লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১. কি জিনিসের মধ্যে শুফ’আ চলে
রেওয়ায়ত ৩. মালিক (রহঃ) বলেনঃ সুলায়মান ইবন ইয়াসার (রহঃ) হইতেও এইরূপ বর্ণিত আছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি কয়েকজন একযোগে মালিক এমন কোন জমির এক অংশ কোন জন্তু অথবা গোলামের পরিবর্তে কিংবা এই ধরনের কোন মালের (যেমন জিনিসপত্র) পরিবর্তে খরিদ করে, অতঃপর শরীকদার নিজ শুফ’আ নেওয়ার জন্য আসে কিন্তু এই সময়ে ঐ গোলাম অথবা দাসী মারা গিয়া থাকে এবং তাহাদের মূল্য কত ছিল কেহ জানে না। কিন্তু খরিদ্দার বলে যে, তাহার মূল্য একশত দীনার ছিল এবং শুফ’আ দাবিদার পঞ্চাশ দীনার বলে, তবে খরিদ্দার হইতে এই ব্যাপারে কসম (শপথ) গ্রহণ করা হইবে যে, উহার মূল্য একশত দীনার ছিল। তাহার পর শুফ’আ দাবিদারের ইচ্ছা হইলে উহা গ্রহণও করিতে পারে অথবা দাবি ছাড়িয়াও দিতে পারবে। কিন্তু যদি শুফআর দাবিদার তাহার দাবির সপক্ষে প্রমাণ করে যে, উক্ত দাস দাসীর মূল্য খরিদ্দার যাহা বলে তাহা হইতে কম ছিল, তবে তাহার কথা মানিতে হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কেহ একযোগে কয়েক ব্যক্তি মালিক এমন ঘর অথবা জমির নিজ অংশ দান করিয়া দেয় কিন্তু যাহাকে দান করা হইয়াছে সে দানকারীকে তাহার মূল্য দিয়া দেয়, তবে শুফআর দাবি করার অধিকার শরীকদারদের থাকিবে এবং গ্রহীতাকে টাকা-পয়সা ফেরত দিয়া তাহা লইবার ইখতিয়ার শরীকদারদের থাকিবে, দীনার অথবা দিরহাম যাহা দিয়া হউক মূল্য শোধ করিবে।
মালিক (রহঃ) বলেন যে, যদি কেহ তাহার সঙ্গে অন্যেরাও মালিক এমন ঘর অথবা জমি হেবা (দান) করে এবং এখনও কোন বিনিময় গ্রহণ করে নাই এবং বিনিময় তলবও করে নাই, এমন সময় শরীকদার যদি চাহে যে, উহার বিনিময় দিয়া দখল করিবে তবে উহার বিনিময় প্রদান না করিয়া দখল করা জায়েয হইবে না। যদি বিনিময় দিয়া দেয় তবে উহা শুফ’আ দাবিকারীর জন্য বৈধ হইবে এই শর্তে যে, পূর্ণ মূল্য সে দিয়া দিবে ও দখল লইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে কেহ যদি শরীকী জমির এক ভাগ বাকী খরিদ করে, অতঃপর শরীকদারদের কেহ যদি শুফআর দাবি করে যদি সে ধনী হয় তবে ঐ মূল্যেই এবং ঐ ওয়াদা অনুযায়ী নিবে, আর যদি দরিদ্র হয় যে, ঐ মূল্য ওয়াদা অনুযায়ী দিতে পারিবে না তবে কোন একজন নির্ভরযোগ্য মানুষ, যে খরিদ্দারের সমতুল্য, জামিন হইলে লইতে পারিবে।
মালিক (রহঃ) বলেন যে, শুফ’আর দাবিদার যদি জমির বেচাকেনার সময় অনুপস্থিত থাকে তবে তাহার শুফ’আর অধিকার বাতিল হইবে না, যদিও সে অনেক দিন গায়েব থাকে। আর গায়েব থাকার কোন সীমা আমাদের নিকট নাই যে, এতদিন গায়েব থাকিলে শুফ’আর অধিকার থাকিবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তির কয়েকজন সন্তান কোন জমির ওয়ারিসসূত্রে মালিক হইল, তাহার পর তাহাদের কাহারও সন্তান জন্ম হওয়ার পর সে মারা গেল এবং তাহার এক সন্তান মৃত পিতার প্রাপ্য অংশ বিক্রয় করিতে চাহে, তবে বিক্রেতার ভাই তাহার চাচার চাইতে শুফ’আর অধিকার বেশি রাখে। মালিক (রহঃ) বলেন যে, আমাদের নিকটও হুকুম অনুরূপ।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি শুফআর শরীকদারদের মধ্যে কয়েকজন দাবি করে তবে বিক্রীত সম্পদ হইতে প্রত্যেকে হিস্যা অনুযায়ী লইবে। যদি কম হয় কমই নেবে আর বেশি হইলে বেশিই নেবে। ইহা তখনই করিবে যখন তাহাদের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে, অথবা একজন তাহার সঙ্গীর নিকট হইতে তাহার হিস্যা খরিদ করিয়া কোন শরীকদারকে বলিবে যে, আমি আমার হিস্যা পরিমাণ শুফ’আ লইব। অতঃপর খরিদ্দার বলিবে যে, তুমি যদি চাহ তবে সবটুকুরই শুফ’আ লইয়া যাও, আমি তোমাকে সবই দিয়া দিতেছি। কিংবা শুফআর দাবিও পরিহার কর। এই অবস্থায় শুক’আর দাবিদারের উচিত পূর্ণ হিস্যা খরিদ্দার হইতে খরিদ করিয়া লওয়া অথবা শুফ’আর দাবি পরিত্যাগ করা। যদি পূর্ণ নিতে চায় তবে সে বেশি হকদার, অন্যথায় সে হকদার হইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি কিছু জমি খরিদ করিল, অতঃপর উহা আবাদ করিল ও উহাতে ঘর নির্মাণ করিল অথবা কূপ খনন করিল। তাহার পর এক ব্যক্তি আসিয়া হক দাবি করিল এবং শুফআর মাধ্যমে উহা নেওয়ার ইচ্ছা করিল, তবে তাহার শুফ’আ দাবির কোন অধিকার নাই যতক্ষণ বানানো ঘর অথবা কূপ খননের মূল্য আদায় না করে। যদি উহার মূল্য আদায় করিয়া দেয় তবে তাহার শুফআর দাবি গ্রাহ্য হইবে। অন্যথায় তাহার কোন শুফ’আর দাবি চলিবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি শরীকের ঘর অথবা জমি বিক্রয় করিয়া জানিতে পারিল যে, শুফআর দাবিদার শুফ’আ দাবি করবে। তাই ক্রেতা মূল্যের ব্যাপারে মিথ্যার আশ্রয় লইতে চাহিল এবং বিক্রেতাও তাহাই করিল। তাহাতে শুফ’আর দাবিদারের শুফ’আ নষ্ট হইবে না। এই ব্যাপারে শুফ’আর দাবিদারই শুফআর অধিকারী, যে মূল্যে বিক্রয় করিয়াছে তাহা আদায় করার পর।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কেহ শরীকী ঘর অথবা জমির এক অংশ ও ১টি জন্তু এবং কিছু জিনিসপত্র একই বৈঠকে আফদে (দাম) খরিদ করে, অতঃপর শুফ’আ দাবিকারীর শুফ’আ দাবি করে, শুধু ঘরে অথবা জমিতে, কিন্তু খরিদ্দার বলে যে, আমি যাহা খরিদ করিয়াছি সকলই নিয়া যাও, কারণ আমি সবই খরিদ করিয়াছি। তখন শুফআর দাবিদার জমি ও ঘরেরই শুফ’আ লইবে, তাহার হিস্যা যতদূর আসে। তখন ঐ পূর্বের মূল্যের হিসাবে প্রত্যেকটি জিনিসের মূল্য ধরিতে হইবে পৃথকভাবে। অতঃপর শুফ’আ লইয়া যাইবে ঐ খরিদকৃত আসল দামের হিসাবে, যাহা হয় তাহা দিয়া। জন্তু ও জিনিসপত্র কোনটাই নেবে না, কিন্তু সে যদি ইচ্ছা করিয়া সবগুলি লইয়া যায় তবে উহাও জায়েয।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ শরীকী জমির এক অংশ কেহ বিক্রয় করিল, অতঃপর যাহাদের শুফ’আর অধিকার আছে তাহদের কেহ খরিদ্দারের পক্ষে দাবি প্রত্যাখ্যান করিল কিন্তু তাহাদের আর কেহ তাহা দাবি করিয়া বসিল, এই অবস্থায় খরিদ্দারের পূর্ণ অংশ তাহার নিতে হইবে। ইহা হইবে না যে, সে তাহার ভাগের অংশই নিবে এবং বাকী অংশ ছাড়িয়া দিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি অনেকেই মালিক এমন একটি ঘরের কোন এক শরীক তাহার অংশ বিক্রয় করিল। একজন শরীকদার ছাড়া আর সকলেই অনুপস্থিত। অতঃপর সেই উপস্থিত শরীকদারকে এই মর্মে জিজ্ঞাসা করা হইবে যে, শুফ’আর দাবিতে আপনি ইহা লইয়া যান অথবা ছাড়িয়া দেন; সে বলিল, আমি আমার অংশ নিতেছি, এবং শরীকদারদের অংশ ছাড়িয়া দিতেছি, তাহারা হাযির হওয়ার পর যদি তাহাদের অংশ তাহারা নেয় তবে তো ভাল, না হয় আমি সবটুকু লইব। এই পন্থা জায়েয নহে, হয়ত সে পূর্ণ হিস্যা নেবে, না হয় পূর্ণ দাবি ছাড়িয়া দেবে। অতঃপর যদি অন্যান্য শরীকদার আসে তবে তাহার নিকট হইতে তাহারা অংশ লইবে অথবা ছাড়িয়া দেবে। আর উক্ত ব্যক্তি যদি তাহা গ্রহণই না করে তবে তাহার আর শুফ’আরর অধিকার থাকিবে না।
بَاب مَا تَقَعُ فِيهِ الشُّفْعَةُ
وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ مِثْلُ ذَلِكَ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ اشْتَرَى شِقْصًا مَعَ قَوْمٍ فِي أَرْضٍ بِحَيَوَانٍ عَبْدٍ أَوْ وَلِيدَةٍ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْعُرُوضِ فَجَاءَ الشَّرِيكُ يَأْخُذُ بِشُفْعَتِهِ بَعْدَ ذَلِكَ فَوَجَدَ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ قَدْ هَلَكَا وَلَمْ يَعْلَمْ أَحَدٌ قَدْرَ قِيمَتِهِمَا فَيَقُولُ الْمُشْتَرِي قِيمَةُ الْعَبْدِ أَوْ الْوَلِيدَةِ مِائَةُ دِينَارٍ وَيَقُولُ صَاحِبُ الشُّفْعَةِ الشَّرِيكُ بَلْ قِيمَتُهَا خَمْسُونَ دِينَارًا قَالَ مَالِك يَحْلِفُ الْمُشْتَرِي أَنَّ قِيمَةَ مَا اشْتَرَى بِهِ مِائَةُ دِينَارٍ ثُمَّ إِنْ شَاءَ أَنْ يَأْخُذَ صَاحِبُ الشُّفْعَةِ أَخَذَ أَوْ يَتْرُكَ إِلَّا أَنْ يَأْتِيَ الشَّفِيعُ بِبَيِّنَةٍ أَنَّ قِيمَةَ الْعَبْدِ أَوْ الْوَلِيدَةِ دُونَ مَا قَالَ الْمُشْتَرِي قَالَ مَالِك مَنْ وَهَبَ شِقْصًا فِي دَارٍ أَوْ أَرْضٍ مُشْتَرَكَةٍ فَأَثَابَهُ الْمَوْهُوبُ لَهُ بِهَا نَقْدًا أَوْ عَرْضًا فَإِنَّ الشُّرَكَاءَ يَأْخُذُونَهَا بِالشُّفْعَةِ إِنْ شَاءُوا وَيَدْفَعُونَ إِلَى الْمَوْهُوبِ لَهُ قِيمَةَ مَثُوبَتِهِ دَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ قَالَ مَالِك مَنْ وَهَبَ هِبَةً فِي دَارٍ أَوْ أَرْضٍ مُشْتَرَكَةٍ فَلَمْ يُثَبْ مِنْهَا وَلَمْ يَطْلُبْهَا فَأَرَادَ شَرِيكُهُ أَنْ يَأْخُذَهَا بِقِيمَتِهَا فَلَيْسَ ذَلِكَ لَهُ مَا لَمْ يُثَبْ عَلَيْهَا فَإِنْ أُثِيبَ فَهُوَ لِلشَّفِيعِ بِقِيمَةِ الثَّوَابِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ اشْتَرَى شِقْصًا فِي أَرْضٍ مُشْتَرَكَةٍ بِثَمَنٍ إِلَى أَجَلٍ فَأَرَادَ الشَّرِيكُ أَنْ يَأْخُذَهَا بِالشُّفْعَةِ قَالَ مَالِك إِنْ كَانَ مَلِيًّا فَلَهُ الشُّفْعَةُ بِذَلِكَ الثَّمَنِ إِلَى ذَلِكَ الْأَجَلِ وَإِنْ كَانَ مَخُوفًا أَنْ لَا يُؤَدِّيَ الثَّمَنَ إِلَى ذَلِكَ الْأَجَلِ فَإِذَا جَاءَهُمْ بِحَمِيلٍ مَلِيٍّ ثِقَةٍ مِثْلِ الَّذِي اشْتَرَى مِنْهُ الشِّقْصَ فِي الْأَرْضِ الْمُشْتَرَكَةِ فَذَلِكَ لَهُ قَالَ مَالِك لَا تَقْطَعُ شُفْعَةَ الْغَائِبِ غَيْبَتُهُ وَإِنْ طَالَتْ غَيْبَتُهُ وَلَيْسَ لِذَلِكَ عِنْدَنَا حَدٌّ تُقْطَعُ إِلَيْهِ الشُّفْعَةُ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُوَرِّثُ الْأَرْضَ نَفَرًا مِنْ وَلَدِهِ ثُمَّ يُولَدُ لِأَحَدِ النَّفَرِ ثُمَّ يَهْلِكُ الْأَبُ فَيَبِيعُ أَحَدُ وَلَدِ الْمَيِّتِ حَقَّهُ فِي تِلْكَ الْأَرْضِ فَإِنَّ أَخَا الْبَائِعِ أَحَقُّ بِشُفْعَتِهِ مِنْ عُمُومَتِهِ شُرَكَاءِ أَبِيهِ قَالَ مَالِك وَهَذَا الْأَمْرُ عِنْدَنَا قَالَ مَالِك الشُّفْعَةُ بَيْنَ الشُّرَكَاءِ عَلَى قَدْرِ حِصَصِهِمْ يَأْخُذُ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ بِقَدْرِ نَصِيبِهِ إِنْ كَانَ قَلِيلًا فَقَلِيلًا وَإِنْ كَانَ كَثِيرًا فَبِقَدْرِهِ وَذَلِكَ إِنْ تَشَاحُّوا فِيهَا قَالَ مَالِك فَأَمَّا أَنْ يَشْتَرِيَ رَجُلٌ مِنْ رَجُلٍ مِنْ شُرَكَائِهِ حَقَّهُ فَيَقُولُ أَحَدُ الشُّرَكَاءِ أَنَا آخُذُ مِنْ الشُّفْعَةِ بِقَدْرِ حِصَّتِي وَيَقُولُ الْمُشْتَرِي إِنْ شِئْتَ أَنْ تَأْخُذَ الشُّفْعَةَ كُلَّهَا أَسْلَمْتُهَا إِلَيْكَ وَإِنْ شِئْتَ أَنْ تَدَعَ فَدَعْ فَإِنَّ الْمُشْتَرِيَ إِذَا خَيَّرَهُ فِي هَذَا وَأَسْلَمَهُ إِلَيْهِ فَلَيْسَ لِلشَّفِيعِ إِلَّا أَنْ يَأْخُذَ الشُّفْعَةَ كُلَّهَا أَوْ يُسْلِمَهَا إِلَيْهِ فَإِنْ أَخَذَهَا فَهُوَ أَحَقُّ بِهَا وَإِلَّا فَلَا شَيْءَ لَهُ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي الْأَرْضَ فَيَعْمُرُهَا بِالْأَصْلِ يَضَعُهُ فِيهَا أَوْ الْبِئْرِ يَحْفِرُهَا ثُمَّ يَأْتِي رَجُلٌ فَيُدْرِكُ فِيهَا حَقًّا فَيُرِيدُ أَنْ يَأْخُذَهَا بِالشُّفْعَةِ إِنَّهُ لَا شُفْعَةَ لَهُ فِيهَا إِلَّا أَنْ يُعْطِيَهُ قِيمَةَ مَا عَمَرَ فَإِنْ أَعْطَاهُ قِيمَةَ مَا عَمَرَ كَانَ أَحَقَّ بِالشُّفْعَةِ وَإِلَّا فَلَا حَقَّ لَهُ فِيهَا قَالَ مَالِك مَنْ بَاعَ حِصَّتَهُ مِنْ أَرْضٍ أَوْ دَارٍ مُشْتَرَكَةٍ فَلَمَّا عَلِمَ أَنَّ صَاحِبَ الشُّفْعَةِ يَأْخُذُ بِالشُّفْعَةِ اسْتَقَالَ الْمُشْتَرِيَ فَأَقَالَهُ قَالَ لَيْسَ ذَلِكَ لَهُ وَالشَّفِيعُ أَحَقُّ بِهَا بِالثَّمَنِ الَّذِي كَانَ بَاعَهَا بِهِ قَالَ مَالِك مَنْ اشْتَرَى شِقْصًا فِي دَارٍ أَوْ أَرْضٍ وَحَيَوَانًا وَعُرُوضًا فِي صَفْقَةٍ وَاحِدَةٍ فَطَلَبَ الشَّفِيعُ شُفْعَتَهُ فِي الدَّارِ أَوْ الْأَرْضِ فَقَالَ الْمُشْتَرِي خُذْ مَا اشْتَرَيْتُ جَمِيعًا فَإِنِّي إِنَّمَا اشْتَرَيْتُهُ جَمِيعًا قَالَ مَالِك بَلْ يَأْخُذُ الشَّفِيعُ شُفْعَتَهُ فِي الدَّارِ أَوْ الْأَرْضِ بِحِصَّتِهَا مِنْ ذَلِكَ الثَّمَنِ يُقَامُ كُلُّ شَيْءٍ اشْتَرَاهُ مِنْ ذَلِكَ عَلَى حِدَتِهِ عَلَى الثَّمَنِ الَّذِي اشْتَرَاهُ بِهِ ثُمَّ يَأْخُذُ الشَّفِيعُ شُفْعَتَهُ بِالَّذِي يُصِيبُهَا مِنْ الْقِيمَةِ مِنْ رَأْسِ الثَّمَنِ وَلَا يَأْخُذُ مِنْ الْحَيَوَانِ وَالْعُرُوضِ شَيْئًا إِلَّا أَنْ يَشَاءَ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَمَنْ بَاعَ شِقْصًا مِنْ أَرْضٍ مُشْتَرَكَةٍ فَسَلَّمَ بَعْضُ مَنْ لَهُ فِيهَا الشُّفْعَةُ لِلْبَائِعِ وَأَبَى بَعْضُهُمْ إِلَّا أَنْ يَأْخُذَ بِشُفْعَتِهِ إِنَّ مَنْ أَبَى أَنْ يُسَلِّمَ يَأْخُذُ بِالشُّفْعَةِ كُلِّهَا وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَأْخُذَ بِقَدْرِ حَقِّهِ وَيَتْرُكَ مَا بَقِيَ قَالَ مَالِك فِي نَفَرٍ شُرَكَاءَ فِي دَارٍ وَاحِدَةٍ فَبَاعَ أَحَدُهُمْ حِصَّتَهُ وَشُرَكَاؤُهُ غُيَّبٌ كُلُّهُمْ إِلَّا رَجُلًا فَعُرِضَ عَلَى الْحَاضِرِ أَنْ يَأْخُذَ بِالشُّفْعَةِ أَوْ يَتْرُكَ فَقَالَ أَنَا آخُذُ بِحِصَّتِي وَأَتْرُكُ حِصَصَ شُرَكَائِي حَتَّى يَقْدَمُوا فَإِنْ أَخَذُوا فَذَلِكَ وَإِنْ تَرَكُوا أَخَذْتُ جَمِيعَ الشُّفْعَةِ قَالَ مَالِك لَيْسَ لَهُ إِلَّا أَنْ يَأْخُذَ ذَلِكَ كُلَّهُ أَوْ يَتْرُكَ فَإِنْ جَاءَ شُرَكَاؤُهُ أَخَذُوا مِنْهُ أَوْ تَرَكُوا إِنْ شَاءُوا فَإِذَا عُرِضَ هَذَا عَلَيْهِ فَلَمْ يَقْبَلْهُ فَلَا أَرَى لَهُ شُفْعَةً
Malik related to me that he heard the like of that from Sulayman ibn Yasar.
Malik spoke about a man who bought out one of the partners in a shared property, by paying the man with an animal, a slave, a slave-girl, or the equivalent of that in goods. Then another partner decided to exercise his right of pre-emption after that, and he found that the slave or slave-girl had died, and no one knew what her value had been. The buyer claimed, "The value of the slave or slave-girl was 100 dinars." The partner with the right of pre-emption claimed, "The value was 50 dinars."
Malik said, "The buyer takes an oath that the value of what he payed was 100 dinars. Then if the one with the right of pre-emption wishes, he can compensate him, or else he can leave it, unless he can bring a clear proof that the slave or slave-girl's value is less than what the buyer said. If someone gives away his portion of a shared house or land and the recipient repays him for it by cash or goods, the partners can take it by pre-emption if they wish and pay off the recipient the value of what he gave in dinars or dirhams. If someone makes a gift of his portion of a shared house or land, and does not take any remuneration and does not seek to, and a partner wants to take it for its value, he cannot do so as long as the original partner has not been given recompense for it. If there is any recompense, the one with the right of pre-emption can have it for the price of the recompense."
Malik spoke about a man who bought into a piece of shared land for a price on credit, and one of the partners wanted to possess it by right of pre-emption . Malik said, "If it seems likely that the partner can meet the terms, he has right of pre-emption for the same credit terms. If it is feared that he will not be able to meet the terms, but he can bring a wealthy and reliable guarantor of equal standing to the one who bought into the land, he can also take possession."
Malik said, "A person's absence does not sever his right of pre-emption. Even if he is a way for a long time, there is no time limit after which the right of preemption is cut off."
Malik said that if a man left land to a number of his children, then one of them who had a child died and the child of the deceased sold his right in that land, the brother of the seller was more entitled to pre-empt him than his paternal uncles, the partners of his father.
Malik said, "This is what is done in our community."
Malik said, "Pre- emption is shared between partners according to their existing shares. Each of them takes according to his portion. If it is small, he has little. If it is great, it is according to that. That is if they are tenacious and contend with each other about it."
Malik said, "As for a man who buys out the share of one of his partners, and one of the other partners says, 'I will take a portion according to my share,' and the first partner says, 'If you wish to take all the preemption, I will give it up to you. If you wish to leave it, then leave it.' If the first partner gives him the choice and hands it over to him, the second partner can only take all the pre-emption or give it back. If he takes it, he is entitled to it. If not, he has nothing."
Malik spoke about a man who bought land, and developed it by planting trees or digging a well etc., and then someone came, and seeing that he had a right in the land, wanted to take possession of it by pre-emption. Malik said "He has no right of preemption unless he compensates the other for his expenditure. If he gives him the price of what he has developed, he is entitled to pre- emption . If not, he has no right in it."
Malik said that someone who sold off his portion of a shared house or land and then, on learning that some one with a right of pre-emption was to take possession by that right, asked the buyer to revoke the sale, and he did so, did not have the right to do that. The pre-emptor has more right to the property for the price for which he sold it.
In the case of some one who bought along with a section of a shared house or land, an animal and goods (that were not shared), so that when any one demanded his right of pre-emption in the house or land he said, "Take what I have bought altogether, for I bought it altogether," Malik said, "The pre-emptor need only take possession of the house or land. Each thing the man bought is assessed according to its share of the lump sum the man paid. Then the pre-emptor takes possession of his right for a price which is appropriate on that basis. He does not take any animals or goods unless he wants to do that."
Malik said, "If someone sells a section of shared land, and one of those who have the right of preemption surrenders it to the buyer and another refuses to do other than take his pre-emption, the one who refuses to surrender has to take all the preemption, and he cannot take according to his right and leave what remains.
In the case where one of a number of partners in one house sold his share when all his partners were away except for one man, the one present was given the choice of either taking the pre-emption or leaving it, and he said, 'I will take my portion and leave the portions of my partners until they are present. If they take it, that is that. If they leave it, I will take all the pre-emption,' Malik said, 'He can only take it all or leave it. If his partners come, they can take from him or leave it as they wish. If this is offered to him and he does not accept, I think that he has no pre-emption.'