লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সাক্ষাৎ ত্যাগ, সম্পর্কচ্ছেদ ও দোষান্বেষণে নিষেধাজ্ঞা
৫০৩৩-[৭] আসমা বিনতু ইয়াযীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মিথ্যা বলা শুধু তিন জায়গায় জায়িয আছে- ১. নিজের স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য স্বামীর মিথ্যা কথা বলা, ২. যুদ্ধের সময় মিথ্যা বলা এবং ৩. মানুষের মধ্যে আপোষ-মীমাংসার উদ্দেশে মিথ্যা বলা। (আহমাদ ও তিরমিযী)[1]
عَن أَسمَاء بنت يزِيد قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَحِلُّ الْكَذِبُ إِلَّا فِي ثَلَاثٍ: كَذِبُ الرَّجُلِ امْرَأَتَهُ لِيُرْضِيَهَا وَالْكَذِبُ فِي الْحَرْبِ وَالْكَذِبُ لِيُصْلِحَ بَيْنَ النَّاسِ . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ
ব্যাখ্যাঃ (امْرَأَتَهُ لِيُرْضِيَهَا) অর্থাৎ স্বামী তার স্ত্রীকে এবং স্ত্রী তার স্বামীকে এমন কিছু আবেগময় কথা প্রকাশ করা যাতে তাদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে যায়। যে ভালোবাসায় তারা পরস্পরে সুখে শান্তিতে জীবন-যাপন করতে পারে। তাদের মধ্যে প্রেম জন্মে। অন্যথা এমনও হতে পারে যে, তাদের পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা না জন্মে সেটা অন্যের প্রতি জন্মাতে পারে, ফলে তাদের মধ্যে অশান্তি বিরাজ করবে, এমনকি তাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটে যেতে পারে। [সম্পাদক]
(وَالْكَذِبُ فِى الْحَرْبِ) অর্থাৎ যুদ্ধের ময়দানে কাফিরদের ভয় ধরিয়ে দেয়ার জন্য বলা হয় যে, মুসলিম সৈন্য অনেক আছে এবং তাদের অনেক সাহায্যকারী লোক আছে। অথবা মুসলিম সৈন্যদেরকে বলা কাফিরদের সংখ্যা কম। তোমরা যুদ্ধ কর তোমাদের সাহায্যকারী আছে। অথবা কোন কাফিরকে বলা যে, দেখ তোমার পিছে কে তোমাকে হত্যা করার জন্য আসছে অথবা তুমি সাহায্যের জন্য তোমার সাথে কাকে নিয়ে এসেছ? ইত্যাদি মিথ্যা কথা বলা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)