৪০৬০

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ফাই (বিনাযুদ্ধে প্রাপ্ত শত্রুদের সম্পদ)-এর বর্ণনা

৪০৬০-[৬] মালিক ইবনু আওস ইবনুল হাদাসান হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন ’উমার ইবনুল খত্ত্বাব (রাঃ) ’ফাই’ সম্পর্কে আলোচনাকালে বললেনঃ এ ’ফাই’-এর মধ্যে আমার অধিকার তোমাদের চেয়ে বেশি নয় এবং তোমাদের কেউই অন্য কারো চেয়ে বেশি হকদার নয়। তবে আমরা সকলেই আল্লাহর কিতাব ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বণ্টন নিয়ম-নীতি অনুযায়ী আমাদের স্ব-স্ব মর্যাদায় পার্থক্য রয়েছে। সুতরাং কোনো ব্যক্তি (ইসলাম গ্রহণ আগে হওয়ায়) প্রথম সারির প্রবীণ মুসলিম। আবার কেউ আছে অনেক জিহাদে তার শ্রম-সাধনা ও কুরবানীর অবদান রয়েছে। আবার কেউ এমনও আছে যার পরিবার-পরিজনের লোক সংখ্যা বেশি। আর এমন লোকও আছে যার প্রাপ্তির তুলনায় প্রয়োজন অত্যধিক। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن مالكِ بن أوسِ بن الحدَثانِ قَالَ: ذكر عمر بن الْخطاب يَوْمًا الْفَيْءَ فَقَالَ: مَا أَنَا أَحَقُّ بِهَذَا الْفَيْءِ مِنْكُمْ وَمَا أَحَدٌ مِنَّا بِأَحَقَّ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا أَنَّا عَلَى مَنَازِلِنَا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَقَسْمِ رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَالرَّجُلُ وَقِدَمُهُ وَالرَّجُلُ وَبَلَاؤُهُ وَالرَّجُلُ وَعِيَالُهُ وَالرَّجُلُ وَحَاجَتُهُ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

ব্যাখ্যা: (مَا أَنَا أَحَقُّ بِهٰذَا الْفَيْءِ مِنْكُمْ) ‘ফাই’ এর মালে আমি তোমাদের চাইতে অধিক হকদার নই। অর্থাৎ আমি খলীফাহ্ হওয়া সত্ত্বেও ‘ফাই’ এর মালের প্রাপ্যের ক্ষেত্রে আমার হক তোমাদের মতই। আমি রসূলের মতো ব্যক্তিগতভাবে আমার পরিবারের জন্য তা থেকে কিছু ব্যয় করার অধিকার রাখি না। যেমনটি রসূলের অধিকার ছিল।

(إِلَّا أَنَّا عَلٰى مَنَازِلِنَا مِنْ كِتَابِ اللّٰهِ) আমরা সবাই আল্লাহর কিতাবে বর্ণিত স্তর অনুযায়ী ওটাতে অধিকার রাখি। আর তা হলো দরিদ্র মুহাজির, দরিদ্র আনসার, অতঃপর সকল মুসলিম। তূরিবিশতী বলেনঃ ‘উমার -এর অভিমত এই যে, ‘ফাই’ এর মালে খুমুস অর্থাৎ পঞ্চমাংশত নেই। বরং ‘ফাই’ এর সম্পূর্ণ মালই বায়তুল মালের। আর তা মুসলিমদের কল্যাণ অনুসারে ব্যয় করা হবে। তবে মুসলিমদের মর্যাদা অনুযায়ী ওটাতে অধিকারে তারতম্য রয়েছে।

(فَالرَّجُلُ وَقِدَمُه) অতএব কোনো ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণে অগ্রবর্তী হলে তার অধিকার অগ্রবর্তীর কারণে।

(وَالرَّجُلُ وَبَلَاؤُه) কোনো ব্যক্তি ইসলামের জন্য তার শ্রম দেয়া ও প্রচেষ্টায় অগ্রগামীতার কারণে তার অধিকার।

(وَالرَّجُلُ وَعِيَالُه) কোনো ব্যক্তির তার পরিবারের লোক সংখ্যার অধিকারের কারণে তার হক এবং (وَالرَّجُلُ وَحَاجَتُه) কোনো ব্যক্তির প্রয়োজন অনুসারে বায়তুল মালে তথা খায়বারের মালে তার হক রয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৯৪৮)