লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা
৪০০১-[১৭] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা আমাকে সমস্ত নবীগণের ওপর শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী করেছেন অথবা বলেন, আমার উম্মাতকে শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী করেছেন অন্য সকল উম্মাতের ওপরে এবং আমাদের জন্য গনীমাতের মাল হালাল করেছেন। (তিরমিযী)[1]
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ فَضَّلَنِي عَلَى الْأَنْبِيَاءِ أَوْ قَالَ: فَضَّلَ أُمَّتِي عَلَى الْأُمَمِ وأحلَّ لنا الْغَنَائِم . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সকল নাবী ও রসূলের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব মর্যাদা দান করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আদম (আঃ) এবং তাঁর পরে যত নাবী ও রসূল রয়েছেন কিয়ামতের দিন তারা সকলেই আমার পতাকাতলে সমবেত হবেন।’’ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজা খুলবেন।
রাবী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হয় তো এ কথাও বলেছেন, আমার উম্মাতকে সকল উম্মাতের ওপর মর্যাদা দেয়া হয়েছে। সেটা এভাবে যে, আল্লাহর বাণী: ‘‘তোমরাই হলো শ্রেষ্ঠ উম্মাত’’- (সূরা আ-লি ‘ইমরান ৩ : ১১০)। কেউ কেউ বলেছেন, এ উম্মাতের শ্রেষ্ঠত্ব (মুহাম্মাদ) শ্রেষ্ঠ রসূলের কারণে।
পূর্বে কোনো জাতির জন্য গনীমাতের মাল ভক্ষণ করা বৈধ ছিল না। উম্মাতে মুহাম্মাদীর জন্য এটা হালাল করা হয়েছে, এটা এ উম্মাতের বিশেষত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের কারণে হয়েছে।
পূর্বের এক হাদীসে উল্লেখ হয়েছে, আমাদের দুর্বলতা এবং অক্ষমতার কারণেই আল্লাহ তা‘আলা আমাদের জন্য গনীমাতের মাল বৈধ করে দিয়েছেন। উভয় হাদীসের দ্বন্দ্ব সমাধানে বলা হয়েছে, উম্মাতের শ্রেষ্ঠত্ব এবং বিশেষত্ব তাদের দুর্বলতা ও অক্ষমতার কারণেই, সুতরাং এ শ্রেষ্ঠত্বের কারণে গনীমাতের মালও গ্রহণ তার জন্য বৈধ করা হয়েছে। অতএব দুই বর্ণনায় কোনো বিরোধ নেই। (মিরকাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৫৫৩)