১৭২৯

পরিচ্ছেদঃ উল্লেখিত হাদীসে ‘হক’ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ওয়াজিব

১৭২৯. ইবনু মুহাইরিয থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি উবাদা বিন সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে এসে বলেন, “হে আবুল ওয়ালিদ, নিশ্চয়ই আবূ মুহাম্মাদ আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, “বিতর সালাত ওয়াজিব।” তখন উবাদা বিন সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু জবাবে বলেন, “আবূ মুহাম্মাদ সত্য বলেন নি। আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, যা আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর ফরয করেছেন, যে ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে আদায় করবে, সালাতের কোন হককে হালকা মনে করে কোন কমতি করেনি, তবে তার জন্য আল্লাহর কাছে এই মর্মে অঙ্গিকার রয়েছে যে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আর যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে এবং সে সালাতের হকগুলোকে হালকা গণ্য করে তা আদায়ে ত্রুটি করে, তবে তার জন্য আল্লাহর কাছে এই মর্মে কোন অঙ্গিকার থাকবে না। তিনি চাইলে তার প্রতি রহম করবেন আর চাইলে তাকে শাস্তি দিবেন।”[1]

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “উবাদা বিন সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্য “আবূ মুহাম্মাদ মিথ্যা বলেছে” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তিনি ভুল বলেছেন। আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে উদ্দেশ্য করে আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার বক্তব্যও অনুরুপ।

হিজাযবাসীদের ব্যবহৃত ভাষারীতি অনুসারে কোন ব্যক্তি যখন ভুল কাজ/কথা বলে, তখন তারা বলেন كَذَبَ (তিনি মিথ্যা বলেছেন অর্থাৎ তিনি অসত্য বা ভুল কথা বলেছেন)। মহান আল্লাহ তা‘আলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের মর্যাদার পবিত্রতার ঘোষনা করেছেন, যাতে তাদের কেউ নিন্দা না করতে পারে। তিনি বলেছেন, “সেদিন (কিয়ামতের দিন) আল্লাহ নাবীকে এবং তাঁর সাথের ঈমানদারদেরকে অপদস্ত করবেন না। তাঁদের নূর সামনে ও ডানে ছুটোছুটি করবে...।”- আত তাহরীম: ৮) কাজেই যাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ জানিয়েছেন যে, তিনি তাদেরকে অপদস্ত করবেন না, সুতরাং এটা অধিকতর বেশি উপযুক্ত যে, দুনিয়াতে তাদেরকে আঘাত করা হবে না।

আর  যেই ব্যক্তি উবাদা বিন সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি হলেন আবূ রাফি‘ আল মুখদাজী।”

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْحَقَّ الَّذِي فِي هَذَا الْخَبَرِ قُصِدَ بِهِ الْإِيجَابُ

1729 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَحْطَبَةَ بْنِ مَرْزُوقٍ بِفَمِ الصِّلْحِ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ حِبَّانَ الْأَنْصَارِيُّ عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ فَقَالَ: يَا أَبَا الْوَلِيدِ إِنِّي سَمِعْتُ أَبَا مُحَمَّدٍ الْأَنْصَارِيَّ يَقُولُ: الْوِتْرُ وَاجِبٌ فَقَالَ عُبَادَةُ: كَذَبَ أَبُو مُحَمَّدٍ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (خَمْسُ صَلَوَاتٍ افْتَرَضَهُنَّ اللَّهُ عَلَى عِبَادِهِ فَمَنْ جَاءَ بِهِنَّ وَقَدْ أَكْمَلَهُنَّ وَلَمْ يَنْتَقِصْهُنَّ اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهِنَّ كَانَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ وَمَنْ جَاءَ بِهِنَّ وَقَدِ انْتَقَصَهُنَّ اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهِنَّ لَمْ يَكُنْ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ إِنْ شاء عذبه وإن شاء رحمه) الراوي : ابن محيريز | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 1729 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (452). قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: قَوْلُ عُبَادَةَ: (كَذَبَ أَبُو مُحَمَّدٍ) يُرِيدُ بِهِ أَخْطَأَ وَكَذَلِكَ قَوْلُ عَائِشَةَ حَيْثُ قَالَتْ لِأَبِي هُرَيْرَةَ وَهَذِهِ لَفْظَةٌ مُسْتَعْمَلَةٌ لِأَهْلِ الْحِجَازِ إِذَا أَخْطَأَ أَحَدُهُمْ يُقَالُ لَهُ: كَذَبَ وَاللَّهُ جَلَّ وَعَلَا نَزَّه أَقْدَارَ أَصْحَابِ رسول الله صلى الله عليه وسلم عن إِلْزَاقِ الْقَدْحِ بِهِمْ حَيْثُ قَالَ: {يَوْمَ لَا يُخْزِي اللَّهُ النَّبِيَّ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ نُورُهُمْ ..... } [التحريم: 8] فَمَنْ أَخْبَرَ اللَّهُ جَلَّ وَعَزَّ أَنَّهُ لَا يُخْزِيهِ فِي الْقِيَامَةِ فَبِالْحَرِيِّ أَنْ لَا يُجَرَّحُ وَالرَّجُلُ الَّذِي سَأَلَ عُبَادَةَ هَذَا: هُوَ أبو رفيع المخدحي.