লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - শুভ ও অশুভ লক্ষণ
৪৫৭৭-[২] উক্ত রাবী (হুরায়রা (রাঃ) হতে) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রোগের সংক্রমণ বলতে কিছুই নেই, কোন কিছুতে অশুভ নেই। প্যাঁচার মধ্যে কু-লক্ষণ নেই এবং সফর মাসেও কোন অশুভ নেই। তবে কুষ্ঠরোগী হতে পলায়ন করো, যেমন- তুমি বাঘ হতে পালিয়ে থাকো। (বুখারী)[1]
بَابُ الْفَأْلِ وَالطِّيَرَةِ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا عَدْوَى وَلَا طِيَرَةَ وَلَا هَامة وَلَا صقر وفر الْمَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنَ الْأَسَدِ» . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
ব্যাখ্যাঃ (لَا عَدْوٰى) ‘আল্লামা তূরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ العَدْوٰى বলা হয়, একজনের রোগ অন্যজনের দিকে অনুপ্রবেশ করাকে। ডাক্তারদেরও এ বিশ্বাস যে, সাত প্রকারের রোগ একজন থেকে অন্যজনের মাঝে অনুপ্রবেশ করে। তা হলো الْجُذَامُ (কুষ্ঠ রোগ), الْجَرَبُ (খুজলী), الْجُدَرِيُّ (মহামারী, বসন্ত), الْحَصْبَة (প্লেগ, মহামারী), الْبَخْرُ (জ্বর), الرَّمَد ( চোখ উঠা)। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
শেষাংশে বলা হয়েছে, (وفر من الْمَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنَ الْأَسَدِ) ‘‘আর তুমি পলায়ন কর কুষ্ঠ রোগ হতে, যেমন তুমি বাঘ হতে পলায়ন করে থাকওঃ’’।
অন্য এক বর্ণনায় মা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, لا عدوى إذا رايت المجذوم ففِرَّ مِنْ الْمَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنَ الْأَسَدِ ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলতে কিছু নেই তবে তুমি যখন কুষ্ঠরোগী দেখবে তখন তুমি পালায়ন কর, যেমন তুমি বাঘ হতে পলায়ন কর। সহীহ মুসলিমে এসেছে, সাক্বীফ গোত্রে এক কুষ্ঠ ব্যক্তি রোগী ছিল, তার কাছে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোক পাঠিয়ে বললেন, আমরা তোমার বায়‘আত নিয়েছি, সুতরাং তুমি ফিরে যাও। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুষ্ঠরোগীর সাথে বসে খেয়েছেন আর বলেছেন, আল্লাহর ওপর বিশ্বাস করছি এবং তার ওপরই ভরসা করছি। ‘উমার ও সাহাবীদের একদল কুষ্ঠরোগীর সাথে খাওয়া যায় এমন মত পোষণ করেছেন এবং তারা মনে করেন যে, কুষ্ঠরোগী থেকে দূরে থাকার নির্দেশ মানসূখ হয়ে গেছে। তবে সঠিক কথা হলো এটি রহিত হয়নি। বরং উচিত হলো উভয় হাদীসের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা। কুষ্ঠরোগী থেকে দূরে থাকার ও পলায়ন করার হাদীস হলো মুস্তাহাব ও সতর্কতামূলক। আর তার সাথে বসে খাওয়ার হাদীস হলো জায়িযের প্রমাণ।
আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ (لَا عَدْوٰى) কোন ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ নেই। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, فمن أعدى الأول ؟ অর্থাৎ তবে প্রথমজনকে কে রোগ অনুপ্রবেশ করাল? এখান থেকে বুঝা যাচ্ছে, সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ নেই তবে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী (وفر من الْمَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنَ الْأَسَدِ) থেকে বুঝা যাচ্ছে সংক্রামক রোগ আছে, এ দুই হাদীসের সমন্বয় করা হয়েছে কয়েকভাবে-
প্রথমটি হলো: একজনের রোগ অন্যজনের শরীরে অনুপ্রবেশ করাকে একেবারে নিষেধ করা হয়েছে। আর কুষ্ঠরোগী থেকে পলায়ন করার নির্দেশ সাধারণত কুষ্ঠরোগীর ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকার জন্য। কেননা একজন সুস্থ শরীর সম্পন্ন ব্যক্তি যখন এ বিপদ দেখে তখন সে এটাকে বড় করে দেখে এবং তার আফসোস বৃদ্ধি পায়। যেমন- হাদীসেও বর্ণিত হয়েছে, لا تديموا النظر إلى المجذومين তোমরা সর্বদা কুষ্ঠরোগীর দিকে নযর দিবে না। সম্ভবত এখানে এ অর্থই নেয়া হয়েছে।
দ্বিতীয়টি হলো: ভিন্ন দু’টি অবস্থার ক্ষেত্রে হ্যাঁ-বোধক ও না-বোধক সম্বোধন করা হয়েছে। যেমন- এসেছে (لَا عَدْوٰى)-এর দ্বারা ঐ ব্যক্তিকে বুঝানো হয়েছে যার দৃঢ় বিশ্বাস ও সঠিক তাওয়াক্কুল রয়েছে। যেমন- ব্যক্তি নিজ থেকে عَدْوٰى-এর বিশ্বাসকে প্রতিহত করতে পারে। যেমনিভাবে সে ঐ কুলক্ষণকে প্রতিহত করতে সক্ষম যা সকল মানুষের অন্তরে জাগ্রত হয়। তবে তার দৃঢ় বিশ্বাস তাতে প্রভাবিত হয় না। এটি তার স্বভাবগত প্রকৃতির শক্তির মতো যা ঐ সকল বিষয়কে প্রতিহত করে। সুতরাং তা বাতিল করেছে। আর এ দৃষ্টিকোণ থেকেই সম্ভবত জাবির -এর হাদীসটি ব্যবহৃত হয়েছে- তা হলো, একই পাত্রে কুষ্ঠরোগীর সাথে খাওয়া-দাওয়া করা এবং এ জাতীয় কাজ করা, আর হাদীসে বর্ণিত فِرَّ مِنْ الْمَجْذُومِ এটি মূলত দুর্বল ঈমানের অধিকারী ব্যক্তির জন্য। যার সেই পরিমাণ তাওয়াক্কুল নেই যা দিয়ে সে عَدْوٰى-এর বিশ্বাসকে প্রতিহত করতে পারে। অতএব এটি দিয়ে উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে عَدْوٰى-এর দরজাকে চিরতরে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যাতে করে হ্যাঁ-বোধকের জন্য সরাসরি কারণ হয়ে যায়।
তৃতীয়টি হলো: কর্মপদ্ধতি সমূহ- কাযী আবূ বকর বাক্বিল্লানী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ جذام তথা কুষ্ঠরোগের ক্ষেত্রে عَدْوٰى তথা একজনের রোগ অন্যজনের শরীরে অনুপ্রবেশ করা প্রমাণিত। যেমন- সাধারণভাবে عَدْوٰى-কে নিষেধ করা হতে খাস বা নির্দিষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বলেন, সুতরাং তার কথার অর্থ হলো (لَا عَدْوٰى) অর্থাৎ একজনের রোগ অন্যজনের শরীরে অনুপ্রবেশ করতে পারে না তবে কুষ্ঠরোগ, শ্বেতরোগ এবং পাঁচড়া রোগ ব্যতীত।
চতুর্থটি হলো: কুষ্ঠরোগী থেকে পলায়ন করার নির্দেশ عَدْوٰى-এর দৃষ্টিকোণ থেকে না বরং অভ্যাসগত দিক থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তা হলো রোগ এক শরীর থেকে অন্য শরীরে পোশাক, একত্রে মিলিত হওয়া এবং ঘ্রাণ নেয়া থেকে ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে অত্যধিক মিলিত হওয়ার ফলে অনেক রোগ অসুস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে সুস্থ ব্যক্তির শরীরে অনুপ্রবেশ করে। এটি ইবনু কুতায়বাহ্-এর পদ্ধতি। তিনি বলেন, কুষ্ঠরোগীর বেজায় গন্ধ থেকে যারা তার সাথে দীর্ঘ সময় উঠা-বসা করে, কথা-বার্তা বলে এবং তার সাথে ঘুমায় সে ব্যক্তিও আক্রান্ত হয়। অনুরূপভাবে পুরুষের থেকে অনেক মহিলা আক্রান্ত হয়, আবার এর বিপরীতও হয় এবং তার সন্তানও আক্রান্ত হয়। আর এ কারণেই ডাক্তারগণ مَجْذُومِ থেকে দূরে থাকতে বলেনঃ এটি عَدْوٰى-এর কারণে না বরং গন্ধ প্রভাব ফেলে যে কারণে। এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও বলেছেন لا يورد ممرض على مصح অসুস্থ ব্যক্তি কোন সুস্থ ব্যক্তির নিকট গমন করবে না।
পঞ্চমটি হলো: عَدْوٰى-কে নিষেধ করার উদ্দেশ্য হলো কোন জিনিস নিজের থেকে অন্যকে সংক্রামিত করতে পারে না, এ ক্ষমতা তার নেই। যেমনটি বিশ্বাস করত জাহিলী যুগের লোকেরা। তাদের বিশ্বাস ছিল, রোগ নিজ থেকে অন্যের দেহে অনুপ্রবেশ করার ক্ষমতা রাখে। তারা আল্লাহর সাথে রোগকে সম্পর্কিত করত না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সেই বিশ্বাস বাতিল ঘোষণা করেন। এ কারণে তিনি مَجْذُومِ তথা কুষ্ঠরোগীর সাথে বসে খেয়েছেন এটা দেখানোর জন্য যে আল্লাহই অসুস্থ করেন আবার তিনিই আরোগ্য দান করেন। তিনি কুষ্ঠরোগীর নিকটবর্তী হতে নিষেধ করেছেন তাদেরকে এটা বর্ণনা করার জন্য যে, এটা একটা উপকরণ, যা কারও ওপর প্রভাব খাটাতে পারে। নিষেধটা প্রমাণ করে যে, উপকরণ সত্য। আর তার করাটা প্রমাণ করে যে, তা সীমাবব্ধ নয়। আল্লাহ যাকে চান সুস্থ রাখেন আর যাকে চান তার ওপর উপকরণ প্রভাব ফেলে।
ইমাম শাফি‘ঈ (রহিমাহুল্লাহ)-এর কথা বর্ণনা করার পর ইমাম বায়হাক্বী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, কুষ্ঠরোগ ও ধবল রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকগণ বিশ্বাস করেন যে, এটি স্বামী-স্ত্রীকে বেশি সংক্রমিক করে (একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে অনুপ্রবেশ করে)।
এটা এমন রোগ যা সহবাস করতে বাধা দেয়। একজনের শরীরে এটা হলে সহবাসের কারণে অন্যজনের ও আক্রমণ করে। কোন স্ত্রী এ রোগে আক্রান্ত হলে তার সাথে সহবাস করলে তার স্বামীও আক্রান্ত হয়ে পড়ে। কোন পিতা-মাতা যদি কুষ্ঠ বা ধবল রোগে আক্রান্ত থাকে তবে তাদের সন্তানরা খুবই কম ভালো থাকে। যদিও তারা ভালো থাকে তবে তাদের বংশধরগণের মধ্যে কেউ আক্রান্ত হবে।
ইমাম বায়হাক্বী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (لَا عَدْوٰى) এটি ছিল মূলত জাহিলী যুগে তাদের বিশ্বাসের দৃষ্টিকোণ থেকে। তারা কাজটাকে গায়রুল্লার দিকে সম্পৃক্ত করত। অথচ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে অসুস্থ ব্যক্তির সাথে মিলিত হওয়ার কারণে আক্রান্ত করেন। এ কারণেই হাদীসে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ فر من المجذوم فرارك من الأسد لا يورد ممرض على مصح । প্লেগ (মহামারির) ক্ষেত্রে এসেছে, من سمع به بأرض فلا يقدم عليه যে ব্যক্তি কোন স্থানে ঐ রোগের খবর পাবে যে, তারা তাতে আক্রান্ত সেভাবে গমন করবে না। আর এসবই আল্লাহর নির্ধারিত তাকদীর অনুযায়ী। দুই হাদীসের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য ইবনুস্ সলাহ-ও এই মতের অনুসরণ করেছেন। আর তার পরবর্তীগণ ও তার পূর্বের এক দলও। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৭০৭)
وَلَا هَامَةَ এটি এক প্রকার পাখি যাকে মানুষ অশুভ মনে করে। এটি একটি বড় পাখি। দিনের বেলায় তার চোখ দুর্বল থাকে। এ পাখি রাতের বেলায় উড়ে বেড়ায় এবং ভালো দেখে। ধ্বংস স্তুপে এ পাখি থাকে। তাকে পেঁচা বা পেচকও বলা হয়।
জাহিলী যুগে ‘আরবদের এ বিশ্বাস ছিল যে, মৃতের হাড্ডি পঁচে গলে তা থেকে هَامَةَ বা প্যাঁচার জন্ম হত। আর সে তখন কবর থেকে বেরিয়ে পড়ত এবং ঘোরাঘুরি করত। আর পরিবারের খবর নেয়ার জন্য আসত। এও বলা হয়, জাহিলী যুগে এটিও বিশ্বাস ছিল যে, নিহত ব্যক্তির আত্মা থেকে هَامَةَ বা একটি পাখি জন্ম নেয়, যে বলতে থাকে, আমাকে পানি পান করাও, আমাকে পানি পান করাও। আর যখন তার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ করা হয়, তখন সে উড়ে যায়। ফলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিশ্বাসকে বাতিল ঘোষণা করেছেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর সুনানে বর্ণিত, বাকিয়্যাহ্ বলেনঃ আমি মুহাম্মাদ ইবনু রশীদ-কে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর রসূলের কথা لَا هَامَةَ সম্পর্কে। অতঃপর তিনি বলেন, জাহিলী যুগে তাঁরা বলত, কোন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করার পর তাকে দাফন করা হলে তার কবর থেকে একটি هَامَةَ বা প্যাঁচা বের হয়।
‘আরবরা এটাকে অশুভ বলেনঃ জাহিলী যুগে এটি কারো আঙ্গিনায় পতিত হলে সে ব্যক্তি তার নিজের অথবা পরিবারের কারো মৃত্যু সংবাদ মনে করত। এটি হলো মালিক ইবনু আনাস (রহিমাহুল্লাহ)-এর তাফসীর। আর তাদের দ্বিতীয় কথা হলো ‘আরবরা এটাকে মৃত্যুর হাড় মনে করত। বলা হতো যে, তার আত্মা বের হলে প্যাঁচা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর এটিই হলো অধিকাংশ ‘উলামার মত এবং এটিই প্রসিদ্ধ মত। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
وَلَا صَفَرَ ব্যাখ্যাকার বলেনঃ জাহিলী যুগে ‘আরবদের ‘আক্বীদাহ্ ছিল এই যে, এটি হলো পেটের একটি সাপ অথবা কীট যা ক্ষুধার সময় মানুষকে দংশন করতে থাকে।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর সুনান গ্রন্থে বলেন, বাক্বিয়্যাহ্ বলেনঃ আমি মুহাম্মাদ ইবনু রশীদকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সফর মাস আগমনকে তারা (জাহিলী যুগের ‘আরবরা) কুলক্ষণ মনে করত। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, لَا صَفَرَ। তিনি বলেন, আমি কাউকে বলতে শুনেছি যে, এটি হলো পেটের ব্যথা, যেটাকে তারা অন্যের শরীরে অনুপ্রবেশ করে বলে বিশ্বাস করত।
ইমাম আবূ দাঊদ এবং ইমাম মালিক (রহিমাহুমাল্লাহ) বলেনঃ জাহিলী যুগে তারা যুদ্ধ-বিগ্রহের জন্য সফর মাসকে হালাল করত আবার হারামও করত। সেজন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, لَا صَفَرَ।
ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ বলা হয়ে থাকে যে, ‘আরবদের বিশ্বাস ছিল পেটের ভিতর এক ধরনের প্রাণী হত, ফলে ক্ষুধার সময় দারুণ যন্ত্রণা করত, এমনকি ঐ ব্যক্তিকে মেরে ফেলত। আর তাদের বিশ্বাস ছিল এই যে, পাঁচড়া থেকে সংক্রামক ছড়িয়ে পড়ে। এ তাফসীরটি সহীহ।
কাযী ‘ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ لَا صَفَرَ বলতে তাদের ভুল ধারণাসমূহ যেমন এ মাসে বেশি বেশি বিপর্যয় ও বিপদ হয়, সম্ভবত তা খন্ডন করা হয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)