লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ যেই হাদীস কোন কোন আলিমকে এই সংশয়ে ফেলে দেয় যে, মোজার উপর মাসেহ করা হয়তো জায়েয নেই
১৩৪৩. মুগীরা বিন শু‘বাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওযূ করেছেন এবং কপালসহ পাগড়ীর উপর মাসেহ করেছেন।”
বকর রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আমি হাদীসটি মুগীরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ছেলের কাছ থেকেও শুনেছি।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “হাদীসের এই অংশ “কপালসহ পাগড়ীর উপর মাসেহ করেছেন” কোন কোন সময় অপরিপক্ক ব্যক্তিকে এই সংশয়ে ফেলে দেয় যে, কপাল মাসেহ না করে বোধ হয় শুধু পাগড়ীর উপর মাসেহ করা জায়েয নেই! তিনি আমর বিন উমাইয়্যাহর হাদীসকে ব্যাখ্যাহীন আর আমাদের পূর্বে উল্লেখিত মুগীরার হাদীসকে ব্যাখ্যামূলক নির্ধারণ করেন এভাবে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কপালসহ পাগড়ীর উপর মাসেহ করেছিলেন; শুধু পাগড়ীর উপর মাসেহ করেননি। কেননা কপাল মাথার অন্তর্গত।
কিন্তু আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর দয়ায় আমি বলি যে, বিষয়টি মোটেও এরকম নয়। বরং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওযূ করার সময় মাথার মাসেহ করেছেন, কপাল ছাড়া শুধু পাগড়ীর উপর মাসেহ করেছেন আবার কখনো কপালসহ পাগড়ীর উপর মাসেহ করেছেন; ভিন্ন ভিন্ন তিন জায়গায় তিনবার তিনভাবে মাসেহ করেছেন। সুতরাং সবগুলোই আমলযোগ্য সুন্নাহ। এমন নয় যে, এর একটি পালন করা অবধারিত আর অন্যগুলো মাকরুহ।”
ذِكْرُ خَبَرٍ أَوْهَمَ عَالِمًا مِنَ النَّاسِ أَنَّ الْمَسْحَ عَلَى الْعِمَامَةِ غَيْرُ جَائِزٍ
1343 - أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى الْقَطَّانُ عَنِ التَّيْمِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الْحَسَنِ عَنِ ابْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ بِنَاصِيَتِهِ وَفَوْقَ الْعِمَامَةِ. قَالَ بَكْرٌ: وَسَمِعْتُهُ مِنِ ابْنِ الْمُغِيرَةِ. الراوي : الْمُغِيرَة بْن شُعْبَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 1343 | خلاصة حكم المحدث: صحيح. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: وَهَذِهِ اللَّفْظَةُ: (وَمَسَحَ بِنَاصِيَتِهِ وَفَوْقَ الْعِمَامَةِ) قَدْ تُوهِمُ مَنْ لَمْ يُحْكِمْ صِنَاعَةِ الْعِلْمِ أَنَّ الْمَسْحَ عَلَى الْعِمَامَةِ دُونَ النَّاصِيَةِ غَيْرُ جَائِزٍ وَيَجْعَلُ خَبَرَ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ مُجْمَلًا وَخَبَرَ مُغِيرَةَ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ مُفَسِّرًا لَهُ أَنَّ مَسْحَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْعِمَامَةِ كَانَ ذَلِكَ مَعَ النَّاصِيَةِ فَوْقَ الْمَسْحِ عَلَى النَّاصِيَةِ دُونَ الْعِمَامَةِ إِذِ النَّاصِيَةُ مِنَ الرَّأْسِ وَلَيْسَ بِحَمْدِ اللَّهِ ومَنِّه كَذَلِكَ بَلْ مَسَحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَأْسِهِ فِي وَضُوئِهِ وَمَسَحَ عَلَى عِمَامَتِهِ دُونَ النَّاصِيَةِ وَمَسَحَ عَلَى نَاصِيَتِهِ وَعِمَامَتِهِ ثَلَاثَ مِرَارٍ فِي ثَلَاثَةِ مَوَاضِعَ مُخْتَلِفَةٍ فَكُلٌّ سُنَّةٌ يُسْتَعْمَلُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَكُونَ اسْتِعْمَالُ أَحَدِهِمَا حَتْمًا وَاسْتِعْمَالُ الْآخَرِ مَكْرُوهًا.