পরিচ্ছেদঃ ১. পানি - সাগর বা সমুদ্রের পানি পবিত্র
১। আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং তার মৃত প্রাণী হালাল।
চারজন এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। শব্দ বিন্যাস আবূ শাইবার, ইবনু খুযাইমাহ ও তিরমিযী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। ইমাম মালিক, শাফি’ঈ ও আহমাদ বিন হাম্বালও এটি বর্ণনা করেছেন।[1]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - فِي الْبَحْرِ: «هُوَ الطَّهُورُ مَاؤُهُ الْحِلُّ مَيْتَتُهُ». أَخْرَجَهُ الْأَرْبَعَةُ, وَابْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَاللَّفْظُ لَهُ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ وَالتِّرْمِذِيُّ، وَرَوَاهُ مَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ
-
صحيح. رواه أبو داود (83)، والنسائي (1/ 50 و 176 و 707)، والترمذي (69)، وابن ماجه (386) وابن أبي شيبة (131)، وابن خزيمة (111) من طريق صفوان بن سليم، عن سعيد بن سلمة من آل بني الأزرق، عن المغيرة بن أبي بردة - وهو من بني عبد الدار- أنه سمع أبي هريرة يقول: جاء رجل إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: يا رسول الله! إنا نركب البحر، ونحمل معنا القليل من الماء، فإن توضأنا به عطشنا، أفنتوضأ به؟ فقال صلى الله عليه وسلم: فذكره. وقال الترمذي: «حسن صحيح». قلت: وهذا إسناد صحيح، وقد أعله بعضهم بما لا يقدح، كما أن للحديث شواهد، وتفصيل ذلك في الأصل
Narrated Abu Huraira:
Allah’s Messenger (ﷺ) said regarding the sea, "It's water is purifying and its dead (animals) are lawful (to eat)." [Al- Arba’a and Ibn Abu Shaiba reported it (this version is of the latter). Ibn Khuzaima and Tirmidhi graded it Sahih. It was also reported by Malik, Shafi'i and Ahmad.]
পরিচ্ছেদঃ ১. পানি - পানির মূল পবিত্র অবস্থায় বহাল থাকা
২। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “নিশ্চয় পানি পবিত্র জিনিস, কোন কিছুই তাকে অপবিত্র করতে পারে না”।[1]-৩ জনে; আহমাদ একে সহীহ বলেছেন।”[2]
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: إِنَّ الْمَاءَ طَهُورٌ لاَ يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ. أَخْرَجَهُ الثَّلَاثَةُ وَصَحَّحَهُ أَحْمَدُ
-
صحيح: رواه أبو داود (66)، والنسائي (174)، والترمذي (66) عن أبي سعيد الخدري، قال: قيل: يا رسول الله (!) أنتوضأ (رواية: أتتوضأ) من بئر بضاعة، وهي بئر يلقى فيها الحيض، ولحوم الكلاب، والنتن؟! فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: .. الحديث. قلت: وهو حديث صحيح، وإن أعل بجهالة أحد رواته، لكن له طرق وشواهد أخرى يصح بها الحديث، كما تجد ذلك مفصلا «بالأصل». فائدة: قوله في الحديث: «وهي بئر يلقى فيها الحيض، ولحوم الكلاب، والنتن». قال الخطابي عن ذلك في «معالم السنن» (1/ 37): «يتوهم كثير من الناس إذا سمع هذا الحديث أن هذا كان منهم عادة، وأنهم كانوا يأتون هذا الفعل قصدا وعمدا، وهذا لا يجوز أن يظن بذمي، بل بوثني، فضلا عن مسلم! ولم يزل من عادة الناس قديما وحديثا؛ مسلمهم وكافرهم: تنزيه المياه، وصونها عن النجاسات، فكيف يظن بأهل ذلك الزمان، وهم أعلى طبقات أهل الدين، وأفضل جماعة المسلمين، والماء في بلادهم أعز، والحاجة إليه أمس، أن يكون هذا صنيعهم بالماء، امتهانهم له؟!. وقد لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم من تغوط في موارد الماء ومشارعه، فكيف من اتخذ عيون الماء ومنابعه رصدا للأنجاس، ومطرحا للأقذار؟ هذا ما لا يليق بحالهم. وإنما كان هذا من أجل أن هذه البئر في صدور من الأرض، وأن السيول كانت تكسح هذه الأقذار من الطرق والأفنية، وتحملها فتلقيها فيها، وكان الماء لكثرته لا تؤثر فيه وقوع هذه الأشياء ولا يغيره
বিঃ দ্রঃ হাদীসের কথা وهي بئر يلقى فيها الحيض، ولحوم الكلاب، والنتن বিষয়ে ইমাম খাত্তাবী তাঁর মা’আলিমুস সুনান (১/৩৭) গ্রন্থে বলেন, এ হাদীস শ্রবণ করে অনেকের মনে এ ধারণা জন্মাতে পারে যে, তারা এ কাজটি ইচ্ছাকৃতভাবে করতো। তাদের সম্পর্কে এমন মন্দ ধারণা করা জায়েজ নয়; বিশেষ করে মুসলিমদের ক্ষেত্রে আরো নয়। তাছাড়া এমন (নোংরা) স্বভাব পূর্বেকার বা বর্তমানকালের কোন মানুষের সে মুসলিম হোক বা কাফির হোক এমন (নোংরা) স্বভাব হতে পারে না। বরং তারা পানিকে সবসময় পবিত্র, পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতেন। অতএব এমন যুগের লোকেদের সম্বন্ধে এমন ধারণা কিভাবে করা যায়। অথচ তারা দ্বীনের অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিত্ব এবং মুসলিমদের সবচেয়ে সম্মানিত দল! তাছাড়া সেদেশে পানি দুষ্প্রাপ্য অথচ তার প্রয়োজন নিতান্ত বেশি। তা সত্ত্বেও পানির সাথে এমন আচরণ করা কি অত্যন্ত কঠিন কথা নয়!? এদিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানির ঘাট এবং নালায় মলমূত্র ত্যাগকারীর উপর লানত করেছেন। তাহলে কি করে তারা পানির কূপ ও নালাসমূহকে ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট করতে পারে; আর তাতে ময়লা আবর্জনা নিক্ষেপ করা হতে পারে? এমন আচরণ তাদের জন্য মোটেই মানানসই নয়। হ্যাঁ বিষয়টি এমন হতে পারে যে, ঐ কূপটি কোন মধ্যবর্তী স্থানে ছিল এবং পানির প্রবাহ রাস্তা ও ময়লা ফেলার স্থানের বর্জ্যকে ভাষিয়ে নিয়ে উক্ত কূপে নিক্ষেপ করতো। আর তাতে পানির পরিমাণ খুব বেশি হওয়ায় তাতে কোন প্রভাব পড়তো না এবং পানির স্বাভাবিক বৈশিষ্টের কোন পরিবর্তন করতো না।
[2] এ বিষয়টিকে ইমাম মুনজিরী তার ‘মুখতাসার’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
Narrated Narrated Abu Sa'id al-Khudri:
Allah’s Messenger (ﷺ) said: “Water is pure and nothing can make it impure”. [Ath-Thalatha and Ahmad who graded it Sahih]
পরিচ্ছেদঃ ১. পানি - নাপাক বা ময়লা মিশ্রিত পানির বিধান
৩। আবূ উমামাহ বাহিলী (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় পানিকে কোন কিছু অপবিত্র করতে পারে না। তবে যা তার ঘ্রাণ, স্বাদ ও রঙকে পরিবর্তন করে দেয়”।-ইবনু মাজাহ[1], আবূ হাতিম এটিকে য’ঈফ বলেছেন।[2]
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ - صلى الله عليه وسلم: إِنَّ الْمَاءَ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ, إِلَّا مَا غَلَبَ عَلَى رِيحِهِ وَطَعْمِهِ, وَلَوْنِهِ. أَخْرَجَهُ ابْنُ مَاجَهْ وَضَعَّفَهُ أَبُو حَاتِمٍ
-
ضعيف. رواه ابن ماجه (521) من طريق رشدين بن سعد، حدثنا معاوية بن صالح، عن راشد بن سعد، عن أبي إمامة به. وهو ضعيف؛ لضعف رشدين، وقد اضطرب أيضا في إسناده
[2] তাঁর ছেলে ‘ইলাল’ গ্রন্থে (১/৪৪) বর্ণনা করেছেন। অতঃপর বলেছেন: আমার পিতা বলেছেন যে, রুশদাইন বিন সা'দ হাদীসটিকে আবূ উমামাহ সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুত্তাছিল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু রুশদাইন শক্তিশালী রাবী নয়। সঠিক কথা এই যে, হাদীসটি মুরসাল।
Narrated Abu Umama Al-Bahili:
Narrated Abu Umama Al-Bahili: Allah’s Messenger (ﷺ) said: “Water cannot be rendered impure by anything except something which changes its smell, taste and colour”. [ Ibn Majar reported it and Abu Hatim described it as Da’if (weak)].
পরিচ্ছেদঃ ১. পানি - নাপাক বা ময়লা মিশ্রিত পানির বিধান
৪। বাইহাকীতে রয়েছে “পানি পবিত্র তবে কোন নাজাসাত (অপবিত্র বস্তু) পড়ার কারণে পানির ঘ্রাণ, স্বাদ ও রঙকে নষ্ট ও পরিবর্তন হলে সেই পানি অপবিত্র হয়ে যাবে”।[1]
وَلِلْبَيْهَقِيِّ: الْمَاءُ طَاهِرٌ إِلَّا إِنْ تَغَيَّرَ رِيحُهُ, أَوْ طَعْمُهُ, أَوْ لَوْنُهُ; بِنَجَاسَةٍ تَحْدُثُ فِيهِ
-
ضعيف. رواه البيهقي في «الكبرى» (159 - 260) من حديث أبي إمامة أيضا، وفي إسناده بقية بن الوليد، وهو مدلس وقد عنعن. وله طريق آخر ولكنه ضعيف أيضا
And Al-Baihaqi reported:
“Water is pure unless any impure thing is added which changes its smell, taste and colour”.
পরিচ্ছেদঃ ১. পানি - কী পরিমাণ পানি অপবিত্র হবে; আর কী পরিমাণ পানি অপবিত্র হবে না
৫। আবদুল্লাহ বিন ’উমার (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’পানির পরিমাণ যদি দু’ কুল্লা (কুল্লা হচ্ছে বড় আকারের মাটির পাত্র বিশেষ যাতে প্রায় একশত তের কেজি পানি আটে) (মটকা) হয় তবে তার মধ্যে কোন অপবিত্র বস্তু পড়লে তা না-পাক হবে না’। (চারজনে এটি বর্ণনা করেছেন এবং ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু হিব্বান এক সহীহ বলেছেন।[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا كَانَ الْمَاءَ قُلَّتَيْنِ لَمْ يَحْمِلْ الْخَبَثَ. وَفِي لَفْظٍ: لَمْ يَنْجُسْ. أَخْرَجَهُ الْأَرْبَعَةُ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ. وَابْنُ حِبَّانَ وَالحَاكِمُ
-
صحيح. رواه أبو داود (63 و 64 و 65)، والنسائي (1/ 46 و175)، والترمذي (67)، وابن ماجه (517)، وهو حديث صحيح، وقد أعل بما لا يقدح. وصححه ابن خزيمة (92)، والحاكم (132)، وابن حبان (1249)
Narrated ‘Abdullah bin ‘Umar (rad):
Allah’s Mesenger (ﷺ) said: “If there is enough water to fill two pots (Qulla), it carries no impurity,” Another version has: “It does not become unclean”. {Al-Arba’a reported it. Ibn Khuzaima, Ibn Hibban and Al-Hakim graded it Sahih (sound)].
পরিচ্ছেদঃ ১. পানি - আবদ্ধ বা স্থির পানিতে পেশাব করা এবং তাতে ফরয গোসল করার বিধান
৬। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “অপবিত্র (জুনুবী) অবস্থায় কেউ যেন আবদ্ধ পানিতে (নেমে) গোসল না করে।”[1]
বুখারীর বর্ণনায় আছে, “কোন ব্যক্তি যেন স্রোত নেই এমন আবদ্ধ পানিতে প্রস্রাব করার পর তাতে নেমে আবার গোসল না করে।[2]
সহীহ মুসলিমেفِيه "ফীহি" শব্দের পরিবর্তেمِنْهُ "মিনহু" (উক্ত বর্ণনাকারী থেকে) শব্দ রয়েছে।”[3]
আর আবূ দাউদে রয়েছেঃ “অপবিত্র অবস্থায় তাতে যেন (নেমে) গোসল না করে।”[4]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: لَا يَغْتَسِلُ أَحَدُكُمْ فِي الْمَاءِ الدَّائِمِ وَهُوَ جُنُبٌ». أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ
وَلِلْبُخَارِيِّ: لَا يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي الْمَاءِ الدَّائِمِ الَّذِي لَا يَجْرِي, ثُمَّ يَغْتَسِلُ فِيه
وَلِمُسْلِمٍ: مِنْهُ
وَلِأَبِي دَاوُدَ: وَلَا يَغْتَسِلُ فِيهِ مِنَ الْجَنَابَةِ
-
صحيح
[2] বুখারী (২৩৯)
[3] মুসলিম (২৮২)
[4] সুনান আবু দাউদ (৭০)
Narrated Abu Huraira (rad):
Narrated Abu Huraira (rad): Allah’s Messenger (ﷺ) said: “None of you should take a bath in stagnant water when he is sexually impure”. [Muslim reported it]
Another version of Al-Bukhari has:
“None of you should urinate in stagnant water that is not flowing, and then take bath in it”. A version of Muslim has the words “from it (i.e. the water)”.
A version of Abu Da’ud has: “One should not take bath in it from sexual impurity”.
পরিচ্ছেদঃ ১. পানি - পুরুষ এবং নারীর একে অপরের গোসলের অবশিষ্ট পানি দ্বারা গোসল করা নিষেধ
৭। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জনৈক সাহাবী থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুনুবী পুরুষের গোসলের অবশিষ্ট পানি দিয়ে নারীকে আর নারীর অবশিষ্ট পানি দ্বারা পুরুষকে গোসল করতে নিষেধ করেছেন। বরং তারা যেন পাত্র হতে একই সঙ্গে আজলা-আজলা করে পানি উঠিয়ে নিয়ে গোসল করে”। -আবূ দাউদ, নাসায়ী এটি বর্ণনা করেছেন এবং এর সানাদটি সহীহ।’[1]
وَعَنْ رَجُلٍ صَحِبَ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - أَنْ تَغْتَسِلَ الْمَرْأَةُ بِفَضْلِ الرَّجُلِ, أَوْ الرَّجُلُ بِفَضْلِ الْمَرْأَةِ, وَلْيَغْتَرِفَا جَمِيعًا. أَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ. وَالنَّسَائِيُّ, وَإِسْنَادُهُ صَحِيحٌ
-
صحيح. رواه أبو داود (81)، والنسائي (1/ 130) من طريق داود بن عبد الله الأودي، عن حميد الحميري، عن رجل صحب النبي صلى الله عليه وسلم، به. قلت: وهذا سند صحيح، كما قال الحافظ
A man who accompanied the prophet (ﷺ) narrated:
Allah’s Messenger (ﷺ) forbade a women to bathe with the water left over by a man and that a man should not bathe with the water left over by a woman (but instead) they should both take scoopfuls of the water together. [Reported by Abu Da’ud and An-Nasa’i and its chain of narrators is Sahih (authentic)].
পরিচ্ছেদঃ ১. পানি - স্ত্রীর গোসলের অবশিষ্ট পানি দ্বারা পুরুষের গোসল বৈধ
৮। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাইমূনাহ (রাঃ)’র গোসলের অবশিষ্ট পানি দ্বারা গোসল করতেন।’ (মুসলিম)[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - كَانَ يَغْتَسِلُ بِفَضْلِ مَيْمُونَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا. أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (323)
Narrated Ibn ‘Abbas (rad):
Narrated Ibn ‘Abbas (rad): The Prophet (ﷺ) used to bath with the water left over by Maimuna (rad) [Muslim reported it].
পরিচ্ছেদঃ ১. পানি - স্ত্রীর গোসলের অবশিষ্ট পানি দ্বারা পুরুষের গোসল বৈধ
৯। আর সুনান চতুষ্টয় (আবূ দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)-র বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছেঃ “গামলার পানিতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জনৈকা স্ত্রী গোসল করেছিলেন, অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর (অবশিষ্ট) পানি দিয়ে গোসল করতে এলে তাঁর স্ত্রী তাঁকে বললেন, আমি তো (জুনুবী) অপবিত্র ছিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ’পানি তো আর অপবিত্র হয় না।’ তিরমিযী ও ইবনু খুযাইমাহ একে সহীহ বলেছেন।[1]
وَلِأَصْحَابِ السُّنَنِ: اغْتَسَلَ بَعْضُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - فِي جَفْنَةٍ, فَجَاءَ لِيَغْتَسِلَ مِنْهَا, فَقَالَتْ لَهُ: إِنِّي كُنْتُ جُنُبًا؟ فَقَالَ: «إِنَّ الْمَاءَ لَا يُجْنِبُ». وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ, وَابْنُ خُزَيْمَةَ
-
صحيح. رواه أبو داود (68)، والترمذي (65)، وابن ماجه (370) من طريق سماك بن حرب، عن عكرمة، عن ابن عباس، قال: ... الحديث. قال الترمذي: «هذا حديث حسن صحيح». قلت: وهو كذلك وإن كان من رواية سماك، عن عكرمة، وهي معلولة. «تنبيه»: وهم الحافظ في عزوة لأصحاب «السنن» إذ لم يخرجه النسائي، وأيضا تصحيح ابن خزيمة لغير هذا اللفظ
And Ashab As-Sunan (compilers of the prophet’s sayings) reported that one of the wives of the Prophet (ﷺ) took bath from a vessel, then came the Prophet (ﷺ) and when he wanted to take bath from that (vessel), she said, “I was sexually impure”. He said, “Water does not become sexually impure”. [At-Tirmidhi and Ibn huzaima graded it Sahih (sound)].
পরিচ্ছেদঃ ১. পানি - যে পাত্ৰ কুকুর চাটবে সে পাত্র পবিত্রকরণের পদ্ধতি
১০। আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেনঃ ’কুকুর কোন পাত্র চাটলে সেই পাত্রকে পবিত্র করতে সাতবার সেটিকে পরিষ্কার করে ধুতে হবে- তার প্রথম বার মাটি দিয়ে (মাজতে হবে)’।[1]
মুসলিমের আরেক বর্ণনায় “সেটির (চেটে রাখা) উচ্ছিষ্ট বস্ত ফেলে দিবে” কথাটি রয়েছে।[2]
আর তিরমিযীতে আছে, “শেষের বার অথবা প্রথমবার মাটি দিয়ে (মেজে নিয়ে ধুবে)।”[3]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «طَهُورُ إِنَاءِ أَحَدِكُمْ إِذَا وَلَغَ فِيهِ الْكَلْبُ أَنْ يَغْسِلَهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ, أُولَاهُنَّ بِالتُّرَابِ». أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ
وَفِي لَفْظٍ لَهُ: فَلْيُرِقْهُ
وَلِلتِّرْمِذِيِّ: أُخْرَاهُنَّ, أَوْ أُولَاهُنَّ بِالتُّرَابِ
-
صحيح
[2] মুসলিম (৮৯, ২৭৯)
[3] সুনান তিরমিযী (৯১), তাঁর মতে আরো কিছু অতিরিক্ত শব্দ রয়েছে। তা হচ্ছে ‘পাত্রে যদি বিড়াল মুখ দেয়। তবে একবার ধুয়ে নিবে। মুহাক্কিক সুমাইর আয-যুহাইরি বুলুগুল মারামের ব্যাখ্যা গ্রন্থে বলেন: এ অতিরিক্ত শব্দসমূহ সহীহ। ইবনু শাহিনের ‘নাসিখুল হাদীস ওয়াল মানসূখাহ’ গ্রন্থে (১৪০) এরূপ বর্ণনা রয়েছে।
Narrated Abu Huraira (rad):
Narrated by Abu Huraira (rad): Allah’s Messenger (ﷺ) said: “The cleansing of the utensil belonging to one of you, after it has been licked by a dog, is to wash it seven times, and using soil for cleaning at the first time.” [Muslim reported it].
Another version has:
“he should spill the content”.
At-Tirmidhi’s version has “using soil at the first or last time”.
পরিচ্ছেদঃ ১. পানি - বিড়ালের উচ্ছিষ্ট পবিত্র
১১। আবূ কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত-আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিড়াল প্রসঙ্গে বলেছেন, “সে অপবিত্র নয় এবং সে তো তোমাদের মাঝে চলাফেরা করতে থাকে।” তিরমিযী ও ইবনু খুযাইমাহ একে সহীহ বলেছেন।[1]
وَعَنْ أَبِي قَتَادَةَ - رضي الله عنه - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ فِي الْهِرَّةِ: «إِنَّهَا لَيْسَتْ بِنَجَسٍ, إِنَّمَا هِيَ مِنَ الطَّوَّافِينَ عَلَيْكُمْ». أَخْرَجَهُ الْأَرْبَعَةُ, وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ. وَابْنُ خُزَيْمَةَ
-
صحيح. رواه أبو داود (75)، والنسائي (1/ 55 و 178)، والترمذي (92)، وابن ماجه (367) وابن خزيمة (104) من طريق كبشة بنت كعب بن مالك -وكانت تحت ابن أبي قتادة- أن أبا قتادة دخل عليها، فسكبت له وضوءا. قالت: فجاءت هرة تشرب، فأصغى لها الإناء حتى شربت، قالت كبشة: فرآني أنظر إليه! فقال: أتعجبين يا بنت أخي؟ فقلت: نعم. قال: إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره. وقال الترمذي: حديث حسن صحيح
Narrated Abu Qatada (rad):
Narrated Abu Qatada (rad): Allah’s Messenger (ﷺ) said about the cat that, “It is not unclean, but is one of those who intermingle with you.” [Reported by Al-Arba’a. At-Tirmidhi and Ibn Khuzaima graded it Sahih (sound)].
পরিচ্ছেদঃ ১. পানি - জমিনকে পেশাব হতে পবিত্রকরণের পদ্ধতি
১২। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, একদা জনৈক বেদুঈন এসে মসজিদের এক পাশে পেশাব করে দিল। তা দেখে লোকজন তাকে ধমক দিতে লাগল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিষেধ করলেন। সে তার পেশাব করা শেষ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদেশে এর উপর এক বালতি পানি ঢেলে দেয়া হল।” (মুত্তাফাকুন আলাইহ)[1]
وَعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ - رضي الله عنه - قَالَ: جَاءَ أَعْرَابِيٌّ فَبَالَ فِي طَائِفَةِ الْمَسْجِدِ, فَزَجَرَهُ النَّاسُ, فَنَهَاهُمْ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم - فَلَمَّا قَضَى بَوْلَهُ أَمَرَ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم - بِذَنُوبٍ مِنْ مَاءٍ; فَأُهْرِيقَ عَلَيْهِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (219)، ومسلم (284)، وله طرق عن أنس، وجاء أيضا من رواية بعض الصحابة غير أنس
Narrated Anas bin Malik:
Narrated Anas bin Malik (rad): A Bedouin came and urinated in one corner of the mosque and the people shouted at him, but Allah’s Messenger (ﷺ) stopped them, and when he finished urinating, the Prophet (ﷺ) ordered for a bucket of water which was spilt over it [Agreed upon].
পরিচ্ছেদঃ ১. পানি - মাছ ও পঙ্গপাল পানিতে পড়ে মৃত্যুবরণ করলে পানি অপবিত্র হবে না
১৩। ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ খাদ্যরূপে ’দু’প্রকারের মৃত প্রাণী এবং দু’প্রকার রক্তকে আমাদের (মুসলিমদের) জন্য হালাল করা হয়েছে। দু’প্রকার মৃত প্রাণী হচ্ছেঃ টিড্ডি (পঙ্গপাল) ও মাছ। এবং রক্তের দু’প্রকার হচ্ছে— (হালাল প্রাণীর) কলিজা ও হৃৎপিণ্ড।[1]
وَعَن ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «أُحِلَّتْ لَنَا مَيْتَتَانِ وَدَمَانِ, فَأَمَّا الْمَيْتَتَانِ: فَالْجَرَادُ وَالْحُوتُ, وَأَمَّا الدَّمَانُ: فَالطِّحَالُ وَالْكَبِدُ». أَخْرَجَهُ أَحْمَدُ, وَابْنُ مَاجَهْ, وَفِيهِ ضَعْفٌ
-
رواه أحمد (2/ 97)، وابن ماجه (3314)، وسنده ضعيف كما أشار إلى ذلك الحافظ. ولكنه يصح عن ابن عمر موقوفا، والموقوف له حكم الرفع كما قاله البيهقي رحمه الله
Narrated Ibn 'Umar:
Narrated Ibn 'Umar (rad): Allah’s Messenger (ﷺ) said: "Two types of dead animals and two types of bloods have been made lawful for us, the two types of dead animals are locusts and fish (seafood), while the two types of bloods are the liver and the spleen". [Reported by Ahmad and Ibn Majah, and this Hadith has some weakness.]
পরিচ্ছেদঃ ১. পানি - মাছি পানিতে বা অন্য কিছুতে পতিত হয়ে তাকে অপবিত্র করতে পারে না
১৪। আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের ’কারো পানীয় বস্তুর মধ্যে মাছি পড়ে তখন সে যেন তাকে তার মধ্যে ডুবিয়ে দেয়। তারপর তাকে বাইরে ফেলে দেয়। কেননা ওর এক ডানায় রোগ আর অন্য ডানায় আরোগ্য রয়েছে।”[1]
আবূ দাউদে (অতিরিক্ত শব্দ) এসেছে; ’মাছি তার জীবাণু যুক্ত ডানাটি (প্রথমে পানীয়ের মধ্যে ডুবিয়ে) তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।[2]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا وَقَعَ الذُّبَابُ فِي شَرَابِ أَحَدِكُمْ فَلْيَغْمِسْهُ, ثُمَّ لِيَنْزِعْهُ, فَإِنَّ فِي أَحَدِ جَنَاحَيْهِ دَاءً, وَفِي الْآخَرِ شِفَاءً». أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ
وَأَبُو دَاوُدَ, وَزَادَ: «وَإِنَّهُ يَتَّقِي بِجَنَاحِهِ الَّذِي فِيهِ الدَّاءُ
-
صحيح. رواه البخاري (3320)، (5782)
سنن أبي داود (3844) وإسنادها حسن
[2] সুনান আবু দাউদ (৩৮৪৪), এ হাদীসের সূত্রটি সহীহ।
Narrated Abu Huraira:
Narrated Abu Huraira (rad): Allah’s Messenger (ﷺ) said: “When a fly falls in the drink of one of you, he should fully dip it and then throw it away because there is disease in one of its wings and cure in the other”. [Reported by Al-Bukhari]
and Abu Da’ud who added:
“It (the fly) protects itself with the diseased wing (by dipping it first in a drink).
পরিচ্ছেদঃ ১. পানি - জীবিত প্রাণী হতে কর্তিক অংশ মৃত প্রাণী বলে গণ্য
১৫। আবূ ওয়াকিদ আল-লায়সী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’জীবিত কোন জন্তুর শরীরের অংশ বিশেষ কেটে নেয়ার পর তা (পশুটি) জীবিত থাকলে সেটা (কাটা অংশ) মৃত গন্য করা হবে। (অথাৎ ঐ অংশটি হারাম।) আবূ দাউদ ও তিরমিযী এটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী এটিকে হাসান বলেছেন এবং শব্দ বিন্যাস তারই। (তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন)[1]
وَعَنْ أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم: «مَا قُطِعَ مِنَ الْبَهِيمَةِ - وَهِيَ حَيَّةٌ - فَهُوَ مَيِّتٌ. أَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ, وَالتِّرْمِذِيُّ وَحَسَّنَهُ, وَاللَّفْظُ لَهُ
-
حسن. رواه أبو داود (2858)، الترمذي (1480)، من طريق عطاء بن يسار، عن أبي واقد الليثي قال: قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة، والناس يجبون أسنمة الإبل، ويقطعون أليات الغنم، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكر الحديث
Narrated Abu Waqid Al-Laithi:
Narrated Abu Waqid Al-Laithi (rad): Allah’s Messenger (ﷺ) said: “Whatever (portion) is cut off from an animal when it is alive is dead (meat). [Reported by Abu Da’ud and At-Tirmidhi who graded it Hasan (fair) and this version is of Tirmidhi].
পরিচ্ছেদঃ ২. পাত্র - স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাত্রে খাওয়া বা পান করা হারাম
১৬। হুযাইফাহ বিন ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সোনা ও রূপার পাত্রে পান করো না এবং এগুলোর বাসনে আহার করো না। কেননা দুনিয়াতে এগুলো কাফিরদের জন্য আর আখিরাতে তোমাদের জন্য[1]।
عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم: «لَا تَشْرَبُوا فِي آنِيَةِ الذَّهَبِ والْفِضَّةِ، وَلَا تَأْكُلُوا فِي صِحَافِهَا، فَإِنَّهَا لَهُمْ فِي الدُّنْيَا، وَلَكُمْ فِي الْآخِرَةِ» مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (5426)، ومسلم (2067) عن عبد الرحمن بن أبي ليلى، قال: إنهم كانوا عند حذيفة، فاستسقى، فسقاه مجوسي، فلما وضع القدح في يده، رماه به، وقال: لولا أني نهيته غير مرة ولا مرتين! -كأنه يقول: لم أفعل هذا- لكني سمعت النبي صلى الله عليه وسلم، يقول: «لا تلبس الحرير ولا الديباج، ولا تشربوا» .. الحديث. واللفظ للبخاري، وعنده «ولنا في الآخرة». وهذه الجملة ليست عند مسلم
Narrated Hudhaifa bin Al-Yaman:
Narrated Hudhaifa bin Al-Yaman (rad): Allah’s Messenger (ﷺ) said: “Do not drink in silver or gold utensils, and do not eat in plates of such metals, for such things are for them (the disbelievers) in this worldly life and for you in the Hereafter.” [Agreed upon]
পরিচ্ছেদঃ ২. পাত্র - রৌপ্যের পাত্ৰে পান করা অবৈধ
১৭। উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’যে ব্যক্তি রূপার পাত্রে পান করে সে যেন তাঁর পেটে জাহান্নামের আগুনই ঢক ঢক করে ভরে নেয়’।[1]
وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «الَّذِي يَشْرَبُ فِي إِنَاءِ الْفِضَّةِ إِنَّمَا يُجَرْجِرُ فِي بَطْنِهِ نَارَ جَهَنَّمَ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (5634)، ومسلم (2065)
Narrated Umm Salama:
Narrated Umm Salama (rad): Allah’s Messenger (ﷺ) said: “He who drinks in a silver utensil is only swallowing Hell-fire in his stomach”. [Agreed Upon]
পরিচ্ছেদঃ ২. পাত্র - মৃত প্রাণীর চামড়া দাবাগাত করলে পবিত্র হয়
১৮। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দাবাগাত (বিশেষ পন্থায় পাকানো) দিলে চামড়া পাক হয়ে যায়[1]। আবূ দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ’তে আছেঃ “যে কোন চামড়া দাবাগত করলে তা পবিত্র হয়”।[2]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا دُبِغَ الْإِهَابُ فَقَدْ طَهُرَ». أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ. وَعِنْدَ الْأَرْبَعَةِ: «أَيُّمَا إِهَابٍ دُبِغَ
-
صحيح. رواه مسلم (366)
رواه النسائي (773)، والترمذي (1728)، وابن ماجه (3609) عن ابن عباس أيضا، وهو صحيح كسابقه. «تنبيه»: وهم الحافظ رحمه الله في قوله: «وعند الأربعة» وذلك لأن أبا داود لم يروا الحديث بهذا اللفظ، وإنما لفظه كلفظ مسلم
[2] নাসায়ী (৭৭৩); তিরমিযী (১৭২৮); ইবনু মাজাহ (৩৬০৯)। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ মর্মে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে এবং পূর্বের হাদীসের মতো এটিও সহীহ।
বিঃ দ্রঃ হাফেজ ইবনু হাজার وعند الأربعة বলে ভুল করেছেন। কেননা ইমাম আবু দাউদ এ শব্দে হাদীস বর্ণনা করেননি। বরং আবু দাউদের শব্দ ইমাম মুসলিমের শব্দের ন্যায়।
Narrated Ibn ‘Abbas:
Narrated (rad): Allah’s Messenger (ﷺ) said: "When the skin is tanned it becomes purified.” [Reported by Muslim]. Al-Arba’a have the words: "Any skin that is tanned ... "
পরিচ্ছেদঃ ২. পাত্র - মৃত প্রাণীর চামড়া দাবাগাত করলে পবিত্র হয়
১৯। সালামাহ বিন মুহাব্বিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "মৃত পশুর চামড়া দাবাগত করা হলেই পাক হয়"। ইবনু হিব্বান একে সহীহ বলেছেন।[1]
وَعَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبِّقِ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «دِبَاغُ جُلُودِ الْمَيْتَةِ طُهُورُهاَ». صَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ
-
صحيح. وإن وهم فيه الحافظ، إذ عزو هذا اللفظ لابن حبان من رواية ابن المحبق ليس بصواب، وإنما هو لفظ حديث عائشة. وبيان ذلك بالأصل
Narrated Salama bin Al-Muhabbiq:
Narrated (rad): Allah’s Messenger (ﷺ) said: “The tanning of a dead animal’s skin purifies it”. [Ibn Hibban graded it Sahih (sound)].
পরিচ্ছেদঃ ২. পাত্র - মৃত প্রাণীর চামড়া দাবাগাত করলে পবিত্র হয়
২০। মাইমুনাহ (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, একটি মৃত ছাগলের নিকট দিয়ে গমণের সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন যে, লোকেরা সেটিকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি বললেন, ’এর চামড়াটা যদি নিতে? তারা বললো, ’এটা তো মৃত ছাগল’। তিনি তাদের বললেন, ’পানি ও বাবলার ছাল একে পবিত্র করে দিবে।[1]
وَعَنْ مَيْمُونَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - بِشَاةٍ يَجُرُّونَهَا، فَقَالَ: «لَوْ أَخَذْتُمْ إِهَابَهَا؟» فَقَالُوا: إِنَّهَا مَيْتَةٌ، فَقَالَ: «يُطَهِّرُهَا الْمَاءُ وَالْقَرَظُ». أَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالنَّسَائِيُّ
-
صحيح. رواه أبو داود (4126)، والنسائي (774 - 175)، وله ما يشهد له
Narrated Maimuma:
Narrated (rad): Some people dragging a (dead) goat passed by the Prophet (ﷺ). He told them, “Had you better taken its skin”. They said, “It is dead”. He said, “Water and the leaves of the Acacia tree will purify it”. [Reported by Abu Da’ud and An’Nasa’i].