আলী ইবনুল মাদীনী (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে টি

পরিচ্ছেদঃ ২২৪৭. নাবী (সাঃ) এর রোগ ও তাঁর ওফাত। মহান আল্লাহর বাণীঃ আপনিতো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল। এরপর কিয়ামত দিবসে তোমরা পরস্পর তোমাদের প্রতিপালকের সম্মুখে বাক-বিতন্ডা করবে (৩৯ঃ ৩০,৩১) ইউনুস (রহঃ) যুহরী ও উরওয়া (রহঃ) সুত্রে বলেন, আয়শা (রাঃ) বলেছেন, নবী (সাঃ) যে রোগে ইন্তিকাল করেন সে সময় তিনি বলতেন, হে আয়শা! আমি খায়বারে (বিষযুক্ত) যে খাদ্য ভক্ষন করেছিলাম, আমি সর্বদা তার যন্ত্রনা অনুভব করছি। আর এখন সেই সময় আগত, যখন সে বিষক্রিয়ার আমার প্রাণবায়ু বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে

৪১০৭। আলী (ইবনু মাদিনী) (রহঃ) বলেন, আমার কাছে ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) এতদ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন ... আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রোগাক্রান্ত অবস্থায় তাঁর মুখে ঔষধ ঢেলে দিতাম। তিনি ইশারায় আমাদেরকে তাঁর মুখে ঔষধ ঢালতে নিষেধ করলেন। আমরা বললাম, এটা ঔষধের প্রতি রোগীর সাধারণ বিরক্তিভাব (তাই নিষেধ মানলাম না)। যখন তিনি সুস্থ্যবোধ করলেন তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাদের ঔষধ সেবন করাতে নিষেধ করিনি? আমরা বললাম, আমরা মনে করেছিলাম এটা ঔষধের প্রতি রোগীর সাধারণ বিরক্তিভাব। তখন তিনি বললেন, আব্বাস ব্যতীত বাড়ীর প্রত্যেকের মুখে ঔষধ ঢাল তা আমি দেখি। কেননা সে তোমাদের মাঝে উপস্থিত নেই। এ হাদীস ইবনু আবূ যিনাদ ... আয়িশা (রাঃ) থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অবস্থা সম্পর্কে বর্ণনা করেন।

بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ ثُمَّ إِنَّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِنْدَ رَبِّكُمْ تَخْتَصِمُونَ

حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَزَادَ، قَالَتْ عَائِشَةُ لَدَدْنَاهُ فِي مَرَضِهِ فَجَعَلَ يُشِيرُ إِلَيْنَا أَنْ لاَ تَلُدُّونِي فَقُلْنَا كَرَاهِيَةُ الْمَرِيضِ لِلدَّوَاءِ‏.‏ فَلَمَّا أَفَاقَ قَالَ ‏"‏ أَلَمْ أَنْهَكُمْ أَنْ تَلُدُّونِي ‏"‏‏.‏ قُلْنَا كَرَاهِيَةَ الْمَرِيضِ لِلدَّوَاءِ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ لاَ يَبْقَى أَحَدٌ فِي الْبَيْتِ إِلاَّ لُدَّ ـ وَأَنَا أَنْظُرُ ـ إِلاَّ الْعَبَّاسَ، فَإِنَّهُ لَمْ يَشْهَدْكُمْ ‏"‏‏.‏ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏


Narrated `Aisha: We poured medicine in one side of the Prophet's mouth during his illness and he started pointing to us, meaning to say, "Don't pour medicine in my mouth." We said, "(He says so) because a patient dislikes medicines." When he improved and felt a little better, he said, "Didn't I forbid you to pour medicine in my mouth ?" We said, " ( We thought it was because of) the dislike, patients have for medicines. He said, "Let everyone present in the house be given medicine by pouring it in his mouth while I am looking at him, except `Abbas as he has not witnessed you (doing the same to me).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনুল মাদীনী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌র বাণীঃ لا تتخذوا عدوي "(হে মু'মিনগণ) আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরূপে গ্রহন করো না" (৬০ঃ১)

৪৫৩০। আলী (রহঃ) হতে বর্ণিত যে, সুফইয়ান ইবনু উয়াইনা (রহঃ) কে “হে মুমিনগণ! আমার শত্রুকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না” আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, মানুষ বর্ণনার মাঝে তো এমনই পাওয়া যায়। আমি এ হাদিসটি আমর ইবনু দ্বীনার (রহঃ) থেকে মুখস্ত করেছি। এর মধ্য থেকে একটি অক্ষরও আমি বাদ দেইনি। আমার ধারণা, আমর ইবনু দ্বীনার (রহঃ) থেকে আমি ব্যতীত আর কেউ এ হাদিস মুখস্ত করেনি।

باب لا تتخذوا عدوي وعدوكم أولياء

حَدَّثَنَا عَلِيٌّ قِيلَ لِسُفْيَانَ فِي هَذَا فَنَزَلَتْ ‏(‏لاَ تَتَّخِذُوا عَدُوِّي‏)‏ قَالَ سُفْيَانُ هَذَا فِي حَدِيثِ النَّاسِ حَفِظْتُهُ مِنْ عَمْرٍو وَمَا تَرَكْتُ مِنْهُ حَرْفًا وَمَا أُرَى أَحَدًا حَفِظَهُ غَيْرِي


Narrated `Ali: Sufyan was asked whether (the Verse): 'Take not My enemies and your enemies...' was revealed in connection with Hatib. Sufyan replied, "This occurs only in the narration of the people. I memorized the Hadith from `Amr, not overlooking even a single letter thereof, and I do not know of anybody who remembered it by heart other than myself."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনুল মাদীনী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৮. নামাযরত অবস্থায় অট্টহাসি সম্পর্কিত হাদীস এবং তার ক্রটিসমূহ

৫৯১(১৫). আবু আলী ইসমাঈল ইবনে মুহাম্মাদ আস-সাফফার (রহঃ) ... আলী ইবনুল মাদীনী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে আবদুর রহমান ইবনে মাহদী (রহঃ) বলেছেন, এই হাদীস আবুল আলিয়া (রহঃ)-এর উপর নির্ভর করে। আমি বললাম, এই হাদীস আল-হাসান (রহঃ) মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, আমার নিকট বর্ণনা করেছেন হাম্মাদ ইবনে যায়েদ-হাফস ইবনে সুলায়মান আল-মিনকারী। তিনি বলেন, আমি এই হাদীস হাফসা (রহঃ)-আবুল আলিয়া (রহঃ) সূত্রে আল-হাসান (রহঃ)-এর নিকট বর্ণনা করেছি। আমি বলেছি, এই হাদীস ইবরাহীম (রহঃ) মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। আবদুর রহমান (রহঃ) বলেন, আমার নিকট বর্ণনা করেছেন শারীক (রহঃ) আবু হাশেম (রহঃ) সূত্রে। তিনি বলেন, আমি এই হাদীস ইবরাহীম (রহঃ)-এর নিকট আবুল আলিয়া (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছি। আমি বলেছি, আয-যুহরী (রহঃ) এই হাদীস মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি এই হাদীস আয-যুহরীর ভ্রাতুষ্পত্রের কিতাবে সুলায়মান ইবনে আরকাম-আল-হাসান সূত্রে পড়েছি।

بَابُ أَحَادِيثِ الْقَهْقَهَةِ فِي الصَّلَاةِ وَعِلَلِهَا

حَدَّثَنَا أَبُو عَلِيٍّ إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّفَّارُ ، نَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِسْحَاقَ الْقَاضِي ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ ، قَالَ : قَالَ لِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ : هَذَا الْحَدِيثُ يَدُورُ عَلَى أَبِي الْعَالِيَةِ . فَقُلْتُ : قَدْ رَوَاهُ الْحَسَنُ مُرْسَلًا . فَقَالَ ، حَدَّثَنِي حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ ، عَنْ حَفْصِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْمِنْقَرِيِّ ، قَالَ : أَنَا حَدَّثْتُ بِهِ الْحَسَنَ ، عَنْ حَفْصَةَ ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ . فَقُلْتُ : قَدْ رَوَاهُ إِبْرَاهِيمُ مُرْسَلًا . فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ : حَدَّثَنِي شَرِيكٌ ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ ، قَالَ : أَنَا حَدَّثْتُ بِهِ إِبْرَاهِيمَ ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ ، فَقُلْتُ : قَدْ رَوَاهُ الزُّهْرِيُّ مُرْسَلًا ، فَقَالَ : قَرَأْتُهُ فِي كِتَابِ ابْنِ أَخِي الزُّهْرِيِّ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ أَرْقَمَ ، عَنِ الْحَسَنِ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনুল মাদীনী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৮. নামাযরত অবস্থায় অট্টহাসি সম্পর্কিত হাদীস এবং তার ক্রটিসমূহ

৬২০(৪৪). ইসমাঈল ইবনে মুহাম্মাদ আস-সাফফার (রহঃ) ... আলী ইবনুল মাদীনী (রহঃ) বলেন, আমি আবদুর রহমান ইবনে মাহদী (রহঃ)-কে বললাম, এই হাদীস ইবরাহীম (রহঃ) মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমার নিকট শারীক (রহঃ) আবু হাশেম সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি এই হাদীস ইবরাহীম (রহঃ)-এর নিকট আবুল আলিয়া (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছি। ইবরাহীম (রহঃ)-এর হাদীস যা আবুল আলিয়া (রহঃ) সূত্রে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন, পুনরাবৃত্তি করেন। কেননা আবু হাশেম (রহঃ) উল্লেখ করেছেন যে, তিনি এই হাদীস তার থেকে বর্ণনা করেছেন। আবুল হাসান বলেন, আমি এই অনুচ্ছেদে উদ্ধৃত সবগুলো হাদীস আবুল আলিয়া (রহঃ) আর-রিয়াহীর নিকট পেশ করলাম। আর আবুল আলিয়া এই হাদীস নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি তার ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাঝে এমন কোন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেননি, যার কাছে এই হাদীস শুনেছেন। আসেম আল-আহওয়াল (রহঃ) মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন (রহঃ) সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আবুল আলিয়া ও হাসান (রহঃ) সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন। তিনি বলেছেন, তোমরা আল-হাসানের এবং আবুল আলিয়ার মুরসাল হাদীসসমূহ গ্রহণ করো না। কেননা তারা উভয়ে কেমন রাবী থেকে হাদীস গ্রহণ করেন তা যাচাই করেন না।

بَابُ أَحَادِيثِ الْقَهْقَهَةِ فِي الصَّلَاةِ وَعِلَلِهَا

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّفَّارُ ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ الْقَاضِي ، نَا عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ ، قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ : رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ إِبْرَاهِيمُ مُرْسَلًا ؟ فَقَالَ : حَدَّثَنِي شَرِيكٌ ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ ، قَالَ : أَنَا حَدَّثْتُ بِهِ إِبْرَاهِيمَ ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ . رَجَعَ حَدِيثُ إِبْرَاهِيمَ هَذَا الَّذِي أَرْسَلَهُ إِلَى أَبِي الْعَالِيَةِ ؛ لِأَنَّ أَبَا هَاشِمٍ ذَكَرَ أَنَّهُ حَدَّثَهُ بِهِ عَنْهُ ، قَالَ أَبُو الْحَسَنِ : رَجَعَتْ هَذِهِ الْأَحَادِيثُ كُلُّهَا الَّتِي قَدَّمْتُ ذِكْرَهَا فِي هَذَا الْبَابِ إِلَى أَبِي الْعَالِيَةِ الرِّيَاحِيِّ ، وَأَبُو الْعَالِيَةِ أَرْسَلَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَلَمْ يُسَمِّ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ رَجُلًا سَمِعَهُ مِنْهُ عَنْهُ . وَقَدْ رَوَى عَاصِمٌ الْأَحْوَلُ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ - وَكَانَ عَالِمًا بِأَبِي الْعَالِيَةِ وَبِالْحَسَنِ - فَقَالَ : لَا تَأْخُذُوا بِمَرَاسِيلِ الْحَسَنِ وَلَا أَبِي الْعَالِيَةِ ؛ فَإِنَّهُمَا لَا يُبَالِيَانِ عَمَّنْ أَخَذَا


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনুল মাদীনী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে