পরিচ্ছেদঃ ১/১১৭. যে কুমারী মেয়ের প্রথমেই ইস্তিহাযা এসেছে অথবা সে তার হায়েযের মেয়াদ ভুলে গেছে।
১/৬২৭। হামনা বিনতু জাহশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় তার ইস্তিহাযা শুরু হলে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বলেন, আমার প্রচুর পরিমাণে হায়েযের রক্ত আসে। তিনি তাকে বলেনঃ তুমি তুলার পট্টি ব্যবহার করো। হামনা তাকে বলেন, তা অত্যধিক। আমার সারাক্ষণই স্রাব হতে থাকে। তিনি বলেনঃ তাহলে স্রাব নির্গত স্থানে কাপড়ের পট্টি বাঁধো এবং প্রতি মাসের ছয় বা সাত দিন হায়েযের মেয়াদ গণ্য করো, যোহরের সালাত বিলম্বে (ওয়াক্তের শেষ দিকে) ও আসরের সালাত জলদি (ওয়াক্তের প্রথমভাগে) পড়ো এবং এই সালাতদ্বয়ের জন্য একবার গোসল করো। অনুরূপভাবে মাগরিবের সালাত বিলম্বে ও এশার সালাত জলদি পড়ো এবং এই দু সালাতের জন্য একবার গোসল করো। এ পন্থা আমার নিকট অধিকতর প্রিয়।
তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ২৯২।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْبِكْرِ إِذَا ابْتَدَأَتْ مُسْتَحَاضَةً أَوْ كَانَ لَهَا أَيَّامُ حَيْضٍ فَنَسِيَتْهَا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَمِّهِ، عِمْرَانَ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ أُمِّهِ، حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ أَنَّهَا اسْتُحِيضَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَتْ إِنِّي اسْتُحِضْتُ حَيْضَةً مُنْكَرَةً شَدِيدَةً . قَالَ لَهَا " احْتَشِي كُرْسُفًا " . قَالَتْ لَهُ إِنَّهُ أَشَدُّ مِنْ ذَلِكَ إِنِّي أَثُجُّ ثَجًّا . قَالَ " تَلَجَّمِي وَتَحَيَّضِي فِي كُلِّ شَهْرٍ فِي عِلْمِ اللَّهِ سِتَّةَ أَيَّامٍ أَوْ سَبْعَةَ أَيَّامٍ ثُمَّ اغْتَسِلِي غُسْلاً فَصَلِّي وَصُومِي ثَلاَثَةً وَعِشْرِينَ أَوْ أَرْبَعَةً وَعِشْرِينَ وَأَخِّرِي الظُّهْرَ وَقَدِّمِي الْعَصْرَ وَاغْتَسِلِي لَهُمَا غُسْلاً وَأَخِّرِي الْمَغْرِبَ وَعَجِّلِي الْعِشَاءَ وَاغْتَسِلِي لَهُمَا غُسْلاً وَهَذَا أَحَبُّ الأَمْرَيْنِ إِلَىَّ " .
It was narrated from Hamnah bint Jahsh that:
She experienced prolonged non-menstrual bleeding during the time of the Messenger of Allah. She came to the Messenger of Allah and said: "I am suffering prolonged and painful bleeding." He said: "Fill it with a pad of cloth." She said: "It is worse than that, it is flowing copiously." He said: "Then bind yourself with a cloth and observe your menses for six or seven days, in the knowledge of Allah, then have a bath and perform prayer and fast for twenty-three or twenty-four days. Delay Zuhr and bring 'Asr forward, and take (one) bath for both, and delay Maghrib and bring 'Isha' forward, and have (one) bath for both. That is what I prefer of the two matters.'"
পরিচ্ছেদঃ ৬/৫৩. মৃতের জন্য কান্নাকটি করা।
৪/১৫৯০। হামনা বিনতে জাহশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তাকে বলা হলো যে, তার ভাইকে শহীদ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আল্লাহ্ তার প্রতি দয়াপরবশ হোন। ’’ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন’’ (আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চিত তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী)। তারা বললো, আপনার স্বামীকে শহীদ করা হয়েছে। তিনি বলেনঃ আফসোস! আমরা তার জন্য চিন্তিত। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় স্বামীর সাথে মহিলাদের এমন ভালোবাসার সম্পর্ক রয়েছে, যা অন্য কিছুতে নেই।
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ইসহাক বিন মুহাম্মাদ আল ফারাবী সম্পর্কে আস-সাজী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ নন। ২. আবদুল্লাহ বিন উমার সম্পর্কে ইয়া'কুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ইদতিরাব করেন। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি দুর্বল।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَرْوِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَحْشٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ أَنَّهُ قِيلَ لَهَا قُتِلَ أَخُوكِ فَقَالَتْ رَحِمَهُ اللهُ وَإِنَّا لِلهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ قَالُوا قُتِلَ زَوْجُكِ قَالَتْ وَا حُزْنَاهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِنَّ لِلزَّوْجِ مِنْ الْمَرْأَةِ لَشُعْبَةً مَا هِيَ لِشَيْءٍ
It was narrated from Hamnah bint Jahsh that it was said to her:
“Your brother has been killed.” She said: “May Allah have mercy on him. Inna lillahi wa inna ilayhi raji’un (Truly, to Allah we belong and truly, to Him we shall return).” They said: “Your husband has been killed.” She said: “O grief!” The Messenger of Allah (ﷺ) said: “The woman has a strong love for her husband, which she does not have for anything else.”
পরিচ্ছেদঃ ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলার প্রত্যেক সালাতের জন্য উযু করা।
১২৮. মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ...... হামনা বিনত জাহশ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ আমি খুব ভীষণভবে ইস্তিহাযায় আক্রান্ত ছিলাম। একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এই বিষয়ে ফতওয়া জানতে এলাম। তাঁকে আমার বোন উম্মুল মু’মিনীন যয়নাব বিনত জাহাশের ঘরে পেলাম। বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো ভীষণভাবে ইস্তিহাযা আক্রান্ত। এ বিষয়ে আপনি কি করতে বলেন? এ তো আমাকে সালাত ও সওম থেকে ফিরিয়ে রাখছে। তিনি বললেনঃ তোমাকে আমি তুলা ব্যবহার করতে পরামর্শ দিচ্ছি। এতে রক্ত শুষে নিবে। আমি বললামঃ রক্তের পরিমান এর থেকেও বেশি। তিনি বললেনঃ তবে তা দিয়ে লাগমের মত বেধে নাও। আমি বললামঃ না, রক্তের পরিমাণ তো আরো বেশি। তিনি বললেন তবে এর নীচে আর একটি কাপড়ের পট্টি লাগিয়ে নাও। বললাম, রক্ততো আরো বেশি। স্রোতের মত তা ধেয়ে বেরুচ্ছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাকে আমি দু’টো বিষয়ের কথা বলছি। এ দু’টোর যে কোন একটি করতে পারলে তোমার জন্য যথেষ্ট। আর উভয়টি করতে তোমার শক্তি হলে তুমিই ভাল জান কোনটি তুটি গ্রহণ করবে। শোন, এ হলো শয়তানের গুতো।
যা হোক, ছয়দিন বা সাতদিন আল্লাহর জ্ঞানে বা তোমার জন্য নির্ধারিত সেদিনগুলো হায়েয হিসাবে ধরবে পরে তা অতিক্রান্ত হয়ে গেলে গোসল করে নিবে। যখন তুমি দেখবে যে, তুমি পাক হয়ে গেছ এবং পরিচ্ছন্ন হয়ে গেছ তখন চব্বিশ দিন বা তেইশ দিন সালাত ও সিয়াম পালন করবে। আর এ-ই তোমার জন্য যথেষ্ট। সাধারণভাবে মহিলারা হাযেয ও তুহরের (পাক থাকার) নির্ধারিত দিনগুলোতে যা করে তুমিও সেদিনগুলোতে তা করবে।
আর পাক থাকার নির্ধারিত দিনগুলোতে তোমার জন্য যুহরের সালাত পিছিয়ে এবং আছরের সালাত কিছুটা এগিয়ে নিয়ে উভয় ওয়াক্তের একবার গোসল করেলে দুই ওয়াক্তের সালাত আদায় করা সম্ভব হলে তা করবে। এমনিভাবে মাগরিবের সালাত পিছিয়ে এবং ’ইশার সালাত এগিয়ে নিয়ে উভয় ওয়াক্তের জন্য একবার গোসল করে দু’টো আদায় করো এবং ফজরের সময় গোসল করে তা আদায় করা সম্ভব হলে তদ্রম্নপভাবে সালাত ও সিয়াম পালন করবে। হ্যাঁ, তোমার শক্তিতে কুলালে তা-ই করো। আর দুটো বিষয়ের মধ্যে এই বিষয়টই আমার নিকট অধিক পছন্দের। - ইবনু মাজাহ ৬২৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১২৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ এই হাদিসটি হাসান ও সহীহ। উবায়দুল্লাহ ইবনু আমর আর রাক্কী, ইবনুুর জুরাইজ এবং শরীক (রহঃ) ও হামনা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে এই হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। তবেত ইবনু জুরাইজ তাঁর সনদে জনৈক রাবীল নাম উমর ইবনু তালহা বলে উল্লেখ করেছেন। অথচ শুদ্ধ হল ইমরান ইবনু তালহা।
মুহাম্মাদ আল বুখারী (রহঃ) কে এই হাদিসটি সম্পর্কে আমি জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেছিলেন এই হাদিসটি হাসান। ইমাম আহমদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ)ও উক্তরূপ অভিমত প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন এই হাদিসটি হাসান ও সহীহ।
ইমাম আহমদ ও ইসহাক বলেন ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলা যদি হায়যের আগমন ও এর অতিক্রান্ত হওয়া বুঝতে পারে তবে ফাতিমা বিনত আবী হুবায়শ রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত হাদীছের অনুরূপ বিধান তার জন্য প্রযোজ্য হবে। সাধারণতঃ হায়যের আগমন বুঝার উপায় হল, এই সময় এর রং থাকে কাল আর অতিক্রন্ত হওয়ার বিষয়টি বুঝার উপায় হল তখন এর রং হয়ে যায় হরিদ্রাভ। আর সেই মহিলার যদি ইস্তিহাযায় আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে হায়যের নির্ধারিত দিন থেকে থাকে তবে ইস্তিহাযা আক্রান্ত হওয়ার পরেও সে উক্ত নির্ধারিত দিন সমূহের সালাত আদায় ছেড়ে দিবে। এই দিনগুলি অতিক্রান্ত হওয়ার পর সে পাক হওয়ার জন্য গোসল করবে এবং পরে প্রত্যেক সালাতের জন্য উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে তা আদায় করবে। কিন্তু তার যদি সব সময় রক্ত ঝরতে থাকে, হায়যের কোন নির্দিষ্ট দিন না থাকে, রক্তের রঙ্গের মাধ্যমে হায়যের শুরু ও শেষ বুঝতে না পারে তবে তার জন্য বিধান হামনা বিনত জাহাশ রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত (১২৮ নং) হাদীছের অনুরূপ।
আবূ উবায়দাও অনুরূপ কথা বলেছেন। ইমাম শাফিঈ বলেনঃ শুরু থেকে ই যদি কোন মহিলার রক্ত প্রবাহিত হতে থাক আর তা বন্ধ না হয় তবে পনের দিনের মাঝের দিনগুলির সালাত সেছেড়ে দিবে। পনেরতম দিন বা এর পূর্বে সে যদি পাক হয়ে যায় তবে এই দিনগুলি হায়যের দিন হিসাবে গণ্য হবে। পনের দিনের পরও যদি রক্ত দেখে তবে সে চৌদ্দ দিনের সালাত কাযা করবে। পরবর্তীতে হায়বের সর্বনিম্ন সময় একদিন ও একরাতের সালাত ছেড়ে দিবে।
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ হায়যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মুদ্দত সম্পর্কে আলিমদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কোন কোন আলিম বলেন সর্বনিম্ন মুদ্দত হল তিনদিন আর সর্বোচ্চ পরিমাণ হল দশদিন। এ হল সুফইয়ান ছাওরী ও কূফাবাসী আলিমদের অভিমত। ইবনু মুবারকও এই অভিমত গ্রহণ করেছেন। তবে তাঁর নিকট থেকে ভিন্নরূপ বর্ণনাও রয়েছে। অপর একদল আলিম যাদের মধ্যে আতা ইবনু আবী রাবাহও রয়েছেন তারা বলেন হায়যের সর্বনিম্ন মুদ্দত হল একদিন একরাত আর সর্বোচ্চ পারমান হল পনের দিন। ইমাম মালিক, আওযোঈ, শাফিঈ, আহমদ, সিহাক ও আবূ উবয়দা (রহঃ) এর অভিমতও এ-ই।
باب مَا جَاءَ أَنَّ الْمُسْتَحَاضَةَ تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَمِّهِ، عِمْرَانَ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ أُمِّهِ، حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَتْ كُنْتُ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْتَفْتِيهِ وَأُخْبِرُهُ فَوَجَدْتُهُ فِي بَيْتِ أُخْتِي زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَمَا تَأْمُرُنِي فِيهَا قَدْ مَنَعَتْنِي الصِّيَامَ وَالصَّلاَةَ قَالَ " أَنْعَتُ لَكِ الْكُرْسُفَ فَإِنَّهُ يُذْهِبُ الدَّمَ " . قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ " فَتَلَجَّمِي " . قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ " فَاتَّخِذِي ثَوْبًا " . قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ إِنَّمَا أَثُجُّ ثَجًّا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " سَآمُرُكِ بِأَمْرَيْنِ أَيَّهُمَا صَنَعْتِ أَجْزَأَ عَنْكِ فَإِنْ قَوِيتِ عَلَيْهِمَا فَأَنْتِ أَعْلَمُ " . فَقَالَ " إِنَّمَا هِيَ رَكْضَةٌ مِنَ الشَّيْطَانِ فَتَحَيَّضِي سِتَّةَ أَيَّامٍ أَوْ سَبْعَةَ أَيَّامٍ فِي عِلْمِ اللَّهِ ثُمَّ اغْتَسِلِي فَإِذَا رَأَيْتِ أَنَّكِ قَدْ طَهُرْتِ وَاسْتَنْقَأْتِ فَصَلِّي أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً أَوْ ثَلاَثًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً وَأَيَّامَهَا وَصُومِي وَصَلِّي فَإِنَّ ذَلِكِ يُجْزِئُكِ وَكَذَلِكِ فَافْعَلِي كَمَا تَحِيضُ النِّسَاءُ وَكَمَا يَطْهُرْنَ لِمِيقَاتِ حَيْضِهِنَّ وَطُهْرِهِنَّ فَإِنْ قَوِيتِ عَلَى أَنْ تُؤَخِّرِي الظُّهْرَ وَتُعَجِّلِي الْعَصْرَ ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ حِينَ تَطْهُرِينَ وَتُصَلِّينَ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا ثُمَّ تُؤَخِّرِينَ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلِينَ الْعِشَاءَ ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ فَافْعَلِي وَتَغْتَسِلِينَ مَعَ الصُّبْحِ وَتُصَلِّينَ وَكَذَلِكِ فَافْعَلِي وَصُومِي إِنْ قَوِيتِ عَلَى ذَلِكِ " . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَهُوَ أَعْجَبُ الأَمْرَيْنِ إِلَىَّ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَرَوَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الرَّقِّيُّ وَابْنُ جُرَيْجٍ وَشَرِيكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عَمِّهِ عِمْرَانَ عَنْ أُمِّهِ حَمْنَةَ إِلاَّ أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ يَقُولُ عُمَرُ بْنُ طَلْحَةَ وَالصَّحِيحُ عِمْرَانُ بْنُ طَلْحَةَ . قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهَكَذَا قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ إِذَا كَانَتْ تَعْرِفُ حَيْضَهَا بِإِقْبَالِ الدَّمِ وَإِدْبَارِهِ وَإِقْبَالُهُ أَنْ يَكُونَ أَسْوَدَ . وَإِدْبَارُهُ أَنْ يَتَغَيَّرَ إِلَى الصُّفْرَةِ فَالْحُكْمُ لَهَا عَلَى حَدِيثِ فَاطِمَةَ بِنْتِ أَبِي حُبَيْشٍ وَإِنْ كَانَتِ الْمُسْتَحَاضَةُ لَهَا أَيَّامٌ مَعْرُوفَةٌ قَبْلَ أَنْ تُسْتَحَاضَ فَإِنَّهَا تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ وَتُصَلِّي وَإِذَا اسْتَمَرَّ بِهَا الدَّمُ وَلَمْ يَكُنْ لَهَا أَيَّامٌ مَعْرُوفَةٌ وَلَمْ تَعْرِفِ الْحَيْضَ بِإِقْبَالِ الدَّمِ وَإِدْبَارِهِ فَالْحُكْمُ لَهَا عَلَى حَدِيثِ حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ . وَكَذَلِكَ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ الْمُسْتَحَاضَةُ إِذَا اسْتَمَرَّ بِهَا الدَّمُ فِي أَوَّلِ مَا رَأَتْ فَدَامَتْ عَلَى ذَلِكَ فَإِنَّهَا تَدَعُ الصَّلاَةَ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا فَإِذَا طَهُرَتْ فِي خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا أَوْ قَبْلَ ذَلِكَ فَإِنَّهَا أَيَّامُ حَيْضٍ فَإِذَا رَأَتِ الدَّمَ أَكْثَرَ مِنْ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا فَإِنَّهَا تَقْضِي صَلاَةَ أَرْبَعَةَ عَشَرَ يَوْمًا ثُمَّ تَدَعُ الصَّلاَةَ بَعْدَ ذَلِكَ أَقَلَّ مَا تَحِيضُ النِّسَاءُ وَهُوَ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي أَقَلِّ الْحَيْضِ وَأَكْثَرِهِ فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَقَلُّ الْحَيْضِ ثَلاَثَةٌ وَأَكْثَرُهُ عَشَرَةٌ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ وَبِهِ يَأْخُذُ ابْنُ الْمُبَارَكِ وَرُوِيَ عَنْهُ خِلاَفُ هَذَا . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمْ عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ أَقَلُّ الْحَيْضِ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ وَأَكْثَرُهُ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا . وَهُوَ قَوْلُ مَالِكٍ وَالأَوْزَاعِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَأَبِي عُبَيْدٍ .
Hamnah bint Jahsh narrated:
"I had a case of blood flow that was severe and excessive. So I went to the Prophet to inform him and ask him about it. I found him in the house of my sister Zainab bint Jahsh. I said, 'O Messenger of Allah! I suffer from a case of severe and excessive blood flow. So what do you order me to do for it, and does this prevent me from fasting and performing Salat?' He said: 'Tie a cotton rag around yourself and the bIood will go away.' I said, 'It is more than that.' He said: 'Make it tight.' I said, 'It is more than that.' He said: 'Then use a cloth (to bind it).' I said, it is more than that. It flows too much.' So the Prophet said: 'I will order you to do one of two things, which ever of them you do, it will be acceptable for you. You should know which of them you are able to do.' Then he said: 'This is only a blow from Shaitan. Menstruate for six or seven days, which Allah knows, then perform Ghusl. When you see that you have become pure and clean, then perform Salat for twenty-three or twenty-four nights and their days. Perform Salat and fast, and that will be acceptable for you. So do this (if you can) just as (other) women who menstruate and become pure during their periods of menstruation and purity. If (not, and) you are able to delay Zuhr and hasten Asr then perform Ghusl when you have become pure, and pray Zuhr and Asr together. Then delay Maghrib and hasten Isha, then perform Ghusl and combine the two prayers. So do this (if you are able). Then perform Ghusl with the dawn and pray. Do this, and fast if you are able to do so.' Then Allah's Messenger said: 'That is what is preferable to me of the two.'"
পরিচ্ছেদঃ ৯৫. ইস্তিহাযার রোগিণীর একই গোসলে দুই ওয়াক্তের নামায আদায় করা
১২৮। হামনা বিনতু জাহশ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি গুরুতরভাবে ও অত্যধিক পরিমাণে ইস্তিহাযাগ্রস্ত হয়ে পড়লাম। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বিধান জিজ্ঞেস করতে এবং ব্যাপারটা তাকে জানাতে আসলাম। আমি আমার বোন যাইনাব বিনতি জাহ্শের ঘরে তার দেখা পেলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি গুরুতররূপে ও অত্যধিক পরিমাণে ইস্তিহাযাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। এ ব্যাপারে আপনি আমাকে কি হুকুম করেন? এটা আমাকে রোযা-নামাযে বাধা দিচ্ছে। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে তুলা ব্যবহারের উপদেশ দিচ্ছি; এটা রক্ত শোষণ করবে। তিনি (হামনা) বলেন, এটা তার চেয়েও বেশি। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি (নির্দিষ্ট স্থানে কাপড়ের) লাগাম বেঁধে নাও। তিনি (হামনা) বললেন, এটা তার চেয়েও বেশি। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি কাপড়ের পট্টি বেঁধে নাও। তিনি বললেন, এটা আরো অধিক গুরুতর, আমি পানি প্রবাহের মত রক্তক্ষরণ করি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তোমাকে দু’টো নির্দেশ দিচ্ছি, এর মধ্যে যেটাই তুমি অনুসরণ করবে তা তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। আর যদি তুমি উভয়টিই করতে পার তাহলে তুমিই ভাল জান (কোনটি অনুসরণ করবে)। অতঃপর তিনি তাকে বললেনঃ এটা শাইতানের একটা আঘাত ছাড়া আর কিছু নয় (অতএব চিন্তার কিছু নেই)।
এক. তুমি হায়িযের সময়সীমা ছয় দিন অথবা সাত দিন ধরে নিবে। প্রকৃত ব্যাপার আল্লাহ তা’আলার জ্ঞানে রয়েছে। অতঃপর তুমি গোসল করবে। তুমি যখন মনে করবে যে, তুমি পবিত্র হয়ে গেছ তখন (মাসের অবশিষ্ট) চব্বিশ দিন অথবা তেইশ দিন নামায আদায় করবে এবং রোযা রাখবে। এটা তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। তুমি প্রতি মাসে এরূপ করবে, যেভাবে অন্য মেয়েরা তাদের হায়িযের সময়ে এবং তোহরের (পবিত্রতার) সময়ে নিজেদের হায়িযের সময়সীমা ও তুহরের সময়সীমা গণনা করে থাকে।
দুই. যদি তুমি যুহরের নামায পিছিয়ে আনতে এবং আসরের নামায এগিয়ে আনতে পার তাহলে পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল করে যুহর ও আসর উভয় নামায একত্রে আদায় করে নাও। এভাবে মাগরিবের নামায পিছিয়ে আনতে এবং ইশার নামায এগিয়ে আনতে পার এবং গোসল করে উভয় নামায এক সাথে আদায় করতে পারলে তাই করবে। তুমি যদি ফযরের নামাযের জন্যও গোসল করতে পার তাহলে তাই করবে এবং রোযাও রাখবে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ দু’টি বিকল্প নির্দেশের মধ্যে শেষেরটিই আমার নিকট বেশি পছন্দনীয়। —হাসান। ইবনু মাজাহ– (৬২৭)।
আবু ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ হাদীসটি আমর ইবনু রাক্কী, ইবনু জুরাইজ এবং শারীক আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আকীল হতে তিনি ইবরহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু তালহা হতে তিনি তার চাচা ইমরান হতে, তিনি তার মা হামনাহ হতে বর্ণনা করেছেন। ইবনু জুরাইজ তার বর্ণনায় উমার ইবনু তালহা বলেছেন। সঠিক হলো, ইমরান ইবনু তালহা। আমি মুহাম্মাদকে (বুখারীকে) এ হাদীস সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এটি হাসান সহীহ হাদীস। অনুরূপভাবে আহমাদ ইবনু হাম্বালও বলেছেন, এটা হাসান সহীহ হাদীস।
ইমাম আহমাদ ও ইসহাক বলেন, যদি ইস্তিহাযার রোগিণী হায়িযের শুরু এবং শেষ বুঝতে পারে, তবে রক্তস্রাব যখন আরম্ভ হয় তখন তার রং হয় কালো এবং শেষের দিকে তা হলুদ বর্ণ ধারন করে। এ ধরনের মহিলাদের জন্য ফাতিমা বিনতু আবু হুবাইশ হতে বর্ণিত হাদীসের নির্দেশ প্রযোজ্য।
পূর্বে নিয়মিত ঋতুস্রাব হয়েছে এবং পরে ইস্তিহাযার রোগ দেখা দিয়েছে এরূপ মহিলার কর্তব্য হচ্ছে, হায়িযের নির্দিষ্ট দিন কয়টির নামায ছেড়ে দেবে; অতঃপর গোসল করবে এবং প্রত্যেক নামাযের জন্য পৃথকভাবে ওযু করে নামায আদায় করবে। কোন মহিলার যদি রক্তস্রাব, হতেই থাকে এবং পূর্ব হতে কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা বা অভ্যাসও না থাকে যে, কত দিন হায়িয হয়; এরূপ মহিলার ক্ষেত্রে হামনা বিনতু জাহশ হতে বর্ণনাকৃত হাদীসের হুকুম প্রযোজ্য। আবু উবাইদও এরূপ বলেন। ইমাম শাফিঈ বলেন, ইস্তিহাযার রোগিণীর যদি প্রথম হায়িয হয়ে থাকে এবং তা পনের দিন অথবা তার কম সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়, তবে তার এ দিনগুলো হায়িযের মধ্যে গণ্য হবে। এ কয়দিন সে নামায আদায় করবে না। পনের দিনের পরও যদি রক্তস্রাব চলতে থাকে তবে (উক্ত পনের দিনের মধ্যে) চৌদ্দ দিনের নামায কাযা হিসেবে আদায় করবে এবং এক দিনের নামায ছেড়ে দিবে। কেননা (ইমাম শাফিঈর মতে) হায়িযের নিম্নতম মুদ্দাত এক দিন।
আবু ঈসা বলেন, হায়িযের সর্বনিম্ন ওসর্বোচ্চ মুদ্দাত নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, হায়িযের সর্বনিম্ন সীমা তিন দিন এবং সর্বোচ্চ সীমা দশদিন। সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসীগণ (ইমাম আবু হানীফা ও তার অনুসারীগণ) একথা বলেছেন। ইবনুল মুবারাক এ মতটিই গ্রহণ করেছেন। অপর একদল বিদ্বান, যাদের মধ্যে আতা ইবনু আবু রাবাহও রয়েছেন, বলেছেন, হায়িযের নিম্নতম মুদ্দাত এক দিন এক রাত এবং সর্বোচ্চ মুদ্দাত পনের দিন (ও রাত)। ইমাম আওযাঈ, মালিক, শাফিঈ, আহমাদ, ইসহাক ও আবু উবাইদ এ অভিমত দিয়েছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَجْمَعُ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ بِغُسْلٍ وَاحِدٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَمِّهِ، عِمْرَانَ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ أُمِّهِ، حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَتْ كُنْتُ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْتَفْتِيهِ وَأُخْبِرُهُ فَوَجَدْتُهُ فِي بَيْتِ أُخْتِي زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَمَا تَأْمُرُنِي فِيهَا قَدْ مَنَعَتْنِي الصِّيَامَ وَالصَّلاَةَ قَالَ " أَنْعَتُ لَكِ الْكُرْسُفَ فَإِنَّهُ يُذْهِبُ الدَّمَ " . قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ " فَتَلَجَّمِي " . قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ " فَاتَّخِذِي ثَوْبًا " . قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ إِنَّمَا أَثُجُّ ثَجًّا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " سَآمُرُكِ بِأَمْرَيْنِ أَيَّهُمَا صَنَعْتِ أَجْزَأَ عَنْكِ فَإِنْ قَوِيتِ عَلَيْهِمَا فَأَنْتِ أَعْلَمُ " . فَقَالَ " إِنَّمَا هِيَ رَكْضَةٌ مِنَ الشَّيْطَانِ فَتَحَيَّضِي سِتَّةَ أَيَّامٍ أَوْ سَبْعَةَ أَيَّامٍ فِي عِلْمِ اللَّهِ ثُمَّ اغْتَسِلِي فَإِذَا رَأَيْتِ أَنَّكِ قَدْ طَهُرْتِ وَاسْتَنْقَأْتِ فَصَلِّي أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً أَوْ ثَلاَثًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً وَأَيَّامَهَا وَصُومِي وَصَلِّي فَإِنَّ ذَلِكِ يُجْزِئُكِ وَكَذَلِكِ فَافْعَلِي كَمَا تَحِيضُ النِّسَاءُ وَكَمَا يَطْهُرْنَ لِمِيقَاتِ حَيْضِهِنَّ وَطُهْرِهِنَّ فَإِنْ قَوِيتِ عَلَى أَنْ تُؤَخِّرِي الظُّهْرَ وَتُعَجِّلِي الْعَصْرَ ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ حِينَ تَطْهُرِينَ وَتُصَلِّينَ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا ثُمَّ تُؤَخِّرِينَ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلِينَ الْعِشَاءَ ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ فَافْعَلِي وَتَغْتَسِلِينَ مَعَ الصُّبْحِ وَتُصَلِّينَ وَكَذَلِكِ فَافْعَلِي وَصُومِي إِنْ قَوِيتِ عَلَى ذَلِكِ " . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَهُوَ أَعْجَبُ الأَمْرَيْنِ إِلَىَّ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَرَوَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الرَّقِّيُّ وَابْنُ جُرَيْجٍ وَشَرِيكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عَمِّهِ عِمْرَانَ عَنْ أُمِّهِ حَمْنَةَ إِلاَّ أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ يَقُولُ عُمَرُ بْنُ طَلْحَةَ وَالصَّحِيحُ عِمْرَانُ بْنُ طَلْحَةَ . قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهَكَذَا قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ إِذَا كَانَتْ تَعْرِفُ حَيْضَهَا بِإِقْبَالِ الدَّمِ وَإِدْبَارِهِ وَإِقْبَالُهُ أَنْ يَكُونَ أَسْوَدَ . وَإِدْبَارُهُ أَنْ يَتَغَيَّرَ إِلَى الصُّفْرَةِ فَالْحُكْمُ لَهَا عَلَى حَدِيثِ فَاطِمَةَ بِنْتِ أَبِي حُبَيْشٍ وَإِنْ كَانَتِ الْمُسْتَحَاضَةُ لَهَا أَيَّامٌ مَعْرُوفَةٌ قَبْلَ أَنْ تُسْتَحَاضَ فَإِنَّهَا تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ وَتُصَلِّي وَإِذَا اسْتَمَرَّ بِهَا الدَّمُ وَلَمْ يَكُنْ لَهَا أَيَّامٌ مَعْرُوفَةٌ وَلَمْ تَعْرِفِ الْحَيْضَ بِإِقْبَالِ الدَّمِ وَإِدْبَارِهِ فَالْحُكْمُ لَهَا عَلَى حَدِيثِ حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ . وَكَذَلِكَ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ الْمُسْتَحَاضَةُ إِذَا اسْتَمَرَّ بِهَا الدَّمُ فِي أَوَّلِ مَا رَأَتْ فَدَامَتْ عَلَى ذَلِكَ فَإِنَّهَا تَدَعُ الصَّلاَةَ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا فَإِذَا طَهُرَتْ فِي خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا أَوْ قَبْلَ ذَلِكَ فَإِنَّهَا أَيَّامُ حَيْضٍ فَإِذَا رَأَتِ الدَّمَ أَكْثَرَ مِنْ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا فَإِنَّهَا تَقْضِي صَلاَةَ أَرْبَعَةَ عَشَرَ يَوْمًا ثُمَّ تَدَعُ الصَّلاَةَ بَعْدَ ذَلِكَ أَقَلَّ مَا تَحِيضُ النِّسَاءُ وَهُوَ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي أَقَلِّ الْحَيْضِ وَأَكْثَرِهِ فَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَقَلُّ الْحَيْضِ ثَلاَثَةٌ وَأَكْثَرُهُ عَشَرَةٌ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ وَبِهِ يَأْخُذُ ابْنُ الْمُبَارَكِ وَرُوِيَ عَنْهُ خِلاَفُ هَذَا . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمْ عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ أَقَلُّ الْحَيْضِ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ وَأَكْثَرُهُ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا . وَهُوَ قَوْلُ مَالِكٍ وَالأَوْزَاعِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَأَبِي عُبَيْدٍ .
Hamnah bint Jahsh narrated:
"I had a case of blood flow that was severe and excessive. So I went to the Prophet to inform him and ask him about it. I found him in the house of my sister Zainab bint Jahsh. I said, 'O Messenger of Allah! I suffer from a case of severe and excessive blood flow. So what do you order me to do for it, and does this prevent me from fasting and performing Salat?' He said: 'Tie a cotton rag around yourself and the bIood will go away.' I said, 'It is more than that.' He said: 'Make it tight.' I said, 'It is more than that.' He said: 'Then use a cloth (to bind it).' I said, it is more than that. It flows too much.' So the Prophet said: 'I will order you to do one of two things, which ever of them you do, it will be acceptable for you. You should know which of them you are able to do.' Then he said: 'This is only a blow from Shaitan. Menstruate for six or seven days, which Allah knows, then perform Ghusl. When you see that you have become pure and clean, then perform Salat for twenty-three or twenty-four nights and their days. Perform Salat and fast, and that will be acceptable for you. So do this (if you can) just as (other) women who menstruate and become pure during their periods of menstruation and purity. If (not, and) you are able to delay Zuhr and hasten Asr then perform Ghusl when you have become pure, and pray Zuhr and Asr together. Then delay Maghrib and hasten Isha, then perform Ghusl and combine the two prayers. So do this (if you are able). Then perform Ghusl with the dawn and pray. Do this, and fast if you are able to do so.' Then Allah's Messenger said: 'That is what is preferable to me of the two.'"
পরিচ্ছেদঃ ১১০. হায়িয শুরু হলে সালাত আদায় করা ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে
২৮৭। হামনা বিনতু জাহশ রাযিয়াল্লাহু ’আনহুমা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার অত্যন্ত বেশী ঋতুস্রাব হত। আমি আমার অবস্থা বর্ণনা ও মাসআলাহ জিজ্ঞেস করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম। আমি তাঁকে আমার বোন যয়নাব বিনতু জাহশের ঘরে পেলাম। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার অত্যন্ত বেশী রক্তস্রাব হয়। এ ব্যাপারে আপনি আমাকে (সালাত ইত্যাদি বিষয়ে) কি পরামর্শ দেন? আমার সালাত-(রোযা) সিয়ামও বন্ধ। তিনি বলেনঃ আমি তোমাকে তুলা ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি। এতে তোমার রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে। হামনা বলেন, তা এর চেয়েও বেশী।
তিনি বলেন, কাপড়ের পট্টি বেঁধে নাও। হামনা বলেন, তা এর চেয়েও বেশী। আমার তো রীতিমত রক্ত প্রবাহিত হতে থাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তাহলে আমি তোমাকে দু’টি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছি। তার কোন একটি অনুসরণ করলেই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। উভয়টির উপর যদি ’আমল করতে পার, তাহলে তা তুমিই ভাল জান। তিনি তাকে বললেনঃ এটা শয়তানের লাথি বা স্পর্শবিশেষ। কাজেই তুমি (প্রতি মাসে) নিজেকে ছয় অথবা সাতদিন ঋতুবতী ধরে নেবে। আর এর প্রকৃত বিষয় সম্পর্কে আল্লাহই ভাল অবগত।
তারপর গোসল করবে। যখন তুমি নিজেকে পাক-পবিত্র মনে করবে তখন তেইশ অথবা চব্বিশ দিন যাবত সালাত আদায় করবে ও সিয়াম পালন করবে। এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট। এরূপ প্রতিমাসে কর যেরূপ অন্যান্য মহিলারা হায়িয ও পবিত্রতার ক্ষেত্রে করে থাকে। আর তুমি এরূপও করতে পারঃ যুহরের সালাত দেরীতে এবং ’আসরের সালাত এগিয়ে এনে আদায় করে নেবে।
গোসল সেরে নিয়ে এভাবে যুহর ও ’আসরের সালাত একত্রে আদায় করবে। অপরদিকে মাগরিবকে দেরীতে ও ’ইশাকে এগিয়ে আনবে। গোসল সেরে নিয়ে উভয় ওয়াক্তের সালাত একত্রে আদায় করে নেবে। আর ফজরের সময় গোসল করে সালাত আদায় করে নেবে ও সিয়াম পালন করবে- যদি এরূপ করা তোমার পক্ষে সম্ভবপর হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু’টি পন্থার মধ্যে এই দ্বিতীয় পদ্ধতিই আমার নিকট অধিকতর পছন্দনীয়।[1]
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমর ইবনু সাবিত-ইবনু আকীল (রহঃ) বলেন, হামনা (রাঃ) বলেন, দু’টি পন্থার মধ্যে শেষোক্তটিই আমার অধিক পছন্দনীয়। ইবনু আকীল কথাটি হামনার উক্তি বলে বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বক্তব্য নয়। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমর ইবনু সাবিত রাফিযী বলেন, এটা ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু মাঈন সূত্রে বর্ণিত। কিন্তু তিনি হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে সত্যবাদী ছিলেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি আহমাদ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, ইবনু আকীল বর্ণিত হাদীসের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করি।
-
এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১। হায়িযগ্রস্তার উপর সালাত জায়িয নয়।
২। হায়িযের নির্ধারিত দিন শেষে ইস্তিহাযা রোগীণীর গোসল করা ওয়াজিব।
৩। ইস্তিহাযা রোগীনীর অবশ্য কর্তব্য হচ্ছে, লজ্জাস্থানে কাপড় বেঁধে রক্তের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। এরূপ না করার কারণে যদি সেখান থেকে রক্ত বের হয় তাহলে তার জন্য উযু করা আবশ্যক।
৪। ঋতুবতী মহিলা সালাত, সিয়াম ও পবিত্রতা শর্ত রয়েছে এমন কোনো ইবাদাত হায়িযের নির্ধারিত দিনগুলোতে বর্জন করবে। যখন হায়িযের নির্ধারিত দিন অতিবাহিত হবে তখন তার উপর সালাত ও সাওম পালন ওয়াজিব হবে, যদিও তখন ইস্তিহাযার রক্ত জারি থাকে।
৫। কৃত প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করা জিজ্ঞাসিত ব্যক্তির জন্য জায়িয।
৬। কোনো ইস্তিহাযা রোগীনী স্বীয় ইদ্দত ও তাতে পার্থক্য নিরূপণ সম্পর্কে অজ্ঞ থাকলে সে নারীদের হায়িয ও তুহরের স্বাভাবিক যে নিয়ম ও দিনক্ষণ নির্দিষ্ট রয়েছে তাই অনুসরণ করবে।
৭। ইস্তিহাযা রোগীনী এক গোসলে দু’ ওয়াক্তের সালাত একত্রে আদায় করবে। তার জন্য এরূপ অবস্থায় দু’ ওয়াক্তের সালাত একত্রে আদায় করা শারী‘আত সম্মত।
باب مَنْ قَالَ إِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ تَدَعُ الصَّلَاةَ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَغَيْرُهُ، قَالَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَمِّهِ، عِمْرَانَ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ أُمِّهِ، حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَتْ: كُنْتُ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَأَتَيْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَسْتَفْتِيهِ وَأُخْبِرُهُ، فَوَجَدْتُهُ فِي بَيْتِ أُخْتِي زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ! إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً، فَمَا تَرَى فِيهَا قَدْ مَنَعَتْنِي الصَّلَاةَ وَالصَّوْمَ فَقَالَ " أَنْعَتُ لَكِ الْكُرْسُفَ، فَإِنَّهُ يُذْهِبُ الدَّمَ " . قَالَتْ : هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ . قَالَ " فَاتَّخِذِي ثَوْبًا " . فَقَالَتْ : هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ إِنَّمَا أَثُجُّ ثَجًّا . قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " سَآمُرُكِ بِأَمْرَيْنِ أَيَّهُمَا فَعَلْتِ أَجْزَأَ عَنْكِ مِنَ الآخَرِ، وَإِنْ قَوِيتِ عَلَيْهِمَا فَأَنْتِ أَعْلَمُ " . فَقَالَ لَهَا " إِنَّمَا هَذِهِ رَكْضَةٌ من رَكَضَاتِ الشَّيْطَانِ، فَتَحَيَّضِي سِتَّةَ أَيَّامٍ أَوْ سَبْعَةَ أَيَّامٍ فِي عِلْمِ اللهِ ثُمَّ اغْتَسِلِي حَتَّى إِذَا رَأَيْتِ أَنَّكِ قَدْ طَهُرْتِ وَاسْتَنْقَأْتِ، فَصَلِّي ثَلَاثًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً أَوْ أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً وَأَيَّامَهَا وَصُومِي فَإِنَّ ذَلِكَ يُجْزِئُكِ، وَكَذَلِكَ فَافْعَلِي فِي كُلِّ شَهْرٍ كَمَا تَحِيضُ النِّسَاءُ وَكَمَا يَطْهُرْنَ مِيقَاتَ حَيْضِهِنَّ وَطُهْرِهِنَّ، وَإِنْ قَوِيتِ عَلَى أَنْ تُؤَخِّرِي الظُّهْرَ وَتُعَجِّلِي الْعَصْرَ فَتَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَتُؤَخِّرِينَ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلِينَ الْعِشَاءَ ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فَافْعَلِي وَتَغْتَسِلِينَ مَعَ الْفَجْرِ فَافْعَلِي وَصُومِي إِنْ قَدَرْتِ عَلَى ذَلِكَ " . قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " وَهَذَا أَعْجَبُ الأَمْرَيْنِ إِلَىَّ " .
- حسن
قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَرَوَاهُ عَمْرُو بْنُ ثَابِتٍ، عَنِ ابْنِ عَقِيلٍ قَالَ: فَقَالَتْ: حَمْنَةُ فَقُلْتُ:هَذَا أَعْجَبُ الْأَمْرَيْنِ إِلَيَّ لَمْ يَجْعَلْهُ مِنْ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَهُ كَلَامَ حَمْنَةَ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَعَمْرُو بْنُ ثَابِتٍ رَافِضِيٌّ رَجُلُ سُوءٍ وَلَكِنَّهُ كَانَ صَدُوقًا فِي الْحَدِيثِ وَثَابِتُ بْنُ الْمِقْدَامِ رَجُلٌ ثِقَةٌ وَذَكَرَهُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: سَمِعْت أَحْمَدَ يَقُولُ: حَدِيثُ ابْنِ عَقِيلٍ فِي نَفْسِي مِنْهُ شَيْءٌ
Narrated Hamnah daughter of Jahsh:
Hamnah said my menstruation was great in quantity and severe. So I came to the Messenger of Allah (ﷺ) for a decision and told him. I found him in the house of my sister, Zaynab, daughter of Jahsh.
I said: Messenger of Allah, I am a woman who menstruates in great quantity and it is severe, so what do you think about it? It has prevented me from praying and fasting.
He said: I suggest that you should use cotton, for it absorbs the blood. She replied: It is too copious for that. He said: Then take a cloth. She replied: It is too copious for that, for my blood keeps flowing. The Messenger of Allah (ﷺ) said: I shall give you two commands; whichever of them you follow, that will be sufficient for you without the other, but you know best whether you are strong enough to follow both of them.
He added: This is a stroke of the Devil, so observe your menses for six or seven days, Allah alone knows which it should be; then wash. And when you see that you are purified and quite clean, pray during twenty-three or twenty-four days and nights and fast, for that will be enough for you, and do so every month, just as women menstruate and are purified at the time of their menstruation and their purification.
But if you are strong enough to delay the noon (Zuhr) prayer and advance the afternoon ('Asr) prayer, to wash, and then combine the noon and the afternoon prayer; to delay the sunset prayer and advance the night prayer, to wash, and then combine the two prayers, do so: and to wash at dawn, do so: and fast if you are able to do so if possible.
The Messenger of Allah (ﷺ) said: Of the two commands this is more to my liking.1
Abu Dawud said: 'Amr b. Thabit narrated from Ibn 'Aqil: Hamnah said: Of the two commands this is the one which is more to my liking.2 In this version these words were not quoted as the statement of the Prophet (ﷺ); it gives it as a statement of Hamnah.
Abu Dawud said: 'Amr b. Thabit was a Rafidi. This has been said by Yahya b. Ma'in.
Abu Dawud said: I heard Ahmad (b. Hanbal) say: I am doubtful about the tradition transmitted by Ibn 'Aqil.
পরিচ্ছেদঃ ১২০. মুস্তাহাযা স্ত্রীর সাথে স্বামীর সহবাস করা
৩১০। হামনাহ বিনতু জাহশ সূত্রে বর্ণিত। তিনি মুস্তাহাযা থাকাকালীন অবস্থায় তার স্বামী তার সাথে সহবাস করতেন।[1]
হাসান।
باب الْمُسْتَحَاضَةِ يَغْشَاهَا زَوْجُهَا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي سُرَيْجٍ الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْجَهْمِ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ، أَنَّهَا كَانَتْ مُسْتَحَاضَةً وَكَانَ زَوْجُهَا يُجَامِعُهَا .
- حسن
'Ikrimah reported Hamnah daughter of Jahsh as saying that her husband would have intercourse with her during the period she had a flow of blood.
পরিচ্ছেদঃ ১০. হায়িয (ঋতুস্রাব) সংক্রান্ত - ইস্তিহাযা নারী দু’ সালাত কে একত্রিত করে আদায করতে পারবে
১৪০। হামনাহ বিনতু জাহাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আমার ’ইস্তেহাযা’ নামক ব্যাধির জন্য অত্যন্ত কঠিনরূপে রক্তস্রাব হতো। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ বিষয়ে ফতোয়ার জন্য এলাম’। তিনি বললেন, ’এটা শয়তানের আঘাত জনিত কারণেই (হচ্ছে), তুমি ছয় বা সাত দিন হায়িয পালন করবে। তারপর হায়িযের গোসল করে পবিত্র হয়ে প্রতি মাসে চব্বিশ বা তেইশ দিন নিয়মমাফিক সালাত আদায় করবে, সওম পালন করবে ও সালাত আদায় করবে, তোমার জন্য এটাই যথেষ্ট হবে। এভাবে হায়িযা মহিলার মত প্রতি মাসে করতে থাকবে। যদি তোমার পক্ষে সম্ভব হয় তাহলে যুহরকে পিছিয়ে দিয়ে এবং ’আসরকে কিছুটা এগিয়ে নিয়ে গোসল করে দু’ ওয়াক্তের সালাত একসঙ্গে আদায় করবে। অনুরূপভাবে মাগরিবকে পিছিয়ে ও ’ইশাকে এগিয়ে নিয়ে গোসল করে উভয় সালাত আদায় করবে এবং ফজর সালাতের জন্য গোসল করে তা আদায় করবে। [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন] আমার নিকটে এটাই অধিক পছন্দ’। তিরমিযী একে সহীহ বলেছেন আর বুখারী একে হাসান বলেছেন।[1]
وَعَنْ حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَتْ: كُنْتُ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَبِيرَةً شَدِيدَةً, فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - أَسْتَفْتِيهِ, فَقَالَ: «إِنَّمَا هِيَ رَكْضَةٌ مِنَ الشَّيْطَانِ, فَتَحَيَّضِي سِتَّةَ أَيَّامٍ, أَوْ سَبْعَةً, ثُمَّ اغْتَسِلِي, فَإِذَا اسْتَنْقَأْتِ فَصَلِّي أَرْبَعَةً وَعِشْرِينَ, أَوْ ثَلَاثَةً وَعِشْرِينَ, وَصُومِي وَصَلِّي, فَإِنَّ ذَلِكَ يُجْزِئُكَ, وَكَذَلِكَ فَافْعَلِي كَمَا تَحِيضُ النِّسَاءُ, فَإِنْ قَوِيتِ عَلَى أَنْ تُؤَخِّرِي الظُّهْرَ وَتُعَجِّلِي الْعَصْرَ, ثُمَّ تَغْتَسِلِي حِينَ تَطْهُرِينَ وَتُصَلِّينَ الظُّهْرَ وَالْعَصْرِ جَمِيعًا, ثُمَّ تُؤَخِّرِينَ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلِينَ الْعِشَاءِ, ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ, فَافْعَلِي. وَتَغْتَسِلِينَ مَعَ الصُّبْحِ وَتُصَلِّينَ». قَالَ: «وَهُوَ أَعْجَبُ الْأَمْرَيْنِ إِلَيَّ». رَوَاهُ الْخَمْسَةُ إِلَّا النَّسَائِيَّ, وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ, وَحَسَّنَهُ الْبُخَارِيُّ
-
حسن. رواه أبو داود (287)، والترمذي (128)، وابن ماجه (627)، وأحمد (6/ 439)
Narrated Hamnah bint Jahsh:
'I had a very strong prolonged flow of blood. I went to the Prophet (Peace be upon him) to ask him about it. He said, "This is a strike from Satan. So observe your menses for six or seven days, then perform Ghusl until you see that you are clean. Pray for twenty-four or twenty-three nights and days and fast, and that will suffice you. Do so every month just as the other women menstruate (and are purified). But if you are strong enough to delay the Dhuhr prayer and advance the Asr prayer, then make Ghusl when your purified and combine the Dhuhr and the Asr prayers together; then delay the Maghrib prayer and advance the Isha prayer, and perform Ghusl and combine the two prayers, do so. Do so, and then wash at dawn and pray Fajr. This is how you may pray and fast if you have the ability to do so." And he said, "That is the more preferable way to me." [Reported by the five imams except An- Nasa’i, At-Tirmidhi graded it Sahih (sound)]
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৮১০(৪৮). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... হামনা বিনতে জাহ্শ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি গুরুতরভাবে অত্যধিক পরিমাণে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হলাম। অতএব আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বিধান জিজ্ঞেস করতে এবং ব্যাপারটা তাকে জানাতে আসলাম। আমি আমার বোন যয়নব বিনতে জাহশের ঘরে তাঁর সাক্ষাত পেলাম। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি গুরুতরভাবে অত্যধিক পরিমাণে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হয়েছি। এ ব্যাপারে আপনি কী বলেন? তা আমাকে রোযা-নামাযে বাধা দিচ্ছে। তিনি বলেনঃ আমি তোমাকে তুলা ব্যবহার করার উপদেশ দিচ্ছি। তা রক্ত শোষণ করবে। তিনি (হামনা) বলেন, এটা তদপেক্ষা বেশী। তিনি বলেনঃ তাহলে তুমি (লজ্জাস্থানে) পট্টি বেঁধে নাও। তিনি বলেন, এটা তদপেক্ষা বেশী। তিনি বলেন : তাহলে তুমি কাপড়ের পট্টি বেঁধে নাও। তিনি বললেন, এটা আরো অধিক গুরুতর, পানির প্রবাহের ন্যায় আমার রক্তক্ষরণ হয়।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ আমি তোমাকে দুইটি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছি, এর মধ্যে যে কোন একটি তুমি অনুসরণ করবে তা তোমার জন্য অপরটির বদলে যথেষ্ট হবে। আর তুমি যদি উভয়টিই অবলম্বন করতে সক্ষম হও তবে সেক্ষেত্রে তুমিই অধিক জ্ঞাত। তিনি তাকে বলেন, এটা শয়তানের আঘাতসমূহের মধ্যকার একটি আঘাত ছাড়া কিছু নয়।
(এক) তুমি হায়েযের সময়সীমা ছয় দিন অথবা সাত দিন ধরবে, প্রকৃত ব্যাপার আল্লাহর জ্ঞানে রয়েছে। অতঃপর তুমি গোসল করবে, তুমি যখন মনে করবে যে, তুমি পাক হয়েছ তখন (মাসের অবশিষ্ট) চব্বিশ দিন অথবা তেইশ দিন নামায পড়বে এবং রোযা রাখবে। এটা তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। তুমি প্রতি মাসে এরূপ করবে, যেভাবে অন্য মেয়েরা তাদের হায়েয চলাকালে এবং তোহরের (পবিত্রতার) সময়ে নিজেদের হায়েযের মেয়াদ এবং তোহরের (পবিত্রতার) মেয়াদ গণনা করে থাকে।
(দুই) যদি তুমি যুহরের নামায বিলম্ব করতে এবং আসরের নামায এগিয়ে আনতে সক্ষম হও, তাহলে পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল করে যুহর ও আসরের নামায একত্রে পড়ে নাও। এভাবে মাগরিবের নামায বিলম্ব করতে এবং এশার নামায এগিয়ে আনতে সক্ষম হলে এবং গোসল করে উভয় নামায একত্রে পড়তে পারলে তাই করবে। তুমি যদি ফজরের নামাযের জন্যও গোসল করতে সক্ষম হও তবে তাই করবে এবং রোযাও রাখবে, যদি রোযা রাখতে সক্ষম হও। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ দু’টি বিকল্প নির্দেশের মধ্যে শেষোক্তটিই আমার কাছে অধিক পছন্দনীয়।
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَبِي الرَّبِيعِ الْجُرْجَانِيُّ ، ثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ ، ثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ ، عَنْ عَمِّهِ عِمْرَانَ بْنِ طَلْحَةَ ، عَنْ أُمِّهِ حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَتْ : كُنْتُ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً شَدِيدَةً كَثِيرَةً ، فَجِئْتُ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَسْتَفْتِيهِ فَأُخْبِرُهُ ، فَوَجَدْتُهُ فِي بَيْتِ أُخْتِي زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ ، قَالَتْ : فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً ، فَمَا تَرَى فِيهَا ؟ فَقَدْ مَنَعَتْنِي الصَّلَاةَ وَالصِّيَامَ ؟ . قَالَ : " أَنْعَتُ لَكِ الْكُرْسُفَ ، فَإِنَّهُ يُذْهِبُ الدَّمَ " . قَالَتْ : هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ ؟ . قَالَ : " فَتَلَجَّمِي " . قَالَتْ : هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ ؟ . قَالَ : " اتَّخِذِي ثَوْبًا " . قَالَتْ : هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ ، إِنَّمَا أَثُجُّ ثَجًّا ؟ . فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " سَآمُرُكِ بِأَمْرَيْنِ ، أَيَّهُمَا فَعَلْتِ فَقَدْ أَجْزَأَ عَنْكِ مِنَ الْآخَرِ ، فَإِنْ قَوِيتِ عَلَيْهِمَا فَأَنْتِ أَعْلَمُ " قَالَ لَهَا " إِنَّمَا هَذِهِ رَكْضَةٌ مِنْ رَكَضَاتِ الشَّيْطَانِ ، فَتَحَيَّضِي سِتَّةَ أَيَّامٍ أَوْ سَبْعَةَ أَيَّامٍ فِي عِلْمِ اللَّهِ ، ثُمَّ اغْتَسِلِي ، حَتَّى إِذَا رَأَيْتِ أَنَّكِ قَدْ طَهُرْتِ وَاسْتَنْقَيْتِ فَصَلِّي أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً ، أَوْ ثَلَاثًا وَعِشْرِينَ وَأَيَّامَهَا ، وَصُومِي ، فَإِنَّ ذَلِكَ يُجْزِيكِ ، وَكَذَلِكَ فَافْعَلِي كُلَّ شَهْرٍ ، كَمَا تَحِيضُ النِّسَاءُ ، وَكَمَا يَطْهُرْنَ لِمِيقَاتِ حَيْضِهِنَّ وَطُهْرِهِنَّ ، فَإِنْ قَوِيتِ عَلَى أَنْ تُؤَخِّرِي الظُّهْرَ وَتُعَجِّلِي الْعَصْرَ ، وَتَغْتَسِلِينَ حَتَّى تَطْهُرِي ، ثُمَّ تُصَلِّينَ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا ، ثُمَّ تُؤَخِّرِينَ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلِينَ الْعِشَاءَ ، ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ ، فَافْعَلِي ، وَتَغْتَسِلِينَ مَعَ الْفَجْرِ ، فَصَلِّي وَصُومِي ، إَنْ قَدَرْتِ عَلَى ذَلِكَ " . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " وَهَذَا أَعْجَبُ الْأَمْرَيْنِ إِلَيَّ