৫৪২৯

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধবিগ্রহ সম্পৰ্কীয়

৫৪২৯-[২০] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন: তোমরা হাবশীদের এড়িয়ে চল যে পর্যন্ত তারা তোমাদের ওপর আক্রমণ না করে। কেননা (এমন এক সময় আসবে) ক্ষুদ্র পা-বিশিষ্ট এক হাবশী ব্যক্তিই কা’বার নিচের লুক্কায়িত সম্পদ বের করবে। (আবূ দাউদ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب الْمَلَاحِمِ)

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اتْرُكُوا الْحَبَشَةَ مَا تَرَكُوكُمْ فَإِنَّهُ لَا يَسْتَخْرِجُ كَنْزَ الْكَعْبَةِ إِلَّا ذُو السُّوَيْقَتَيْنِ مِنَ الْحَبَشَةِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد اسنادہ حسن ، رواہ ابوداؤد (4309)

ব্যাখ্যা : কাবায় প্রোথিত ধন-ভাণ্ডার একজন হাবশী দাস উদ্ধার করবে যার উপাধি হলো, যুস সুওয়াইকতায়ন (দু' পায়ের ক্ষুদ্র গোড়ালি বিশিষ্ট)। অর্থাৎ তার পায়ের গোড়ালি হবে অতি সুরু বা ক্ষুদ্র। যদিও হাবশীদের পায়ের গোড়ালি স্বভাবত ক্ষুদ্র কিন্তু ক্ষুদ্রাকারের গোড়ালি হওয়ায় সে অন্যদের থেকে আলাদা ধরনের হবে।
‘আল্লামাহ্ সুয়ূত্বী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন : যুস্ সুওয়াইকতায়ন নামক হাবশী দাস ‘ঈসা আলায়হিস সালাম-এর সময়কালে ইয়াজুজ-মাজুজ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর আত্মপ্রকাশ করবে। ঈসা আলায়হিস সালাম তাকে দমন করার জন্য ৭০০-৮০০ সৈন্য পাঠাবেন, যখন মুসলিম সৈন্যবাহিনী সেদিকে গমন করবে তখন আল্লাহ তা'আলা সুগন্ধযুক্ত শান্তির বাতাস প্রেরণ করবেন এবং এর মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা প্রতিটি মু'মিনের আত্মা কবয করবেন। (আল্লাহ তা'আলাই সর্বাধিক জ্ঞাত) ('আওনুল মা'বুদ ৭ম খণ্ড, ৩৭৮ পৃ., হা, ৪৩০১)