১৪২৭

পরিচ্ছেদঃ ইলমে হাদীসে অনভিজ্ঞ ব্যক্তিকে যেই হাদীস এই সংশয়ে ফেলে দেয় যে, হাদীসটি হয়তো পূর্বে উল্লেখিত হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসের বিপরীত

১৪২৭. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি তোমাকে বলবে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়িয়ে পেশাব করতেন, তবে তুমি তাকে ভুল বলবে। আমি তাকে বসে পেশাব করতে দেখেছি।”[1]

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই হাদীস ইলমে হাদীসে অনভিজ্ঞ ব্যক্তিকে এই সংশয়ে ফেলে দেয় যে, হাদীসটি হয়তো পূর্বে উল্লেখিত হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসের বিপরীত, কিন্তু ব্যাপারটি এমন নয়। কেননা হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এক সস্প্রদায়ের ময়লা ফেলার জায়গায় দেয়ালের পিছনে দাঁড়িয়ে পেশাব করতে দেখেছেন। এটি মদীনার এক প্রান্তে অবস্থিত। আমরা এই কাজের কারণ বর্ণনা করেছি। আর আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এসময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পাশে ছিলেন না। নিশ্চয়ই আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বাড়িতে বসে পেশাব করতে দেখেছেন। ফলে তিনি যা দেখেছেন, তাই বর্ণনা করেছেন। অপরদিকে হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যা প্রত্যক্ষ করেছেন, তা বর্ণনা করেছেন। আর আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার বক্তব্য “(فكذّبْهُ)” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তুমি তাকে ভুল বলবে। কেননা আরবরা ‘ভুল’ কে   كَذِب (মিথ্যা) শব্দ দ্বারা ব্যক্ত করে থাকেন।”

ذِكْرُ خَبَرٍ قَدْ يُوهِمُ غَيْرَ الْمُتَبَحِّرِ فِي صِنَاعَةِ الْعِلْمِ أَنَّهُ مُضَادٌّ لِخَبَرِ حُذَيْفَةَ الَّذِي ذكرناه

1427 - أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى بْنِ مُجَاشِعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ عَنْ أَبِيهِ: عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: مَنْ حَدَّثَكَ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَبُولُ قائماً فَكَذِّبْه أنا رأيته يبول قاعداً. صحيح لغيره ـ ((الصحيحة)) (201). الراوي : حُذَيْفَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 1427 | خلاصة حكم المحدث: صحيح لغيره. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: هَذَا خَبَر قَدْ يُوهِمُ غَيْرَ الْمُتَبَحِّرِ فِي صِنَاعَةِ الْحَدِيثِ أَنَّهُ مُضَادٌّ لِخَبَرِ حُذَيْفَةَ الَّذِي ذَكرْنَاهُ لَيْسَ كَذَلِكَ لِأَنَّ حُذَيْفَةَ رَأَى الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبُولُ قَائِمًا عِنْدَ سُبَاطَةِ قَوْمٍ خَلْفَ حَائِطٍ وَهِيَ فِي نَاحِيَةِ الْمَدِينَةِ وَقَدْ أبَنَّا السَّبَبَ فِي فِعْلِهِ ذَلِكَ وَعَائِشَةُ لَمْ تَكُنْ مَعَهُ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ إِنَّمَا كَانَتْ تَرَاهُ فِي الْبُيُوتِ يَبُولُ قَاعِدًا فَحَكَتْ مَا رَأَتْ وَأَخْبَرَ حُذَيْفَةُ بِمَا عَايَنَ وَقَوْلُ عَائِشَةَ: (فكذَّبْهُ) أَرَادَتْ: فخطِّئه إِذِ الْعَرَبُ تُسَمِّي الْخَطَأَ كَذِبًا.