লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিরাপত্তা (আশ্রয়) প্রদান
৩৯৮১-[৫] আবূ রাফি’ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন কুরায়শরা আমাকে মদীনায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে পাঠিয়েছিল। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখামাত্রই ইসলামের মহানুভবতা আমার অন্তরে গেঁথে গেল। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর কসম, আমি আর তাদের (কুরায়শদের) কাছে কখনো ফিরে যাব না। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমি চুক্তি ভঙ্গ করি না এবং কোনো দূতকেও বন্দী করি না। তবে তুমি এখন চলে যাও। তোমার অন্তরে বর্তমানে ইসলাম গ্রহণের যে আগ্রহ আছে তা যদি চলে যাওয়ার পরও এ অবস্থায় (ইসলাম) জাগরুক থাকে, তখন তুমি চলে এসো। আবূ রাফি’ (রাঃ) বলেন, আমি চলে গেলাম। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে ইসলাম গ্রহণ করলাম। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن أبي رافعٍ قَالَ: بعثَني قُرَيْشٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُلْقِيَ فِي قَلْبِيَ الْإِسْلَامُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي وَاللَّهِ لَا أَرْجِعُ إِلَيْهِمْ أَبَدًا قَالَ: «إِنِّي لَا أَخِيسُ بِالْعَهْدِ وَلَا أَحْبِسُ الْبُرُدَ وَلَكِنِ ارْجِعْ فَإِنْ كَانَ فِي نَفْسِكَ الَّذِي فِي نَفْسِكَ الْآنَ فَارْجِعْ» . قَالَ: فَذَهَبْتُ ثُمَّ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم فَأسْلمت. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: (فَلَمَّا رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ أُلْقِىَ فِىْ قَلْبِىَ الْإِسْلَامُ) অর্থাৎ- তাঁকে দেখামাত্র আমার অন্তরে ইসলামের প্রতি সত্যায়ন এবং ইসলামের প্রতি ভালোবাসা গেঁথে গেল। ত্বীবী বলেনঃ অত্র হাদীসাংশে এ কথা বিদ্যমান যে, অন্তরে ইসলাম প্রবেশ তাঁকে দর্শনের পর বিলম্বিত হয়নি। উল্লেখিত উক্তি আবূ রাফি‘-এর বিচক্ষণতা ও ধূর্ততা ও সঠিক দৃষ্টির প্রমাণ বহন করে। আর আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ মু‘জিযা দ্বারা সন্নিবেশিত করা হয়েছে যে, অনড় দৃষ্টি নিক্ষেপকারী তাঁর দিকে দৃষ্টি দিলেই ঈমান আনত।
«فارجع ثم أسلم» অর্থাৎ- অতঃপর কাফিরদের কাছ থেকে আমাদের কাছে ফিরে আসবে। এরপর ইসলাম গ্রহণ করবে। কেননা এখন যদি তোমার ইসলাম মেনে নিয়ে তোমাকে তাদের কাছে ফিরিয়ে না দেই তাহলে অবশ্যই আমি বিশ্বাসঘাতকতা করে ফেলব- এটা ইবনুল মালিক বলেছেন। এতে আছে ইসলাম গ্রহণ করাতে বিশ্বাসঘাতকতা হয় না। বরং এ থেকে উদ্দেশ্য হলো যখন তাকে আটক করা আপত্তিকর তখন সে ইসলাম গ্রহণ না করে কাফিরদের কাছে ফিরে যাবে, কেননা এ পন্থাই সর্বাধিক উপযুক্ত। অতঃপর সে সঠিক পন্থায় সত্যের দিকে ফিরে আসবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
অত্র হাদীস থেকে বুঝা যায়, দূতদেরকে হত্যা করা যাবে না, আটকও করা যাবে না। (সম্পাদক)