৪১২২

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১২২-[১৯] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রা (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একদিন কোন একজন নবীকে একটি পিপীলিকা দংশন করেছিল। ফলে তাঁর নির্দেশে পিপীলিকার গোটা বস্তিটাই আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হলো। তখন আল্লাহ তা’আলা তাঁকে ওয়াহীর মাধ্যমে (প্রশ্নের সুরে) বললেনঃ মাত্র একটি পিপীলিকাই তোমাকে দংশন করেছিল, আর তুমি তাদের এমন একটি সম্প্রদায়কে জ্বালিয়ে দিলে অথচ এরা সর্বক্ষণ আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছিল। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ مَا يَحِلُّ أَكْلُهُ وَمَا يَحْرُمُ

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَرَصَتْ نَمْلَةٌ نَبِيًّا من الأنبياءِ فأمرَ بقربةِ النَّمْلِ فَأُحْرِقَتْ فَأَوْحَى اللَّهُ تَعَالَى إِلَيْهِ: أَنْ قَرَصَتْكَ نَمْلَةٌ أَحْرَقْتَ أُمَّةً مِنَ الْأُمَمِ تُسَبِّحُ؟

وعنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: قرصت نملة نبيا من الانبياء فامر بقربة النمل فاحرقت فاوحى الله تعالى اليه: ان قرصتك نملة احرقت امة من الامم تسبح؟

ব্যাখ্যাঃ ‘আল্লামা নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ অত্র হাদীস এটাই প্রমাণ করে যে, উক্ত নবীর শারী‘আতে পিপীলিকা হত্যা এবং আগুনে পুড়িয়ে শাস্তি দেয়া বৈধ ছিল। কারণ আলোচ্য হাদীসে হত্যা এবং পুড়িয়ে মারার ব্যাপারে কোন অভিযোগ নেই, বরং এক পিপীলিকার অপরাধে একাধিক পিপীলিকার শাস্তি প্রদানের অভিযোগ করা হয়েছে। অন্যদিকে শর্তসাপেক্ষে ক্বিসাস বা প্রতিশোধ ছাড়া কোন প্রাণী আগুনে জ্বালানো আমাদের শারী‘আতে বৈধ নয়।

আর পিপীলিকা (কারণ ছাড়া) হত্যাও বৈধ নয়। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিপীলিকা ও মৌমাছি মারতে নিষেধ করেছেন। (ফাতহুল বারী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩০১৯)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২০: শিকার ও যাবাহ প্রসঙ্গে (كتاب الصيد والذبائح)