১২৭৬

পরিচ্ছেদঃ হাদীসের যেই শব্দ কোন কোন আলিমকে এই সংশয়ে ফেলে দেয় যে, হাদীসটি মুরসাল; মুত্তাসিল নয়

১২৭৬. আব্দুল্লাহ বিন উকাইম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদেরকে জুহাইনার শাইখগণ হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের উদ্দেশ্যে লিখে পাঠিয়েছেন, “তোমরা মৃত প্রাণীর কোন কিছুর মাধ্যমে উপকার লাভ করবে না।”[1]

আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “উক্ত হাদীসের এই বাক্য “আমাদেরকে জুহাইনার শাইখগণ হাদীস বর্ণনা করেছেন” কোন কোন আলিমকে এই সংশয়ে ফেলে দেয় যে, হাদীসটি মুত্তাসিল নয়। আমরা আমাদের কিতাবে উল্লেখ করেছি যে, কোন কোন সময় সাহাবী সরাসরি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে উপস্থিত থাকেন এবং তাঁর কাছ থেকে হাদীস শ্রবণ করেন তারপর তিনি হাদীসটি তার চেয়ে বড় সাহাবী থেকে হাদীসটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেন। অতঃপর উক্ত সাহাবী কোন সময় তিনি যা দেখেছেন তাই বর্ণনা করেন আবার কোন কোন সময় যার মাধ্যম দিয়ে শুনেছেন, তার মাধ্যমে বর্ণনা করেন।

তুমি কি দেখো না, আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা জিবরীল কর্তৃক ঈমান সম্পর্কে প্রশ্ন করার সময় উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি হাদীসটি উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকেও শুনেছেন। অতঃপর কোন কোন সময় তিনি যা দেখেছেন, তা বর্ণনা করেছেন আবার কোন কোন সময় তিনি তার বাবা থেকে যা শুনেছেন, তা বর্ণনা করেছেন।

আব্দুল্লাহ বিন উকাইম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ব্যাপারটিও অনুরুপ। যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চিঠি পাঠ করে শুনানো হয়, তখন তিনি সেখানে ‍উপস্থিত ছিলেন। আবার তিনি হাদীসটি জুহাইনার শাইখদের থেকেও শুনেছেন। কাজেই কোন কোন সময় তিনি যা দেখেছেন তা বর্ণনা করেছেন আবার কোন কোন সময় যা শাইখদের থেকে যা শুনেছেন তা বর্ণনা করেছেন। সুতরাং হাদীসের সানাদে কোন প্রকার বিচ্ছিন্নতা নেই। আব্দুল্লাহ বিন উকাইম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীস “তোমরা মৃত প্রাণীর চামড়া ও পেশীতন্তুর মাধ্যমে উপকার লাভ করবে না” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো এসব পাকা করার আগে উপকার লাভ নিষেধ। আমাদের ব্যাখ্যার বিশুদ্ধতা প্রমাণ করে এই হাদীস “যে কোন চামড়া পাকা করা হলে, তা পবিত্র হয়ে যায়।”

ذِكْرُ لَفْظَةٍ أَوْهَمَتْ عَالِمًا مِنَ النَّاسِ أَنَّ هَذَا الْخَبَرَ مُرْسَلٌ لَيْسَ بِمُتَّصِلٍ

1276 - أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَطَّانُ قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُخَيْمِرَةَ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى : عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُكَيْمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مَشْيَخَةٌ لَنَا مِنْ جُهَيْنَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ إِلَيْهِمْ: (أَنْ لَا تَسْتَمْتِعُوا من الميتة بشيء) الراوي : عَبْد اللَّهِ بْن عُكَيْمٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 1276 | خلاصة حكم المحدث: صحيح. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: هَذِهِ اللَّفْظَةُ (حَدَّثَنَا مَشْيَخَةٌ لَنَا مِنْ جُهَيْنَةَ) أَوْهَمَتْ عَالَمًا مِنَ النَّاسِ أَنَّ الْخَبَرَ لَيْسَ بِمُتَّصِلٍ وَهَذَا مِمَّا نَقُولُ فِي كُتُبِنَا: إِنَّ الصَّحَابِيَّ قَدْ يَشْهَدُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَسْمَعُ مِنْهُ شَيْئًا ثُمَّ يَسْمَعُ ذَلِكَ الشَّيْءَ عمَّن هُوَ أَعْظَمُ خَطَرًا مِنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَرَّةً يُخبر عَمَّا شَاهَدَ وَأُخْرَى يَرْوِي عَمَّنْ سَمِعَ أَلَا تَرَى أَنَّ ابْنَ عُمَرَ شَهِدَ سُؤَالَ جِبْرِيلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْإِيمَانِ وَسَمِعَهُ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ؟ فَمَرَّةً أَخْبَرَ بِمَا شَاهَدَ وَمَرَّةً رَوَى عَنْ أَبِيهِ مَا سَمِعَ فَكَذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُكَيْمٍ شَهِدَ كِتَابَ المصطفى صلى الله عليه وسلم حيث قُرىء عَلَيْهِمْ فِي جُهَيْنَةَ وَسَمِعَ مَشَايِخَ جُهَيْنَةَ يَقُولُونَ ذَلِكَ فَأَدَّى مَرَّةً مَا شَهِدَ وأُخرى مَا سَمِعَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَكُونَ فِي الْخَبَرِ انْقِطَاعٌ وَمَعْنَى خَبَرِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُكَيْمٍ: (أَنْ لَا تَنْتَفِعُوا مِنَ الْمَيْتَةِ بِإِهَابٍ وَلَا عَصَبٍ) يُرِيدُ بِهِ قَبْلَ الدِّبَاغِ وَالدَّلِيلُ عَلَى صِحَّتِهِ قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (أيُّما إهابٍ دُبْغَ فَقَدْ طَهُرَ.