৫৫৮৮

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা

৫৫৮৮-[২৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: জাহান্নাম থেকে চার লোককে বের করে আল্লাহ তা’আলার সামনে উপস্থিত করা হবে। অতঃপর তাদেরকে আবার জাহান্নামে পাঠানোর জন্য নির্দেশ করা হবে। তখন তাদের একজন পিছন ফিরে তাকিয়ে বলবে, হে প্রভু! আমি তো এ আশায় ছিলাম যে, যখন তুমি একবার আমাকে তা থেকে বের করে এনেছ, পুনরায় আমাকে সেখানে ফেরত পাঠাবে না। তখন আল্লাহ তা’আলা তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে দেবেন। (মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب الْحَوْض والشفاعة )

وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ أَرْبَعَةٌ فَيُعْرَضُونَ عَلَى اللَّهِ ثُمَّ يُؤْمَرُ بِهِمْ إِلَى النَّارِ فَيَلْتَفِتُ أَحَدُهُمْ فَيَقُولُ: أَيْ رَبِّ؟ لَقَدْ كنتُ أَرْجُو إِذا أَخْرَجْتَنِي مِنْهَا أَنْ لَا تُعِيدَنِي فِيهَا قَالَ: «فينجيه الله مِنْهَا» . رَوَاهُ مُسلم رواہ مسلم (321 / 192)، (474) ۔ (صَحِيح)

ব্যাখ্যা: ইবনুল মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, যাদেরকে সর্বশেষে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে এরা তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।
‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আল্লাহই ভালো জানেন, সম্ভবত এই বের হওয়াটা জাহান্নামে ঢোকা মাত্র কিনা? যাতে তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করানো হয়েছিল এটা নাম হয় অথবা জাহান্নামের উপর দিয়ে স্থাপিত পুলসিরাত যা অতিক্রম করতেই হবে। যেমন আল্লাহর বাণী,
(وَ اِنۡ مِّنۡکُمۡ اِلَّا وَارِدُهَا ۚ کَانَ عَلٰی رَبِّکَ حَتۡمًا مَّقۡضِیًّا) “আর তোমাদের মধ্যে এমন কেউই নেই তা অতিক্রম করবে না আর এটা তোমার রবের অনিবার্য নির্দেশ যা সম্পন্ন হবে।” (সূরা মারইয়াম ১৯ : ৭১)

কেউ কেউ বলেছেন এখানে (اَلْوُرُوْدُ) এর অর্থ অতিক্রম নয় বরং তাতে প্রবেশ করা অর্থাৎ জাহান্নামে প্রবেশ করা। প্রত্যেককেই জাহান্নামের উপর দিয়ে স্থাপিত পুলসিরাত পাড়ি দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে হবে। কাফির মুশরিক ও গুনাহগার ব্যক্তিরা তা পাড়ি দিতে গিয়ে কেটে টুকরা টুকরা হয়ে জাহান্নামে নিপতিত হবে, কিন্তু মুমিনেরা শুধু জাহান্নাম দেখেই অথবা সামান্য তাপ পেয়েই তা পাড়ি দিয়ে চলে যাবে অথবা তাদের জন্য তা নিভে যাবে, ফলে সে ঐ জাহান্নাম পাড়ি দিয়ে চলে যাবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।
আল্লাহ তা'আলা তার বিশেষ অনুগ্রহে এ ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন।