১৬৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. যে ব্যক্তি উট, গরু ও ছাগলের যাকাত আদায় করে না (তার পরিণতি)

১৬৫৫. জাবির ইবন আব্দুল্লাহ আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি, “যে উটের মালিক তারহক্ক আদায় করবে না, কিয়ামতের দিন সে উট পুর্বের চেয়ে অধিক মোটাতাজা হয়ে মালিকের নিকট উপস্থিত হবে। এরপর তাকে একটি প্রশস্ত সমতল মাঠে বসানো হবে এবং ঐ উট তার পা ও খুরের দ্বারা তাকে পদদলিত করবে। আর কোন গরুর মালিক তার হক্ক আদায় না করলে কিয়ামতের দিন সে গরু পূর্বের চেয়ে ও অধিক মোটা-তাজা অবস্থায় মালিকের নিকট উপস্থিত হবে। এরপর তাকে এক প্রশস্ত সমতল প্রান্তরে বসানো হবে এবং সে গরু তাকে শিং দ্বারা গুতাবে ও খুর দ্বারা পদদলিত করতে থাকবে। আর কোন ছাগলের মালিক তার হক্ক আদায় না করলে কিয়ামতের দিন সে ছাগল পূর্বের চেয়ে ও অধিক মোটা-তাজা অবস্থায় মালিকের নিকট উপস্থিত হবে।

এরপর তাকে এক প্রশস্ত সমতল প্রান্তরে বসানো হবে এবং সে ছাগল তাকে শিং দ্বারা গুতাবে ও খুর দ্বারা পদদলিত করতে থাকবে। সেদিন এ ছাগল সমুহে কোনটি শিংবিহীন এবং শিংভাঙ্গা হবে না। আর যদি সোনা-রুপা সঞ্চয়কারী কোন ব্যক্তি এর হক আদায় না করে, তবে তার এ সঞ্চিত ধনরাশি কিয়ামতের দিন টাক মাথাওয়ালা বিষধর সাপরুপে মালিকের নিকট উপস্থিত হবে এবং মুখ হা করে তার পিছু ধাওয়া করবে। যখন সে সাপ তার নিকট আসবে তখন সে এর থেকে পালাবে। তখন সে তাকে ডেকে বলবে, তুমি তোমার সঞ্চয় গ্রহণ কর, যা তুমি লুকিয়ে রেখেছিলে।

তখন সে বলবে: আমার তার কোন প্রয়োজন নেই। আর মালিক যখন দেখবে যে, এর থেকে বাঁচবার কোন উপায় নেই তখন সে সাপটির মুখে হাত ঢুঁকিয়ে দিবে। এর পর সাপটি তার হাতকে ষাঁড়ের মত কামড় দিয়ে ধরবে।”

আবু যুবাইর রাহি. বলেন, আমি উবাইদ ইবন উমাইর (রাহি)-কে এ কথা বলতে শুনেছি । এর পর আমি জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে এ সস্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম তিনিও উবাইদ ইবন উমাইর (রা-)-এর অনুরূপ বললেন। তিনি বলেন, আবু যুবাইর (র) বলেন, আমি উবাইদ ইবন উমাইরকে বলতে শুনেছি, এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসুলুল্লাহ! উটের হক্ব কি? তিনি বললেন, এর হক্ক হল, “পানি পান করানোর শর্তে এর দুধ দোহন করতে দেওয়া, এদের পাত্রগুলি (পানি উঠাবার জন্য অন্যকে) ধার দেওয়া, এদের মধ্যকার পুরুষগুলিকে (মাদীগুলির) পাল নেওয়ার জন্য দেয়া, দুগ্ধবতী উটনী (অন্যকে দুধপানের জন্য) দেয়া এবং আল্লাহর পথে এদের উপর (লোকদেরকে) পরিবহণ করা।”[1]

بَاب مَنْ لَمْ يُؤَدِّ زَكَاةَ الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ وَالْغَنَمِ

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَا مِنْ صَاحِبِ إِبِلٍ لَا يَفْعَلُ فِيهَا حَقَّهَا إِلَّا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرُ مَا كَانَتْ قَطُّ وَأُقْعِدَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَسْتَنُّ عَلَيْهِ بِقَوَائِمِهَا وَأَخْفَافِهَا وَلَا صَاحِبِ بَقَرٍ لَا يَفْعَلُ فِيهَا حَقَّهَا إِلَّا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرُ مَا كَانَتْ قَطُّ وَأُقْعِدَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَنْطَحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِقَوَائِمِهَا وَلَا صَاحِبِ غَنَمٍ لَا يَفْعَلُ فِيهَا حَقَّهَا إِلَّا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرُ مَا كَانَتْ وَأُقْعِدَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَنْطَحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِأَظْلَافِهَا لَيْسَ فِيهَا جَمَّاءُ وَلَا مَكْسُورَةٌ قَرْنُهَا وَلَا صَاحِبِ كَنْزٍ لَا يَفْعَلُ فِيهِ حَقَّهُ إِلَّا جَاءَ كَنْزُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعًا أَقْرَعَ يَتْبَعُهُ فَاتِحًا فَاهُ فَإِذَا أَتَاهُ فَرَّ مِنْهُ فَيُنَادِيهِ خُذْ كَنْزَكَ الَّذِي خَبَّأْتَهُ قَالَ فَأَنَا عَنْهُ غَنِيٌّ فَإِذَا رَأَى أَنَّهُ لَا بُدَّ مِنْهُ سَلَكَ يَدَهُ فِي فَمِهِ فَيَقْضِمُهَا قَضْمَ الْفَحْلِ قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ يَقُولُ هَذَا الْقَوْلَ ثُمَّ سَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ مِثْلَ قَوْلِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ وَقَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ يَقُولُ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ الْإِبِلِ قَالَ حَلَبُهَا عَلَى الْمَاءِ وَإِعَارَةُ دَلْوِهَا وَإِعَارَةُ فَحْلِهَا وَمَنْحُهَا وَحَمْلٌ عَلَيْهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ