লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৬৮. মুশরিকদের পাত্রের পানি দিয়ে উযু করা এবং তা দ্বারা তাইয়াম্মুম করা
৭৪৯(৩). আল-হুসাইন (রহঃ) ... ইমরান ইবনে হুসাইন আল-খুযাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। আমরা এক রাতে সফর করলাম। শেষ রাতে আমরা এই ঘটনার শিকার হলাম এবং মুসাফিরদের নিকট এমন কিছু ছিলো না যা দ্বারা আমি এই বিপদ দূর করবো। কেবল সূর্যের তাপই আমাদের সজাগ করেছে... তারপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
তিনি তাতে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনছ হে অমুক! তোমার কী হয়েছে যে, তুমি আমাদের সঙ্গে নামায পড়লে না? সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি নাপাক হয়েছি এবং পানি পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেনঃ তুমি অবশ্যই মাটি দ্বারা তাইয়াম্মুম করো। এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট। এই হাদীসে রাবী আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি পাত্র নিয়ে ডাকলেন। তিনি তাতে দুটি মশক অথবা দু’টি থলের মুখ দিয়ে পানি ঢাললেন, তারপর কুলি করলেন, পুনরায় পাত্র থেকে পানি নিলেন, তারপর তা পাত্রে ফেললেন, তারপর তা উক্ত মশকদ্বয়ে ঢেলে দিলেন। তারপর উভয় পাত্রের মুখ ঢেকে দিলেন এবং রশি খুলে রাখলেন। আর মানুষের মধ্যে ঘোষণা করা হলো, তোমরা (পশুকে) পানি পান করাও এবং নিজেরাও পান করো।
অতঃপর যাদের (পশুকে) পান করানোর প্রয়োজন তারা পান করালো এবং যাদের পান করার প্রয়োজন ছিল তারাও পান করলো। শেষে তিনি নাপাক ব্যক্তিকে এক পাত্র পানি দিলেন এবং বললেনঃ তোমার উপর পানি ঢালো (গোসল করো)। আর সেই মহিলা দাড়িয়ে থেকে দেখছিল, তার পানি দিয়ে কি করা হচ্ছে। আল্লাহর শপথ! সে তা তখন ছাড়ল যখন তা থেকে প্রয়োজন পরিপূর্ণভাবে শেষ করল। আমাদের মনে হচ্ছিল, (মশক) আগের তুলনায় এখন বেশী পরিপূর্ণ। রাবী এই হাদীসের অবশিষ্ট অংশ পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
بَابُ الْوُضُوءِ وَالتَّيَمُّمِ مِنْ آنِيَةِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ ، وَالْقَاسِمُ ابْنَا إِسْمَاعِيلَ ، قَالَا : نَا مَحْمُودُ بْنُ خِدَاشٍ ، نَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ ، نَا عَوْفٌ الْأَعْرَابِيُّ ، عَنْ أَبِي رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيِّ ، نَا عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ الْخُزَاعِيُّ ، قَالَ : " كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي سَفَرٍ ، وَإِنَّا سَرَيْنَا ذَاتَ لَيْلَةٍ ، حَتَّى إِذَا كَانَ فِي آخِرِ اللَّيْلِ وَقَعْنَا تِلْكَ الْوَقْعَةَ ، وَلَا وَقْعَةَ عِنْدَ الْمُسَافِرِ أَحْلَى مِنْهَا ، فَمَا أَيْقَظَنَا إِلَّا حَرُّ الشَّمْسِ .... " ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَهُ ، وَقَالَ فِيهِ : فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " يَا فُلَانُ ، مَا لَكَ لَمْ تُصَلِّ مَعَنَا ؟ " . قَالَ : أَصَابَتْنِي جَنَابَةٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ ، وَلَا مَاءَ . فَقَالَ : " عَلَيْكَ بِالصَّعِيدِ ؛ فَإِنَّهُ يَكْفِيكَ " . وَقَالَ فِيهِ أَيْضًا : " وَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِإِنَاءٍ فَأَفْرَغَ فِيهِ مِنْ أَفْوَاهِ الْمَزَادَتَيْنِ أَوِ السَّطِيحَتَيْنِ ، ثُمَّ تَمَضْمَضَ ، ثُمَّ أَعَادَهُ فِي الْإِنَاءِ ، ثُمَّ أَعَادَهُ فِي أَفْوَاهِهِمَا ، وَأَوْكَأَهُمَا ، وَأَطْلَقَ الْعَزَالِيَ . وَنُودِيَ فِي النَّاسِ أَنِ اسْقُوا وَاسْتَقُوا ، فَسَقَى مَنْ سَقَى ، وَاسْتَقَى مَنِ اسْتَقَى ، وَآخِرُ ذَلِكَ : أَنْ أَعْطَى الرَّجُلَ الَّذِي أَصَابَتْهُ الْجَنَابَةُ إِنَاءً مِنْ مَاءٍ ، فَقَالَ : " أَفْرِغْهُ عَلَيْكَ " . وَهِيَ قَائِمَةٌ تَنْظُرُ إِلَى مَا يُصْنَعُ بِمَائِهَا ، وَايْمُ اللَّهِ ، لَقَدْ أَقْلَعَ عَنْهَا - حِينَ أَقْلَعَ - وَإِنَّهُ لَيُخَيَّلُ إِلَيْنَا أَنَّهَا أَشَدُّ مَمَّا كَانَتْ حَيْثُ ابْتَدَأَ فِيهَا ...... " وَذَكَرَ بَاقِيَ الْحَدِيثِ نَحْوَهُ