৪০১৮

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা

৪০১৮-[৩৪] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদর যুদ্ধের দিন যুলফাকার নামক তরবারি নিজের জন্য গনীমাত হতে নফল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। (আহমাদ, ইবনু মাজাহ্)[1]

ইমাম তিরমিযী অতিরিক্ত এটাও বর্ণনা করেছেন যে, এটা হলো সেই তরবারি যা তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উহুদ যুদ্ধের দিন স্বপ্নে দেখেছেন।

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَنَفَّلَ سيفَه ذَا الفَقارِ يومَ بدْرٍ رَوَاهُ أَحْمد وَابْن مَاجَهْ وَزَادَ التِّرْمِذِيُّ وَهُوَ الَّذِي رَأَى فِيهِ الرُّؤْيَا يَوْم أحد

ব্যাখ্যা: (ذُوْا الْفَقَارِ) যুলফাকার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তরবারির নাম। ذُوْ অর্থ : বিশিষ্ট, অধিকারী, فَقَارِ মেরুদণ্ড। মেরুদণ্ড যেমন ছোট ছোট জোড়া হাড়ের দ্বারা গঠিত হয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঐ তরবারিখানা মেরুদণ্ডের হাড়ের ন্যায় জোড়া চিহ্ন বিশিষ্ট ছিল। এর জন্য তার নাম রাখা হয়েছিল ‘যুলফাকার।’ বাংলা কবিতায় তাকে যুলফাকারও বলা হয়েছে।

কথিত আছে, এটা ‘আস ইবনু মুনাবিবহ্-এর তরবারি ছিল, সে  বদর যুদ্ধে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসে কাফির অবস্থায় ‘আলীর হাতে নিহত হয়, অতঃপর তার ঐ তরবারিখানা গনীমাতের মাল হিসেবে জমা হয় এবং নফল হিসেবে তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো এক সময় এটা ‘আলী -এর হাতে তুলে দেন। ‘আলী এই তরবারি নিয়ে উহুদ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং এর পূর্ণ হক আদায় করেন।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্বপ্নের ঘটনা যা আহমাদ, হায়সামী প্রমুখ বর্ণনা করেছেন তা সহীহ নয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৫৬১)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ