১১০৩

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় হাদীস যা সংশয়ে ফেলে দেয় ঐ ব্যক্তিকে যে সঠিক জায়গা থেকে ইলম অন্বেষন করেনি, সে মনে করে যে হাদীসটি হয়তো আমাদের পূর্বে উল্লেখিত হাদীস দুটির বিপরীত

১১০৩. মিকদাদ বিন আসওয়াদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “নিশ্চয়ই আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে আদেশ করেন তিনি যেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন, ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে যিনি তার স্ত্রীর কাছাকাছি হলে মযী (উত্তেজনাবশত বীর্যরস) বের হয়, এই অবস্থায় তার করণীয় কী? কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মেয়ে আমার স্ত্রী, এজন্য আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করতে লজ্জাবোধ করছি।” মিকদাদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তারপর আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই ব্যাপারে করলে তিনি জবাবে বলেন, “যখন সে এমনটা দেখতে পাবে, সে যেন তার লজ্জাস্থানে পানি ছিটা দেয় এবং সে যেন সালাতের ন্যায় ওযূ করে।”[1]

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই হাদীস শ্রবণকারীদের মাঝে যিনি সঠিক জায়গা থেকে ইলম অন্বেষন করেননি এবং যিনি প্রকৃতপক্ষে সঠিক প্রান্তে আবর্তন করেননি, তিনি কোন কোন সময় সংশয়ে পড়ে যান যে, নিশ্চয়ই হাদীসগুলোর মাঝে পারষ্পরিক বৈপরীত্ব রয়েছে। কেননা আবূ আব্দুর রহমান সুলামী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসের রয়েছে (আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন), “আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, ইয়াস বিন খলীফার হাদীসে রয়েছে, তিনি আম্মার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে আদেশ করেছিলেন তিনি যেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন আর সুলাইমান বিন ইয়াসার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসের রয়েছে তিনি মিকদাদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে আদেশ করেছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করার জন্য।

বস্তুত এসব হাদীসের মাঝে কোন বৈপরীত্ব নেই। কেননা এখানে এই সম্ভাবনা রয়েছে যে, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আম্মার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে আদেশ করেন জিজ্ঞেস করার জন্য, অতঃপর তিনি জিজ্ঞেস করেন। তারপর তিনি মিকদাদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে আদেশ করেন জিজ্ঞেস করার জন্য, অতঃপর তিনি জিজ্ঞেস করেন। তারপর তিনি নিজে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন।

আমি যা উল্লেখ করলাম তার বিশুদ্ধতার পক্ষে দলীল হলো হাদীসগুলোর প্রত্যেকটির মূল বক্তব্য অন্যটি থেকে আলাদা। কেননা আবূ আব্দুর রহমানের হাদীসে রয়েছে, “আমি প্রচুর মযীপ্রবণ মানুষ। তারপর আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম। জবাবে তিনি বলেন, “যখন তুমি পানি (বীর্য) দেখবে, তখন গোসল করবে। ইয়াস বিন খলীফার হাদীসে রয়েছে, তিনি আম্মার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে আদেশ করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করার জন্য, তিনি জবাবে বলেন, “সে তার পুরুষাঙ্গ ধৌত করবে এবং ওযূ করবে।” এই হাদীসে মনীর কথা নেই, যা আবূ আব্দুর রহমানের হাদীসে রয়েছে। আর মিকদাদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসে নতুন একটি প্রশ্ন রয়েছে, সুতরাং এমন প্রশ্ন করেন, যা পূর্বে উল্লেখিত দুই হাদীসে নেই। কেননা মিকদাদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসে এসেছে, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে আদেশ করেন ” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করার জন্য ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে, যিনি তার স্ত্রীর নিকটবর্তী হলে মযী (বীর্যরস) বের হয়, এই অবস্থায় তার করণীয় কী? কেননা তাঁর মেয়ে আমার অধীনে রয়েছে অর্থাৎ আমার স্ত্রী।“

কাজেই হাদীসগুলোর প্রকৃত ব্যাপার সেটাই যা আমরা বর্ণনা করলাম, সেটা হলো প্রশ্নগুলো ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় করা, যার ফলে সঙ্গত কারণেই প্রশ্নগুলো ভিন্ন ভিন্ন হয়েছে; এমন নয় যে এগুলোর মাঝে বৈপরীত্ব রয়েছে।”

ذِكْرُ خَبَرٍ ثَالِثٍ يُوهِمُ مَنْ لَمْ يَطْلُبِ الْعِلْمَ مِنْ مَظَانِّهِ أَنَّهُ مُضَادُّ لِلْخَبَرَيْنِ اللَّذَيْنِ تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهُمَا

1103 - أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ عَنْ مَالِكٍ عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنِ الْمِقْدَادِ بْنِ الْأَسْوَدِ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ أَمَرَهُ أَنْ يَسْأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الرَّجُلِ إِذَا دَنَا مِنْ أَهْلِهِ فَخَرَجَ مِنْهُ الْمَذْيُ مَاذَا عَلَيْهِ؟ فَإِنْ عِنْدِي ابْنَتَهُ وَأَنَا أَسْتَحْيِي أَنْ أَسْأَلَهُ قَالَ الْمِقْدَادُ: فَسَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ: (إِذَا وَجَدَ أَحَدُكُمْ ذَلِكَ فَلْيَنْضَحْ فَرْجَهُ وَلْيَتَوَضَّأْ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ) الراوي : الْمِقْدَاد بْن الْأَسْوَدِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 1103 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَحِمَهُ اللَّهُ ـ: قَدْ يَتَوَهَّمُ بَعْضُ الْمُسْتَمِعِينَ لِهَذِهِ الْأَخْبَارِ مِمَّنْ لَمْ يَطْلُبِ الْعِلْمَ مِنْ مَظَانِّهِ وَلَا دَارَ فِي الْحَقِيقَةِ عَلَى أَطْرَافِهِ أَنْ بَيْنَهَا تَضَادًّا أَوْ تَهَاتُرًا لِأَنَّ فِي خَبَرِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي خَبَرِ إِيَاسِ بْنِ خَلِيفَةَ أَنَّهُ أَمَرَ عَمَّارًا أَنْ يَسْأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفِي خَبَرِ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُ أَمَرَ الْمِقْدَادَ أَنْ يَسْأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَيْسَ بَيْنَهَا تَهَاتُرٌ لِأَنَّهُ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَمَرَ عَمَّارًا أَنْ يَسْأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ ثُمَّ أَمَرَ الْمِقْدَادَ أَنْ يَسْأَلَهُ فَسَأَلَهُ ثُمَّ سَأَلَ بِنَفْسِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالدَّلِيلُ عَلَى صِحَّةِ مَا ذَكَرْتُ أَنْ مَتْنَ كُلِّ خَبَرٍ يُخَالِفُ مَتْنَ الْخَبَرِ الْآخَرِ لِأَنَّ فِي خَبَرِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ: (كنتُ رَجُلًا مَذَّاءً فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِذَا رَأَيْتَ الْمَاءَ فَاغْتَسِلْ) وَفِي خَبَرِ إِيَاسِ بْنِ خَلِيفَةَ: (أَنَّهُ أَمَرَ عَمَّارًا أَنْ يَسْأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَغْسِلُ مَذَاكِيرَهُ وَيَتَوَضَّأُ) وَلَيْسَ فِيهِ ذِكْرُ الْمَنِيِّ الَّذِي فِي خَبَرِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَخَبَرُ الْمِقْدَادِ بْنِ الْأَسْوَدِ سُؤَالٌ مُسْتَأْنَفٌ فَيَسْأَلُ أَنَّهُ لَيْسَ بِالسُّؤَالَيْنِ الْأَوَّلَيْنِ اللَّذَيْنِ ذَكَرْنَاهُمَا لِأَنَّ فِي خَبَرِ الْمِقْدَادِ: (أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ أَمَرَهُ أَنْ يَسْأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الرَّجُلِ إِذَا دَنَا مِنْ أَهْلِهِ فَخَرَجَ مِنْهُ الْمَذْيُ مَاذَا عَلَيْهِ؟ فَإِنْ عِنْدِي ابْنَتَهُ) فَذَلِكَ مَا وَصَفْنَا عَلَى أَنَّ هَذِهِ أَسْئِلَةٌ مُتَبَايِنَةٌ فِي مَوَاضِعَ مُخْتَلِفَةٍ لِعِلَلٍ مَوْجُودَةٍ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَكُونَ بَيْنَهَا تَضَادُّ أَوْ تَهَاتُرٌ.