the ears of the cattle. The Holy Prophet (ﷺ) said: Go and divide half of their property, but do not touch their children. Had Allah not disliked the wastage of action, we should not have taxed you even a rope. Zubayb said: My mother called me and said: This man has taken my mattress. I then went to the Holy Prophet (ﷺ) and informed him. He said to me: Detain him. So I caught him with a garment around his neck, and stood there with him . Then the Holy Prophet (ﷺ) looked at us standing there. He asked: What do you intend (doing) with your captive? I said: I shall let him go free if he returns to this (man) the mattress of his mother which he has taken from her. He said: Prophet of Allah (ﷺ), I no longer have it. He said: The Holy Prophet (ﷺ) took the sword of the man and gave it to me, and said to him: Go and give him some sa's of cereal. So he gave me some sa's of barley.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ শু‘আয়ব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২. ফসলের তৃতীয়াংশ বা চতুর্থাংশ দেয়ার শর্তে বর্গা দেয়া সম্পর্কে বিভিন্ন হাদীস এবং হাদীসের বর্ণনাকারীদের বর্ণনাগত পার্থক্য

৩৯০৭. আহমাদ ইবন মুহাম্মাদ ইবন মুগীরা (রহঃ) ... শু’আয়ব (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যুহরী (রহঃ) বলেছেন, সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) বলতেনঃ সোনা ও রূপার বিনিময়ে জমি কেরায়া দেয়ায় কোন ক্ষতি নেই। আর রাফে’ ইবন খাদীজ (রহঃ) বর্ণনা করেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা থেকে নিষেধ করেছেন।

ذِكْرُ الْأَحَادِيثِ الْمُخْتَلِفَةِ فِي النَّهْيِ عَنْ كِرَاءِ الْأَرْضِ بِالثُّلُثِ وَالرُّبُعِ وَاخْتِلَافُ أَلْفَاظِ النَّاقِلِينَ لِلْخَبَرِ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُغِيرَةِ قَالَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ شُعَيْبٍ قَالَ الزُّهْرِيُّ كَانَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ لَيْسَ بِاسْتِكْرَاءِ الْأَرْضِ بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ بَأْسٌ وَكَانَ رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ ذَلِكَ وَافَقَهُ عَلَى إِرْسَالِهِ عَبْدُ الْكَرِيمِ بْنُ الْحَارِثِ


It was narrated from Shu'aib: "Az-Zuhri said: 'Ibn Al-Musayyab used to say: 'There is nothing wrong with leasing land in return for gold and silver, and Rafi bin Khadij used to narrate that the Messenger of Allah forbade that.''


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ শু‘আয়ব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০/৩১. ফজর সালাত জামা‘আতে আদায়ের ফযীলত।

৬৪৯. শু‘আয়ব (রহ.) বলেন, আমাকে নাফি‘ (রহ.) ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণনা করে শুনিয়েছেন যে, জামা‘আতের সালাতে একাকী সালাত হতে সাতাশ গুণ অধিক সওয়াব হয়। (৬৪৫; মুসলিম ৫/৪২, হাঃ ৬৫০, আহমাদ ৫৯২৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬১২ শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬১৯ শেষাংশ)

بَاب فَضْلِ صَلاَةِ الْفَجْرِ فِي جَمَاعَةٍ

قَالَ شُعَيْبٌ وَحَدَّثَنِي نَافِعٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ تَفْضُلُهَا بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً.


The reward of the congregational prayer is twenty seven times greater (than that of the prayer offered by a person alone).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ শু‘আয়ব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১২/১. খাওফের সালাত (শত্রুভীতির অবস্থায় সালাত)।

وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الْأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا مِنْ الصَّلاَةِ إِنْ خِفْتُمْ أَنْ يَفْتِنَكُمْ الَّذِينَ كَفَرُوا إِنَّ الْكَافِرِينَ كَانُوا لَكُمْ عَدُوًّا مُبِينًا وَإِذَا كُنْتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمْ الصَّلاَةَ فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُوا فَلْيَكُونُوا مِنْ وَرَائِكُمْ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ وَدَّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ تَغْفُلُونَ عَنْ أَسْلِحَتِكُمْ وَأَمْتِعَتِكُمْ فَيَمِيلُونَ عَلَيْكُمْ مَيْلَةً وَاحِدَةً وَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِنْ كَانَ بِكُمْ أَذًى مِنْ مَطَرٍ أَوْ كُنْتُمْ مَرْضَى أَنْ تَضَعُوا أَسْلِحَتَكُمْ وَخُذُوا حِذْرَكُمْ إِنَّ اللهَ أَعَدَّ لِلْكَافِرِينَ عَذَابًا مُهِينًا

মহিমান্বিত আল্লাহ্ বলেনঃ ’’আর যখন তোমরা পৃথিবীতে সফর করবে, তখন তোমাদের কোন গুনাহ হবে না যদি তোমরা সালাত সংক্ষিপ্ত কর, এ আশংকায় যে, কাফিররা তোমাদের জন্য ফিতনা সৃষ্টি করবে। নিশ্চয় কাফিররা হল তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। আর আপনি যখন তাদের মধ্যে থাকেন এবং তাদের সালাত পড়াতে চান, তখন যেন তাদের একদল আপনার সাথে দাঁড়ায় এবং তারা যেন নিজেদের অস্ত্র সাথে রাখে। তারপর যখন তারা সিজদা সম্পন্ন করবে তখন যেন তারা তোমাদের পেছনে অবস্থান নেয়, আর অন্য দল যারা সালাত আদায় করেনি তারা যেন আপনার সাথে সালাত আদায় করে নেয় এবং তারা যেন সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে। কাফিররা চায় যেন তোমরা তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও আসবাবপত্র সম্বন্ধে অসতর্ক হও যাতে তারা একযোগে তোমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। যদি তোমরা বৃষ্টির কারণে কষ্ট পাও অথবা যদি তোমরা অসুস্থ হও, এ অবস্থায় নিজেদের অস্ত্র পরিত্যাগ করলে তোমাদের কোন গুনাহ নেই। কিন্তু তোমরা সতর্কতা অবলম্বন করবে। আল্লাহ্ কাফিরদের জন্য অবশ্যই লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।’’ (সূরাহ্ আন-নিসা ৪/১০১-১০২)


৯৪২. শু’আয়ব (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যুহরী (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি সালাত আদায় করতেন অর্থাৎ খাওফের সালাত? তিনি বললেন, আমাকে সালিম (রহ.) জানিয়েছেন যে, ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার (রাযি.) বলেছেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে নাজ্দ এলাকায় যুদ্ধ করেছিলাম। সেখানে আমরা শত্রুর মুখোমুখী কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ালাম। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। একদল তাঁর সঙ্গে সালাতে দাঁড়ালেন এবং অন্য একটি দল শত্রুর মুখোমুখী অবস্থান করলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সংগে যাঁরা ছিলেন তাঁদের নিয়ে রুকূ’ ও দু’টি সিজদা্ করলেন। অতঃপর এ দলটি যারা সালাত আদায় করেনি, তাঁদের স্থানে চলে গেলেন এবং তাঁরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে এগিয়ে এলেন, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের সঙ্গে এক রুকূ’ ও দু’ সিজদা্ করলেন এবং পরে সালাম ফিরালেন। অতঃপর তাদের প্রত্যেকে উঠে দাঁড়ালেন এবং নিজে নিজে একটি রুকূ’ ও দু’টি সিজদা্ (সহ সালাত) শেষ করলেন। (৯৪৩, ৪১৩২, ৪১৩৩, ৪৫৩৫; মুসলিম ৬/৫৭, হাঃ ৮৩৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৮৯৫)

 

بَاب صَلاَةِ الْخَوْفِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ سَأَلْتُهُ هَلْ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعْنِي صَلاَةَ الْخَوْفِ قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمٌ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِبَلَ نَجْدٍ، فَوَازَيْنَا الْعَدُوَّ فَصَافَفْنَا لَهُمْ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي لَنَا فَقَامَتْ طَائِفَةٌ مَعَهُ تُصَلِّي، وَأَقْبَلَتْ طَائِفَةٌ عَلَى الْعَدُوِّ وَرَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَنْ مَعَهُ، وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ، ثُمَّ انْصَرَفُوا مَكَانَ الطَّائِفَةِ الَّتِي لَمْ تُصَلِّ، فَجَاءُوا، فَرَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِهِمْ رَكْعَةً، وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ، فَقَامَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ فَرَكَعَ لِنَفْسِهِ رَكْعَةً وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ‏.‏


Narrated Shu'aib: I asked Az-Zuhri, "Did the Prophet (ﷺ) ever offer the Fear Prayer?" Az-Zuhri said, "I was told by Salim that `Abdullah bin `Umar I had said, 'I took part in a holy battle with Allah's Messenger (ﷺ) I in Najd. We faced the enemy and arranged ourselves in rows. Then Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) stood up to lead the prayer and one party stood to pray with him while the other faced the enemy. Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) and the former party bowed and performed two prostrations. Then that party left and took the place of those who had not prayed. Allah's Messenger (ﷺ) prayed one rak`a (with the latter) and performed two prostrations and finished his prayer with Taslim. Then everyone of them bowed once and performed two prostrations individually.' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ শু‘আয়ব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩/৭৯. কোন বালক ইসলাম গ্রহণ করে মারা গেলে তার জন্য (জানাযার) সালাত আদায় করা যাবে কি? বালকের নিকট ইসলামের দাওয়াত দেয়া যাবে কি?

১৩৫৮. শু’আইব (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ইবনু শিহাব (রহ.) বলেছেন, নবজাত শিশু মারা গেলে তাদের প্রত্যেকের জানাযার সালাত আদায় করা হবে। যদিও সে কোন ভ্রষ্টা মায়ের সন্তানও হয়। এ কারণে যে, সে সন্তানটি ইসলামী ফিত্রাহর (তাওহীদ) এর উপর জন্মলাভ করেছে। তার পিতামাতা ইসলামের দাবীদার হোক বা বিশেষভাবে তার পিতা। যদিও তার মা ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মের অনুসারী হয়। নবজাত শিশু সরবে কেঁদে থাকলে তার জানাযার সালাত আদায় করা হবে। আর যে শিশু না কাঁদবে, তার জানাযার সালাত আদায় করা হবে না। কেননা, সে অপূর্ণাঙ্গ সন্তান। কারণ, আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করতেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ প্রতিটি নবজাতকই জন্ম লাভ করে ফিতরাতের (তাওহীদের) উপর। অতঃপর তার মা-বাপ তাকে ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান বা অগ্নিপূজারী রূপে গড়ে তোলে। যেমন, চতুষ্পদ পশু নিখুঁত বাচ্চা জন্ম দেয়। তোমরা কি তাদের মধ্যে কোন কান কাটা দেখতে পাও? (বরং মানুষরাই তার নাক কান কেটে দিয়ে বা ছিদ্র করে তাকে বিকৃত করে থাকে। অনুরূপ ইসলামের ফিতরাহ্তে ভূমিষ্ট সন্তানকে মা-বাপ তাদের শিক্ষা-দীক্ষা ও জীবন ধারায় প্রবাহিত করে ভ্রান্ত ধর্মী বানিয়ে ফেলে) পরে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) তিলাওয়াত করলেনঃ

(فِطْرَتَ اللهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا)

’’আল্লাহ্‌র দেয়া ফিতরাতের অনুসরণ কর যে ফিত্রাতের উপর তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন ..... (রূমঃ ৩০)। (১৩৫৯, ১৩৮৫, ৪৭৭৫, ৬৫৯৯, মুসলিম ৪৬/৬, হাঃ ২৬৫৮, আহমাদ ৮১৮৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১২৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১২৭৫)

بَاب إِذَا أَسْلَمَ الصَّبِيُّ فَمَاتَ هَلْ يُصَلَّى عَلَيْهِ وَهَلْ يُعْرَضُ عَلَى الصَّبِيِّ الإِسْلاَمُ

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ يُصَلَّى عَلَى كُلِّ مَوْلُودٍ مُتَوَفًّى وَإِنْ كَانَ لِغَيَّةٍ مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ وُلِدَ عَلَى فِطْرَةِ الإِسْلاَمِ يَدَّعِي أَبَوَاهُ الإِسْلاَمَ أَوْ أَبُوهُ خَاصَّةً وَإِنْ كَانَتْ أُمُّهُ عَلَى غَيْرِ الإِسْلاَمِ إِذَا اسْتَهَلَّ صَارِخًا صُلِّيَ عَلَيْهِ وَلاَ يُصَلَّى عَلَى مَنْ لاَ يَسْتَهِلُّ مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ سِقْطٌ فَإِنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يُحَدِّثُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلاَّ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ أَوْ يُنَصِّرَانِهِ أَوْ يُمَجِّسَانِهِ كَمَا تُنْتَجُ الْبَهِيمَةُ بَهِيمَةً جَمْعَاءَ هَلْ تُحِسُّونَ فِيهَا مِنْ جَدْعَاءَ ثُمَّ يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ (فِطْرَةَ اللهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا) الآيَةَ


Narrated Ibn Shihab: The funeral prayer should be offered for every child even if he were the son of a prostitute as he was born with a true faith of Islam (i.e. to worship none but Allah Alone). If his parents are Muslims, particularly the father, even if his mother were a non-Muslim, and if he after the delivery cries (even once) before his death (i.e. born alive) then the funeral prayer must be offered. And if the child does not cry after his delivery (i.e. born dead) then his funeral prayer should not be offered, and he will be considered as a miscarriage. Abu Huraira, narrated that the Prophet (ﷺ) said, "Every child is born with a true faith (i.e. to worship none but Allah Alone) but his parents convert him to Judaism or to Christianity or to Magainism, as an animal delivers a perfect baby animal. Do you find it mutilated?" Then Abu Huraira recited the holy verses: 'The pure Allah's Islamic nature (true faith i.e. to worship none but Allah Alone), with which He has created human beings.' " (30.30).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ শু‘আয়ব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১২. যিনি বলেন, তার উপর কাফফারাহ ওয়াজিব

১১৫০. শুয়াইব ইবনু ইসহাক হতে বর্ণিত, ’কোনো লোক তার স্ত্রীর সাথে মিলিত হয় অথচ তার স্ত্রী তখন হায়িযগ্রস্ত, কিংবা সে (হায়িয হতে) পবিত্রতাবস্থা দেখতে পেয়েছে, কিন্তু তখনও সে গোসল করেনি, -এমন ব্যক্তি সম্পর্কে আওযাঈ রাহি. বলেন, সে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে এবং পাঁচ দীনার সাদাকা করবে।[1]

بَاب مَنْ قَالَ عَلَيْهِ الْكَفَّارَةُ

أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ فِي رَجُلٍ يَغْشَى امْرَأَتَهُ وَهِيَ حَائِضٌ أَوْ رَأَتْ الطُّهْرَ وَلَمْ تَغْتَسِلْ قَالَ يَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَيَتَصَدَّقُ بِخُمُسَيْ دِينَارٍ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ শু‘আয়ব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২২. কোন বস্তু আমানত রাখা - কোন বস্তু কারো সংরক্ষনের জিম্মায় রাখার বিধান

৯৬৬। ’আমর বিন শু’আইব হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ কারো কাছে ওয়াদিয়া রাখলে (তা ধ্বংস হলে) তার কোন ক্ষতিপূরণ নাই। —এর সানাদ য’ঈফ।[1]


وَبَابُ قَسْمِ الصَّدَقَاتِ تَقَدَّمَ فِي آخِرِ الزَّكَاةِ
وَبَابُ قَسْمِ الْفَيْءِ وَالْغَنِيمَةِ يَأْتِي عَقِبَ الْجِهَادِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى

হাফিয ইবনু হাজার (রহঃ) বলেছেন- সাদাকাহ বণ্টনের বর্ণনা যাকাতের বর্ণনার শেষে বৰ্ণিত হয়েছে; আর ফাই এবং গানীমাতের মালের বণ্টনের বর্ণনা জিহাদের বর্ণনার পরে বর্ণিত হবে ইনশাআল্লাহ তা’আলা।

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ, عَنْ أَبِيهِ, عَنْ جَدِّهِ, عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: مَنْ أُودِعَ وَدِيعَةً, فَلَيْسَ عَلَيْهِ ضَمَانٌ - أَخْرَجَهُ ابْنُ مَاجَهْ, وَإِسْنَادُهُ ضَعِيفٌ

-

رواه ابن ماجه (2401)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ শু‘আয়ব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে