সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৫২

পরিচ্ছেদঃ ১. যাকাত ফরয সম্পর্কে

১৬৫২. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ‍ওয়া সাল্লাম মু’আয রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে (শাসকরূপে) ইয়ামান অভিমুখে প্রেরণকালে বলেন, “তুমি আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছো। ফলে তুমি তাদেরকে ’আল্লাহ ব্যতিত কোন ইলাহ নেই এবং আমি (মুহাম্মদ) (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ‍ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল’- এ কথার সাক্ষ্যদানের জন্য আহবান করবে। তারা যদি তোমার এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দিবে, আল্লাহ তাদের উপর প্রতি দিন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তারা যদি তোমার এ কথা মেনে নেয়, তবে তাদেরকে জানিয়ে দিবে, আল্লাহ তাদের সম্পদে সাদাকা (যাকাত) ফরয করেছেন। তা (যাকাত) তাদের মধ্যকার (নিসাব পরিমাণ) সম্পদশালীদের নিকট থেকে আদায় করা হবে এবং তাদের দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। তারা যদি তোমার এ কথা মেনে নেয়, তবে তুমি তাদের ভাল ভাল মাল গ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে। আর তুমি আত্মরক্ষা করবে মাযলুমের দু’আ থেকে। কেননা, তা এবং আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা থাকে না।[1]

بَاب فِي فَرْضِ الزَّكَاةِ

حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ إِسْحَقَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَيْفِيٍّ عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ قَالَ إِنَّكَ تَأْتِي قَوْمًا أَهْلَ كِتَابٍ فَادْعُهُمْ إِلَى أَنْ يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ فَإِنْ أَطَاعُوا لَكَ فِي ذَلِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لَكَ فِي ذَلِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ فَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً فِي أَمْوَالِهِمْ تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ وَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لَكَ فِي ذَلِكَ فَإِيَّاكَ وَكَرَائِمَ أَمْوَالِهِمْ وَإِيَّاكَ وَدَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهُ لَيْسَ لَهَا مِنْ دُونِ اللَّهِ حِجَابٌ

حدثنا ابو عاصم عن زكريا بن اسحق عن يحيى بن عبد الله بن صيفي عن ابي معبد عن ابن عباس ان النبي صلى الله عليه وسلم لما بعث معاذا الى اليمن قال انك تاتي قوما اهل كتاب فادعهم الى ان يشهدوا ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله فان اطاعوا لك في ذلك فاخبرهم ان الله فرض عليهم خمس صلوات في كل يوم وليلة فان هم اطاعوا لك في ذلك فاخبرهم ان الله فرض عليهم صدقة في اموالهم توخذ من اغنياىهم وترد على فقراىهم فان هم اطاعوا لك في ذلك فاياك وكراىم اموالهم واياك ودعوة المظلوم فانه ليس لها من دون الله حجاب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৫৩

পরিচ্ছেদঃ ২. যে সকল মিসকীনকে সাদাকা দেয়া যায়

১৬৫৩. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “এক দু’ লোকমা খাদ্য, দু’-এক টুকরো রুটি ও দু’ একটা খেজুরের জন্য যাকে (দ্বারে দ্বারে) ঘুরতে হয়, সে মিসকীন নয় বরং (প্রকৃত) মিসকীন হল সেই ব্যক্তি যার (মৌলিক) প্রয়োজন পূরণের মতো স্বচ্ছলতা/সম্পদ নেই। আবার মানুষের কাছে অনুনয় বিনয় করে চাইতেও সে লজ্জা বোধ করে, অথবা, মানুষের কাছে অনুনয় বিনয় করে কিছু চায় না।”[1]

بَاب مَنْ الْمِسْكِينُ الَّذِي يُتَصَدَّقُ عَلَيْهِ

أَخْبَرَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يُحَدِّثُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ لَيْسَ الْمِسْكِينُ الَّذِي تَرُدُّهُ اللُّقْمَةُ وَاللُّقْمَتَانِ وَالْكِسْرَةُ وَالْكِسْرَتَانِ وَالتَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ وَلَكِنْ الْمِسْكِينُ الَّذِي لَيْسَ لَهُ غِنًى يُغْنِيهِ يَسْتَحْيِي أَنْ يَسْأَلَ النَّاسَ إِلْحَافًا أَوْ لَا يَسْأَلُ النَّاسَ إِلْحَافًا

اخبرنا هاشم بن القاسم حدثنا شعبة عن محمد بن زياد قال سمعت ابا هريرة يحدث عن النبي صلى الله عليه وسلم انه قال ليس المسكين الذي ترده اللقمة واللقمتان والكسرة والكسرتان والتمرة والتمرتان ولكن المسكين الذي ليس له غنى يغنيه يستحيي ان يسال الناس الحافا او لا يسال الناس الحافا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৫৪

পরিচ্ছেদঃ ৩. যে ব্যক্তি উট, গরু ও ছাগলের যাকাত আদায় করে না (তার পরিণতি)

১৬৫৪. জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে উট, গরু ও ছাগলের মালিক তার হক্ব আদায় করে না, কিয়ামতের দিন সে তাকে এক প্রশস্ত সমতল ভূমিতে বসান হবে । এরপর খূর বিশিষ্ট পশুগুলি তাকে স্বীয় খূর দ্বারা দলিত করতে থাকবে এবং শিংবিশিষ্ট পশুগুলি তাকে স্বীয় শিং দ্বারা আঘাত করতে থাকবে । সেদিন এদের মধ্যে শিংবিহীন এবং শিং ভাঙ্গা কোন পশু থাকবে না।” তাঁরা বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! এগুলির হক্ক কি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “এদের মধ্যকার পুরুষগুলিকে (মাদীগুলির) পাল নেওয়ার জন্য দেয়া, এদের পাত্রগুলি (পানি উঠাবার জন্য অন্যকে) ধার দেওয়া, দুগ্ধবতী উটনী অন্যকে দুধপানের জন্য দেয়া, পানি পান করানোর শর্তে এর দুধ দোহন করতে দেওয়া এবং আল্লাহর পথে এদের উপর (লোকদেরকে) পরিবহণ করা।”[1]

بَاب مَنْ لَمْ يُؤَدِّ زَكَاةَ الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ وَالْغَنَمِ

أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنْ صَاحِبِ إِبِلٍ وَلَا بَقَرٍ وَلَا غَنَمٍ لَا يُؤَدِّي حَقَّهَا إِلَّا أُقْعِدَ لَهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَطَؤُهُ ذَاتُ الظِّلْفِ بِظِلْفِهَا وَتَنْطَحُهُ ذَاتُ الْقَرْنِ بِقَرْنِهَا لَيْسَ فِيهَا يَوْمَئِذٍ جَمَّاءُ وَلَا مَكْسُورَةُ الْقَرْنِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا حَقُّهَا قَالَ إِطْرَاقُ فَحْلِهَا وَإِعَارَةُ دَلْوِهَا وَمِنْحَتُهَا وَحَلَبُهَا عَلَى الْمَاءِ وَحَمْلٌ عَلَيْهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ

اخبرنا يعلى بن عبيد حدثنا عبد الملك عن ابي الزبير عن جابر قال قال النبي صلى الله عليه وسلم ما من صاحب ابل ولا بقر ولا غنم لا يودي حقها الا اقعد لها يوم القيامة بقاع قرقر تطوه ذات الظلف بظلفها وتنطحه ذات القرن بقرنها ليس فيها يومىذ جماء ولا مكسورة القرن قالوا يا رسول الله وما حقها قال اطراق فحلها واعارة دلوها ومنحتها وحلبها على الماء وحمل عليها في سبيل الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. যে ব্যক্তি উট, গরু ও ছাগলের যাকাত আদায় করে না (তার পরিণতি)

১৬৫৫. জাবির ইবন আব্দুল্লাহ আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি, “যে উটের মালিক তারহক্ক আদায় করবে না, কিয়ামতের দিন সে উট পুর্বের চেয়ে অধিক মোটাতাজা হয়ে মালিকের নিকট উপস্থিত হবে। এরপর তাকে একটি প্রশস্ত সমতল মাঠে বসানো হবে এবং ঐ উট তার পা ও খুরের দ্বারা তাকে পদদলিত করবে। আর কোন গরুর মালিক তার হক্ক আদায় না করলে কিয়ামতের দিন সে গরু পূর্বের চেয়ে ও অধিক মোটা-তাজা অবস্থায় মালিকের নিকট উপস্থিত হবে। এরপর তাকে এক প্রশস্ত সমতল প্রান্তরে বসানো হবে এবং সে গরু তাকে শিং দ্বারা গুতাবে ও খুর দ্বারা পদদলিত করতে থাকবে। আর কোন ছাগলের মালিক তার হক্ক আদায় না করলে কিয়ামতের দিন সে ছাগল পূর্বের চেয়ে ও অধিক মোটা-তাজা অবস্থায় মালিকের নিকট উপস্থিত হবে।

এরপর তাকে এক প্রশস্ত সমতল প্রান্তরে বসানো হবে এবং সে ছাগল তাকে শিং দ্বারা গুতাবে ও খুর দ্বারা পদদলিত করতে থাকবে। সেদিন এ ছাগল সমুহে কোনটি শিংবিহীন এবং শিংভাঙ্গা হবে না। আর যদি সোনা-রুপা সঞ্চয়কারী কোন ব্যক্তি এর হক আদায় না করে, তবে তার এ সঞ্চিত ধনরাশি কিয়ামতের দিন টাক মাথাওয়ালা বিষধর সাপরুপে মালিকের নিকট উপস্থিত হবে এবং মুখ হা করে তার পিছু ধাওয়া করবে। যখন সে সাপ তার নিকট আসবে তখন সে এর থেকে পালাবে। তখন সে তাকে ডেকে বলবে, তুমি তোমার সঞ্চয় গ্রহণ কর, যা তুমি লুকিয়ে রেখেছিলে।

তখন সে বলবে: আমার তার কোন প্রয়োজন নেই। আর মালিক যখন দেখবে যে, এর থেকে বাঁচবার কোন উপায় নেই তখন সে সাপটির মুখে হাত ঢুঁকিয়ে দিবে। এর পর সাপটি তার হাতকে ষাঁড়ের মত কামড় দিয়ে ধরবে।”

আবু যুবাইর রাহি. বলেন, আমি উবাইদ ইবন উমাইর (রাহি)-কে এ কথা বলতে শুনেছি । এর পর আমি জাবির ইবন আব্দুল্লাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে এ সস্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম তিনিও উবাইদ ইবন উমাইর (রা-)-এর অনুরূপ বললেন। তিনি বলেন, আবু যুবাইর (র) বলেন, আমি উবাইদ ইবন উমাইরকে বলতে শুনেছি, এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসুলুল্লাহ! উটের হক্ব কি? তিনি বললেন, এর হক্ক হল, “পানি পান করানোর শর্তে এর দুধ দোহন করতে দেওয়া, এদের পাত্রগুলি (পানি উঠাবার জন্য অন্যকে) ধার দেওয়া, এদের মধ্যকার পুরুষগুলিকে (মাদীগুলির) পাল নেওয়ার জন্য দেয়া, দুগ্ধবতী উটনী (অন্যকে দুধপানের জন্য) দেয়া এবং আল্লাহর পথে এদের উপর (লোকদেরকে) পরিবহণ করা।”[1]

بَاب مَنْ لَمْ يُؤَدِّ زَكَاةَ الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ وَالْغَنَمِ

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَا مِنْ صَاحِبِ إِبِلٍ لَا يَفْعَلُ فِيهَا حَقَّهَا إِلَّا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرُ مَا كَانَتْ قَطُّ وَأُقْعِدَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَسْتَنُّ عَلَيْهِ بِقَوَائِمِهَا وَأَخْفَافِهَا وَلَا صَاحِبِ بَقَرٍ لَا يَفْعَلُ فِيهَا حَقَّهَا إِلَّا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرُ مَا كَانَتْ قَطُّ وَأُقْعِدَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَنْطَحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِقَوَائِمِهَا وَلَا صَاحِبِ غَنَمٍ لَا يَفْعَلُ فِيهَا حَقَّهَا إِلَّا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرُ مَا كَانَتْ وَأُقْعِدَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَنْطَحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِأَظْلَافِهَا لَيْسَ فِيهَا جَمَّاءُ وَلَا مَكْسُورَةٌ قَرْنُهَا وَلَا صَاحِبِ كَنْزٍ لَا يَفْعَلُ فِيهِ حَقَّهُ إِلَّا جَاءَ كَنْزُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعًا أَقْرَعَ يَتْبَعُهُ فَاتِحًا فَاهُ فَإِذَا أَتَاهُ فَرَّ مِنْهُ فَيُنَادِيهِ خُذْ كَنْزَكَ الَّذِي خَبَّأْتَهُ قَالَ فَأَنَا عَنْهُ غَنِيٌّ فَإِذَا رَأَى أَنَّهُ لَا بُدَّ مِنْهُ سَلَكَ يَدَهُ فِي فَمِهِ فَيَقْضِمُهَا قَضْمَ الْفَحْلِ قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ يَقُولُ هَذَا الْقَوْلَ ثُمَّ سَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ مِثْلَ قَوْلِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ وَقَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ يَقُولُ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ الْإِبِلِ قَالَ حَلَبُهَا عَلَى الْمَاءِ وَإِعَارَةُ دَلْوِهَا وَإِعَارَةُ فَحْلِهَا وَمَنْحُهَا وَحَمْلٌ عَلَيْهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ

حدثنا بشر بن الحكم حدثنا عبد الرزاق اخبرنا ابن جريج قال اخبرني ابو الزبير انه سمع جابر بن عبد الله يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ما من صاحب ابل لا يفعل فيها حقها الا جاء يوم القيامة اكثر ما كانت قط واقعد لها بقاع قرقر تستن عليه بقواىمها واخفافها ولا صاحب بقر لا يفعل فيها حقها الا جاء يوم القيامة اكثر ما كانت قط واقعد لها بقاع قرقر تنطحه بقرونها وتطوه بقواىمها ولا صاحب غنم لا يفعل فيها حقها الا جاء يوم القيامة اكثر ما كانت واقعد لها بقاع قرقر تنطحه بقرونها وتطوه باظلافها ليس فيها جماء ولا مكسورة قرنها ولا صاحب كنز لا يفعل فيه حقه الا جاء كنزه يوم القيامة شجاعا اقرع يتبعه فاتحا فاه فاذا اتاه فر منه فيناديه خذ كنزك الذي خباته قال فانا عنه غني فاذا راى انه لا بد منه سلك يده في فمه فيقضمها قضم الفحل قال ابو الزبير سمعت عبيد بن عمير يقول هذا القول ثم سالنا جابر بن عبد الله فقال مثل قول عبيد بن عمير قال وقال ابو الزبير سمعت عبيد بن عمير يقول قال رجل يا رسول الله ما حق الابل قال حلبها على الماء واعارة دلوها واعارة فحلها ومنحها وحمل عليها في سبيل الله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. যে ব্যক্তি উট, গরু ও ছাগলের যাকাত আদায় করে না (তার পরিণতি)

১৬৫৬. আবী যারর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে এ হাদীসের কোনো কোনো অংশ বর্ণনা করেছেন।[1]

بَاب مَنْ لَمْ يُؤَدِّ زَكَاةَ الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ وَالْغَنَمِ

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَعْضِ هَذَا الْحَدِيثِ

اخبرنا الحسن بن الربيع حدثنا ابو الاحوص عن الاعمش عن المعرور بن سويد عن ابي ذر عن النبي صلى الله عليه وسلم ببعض هذا الحديث

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৫৭

পরিচ্ছেদঃ ৪. ছাগলের যাকাত

১৬৫৭. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, সাদকা (যাকাত) প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি ফরমান (অধ্যাদেশ) লিখালেন। (তাতে লেখা ছিল:) ছাগলের যাকাত হলঃ মুক্তভাবে বিচরণশীল প্রতি চল্লিশটি হতে একশত বিশটি পর্যন্ত ছাগলের জন্য একটি ছাগল; এর বেশি হলে দু’শত পর্যন্ত দু’টি ছাগল; এর বেশি হলে তিনশত পর্যন্ত ছাগলের জন্য তিনটি ছাগল; তারপর ছাগলের সংখ্যা বেশি হলেও আবার চারশত পর্যন্ত না পৌঁছানো পর্যন্ত এতে (বাড়তি ছাগলগুলির জন্য) তিনটি ছাগলের অধিক কোন কিছুই ওয়াজিব হবে না। এরপর ছাগলের সংখ্যা চারশতে পৌঁছালে প্রতি একশত ছাগলের জন্য একটি করে ছাগল (যাকাত দিতে হবে)। যাকাতে বৃদ্ধ এবং খুঁত ও ত্রুটিযুক্ত পশু গ্রহণ করা হবে না।[1]

بَاب فِي زَكَاةِ الْغَنَمِ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ صَدَقَةَ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ الصَّدَقَةَ فَكَانَ فِي الْغَنَمِ فِي كُلِّ أَرْبَعِينَ سَائِمَةً شَاةٌ إِلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا شَاتَانِ إِلَى مِائَتَيْنِ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا ثَلَاثُ شِيَاهٍ إِلَى ثَلَاثِ مِائَةٍ فَإِذَا زَادَتْ شَاةً لَمْ يَجِبْ فِيهَا إِلَّا ثَلَاثُ شِيَاهٍ حَتَّى تَبْلُغَ أَرْبَعَ مِائَةٍ فَإِذَا بَلَغَتْ أَرْبَعَ مِائَةِ شَاةٍ فَفِي كُلِّ مِائَةٍ شَاةٌ وَلَا تُؤْخَذُ فِي الصَّدَقَةِ هَرِمَةٌ وَلَا ذَاتُ عَوَارٍ وَلَا ذَاتُ عَيْبٍ

اخبرنا الحكم بن المبارك حدثنا عباد بن العوام وابراهيم بن صدقة عن سفيان بن حسين عن الزهري عن سالم عن ابن عمر ان النبي صلى الله عليه وسلم كتب الصدقة فكان في الغنم في كل اربعين ساىمة شاة الى عشرين وماىة فاذا زادت ففيها شاتان الى ماىتين فاذا زادت ففيها ثلاث شياه الى ثلاث ماىة فاذا زادت شاة لم يجب فيها الا ثلاث شياه حتى تبلغ اربع ماىة فاذا بلغت اربع ماىة شاة ففي كل ماىة شاة ولا توخذ في الصدقة هرمة ولا ذات عوار ولا ذات عيب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৫৮

পরিচ্ছেদঃ ৪. ছাগলের যাকাত

১৬৫৮. আমর ইবনু হাযম তার পিতার সূত্রে তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমর ইবনু হাযমের মারফত ইয়ামানবাসীর নিকট একটি ফরমান (অধ্যাদেশ) লিখে পাঠালেন। (যাতে ছিল:) “পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে’। নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পক্ষ হতে শুরাহবীল ইবনু আব্দি কালাল, হারিছ ইবনু আব্দি কালাল এবং নু’আইম ইবনু আব্দি কালালের প্রতি। প্রতি চল্লিশটি ছাগল হতে একশত বিশটি পর্যন্ত ছাগলের জন্য একটি ছাগল; একশ’ বিশটি হতে একটি ছাগলও বেশি হলে দু’শত পর্যন্ত তা হতে দু’টি ছাগল; এর থেকে একটি মাত্র ছাগল বেশি হলেও তা হতে তিনশত পর্যন্ত ছাগলের জন্য তিনটি ছাগল; এরপর ছাগলের সংখ্যা বেশি হলে এতে প্রতি একশত ছাগলের জন্য একটি করে ছাগল (যাকাত দিতে হবে)।[1]

بَاب فِي زَكَاةِ الْغَنَمِ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ الْخَوْلَانِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ إِلَى أَهْلِ الْيَمَنِ مَعَ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ إِلَى شُرَحْبِيلَ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ وَالْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ وَنُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ فِي أَرْبَعِينَ شَاةً شَاةٌ إِلَى أَنْ تَبْلُغَ عِشْرِينَ وَمِائَةٍ فَإِذَا زَادَتْ عَلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ وَاحِدَةً فَفِيهَا شَاتَانِ إِلَى أَنْ تَبْلُغَ مِائَتَيْنِ فَإِذَا زَادَتْ وَاحِدَةً فَفِيهَا ثَلَاثَةٌ إِلَى أَنْ تَبْلُغَ ثَلَاثَ مِائَةٍ فَمَا زَادَ فَفِي كُلِّ مِائَةِ شَاةٍ شَاةٌ

اخبرنا الحكم بن موسى حدثنا يحيى بن حمزة عن سليمان بن داود الخولاني عن الزهري عن ابي بكر بن محمد بن عمرو بن حزم عن ابيه عن جده ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كتب الى اهل اليمن مع عمرو بن حزم بسم الله الرحمن الرحيم من محمد النبي الى شرحبيل بن عبد كلال والحارث بن عبد كلال ونعيم بن عبد كلال في اربعين شاة شاة الى ان تبلغ عشرين وماىة فاذا زادت على عشرين وماىة واحدة ففيها شاتان الى ان تبلغ ماىتين فاذا زادت واحدة ففيها ثلاثة الى ان تبلغ ثلاث ماىة فما زاد ففي كل ماىة شاة شاة

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৪. ছাগলের যাকাত

১৬৫৯. (অপর সনদে) আমর ইবনু হাযম তার পিতার সূত্রে তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের নিকট একটি ফরমান (অধ্যাদেশ) লিখে পাঠালেন। এরপর তিনি অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।[1]

بَاب فِي زَكَاةِ الْغَنَمِ

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ لَهُمْ كِتَابًا فَذَكَرَ نَحْوَهُ

حدثنا بشر بن الحكم حدثنا عبد الرزاق اخبرنا معمر عن عبد الله بن ابي بكر بن محمد بن عمرو بن حزم عن ابيه عن جده ان النبي صلى الله عليه وسلم كتب لهم كتابا فذكر نحوه

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৬০

পরিচ্ছেদঃ ৫. গরুর যাকাত

১৬৬০. মু’আয রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইয়ামান অভিমূখে পাঠানোর সময় নির্দেশ দিলেন যে, আমি যেন প্রত্যেক চল্লিশটি গরু থেকে একটি (তৃতীয় বছরে পদার্পণকারিণী[1]) বাছুর এবং প্রত্যেক ত্রিশটি গরু থেকে একটি (পূর্ণ এক বছর বয়সী) এঁড়ে বা বকনা বাছুর (যাকাত) আদায় করি।[2]

بَاب زَكَاةِ الْبَقَرِ

حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ شَقِيقٍ عَنْ مَسْرُوقٍ وَالْأَعْمَشُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَا قَالَ مُعَاذٌ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ فَأَمَرَنِي أَنْ آخُذَ مِنْ كُلِّ أَرْبَعِينَ بَقَرَةً مُسِنَّةً وَمِنْ كُلِّ ثَلَاثِينَ تَبِيعًا أَوْ تَبِيعَةً

حدثنا يعلى بن عبيد حدثنا الاعمش عن شقيق عن مسروق والاعمش عن ابراهيم قالا قال معاذ بعثني رسول الله صلى الله عليه وسلم الى اليمن فامرني ان اخذ من كل اربعين بقرة مسنة ومن كل ثلاثين تبيعا او تبيعة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৬১

পরিচ্ছেদঃ ৫. গরুর যাকাত

১৬৬১. মাসরূক্ব রাহি. হতে (অপর সনদে), তিনি মু’আয রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে, তিনি বলেন, আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইয়ামান অভিমূখে পাঠানোর সময় নির্দেশ দিলেন যে, আমি যেন প্রত্যেক চল্লিশটি গরু থেকে একটি (তৃতীয় বছরে পদার্পণকারিণী) বাছুর এবং প্রত্যেক ত্রিশটি গরু থেকে একটি পূর্ণ এক বছর বয়সী এঁড়ে বাছুর (যাকাত) আদায় করি।[1]

بَاب زَكَاةِ الْبَقَرِ

أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ مُعَاذٍ قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ فَأَمَرَنِي أَنْ آخُذَ مِنْ الْبَقَرِ مِنْ ثَلَاثِينَ تَبِيعًا حَوْلِيًّا وَمِنْ أَرْبَعِينَ بَقَرَةً مُسِنَّةً

اخبرنا عاصم بن يوسف حدثنا ابو بكر بن عياش عن عاصم عن ابي واىل عن مسروق عن معاذ قال بعثني رسول الله صلى الله عليه وسلم الى اليمن فامرني ان اخذ من البقر من ثلاثين تبيعا حوليا ومن اربعين بقرة مسنة

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মাসরূক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৬২

পরিচ্ছেদঃ ৫. গরুর যাকাত

১৬৬২. আবী বাকর ইবনু আইয়্যাশ রাহি. হতেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।[1]

بَاب زَكَاةِ الْبَقَرِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ بِنَحْوِهِ

حدثنا احمد بن يونس عن ابي بكر بن عياش بنحوه

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৬৩

পরিচ্ছেদঃ ৬. উটের যাকাত

১৬৬৩. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাদাকা (যাকাত) প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম (একটি ফরমান বা অধ্যাদেশ) লিখালেন। তাঁর কর্মচারিদের নিকটে পাঠানোর আগেই তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর আবূ বাকার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তা গ্রহণ করেন এবং তাঁর পরে তিনি তা কার্যকর করেন। এরপর যখন আবূ বাকার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুও মারা যান, তখন উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তা গ্রহণ করেন ও তাঁদের উভয়ের পরে তিনি সে অনুযায়ী কাজ করেন। তারপর তিনি নিহত হন। আর তিনি এটা নিজের তরবারি কিংবা ওয়াসীয়াতের সাথে রেখেছিলেন। তাতে উটের সাদাকা (যাকাত)-এর ব্যাপারে(লেখা) ছিল উটের সংখ্যা পঁচিশ হওয়া পর্যন্ত প্রতি পাঁচটি উটের জন্য একটি বকরী। উটের সংখ্যা পঁচিশে পৌঁছলে তা হতে পঁয়ত্রিশ পর্যন্ত উটের জন্য একটি ’বিনতু মাখায’ (পূর্ণ এক বছর বয়স্ক মাদী উট); ’বিনতু মাখায’ না পাওয়া গেলে একটি নর ’ইবনু লাবুন’ (একটি পূর্ণ দুই বছরের নর উট); এর বেশি হলে পঁয়তাল্লিশ পর্যন্ত (ছত্রিশ হতে পঁয়তাল্লিশ পর্যন্ত) উটের জন্য একটি ’বিনতু লাবূন’ (একটি পূর্ণ দুই বছরের মাদী উট); এর বেশি হলে ষাট পর্যন্ত (ছেচল্লিশ হতে ষাট পর্যন্ত) উটের জন্য একটি হিক্কাহ (একটি পূর্ণ তিন বছরের মাদী উট); আবার এর বেশি হলে পঁচাত্তর পর্যন্ত (একষট্টি হতে পঁচাত্তর পর্যন্ত) উটের জন্য একটি ’জাযাআহ’ (একটি চার বছরের মাদী উট); আরো বেশি হলে নব্বই পর্যন্ত (ছিয়াত্তর হতে নব্বই পর্যন্ত) উটের জন্য দু’টি ’বিনতু লাবূন’; আরো বেশি হলে একশত বিশ পর্যন্ত (একানব্বই হতে একশত বিশ) উটের জন্য দু’টি ’হিক্কাহ’ এবং যখন একশত বিশের বেশি হবে তখন প্রতি পঞ্চাশ উটের জন্য একটি ’হিক্কাহ’ এবং প্রতি চল্লিশ উটের জন্য একটি ’বিনতু’ লাবূন যাকাত আদায় করতে হবে।”[1]

بَاب زَكَاةِ الْإِبِلِ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ صَدَقَةَ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ الصَّدَقَةَ فَلَمْ تُخْرَجْ إِلَى عُمَّالِهِ حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا قُبِضَ أَخَذَهَا أَبُو بَكْرٍ فَعَمِلَ بِهَا مِنْ بَعْدِهِ فَلَمَّا قُبِضَ أَبُو بَكْرٍ أَخَذَهَا عُمَرُ فَعَمِلَ بِهَا مِنْ بَعْدِهِمَا وَلَقَدْ قُتِلَ عُمَرُ وَإِنَّهَا لَمَقْرُونَةٌ بِسَيْفِهِ أَوْ بِوَصِيَّتِهِ وَكَانَ فِي صَدَقَةِ الْإِبِلِ فِي كُلِّ خَمْسٍ شَاةٌ إِلَى خَمْسٍ وَعِشْرِينَ فَإِذَا بَلَغَتْ خَمْسًا وَعِشْرِينَ فَفِيهَا بِنْتُ مَخَاضٍ إِلَى خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ بِنْتُ مَخَاضٍ فَابْنُ لَبُونٍ ذَكَرٌ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا بِنْتُ لَبُونٍ إِلَى خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا حِقَّةٌ إِلَى سِتِّينَ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا جَذَعَةٌ إِلَى خَمْسٍ وَسَبْعِينَ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا بِنْتَا لَبُونٍ إِلَى تِسْعِينَ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا حِقَّتَانِ إِلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا فِي كُلِّ خَمْسِينَ حِقَّةٌ وَفِي كُلِّ أَرْبَعِينَ بِنْتُ لَبُونٍ

اخبرنا الحكم بن المبارك حدثنا عباد بن العوام وابراهيم بن صدقة عن سفيان بن حسين عن الزهري عن سالم عن ابن عمر ان النبي صلى الله عليه وسلم كتب الصدقة فلم تخرج الى عماله حتى قبض رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما قبض اخذها ابو بكر فعمل بها من بعده فلما قبض ابو بكر اخذها عمر فعمل بها من بعدهما ولقد قتل عمر وانها لمقرونة بسيفه او بوصيته وكان في صدقة الابل في كل خمس شاة الى خمس وعشرين فاذا بلغت خمسا وعشرين ففيها بنت مخاض الى خمس وثلاثين فان لم تكن بنت مخاض فابن لبون ذكر فاذا زادت ففيها بنت لبون الى خمس واربعين فاذا زادت ففيها حقة الى ستين فاذا زادت ففيها جذعة الى خمس وسبعين فاذا زادت ففيها بنتا لبون الى تسعين فاذا زادت ففيها حقتان الى عشرين وماىة فاذا زادت ففيها في كل خمسين حقة وفي كل اربعين بنت لبون

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৬৪

পরিচ্ছেদঃ ৬. উটের যাকাত

১৬৬৪. (অপর সূত্রে) ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

بَاب زَكَاةِ الْإِبِلِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ الْفَزَارِيِّ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ

حدثنا محمد بن عيينة عن ابي اسحق الفزاري عن سفيان بن حسين عن الزهري عن سالم عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৬৫

পরিচ্ছেদঃ ৭. রৌপ্য মুদ্রার যাকাত প্রসঙ্গে

১৬৬৫. আমর ইবনু হাযম তার পিতার সূত্রে তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমর ইবনু হাযমের মারফত শুরাহবীল ইবনু আব্দি কালাল, হারিছ ইবনু আব্দি কালাল এবং নু’আইম ইবনু আব্দি কালালের প্রতি একটি ফরমান (অধ্যাদেশ) লিখে পাঠালেন। (যাতে ছিল:) “প্রতি পাঁচ উকিয়া রৌপ্য মুদ্রায় পাঁচ দিরহাম; এর অধিক হলে প্রতি চল্লিশ দিরহামে এক দিরহাম; আর পাঁচ উকিয়ার কমে কোনো (যাকাত) নেই।”[1]

بَاب فِي زَكَاةِ الْوَرِقِ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ الْخَوْلَانِيِّ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَبَ مَعَ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ إِلَى شُرَحْبِيلَ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ وَالْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ وَنُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ كُلَالٍ إِنَّ فِي كُلِّ خَمْسِ أَوَاقٍ مِنْ الْوَرِقِ خَمْسَةَ دَرَاهِمَ فَمَا زَادَ فَفِي كُلِّ أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا دِرْهَمٌ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ شَيْءٌ

اخبرنا الحكم بن موسى حدثنا يحيى بن حمزة عن سليمان بن داود الخولاني حدثني الزهري عن ابي بكر بن محمد بن عمرو بن حزم عن ابيه عن جده ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كتب مع عمرو بن حزم الى شرحبيل بن عبد كلال والحارث بن عبد كلال ونعيم بن عبد كلال ان في كل خمس اواق من الورق خمسة دراهم فما زاد ففي كل اربعين درهما درهم وليس فيما دون خمس اواق شيء

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৬৬

পরিচ্ছেদঃ ৭. রৌপ্য মুদ্রার যাকাত প্রসঙ্গে

১৬৬৬. আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি একে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেন। তিনি বলেছেন: “ঘোড়া ও গোলামের সাদাকা (যাকাত) আমি ক্ষমা করে দিয়েছি। আর প্রতি চল্লিশ দিরহাম রূপার ক্ষেত্রে এক দিরহাম সাদাকা (যাকাত) আদায় কর। কিন্তু একশত নব্বই দিরহামে কোন সাদাকা নেই। যখন তা দু’ই শত দিরহামে পৌঁছবে তখন তাতে পাঁচ দিরহাম সাদাকা দিতে হবে।”[1]

بَاب فِي زَكَاةِ الْوَرِقِ

أَخْبَرَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ عَنْ عَلِيٍّ رَفَعَهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ عَفَوْتُ عَنْ صَدَقَةِ الْخَيْلِ وَالرَّقِيقِ هَاتُوا صَدَقَةَ الرِّقَةِ مِنْ كُلِّ أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا دِرْهَمٌ وَلَيْسَ فِي تِسْعِينَ وَمِائَةٍ شَيْءٌ حَتَّى تَبْلُغَ مِائَتَيْنِ

اخبرنا المعلى بن اسد حدثنا ابو عوانة عن ابي اسحق عن عاصم بن ضمرة عن علي رفعه الى النبي صلى الله عليه وسلم قال عفوت عن صدقة الخيل والرقيق هاتوا صدقة الرقة من كل اربعين درهما درهم وليس في تسعين وماىة شيء حتى تبلغ ماىتين

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৬৭

পরিচ্ছেদঃ ৮. বিচ্ছিন্ন মালকে একত্র করা এবং একত্রিত মালকে বিচ্ছিন্ন করা নিষেধ

১৬৬৭. সুয়াইদ ইবনু গাফালা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর যাকাত আদায়কারী কর্মচারি আমাদের নিকট আসলে আমি তার হাত ধরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এই শপথ পাঠ করে শুনালাম : ’’যাকাতের ভয়ে বিচ্ছিন্ন মালকে একত্র করা এবং একত্রিত মালকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।’’[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ الْفَرْقِ بَيْنَ الْمُجْتَمِعِ وَالْجَمْعِ بَيْنَ الْمُتَفَرِّقِ

أَخْبَرَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ عُثْمَانَ الثَّقَفِيِّ عَنْ أَبِي لَيْلَى هُوَ الْكِنْدِيُّ عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ قَالَ أَتَانَا مُصَدِّقُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخَذْتُ بِيَدِهِ فَقَرَأْتُ فِي عَهْدِهِ أَنْ لَا يُجْمَعَ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ وَلَا يُفَرَّقَ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ

اخبرنا الاسود بن عامر حدثنا شريك عن عثمان الثقفي عن ابي ليلى هو الكندي عن سويد بن غفلة قال اتانا مصدق النبي صلى الله عليه وسلم فاخذت بيده فقرات في عهده ان لا يجمع بين متفرق ولا يفرق بين مجتمع خشية الصدقة

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৬৮

পরিচ্ছেদঃ ৯. লোকদের সর্বোত্তম মালসমূহ থেকে সাদাকা (যাকাত) আদায় করা নিষেধ

১৬৬৮. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মুয়ায রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে ইয়ামান অভিমুখে পাঠালেন, তখন তিনি বললেন: “তুমি তাদের ভাল ভাল সম্পদ (গ্রহণ করা) হতে বিরত থাকবে।”[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ أَخْذِ الصَّدَقَةِ مِنْ كَرَائِمِ أَمْوَالِ النَّاسِ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ زَكَرِيَّا عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَيْفِيٍّ عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ قَالَ إِيَّاكَ وَكَرَائِمَ أَمْوَالِهِمْ

اخبرنا ابو عاصم عن زكريا عن يحيى بن عبد الله بن صيفي عن ابي معبد مولى ابن عباس عن ابن عباس ان النبي صلى الله عليه وسلم لما بعث معاذا الى اليمن قال اياك وكراىم اموالهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৬৯

পরিচ্ছেদঃ ১০. যে সকল জীব-জন্তুর উপর সাদাকা (যাকাত) ওয়াজিব নয়

১৬৬৯. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “মুসলিম ব্যক্তির ঘোড়া ও দাসের উপর কোনো সাদাকা (যাকাত) নেই।”[1]

بَاب مَا لَا تَجِبُ فِيهِ الصَّدَقَةُ مِنْ الْحَيَوَانِ

حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ أَخْبَرَنِي قَالَ سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ يُحَدِّثُ عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ عَلَى فَرَسِ الْمُسْلِمِ وَلَا عَلَى غُلَامِهِ صَدَقَةٌ

حدثنا هاشم بن القاسم حدثنا شعبة قال عبد الله بن دينار اخبرني قال سمعت سليمان بن يسار يحدث عن عراك بن مالك عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ليس على فرس المسلم ولا على غلامه صدقة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৭০

পরিচ্ছেদঃ ১১. যে পরিমাণ ফসল, সোনা ও রূপায় যাকাত ওয়াজিব হয় না

১৬৭০. আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “পাঁচ ’ওয়াসাক’-এর কম পরিমাণ উ?পাদিত শস্যে, পাঁচ ’উকিয়া’-এর কম পরিমাণ মুদ্রায় এবং পাঁচের কম সংখ্যক উটে যাকাত নেই।”[1]

আবূ মুহাম্মদ বলেন: ’ওয়াসাক’ হয় ছয় সা’ এ; হিজাজবাসীদের মতে আর এক সা’ হলো আড়াই ’মানা’-তে (এক ’মানা’ দুই রতলের সমান[2])। আর ইরাকবাসীদের মতে, এক সা চার ’মানা’র সমান।

بَاب مَا لَا يَجِبُ فِيهِ الصَّدَقَةُ مِنْ الْحُبُوبِ وَالْوَرِقِ وَالذَّهَبِ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ صَدَقَةٌ وَلَا فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ صَدَقَةٌ وَلَا فِيمَا دُونَ خَمْسِ ذَوْدٍ صَدَقَةٌ قَالَ أَبُو مُحَمَّد الْوَسْقُ سِتُّونَ صَاعًا وَالصَّاعُ مَنَوَانِ وَنِصْفٌ فِي قَوْلِ أَهْلِ الْحِجَازِ وَأَرْبَعَةُ أَمْنَاءٍ فِي قَوْلِ أَهْلِ الْعِرَاقِ

حدثنا عبيد الله بن موسى عن سفيان عن عمرو بن يحيى عن ابيه عن ابي سعيد الخدري عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ليس فيما دون خمسة اوسق صدقة ولا فيما دون خمس اواق صدقة ولا فيما دون خمس ذود صدقة قال ابو محمد الوسق ستون صاعا والصاع منوان ونصف في قول اهل الحجاز واربعة امناء في قول اهل العراق

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
১৬৭১

পরিচ্ছেদঃ ১১. যে পরিমাণ ফসল, সোনা ও রূপায় যাকাত ওয়াজিব হয় না

১৬৭১. আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “পাঁচ ’ওয়াসাক’-এর কম পরিমাণ উৎপাদিত শস্যে এবং খেজুরে যাকাত নেই, পাঁচ ’উকিয়া’-এর কম পরিমাণ মুদ্রায়ও যাকাত নেই এবং পাঁচের কম সংখ্যক উটেও যাকাত নেই।”[1]

بَاب مَا لَا يَجِبُ فِيهِ الصَّدَقَةُ مِنْ الْحُبُوبِ وَالْوَرِقِ وَالذَّهَبِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ صَدَقَةٌ مِنْ حَبٍّ وَلَا تَمْرٍ وَلَا فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ صَدَقَةٌ وَلَا فِيمَا دُونَ خَمْسِ ذَوْدٍ صَدَقَةٌ

حدثنا محمد بن يوسف عن سفيان عن اسمعيل بن امية عن محمد بن يحيى بن حبان عن يحيى بن عمارة عن ابي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ليس فيما دون خمسة اوسق صدقة من حب ولا تمر ولا فيما دون خمس اواق صدقة ولا فيما دون خمس ذود صدقة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. যাকাত অধ্যায় (كتاب الزكاة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 পরের পাতা »