১৭২০

পরিচ্ছেদঃ সালাত বান্দার জন্য নৈকট্যের মাধ্যম; এর মাধ্যমে মানুষ তাদের মহান স্রষ্টার নিকটবর্তী হন

১৭২০. জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হে কা‘ব বিন উজরাহ, আমি তোমার জন্য আল্লাহর কাছে নির্বোধ শাসকদের থেকে আশ্রয় চাই। নিশ্চয়ই অচিরেই কিছু শাসকের আবির্ভাব ঘটবে, যারা তাদের কাছে প্রবেশ করবে, তাদের যুলমের উপর সাহায্য করবে এবং তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে, সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয়, আমিও তার অন্তর্ভুক্ত নই এবং সে হাওযে কাওসারে আমার কাছেও আসবে না। আর যারা তাদের কাছে প্রবেশ করবে না, তাদের যুলমের উপর সাহায্য করবে না এবং তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে না, সে আমার অন্তর্ভুক্ত, আমিও তার অন্তর্ভুক্ত এবং সে অচিরেই হাওযে কাওসারে আমার কাছে আসবে। হে কা‘ব বিন উজরাহ, সালাত নৈকট্যের মাধ্যম, সিয়াম ঢাল আর সাদাকাহ পাপকে নিভিয়ে দেয় যেভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়। মানুষ দুইভাবে সকাল করে; নিজেকে বিক্রি করে দেয় অতঃপর নিজের গর্দানকে মুক্ত করে আর একদল মানুষ নিজেকে ধ্বংস করে। হে কা‘ব বিন উজরাহ, নিশ্চয়ই জান্নাতে প্রবেশ করবে না ঐ দেহ যা হারাম খেয়ে গঠিত হয়েছে।”[1]

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বক্তব্য “সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয়, আমিও তার অন্তর্ভুক্ত নই” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো “এই কাজে সে আমার মতো নয়, আমিও  তার মতো নই। এই শব্দটি হিজাযবাসীদের ব্যবহৃত ভাষা।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বক্তব্য “জান্নাতে প্রবেশ করবে না ঐ দেহ যা হারাম খেয়ে গঠিত হয়েছে” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো কোন এক জান্নাত বা বাগিচা; সব জান্নাত উদ্দেশ্য নয়। কেননা জান্নাতের সংখ্যা অনেক। এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিচের বক্তব্যের মতোই, তিনি বলেছেন, “জান্নাতে প্রবেশ করবে না জারজ সন্তান, আরো জান্নাতে প্রবেশ করবে না পিতামাতার অবাধ্য সন্তান ও দান করে খোটাদানকারী” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো কোন এক জান্নাত বা বাগিচা; সব জান্নাত উদ্দেশ্য নয়। এই ব্যাপারটি দীর্ঘ আলোচনার দাবী রাখে। যদি আল্লাহ ফায়সালা করেন এবং চান তবে আমরা এই সম্পর্কে পরবর্তীতে এই কিতাবে আলোচনা করবো।”

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الصَّلَاةَ قُرْبَانٌ لِلْعَبِيدِ يَتَقَرَّبُونَ بِهَا إِلَى بَارِئِهِمْ جَلَّ وَعَلَا

1720 - أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى بْنِ مُجَاشِعٍ السَّخْتِيَانِيُّ حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (يَا كَعْبُ بْنَ عُجْرَةَ أُعِيذُكَ بِاللَّهِ مِنْ إِمَارَةِ السُّفَهَاءِ إِنَّهَا سَتَكُونُ أُمَرَاءُ مَنْ دَخَلَ عَلَيْهِمْ فَأَعَانَهُمْ عَلَى ظُلْمِهِمْ وَصَدَّقَهُمْ بِكَذِبِهِمْ فَلَيْسَ مِنِّي وَلَسْتُ مِنْهُ وَلَنْ يَرِدَ عَلَيَّ الْحَوْضَ وَمَنْ لَمْ يَدْخُلْ عَلَيْهِمْ وَلَمْ يُعِنْهُمْ عَلَى ظُلْمِهِمْ وَلَمْ يُصَدِّقْهُمْ بِكَذِبِهِمْ فَهُوَ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ وَسَيَرِدُ عَلَيَّ الْحَوْضَ يَا كَعْبُ بْنَ عُجْرَةَ الصَّلَاةُ قُرْبَانٌ وَالصَّوْمُ جُنَّةٌ وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الْخَطِيَّةَ كَمَا يُطْفِئُ الْمَاءُ النَّارَ وَالنَّاسُ غَادِيَانِ فَمُبْتَاعٌ نَفْسَهُ فَمُعْتِقٌ رَقَبَتَهُ وَمُوبِقُهَا يَا كَعْبُ بْنَ عُجْرَةَ إِنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ لَحْمٌ نَبَتَ مِنْ سُحْتٍ) الراوي : جَابِر بْن عَبْدِ اللَّهِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 1720 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((التعليق الرغيب)) (3/ 350)، ((الظلال)) (756). قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (لَيْسَ مِنِّي وَلَسْتُ مِنْهُ) يُرِيدُ: لَيْسَ مِثْلِي وَلَسْتُ مِثْلَهُ فِي ذَلِكَ الْفِعْلِ وَالْعَمَلِ وَهَذِهِ لَفْظَةٌ مُسْتَعْمَلَةٌ لِأَهْلِ الْحِجَازِ وَقَوْلُهُ: (لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ لَحْمٌ نَبَتَ من سحت) يريد به جَنَّة دُونَ جَنَّةٍ لِأَنَّهَا جِنَانٌ كَثِيرَةٌ وَهَذَا كَقَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ وَلَدُ الزِّنَى وَلَا يَدْخُلُ الْعَاقُّ الْجَنَّةَ وَلَا مَنَّانٌ) يُرِيدُ جَنَّةً دُونَ جَنَّةٍ وَهَذَا بَابٌ طَوِيلٌ سَنَذْكُرُهُ فِيمَا بَعْدُ مِنْ هَذَا الْكِتَابِ إِنْ قَضَى اللَّهُ ذَلِكَ وَشَاءَ


হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ