লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম
৪১২৩-[২০] আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঘিয়ের মধ্যে ইঁদুর পড়ে গেলে, যদি তা জমাট হয়, তখন ইঁদুর ও তার আশেপাশের ঘি ফেলে দাও। আর যদি তা তরল হয়, তখন তার কাছেও যেও না। (আহমাদ ও আবূ দাঊদ)[1]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا وَقَعَتِ الْفَأْرَةُ فِي السَّمْنِ فَإِنْ كَانَ جَامِدًا فَأَلْقُوهَا وَمَا حَوْلَهَا وَإِنْ كَانَ مَائِعًا فَلَا تَقْرَبُوهُ» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ ইবনুল ‘আরাবী (রহিমাহুল্লাহ) অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, এটা জমাটবাঁধা ঘি ছিল। তিনি বলেন, যদি এটা তরল জাতীয় হত, তবে শুধু পতিত ইঁদুরের চতুর পাশ থেকে ফেলে দিলে হবে না। কেননা জীবিত ইঁদুর তার ইচ্ছামত পাত্রের চতুর্দিকে ঘুরতে পারে কাজেই তখন তার চতুস্পার্শ্বে সমস্ত ঘি ফেলে দিতে হবে।
আলোচ্য হাদীস থেকে ইবনুল ‘আরাবী (রহিমাহুল্লাহ) দলীল গ্রহণ করেছেন যে, পানি জাতীয় খাদ্যে নাপাকি পড়লে তা পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত নাপাক হবে না। ইমাম বুখারী (রহিমাহুল্লাহ) এ মতকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। মালিকী মাযহাবের ইবনু নাফি‘ (রহিমাহুল্লাহ)-এর মত এটাই। ইমাম আহমাদ (রহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত রয়েছে...... ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে ঘিতে ইঁদুর পরে মারা যাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো, তিনি বললেন, ইঁদুর ও তার চারপাশ থেকে ঘি ফেলে দিতে হবে। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, এর প্রভাব সমস্ত ঘিতে পড়েনি? তিনি বললেন, যদি ইঁদুর জীবিত থাকত তবে এটা হত, এটাকে যেখানে পেয়েছ সেখানেই মারা গেছে। এ হাদীসের রাবীগণ শক্তিশালী। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৮৩৭)