পরিচ্ছেদঃ ১৮. কৃত ‘আমল ও না করা আমলের খারাবী থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা
৬৭৯১-(৬৬/...) ’আবদুল্লাহ ইবনু হাশিম (রহঃ) ..... আয়িশাহ্ (রাযিঃ) এর সানাদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি তাঁর দু’আয় বলতেন, "আল্ল-হুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন্ শাররি মা- আমিলতু ওয়া মিন্ শারি মা লাম আ’মাল" অর্থাৎ- "হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই সেসব কর্মের খারাবী হতে, যা আমি করেছি এবং যা আমি করিনি তা থেকেও।" (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৬৫০, ইসলামিক সেন্টার ৬৭০৩)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তির উচিত যে, সে যেন সকল প্রকারের পাপ বর্জন করে। কেননা পাপ হলো তার অমঙ্গল ও দুর্ভাগ্য সৃষ্টি করার উপাদান।
২। মানুষ নিজের পাপের অমঙ্গল হতে সুরক্ষিত হওয়ার জন্য পরাক্রমশালী আল্লাহর শরণ নেওয়ার প্রতি এই হাদীসটি উৎসাহ প্রদান করে। কেননা মানুষ তো তার সমস্ত অবস্থায় তার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর মুখাপেক্ষী।
৩। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মঙ্গলদায়ক আশ্রয়স্থল হলো এক মাত্র পরাক্রমশালী মহান আল্লাহ, সৃষ্টি জগতের অন্য কোনো ব্যক্তি বা বস্তু নয়।
باب التَّعَوُّذِ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلَ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ يَعْمَلْ
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ هَاشِمٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ عَبْدَةَ بْنِ أَبِي لُبَابَةَ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يَسَافٍ، عَنْ فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ فِي دُعَائِهِ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلْتُ وَشَرِّ مَا لَمْ أَعْمَلْ " .
Farwa' b. Naufal reported on the authority of 'A'isha that Allah's Mes- senger (ﷺ) used to supplicate (in these words):
" O Allah, I seek refuge in Thee from the evil of what I did and from the evil of what I did not."
পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহ সর্বাবস্থায় যেন ইসলামের মাধ্যমে ব্যক্তিকে হেফাযত করেন এজন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার নির্দেশ
৯৩০. হাশিম বিন আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর বলেন, একবার উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বিপদগ্রস্থ হয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসেন অতঃপর তাঁর এই ব্যাপারে অনুযোগ করেন এবং তাঁর কাছে দাবি করেন যেন তিনি তাকে এক ওয়াসাক বা ৬০ সা’ খেজুর দেওয়ার নির্দেশ দেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বলেন, “আপনি যদি চান তবে আমি আপনার জন্য এক ওয়াসাক বা ৬০ সা’ খেজুর দেওয়ার নির্দেশ দিব আর যদি চান তবে আমি আপনাকে এমন কিছু বাক্য শিক্ষা দিব, যা আপনার জন্য বেশি কল্যাণকর হবে।” তখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আপনি আমাকে বাক্যগুলি শিক্ষা দিন আর সাথে আমার জন্য এক ওয়াসাক বা ৬০ সা’ খেজুর দেওয়ার নির্দেশ দিন। কারণ খেজুরগুলো পাওয়া আমার জন্য খুবই প্রয়োজন। জবাবে তিনি বলেন, “আপনি বলুন, اللَّهُمَّ احْفَظْنِي بِالْإِسْلَامِ قَاعِدًا وَاحْفَظْنِي بِالْإِسْلَامِ قَائِمًا وَاحْفَظْنِي بِالْإِسْلَامِ رَاقِدًا وَلَا تُطِعْ فِيَّ عَدُوًّا حَاسِدًا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ وَأَسْأَلُكَ مِنَ الخير الذي هو بيدك كله (হে আল্লাহ, আপনি আমাকে ইসলামের মাধ্যমে বসা অবস্থায় রক্ষা করুন, আপনি আমাকে ইসলামের মাধ্যমে দাঁড়ানো অবস্থায় রক্ষা করুন, আপনি আমাকে ইসলামের মাধ্যমে রক্ষা করুন, আমার শয়ন করা অবস্থায়। আপনি আমার ব্যাপারে কোন হিংসুক শত্রুর কথা শুনবেন না। আর আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই সেই জিনিসের (ভাগ্যের) অনিষ্ট থেকে, আপনি যার ললাট ধরে রেখেছেন, আমি আপনার কাছে কল্যাণ চাই, যার সম্পূর্ণ চাবিকাঠি আপনার হাতে।” [1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “যখন উমার বিন খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মারা যান, তখন হাশিম বিন আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর রহিমাহুল্লাহর বয়স নয় বছর ছিল।”
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির ব্যাপারে স্পষ্ট কোন মন্তব্য করেননি। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে য‘ঈফ বলেছেন। (আয য‘ঈফা: ৬০০৩।)
ذِكْرُ الْأَمْرِ لِلْمَرْءِ أَنْ يَسْأَلَ حِفْظَ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا إِيَّاهُ بِالْإِسْلَامِ فِي أَحْوَالِهِ
930 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ بِخَبَرٍ غَرِيبٍ قَالَ: حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي الْعَلَاءُ بْنُ رُؤْبَةَ التَّمِيمِيُّ هُوَ الْحِمْصِيُّ عَنْ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ: أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَصَابَتْهُ مُصِيبَةٌ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَشَكَا إِلَيْهِ ذَلِكَ وَسَأَلَهُ أَنْ يَأْمُرَ لَهُ بِوَسْقٍ مِنْ تَمْرٍ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم: (إن شِئْتَ أَمَرْتُ لَكَ بِوَسْقٍ مِنْ تَمْرٍ وَإِنْ شِئْتَ علَّمتك كَلِمَاتٍ هِيَ خَيْرٌ لَكَ)؟ قَالَ: عَلِّمْنِيهُنَّ ومُرْ لِي بِوَسْقٍ فَإِنِّي ذُو حَاجَةٍ إِلَيْهِ فَقَالَ: (قُلِ: اللَّهُمَّ احْفَظْنِي بِالْإِسْلَامِ قَاعِدًا وَاحْفَظْنِي بِالْإِسْلَامِ قَائِمًا وَاحْفَظْنِي بِالْإِسْلَامِ رَاقِدًا وَلَا تُطِعْ فِيَّ عَدُوًّا حَاسِدًا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ وَأَسْأَلُكَ مِنَ الخير الذي هو بيدك كله)
الراوي : هَاشِم بْن عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَن عُمَرَ بْن الْخَطَّابِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 930 | خلاصة حكم المحدث:. ضعيف.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: تُوُفِّيَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهَاشِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ ابْنُ تِسْعِ سِنِينَ.