লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৩০-[১৯] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার সকল উম্মাত ক্ষমাপ্রাপ্তদের মধ্যে আছে; কিন্তু যে ব্যক্তি নিজের অপরাধ প্রকাশকারী, সে ক্ষমাপ্রাপ্তদের মধ্যে নয়। এটা কতই না লজ্জাহীনতার কাজ যে, লোক রাতে খারাপ কাজ করে, আর আল্লাহ তা’আলা তার কুকর্ম গোপন করে রাখেন। অতঃপর সকাল হতেই লোকেদেরকে বলে ফেলে, হে অমুক! আমি রাতে এরূপ কাজ করেছি। আল্লাহ তা’আলা রাতে তার দোষ ঢেকে ছিলেন, কিন্তু সকাল হতেই সে আল্লাহ তা’আলার পর্দা উন্মুক্ত করে দিলো। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
এ প্রসঙ্গে আবূ হুরায়রা কর্তৃক বর্ণিত হাদীস مَنْ كَانَ يُؤمِنُ بِاللهِ الخ যিয়াফাত অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে।
بَابُ حِفْظِ اللِّسَانِ وَالْغِيبَةِ وَالشَّتَمِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُلُّ أُمَّتِي مُعَافًى إِلَّا الْمُجَاهِرُونَ وَإِنَّ مِنَ الْمَجَانَةِ أَنْ يَعْمَلَ الرَّجُلُ عَمَلًا بِاللَّيْلِ ثُمَّ يُصْبِحَ وَقَدْ سَتَرَهُ اللَّهُ. فَيَقُولَ: يَا فُلَانُ عَمِلْتُ الْبَارِحَةَ كَذَا وَكَذَا وَقَدْ بَاتَ يَسْتُرُهُ رَبُّهُ وَيُصْبِحُ يَكْشِفُ سِتْرَ اللَّهِ عَنْهُ . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ وَذكر فِي حَدِيث أبي هُرَيْرَة: «من كَانَ يُؤمن بِاللَّه» فِي «بَاب الضِّيَافَة»
ব্যাখ্যাঃ অনেক মানুষ এমন রয়েছে, যে রাতের অন্ধকারে গোপনে পাপ করে, তার এ পাপের কথা কেউ জানে না, আল্লাহ তা‘আলা তার পাপকে গোপন করে রাখেন, কিন্তু সে আল্লাহর সেই গোপনীয়তার পর্দা উন্মোচন করে দিয়ে দিনের বেলা নিজের গোপন পাপের কথা মানুষের কাছে প্রকাশ করে দেয়। আল্লাহ এ কাজে ভীষণ অসন্তুষ্ট হন এবং তিনি আর তাকে ক্ষমা করেন না। গোপনীয় পাপ প্রকাশ না করলে কোন না কোনভাবে তা মাফ হয়ে যায়। হয়তো সে নিজেই অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে তাওবাহ্ করে ক্ষমা প্রার্থনা করে, ফলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন, অথবা তিনি অন্য কোন নেক ‘আমল করেন যার কারণে তার ঐ গোপন পাপ মাফ হয়ে যায়। কিন্তু যখন সে তা মানুষের কাছে প্রকাশ করে দেয়ার ধৃষ্টতা দেখান তখন আল্লাহ তার ক্ষমার পথ বন্ধ করে দেন। কারণ এটা এক প্রকার অহংকার ও সীমালঙ্ঘন, আল্লাহ অহংকারী এবং সীমালঙ্ঘনকারীকে ভালোবাসেন না।
(মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৬০৬৯; শারহুন নাবাবী ১৮শ খন্ড, হাঃ ২৯৯০/৫২)