লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা
৩৯৯৩-[৯] জুবায়র ইবনু মুত্ব’ইম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি ও ’উসমান ইবনু ’আফফান (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে বললাম, আপনি খায়বারের পঞ্চমাংশ হতে বানী মুত্ত্বালিবকে (স্বীয় আপনজন হিসেবে) মাল দিলেন, কিন্তু আমাদেরকে (বানী নাওফাল ও ’আব্দ শামস্-কে) বঞ্চিত করলেন। অথচ আমরা ও তারা আপনার নিকট একই মান-মর্যাদার অধিকারী। উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, অবশ্যই বানী হাশিম ও বানী মুত্ত্বালিব এক ও অভিন্ন। বর্ণনাকারী (জুবায়র) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানী ’আব্দ শামস্ ও বানী নাওফাল-কে তা হতে কিছু দেননি। (বুখারী)[1]
بَابُ قِسْمَةِ الْغَنَائِمِ وَالْغُلُوْلِ فِيْهَا
وَعَن جُبيرِ بن مُطعمٍ قَالَ: مَشَيْتُ أَنَا وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْنَا: أَعْطَيْتَ بَنِي الْمُطَّلِبِ مِنْ خُمُسِ خَيْبَرَ وَتَرَكْتَنَا وَنَحْنُ بِمَنْزِلَةٍ وَاحِدَةٍ مِنْكَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو المطلبِ وَاحِدٌ» . قَالَ جُبَيْرٌ: وَلَمْ يَقْسِمِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِبَنِي عَبْدِ شَمْسٍ وَبَنِي نوفلٍ شَيْئا. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: জুবায়র ইবনু মুত্ব‘ইম সম্ভ্রান্ত কুরায়শ বংশের লোক ছিলেন! তার উপনাম ছিল আবূ মুহাম্মাদ আল্ কারশী আন্ নাওফালী। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারের গনীমাত থেকে সাহাবীদের প্রচুর সম্পদ প্রদান করেন। বানী মুত্ত্বালিবদের খুমুস (এক-পঞ্চমাংশত) থেকে সম্পদ প্রদান করলে জুবায়র ইবনু মুত্ব‘ইম এবং ‘উসমান বললেন, হে আল্লাহর রসূল! বংশ মর্যাদার দিক থেকে আমরা তো আপনার নিকট বানী মুত্ত্বালিব-এর সাথে একই অবস্থানে, আপনি বানী মুত্ত্বালিব-কে খুমুস থেকে সম্পদ দিলেন আর আমাদের বাদ দিলেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, বানু হাশিম এবং বানী মুত্ত্বালিব একই, এই বলে তিনি এক হাতের অঙ্গুলি অন্য হাতের অঙ্গুলির মধ্যে প্রবেশ করালেন।
হাশিম, মুত্ত্বালিব, ‘আব্দ শামস্ ও নাওফাল- এ চারজনই ‘আব্দ মানাফ-এর পুত্র। জুবায়র নাওফাল-এর বংশধর, ‘উসমান ‘আব্দে শামস্-এর বংশধর, আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানু হাশিম-এর বংশধর। ‘আব্দে মানাফ হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চতুর্থ পর্যায়ের দাদা। সুতরাং সকলেই মূলে এক বংশ। ইসলামের প্রাথমিককালে কুরায়শগণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খানদান বানী হাশিম-এর বিরুদ্ধে একত্র হয়ে শি‘আবে আবী ত্বালিব নামক স্থানে অন্তরীণ করে রাখে। এ সময় বানু মুত্ত্বালিব তাদের প্রতি দয়াপ্রদর্শন করেন এবং তাদের দুর্দশায় এগিয়ে আসেন। বানী নাওফাল ও বানী ‘আব্দ শামস্ মানাফ-এর বংশধর হলেও হাশিমী ও মুত্ত্বালিবীদের সাথে সহযোগিতা করেনি, তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত খান্দান দু’টিকে নিজের নিকটতম আত্মীয়দের মধ্যে ধরেননি এবং তাদের জন্য অংশ নির্ধারণ করেননি। (মিরকাতুল মাফাতীহ)