লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮২২-[১১] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রা (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কিয়ামতের দিন সবচেয়ে খারাপ লোক তাকে পাবে, যে দ্বিমুখী (কপট)। সে এক মুখ নিয়ে এদের কাছে যায় এবং অপর মুখ নিয়ে ওদের কাছে যায়। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ حِفْظِ اللِّسَانِ وَالْغِيبَةِ وَالشَّتَمِ
وَعَنْهُ: قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَجِدُونَ شَرَّ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ذَا الْوَجْهَيْنِ الَّذِي يَأْتِي هَؤُلَاءِ بوجهٍ وَهَؤُلَاء بوجهٍ» . مُتَّفق عَلَيْهِ
ব্যাখ্যাঃ দুই চেহারা বিশিষ্ট লোক হলো মুনাফিক। তারা একদলের কাছে বলে, আমরা তোমাদের সাথে; অন্যদের কাছে গিয়ে বলে, আমরা মূলত তোমাদের সাথে।
মুল্লা ‘আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ফাসাদ সৃষ্টি। এরা হলো মুনাফিক সদৃশ লোক। ‘আল্লামা নাবাবী বলেনঃ এরা প্রত্যেক দলের কাছে গিয়ে নিজেদেরকে তাদের দলের লোক বলে পরিচয় দেয় এবং তাদের হিতাকাঙ্ক্ষী হিসেবে প্রচার করে থাকে। মূলত তাদের এ সকল কার্যক্রম হলো নিরেট প্রতারণা এবং ধোঁকা, যা দুই দলের গোপন তথ্যাদি প্রকাশে উৎসাহিত করে এবং ঝগড়া বাধিয়ে দেয়। এটা সম্পূর্ণ হারাম। কিন্তু কেউ যদি ব্বিদমান দু’টি দলের মধ্যে সন্ধি স্থাপন কিংবা মীমাংসার নিয়্যাতে এরূপ কাজ করে থাকে তবে তা নিন্দনীয় এবং হারাম নয় বরং প্রশংসনীয়। মুনাফিকের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে, আল্লাহ বলেনঃ ‘‘নিশ্চয় মুনাফিকেরা জাহান্নামের নিম্নস্তরে থাকবে’’- (সূরাহ্ আন্ নিসা ৪ : ১৪৫)। হাদীসে এসেছে, কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকবে দ্বিমুখী লোক অর্থাৎ মুনাফিকগণ। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; শারহুন নাবাবী ১৬শ খন্ড, হাঃ [২৫২৬]-১৯৯; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০২৫)