লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ (৪) নিষিদ্ধ সময় সম্পর্কে - নির্দিষ্ট কিছু সময়ে নফল সালাত শুরু না করা জরূরী হওয়া প্রসঙ্গে হাদীস
১৫৪০. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “সাফওয়ান বিন মুয়াত্তাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করে বলেন, “হে আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি আপনাকে এমন একটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবো, যা সম্পর্কে আপনি অবগত, আমি সে সম্পর্কে অনবগত।“ জবাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “সেটা কী?” তিনি বলেন, “দিন-রাতের মধ্যে এমন কোন সময় আছে কি, যাতে সালাত আদায় করা মাকরূহ?” জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ। যখন তুমি ফজরের সালাত আদায় করবে, তারপর শয়তানের শিংয়ের মাঝে সূর্য উদয় পর্যন্ত আর কোন সালাত আদায় করবে না। তারপর আবার সালাত আদায় করতে পারবে এবং এই সময়ের সালাত গ্রহণ করা হবে, যতক্ষন না মাথার উপর বর্ষার ন্যায় সূর্য সোজাভাবে অবস্থান করে। যখন সূর্য মাথার উপর বর্ষার ন্যায় অবস্থান করবে, তখন তুমি আর সালাত আদায় করবে না। কেননা এই সময় জাহান্নামকে প্রজ্জ্বলিত করা হয় এবং জাহান্নামের সমস্ত কোন উত্তপ্ত করা হয়। এভাবে সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে না যাওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করবে না। যখন সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাবে, সে সময়ের সালাতে ফেরেস্তাগণ উপস্থিত থাকে এবং সেই সালাত গ্রহণ করা হয়। এভাবে সালাত আদায় করতে পারবে, যতক্ষন না আসরের সালাত আদায় করো। যখন আসরের সালাত আদায় করবে, তখন আর কোন সালাত আদায় করবে না সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত।”[1]
4 - فَصَلٌ فِي الْأَوْقَاتِ الْمَنْهِيِّ عَنْهَا (ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ تَرْكِ إِنْشَاءِ الصَّلَاةِ النَّافِلَةِ فِي أَوْقَاتٍ مَعْلُومَةٍ)
1540 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الشَّطَوِيُّ بِبَغْدَادَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ يَحْيَى بْنُ الْمُغِيرَةِ الْمَخْزُومِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ عَنِ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: سَأَلَ صَفْوَانُ بْنُ الْمُعَطَّلِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ أَمْرٍ أَنْتَ بِهِ عَالِمٌ وَأَنَا بِهِ جَاهِلٌ قَالَ: (مَا هُوَ)؟ قَالَ: هَلْ مِنْ سَاعَاتِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ سَاعَةٌ تُكره فِيهَا الصَّلَاةُ؟ قَالَ: (نَعَمْ) إِذَا صَلَّيْتَ الصُّبْحَ فَدَعِ الصَّلَاةَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ لِقَرْنِ الشَّيْطَانِ ثُمَّ صَلِّ وَالصَّلَاةُ مُتَقَبَّلَةٌ حَتَّى تَسْتَوِيَ الشَّمْسُ عَلَى رَأْسِكَ كَالرُّمْحِ فَإِذَا كَانَتْ عَلَى رَأْسِكَ كَالرُّمْحِ فَدَعِ الصَّلَاةَ فَإِنَّهَا السَّاعَةُ الَّتِي تُسجر فِيهَا جَهَنَّمَ ويُغَمُّ فِيهَا زَوَايَاهَا حَتَّى تَزِيغَ فَإِذَا زَاغَتْ فَالصَّلَاةُ مَحْضُورَةٌ مُتَقَبَّلَةٌ حَتَّى تُصَلِّيَ الْعَصْرَ ثُمَّ دَعِ الصَّلَاةَ حَتَّى تَغْرُبَ الشمس) الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 1540 | خلاصة حكم المحدث : حسن صحيح ـ ((الصحيحة)) (1371).